নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুরদের বয়ান সব সময় ভালো লাগে না ....

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

জুম্মার নাামাজের পূর্বে ইমাম সাহেবগন যে বয়ান বা ওয়াজ করেন, তা অনেক সময় শুনতে ভালো লাগে, আবার অনেক সময় খুব বিরক্তের সৃষ্টি করে। আজ আমার শেষেরটা হয়েছে। এমনিতেই হুজুরদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তারা সবাই বেহেশ্তের টিকেট হাতে নিয়ে বসে আছে, আর আম মুসল্লিরা সবাই দোযখে এক পা দিয়ে আছে, তিনি টেনে হিচড়ে তাদেরকে বেহেশ্তে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

আজকে হুজুর সহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন পাঠের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে এমন কিছু উদাহরণ দিলেন, তাতে ৯৯ শতাংশ মুসল্লিই বুঝে গেছেন যে, তাদের নামাজ কালাম কোরআন তেলাওয়াৎ সবই বৃথা। কারণ আরবী উচ্চারন এক্কেবারে আরবীদের মতো ছহিহ শুদ্ধ না হলেই সুরা কেরাতের বাংলা অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, আর সেই তেলাওয়াৎ দিয়ে কোন পূণ্যই হয় না ....বরং পাপ হয়।আল্লাহর প্রশংসার বদলে আল্লাহকে গালাগালি করা হয়।

এই বিষয়ে আমার দুটি কথা আছে। আমি যেটা নামাজে দাড়িয়ে আল্লাহর সামনে পড়ছি, সেটা তো নামাজ আদায়ের নিয়েতেই করছি। আল্লাহকে গালাগলি করতে চাইলে আমি নামাজে দাড়াবো কেনো? আল্লাহ কি তার বান্দার অন্তর জানেন না? তিনি কি অন্তরযামী নন? তিনি কি বাংলায় কি অর্থ দাড়ালো সেটা শুনে বান্দাকে মূল্যায়ন করবেন? হ্যা , সহিহ শুদ্ধ ভাবে পড়ার ব্যপারে তাগিদ অবশ্যই দিতে হবে, তার মানে এই না যে, সাধারণ মুসল্লিরা একেবারে কোন পর্যায়েই পড়ে না, তা তো নয়!

একবার এক মরু বেদূঈনকে একজন সাহাবি গলায় গামছা বেধে রাসুল (সাঃ) এঁর সামনে উপস্থিত করে বল্লেন, হুজুর এই লোক বিকৃতভাবে কোরআন তেলাওয়াৎ করছে। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ঐ বেদুইনকে কোরআন তেলাওয়াৎ করতে বল্লেন। উক্ত বেদুঈণ রাসুলের সামনে কোরআন তেলাওয়াৎ করলে রাসুল তার তেলাওয়াৎকে শুদ্ধ হিসাবে মত দিলেন এবং তাকে ছেড়ে দিতে বল্লেন।

একবার এক পাখি গাছে বসে ইয়া কাড়িমু! ইয়া কাড়িমু!! বলে জিকির করছিলো। একজন নবী (আঃ) সেটি শুনতে পেরে পাখিকে খুব করে ধমক দিয়ে বল্লেন, ইয়া কারিমু হবে, তুমি কাড়িমু বলছ কেন? নবী(আঃ) এর ধমক শুনে পাখির জিকির বন্ধ হয়ে গলো। তখনই আল্লাহ ওহির মারফত তার নবী(আঃ)কে জানালেন, হে নবী! সে আমাকে কি নামে ডাকছে, সেটা তো আমি ঠিকই বুঝতে পারছি। তুমি ধমক দিয়ে কেন তার জিকির থামালে?

আল্লাহ দেখেন পরিশুদ্ধ অন্তর। মুখের উচ্চারণের গুরুত্ব আছে লোক সমাজে, কিন্তু অন্তর্যামরি কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো বান্দার অন্তর কি বলে? হযরত বেলাল (রাঃ) এতোই অত্যাচার সয়েছিলেন যে, তিনি সহিহ ভাবে কিছু কিছু আরবী শব্দ উচ্চারণ করতে পারতেন না। তাই লোকজন তাকে বাদ দিয়ে অন্য একজন সাহাবকে দিয়ে আজান দেয়াতে রাসুলকে অনুরোধ করলেন। রাসুল তাদের সথায় সম্মত হয়ে অন্য একজন সাহাবিকে দিয়ে আজান দেয়ালেন যার গলার আওয়াজ সুস্পষ্ট, উচ্চারণ সহিহ।। পরবর্তিতে আল্লাহ নবীজি (সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন হে নবী ! আজ আপনার মসজিদে নববীতে কি আজান হয়নি? আল্লাহর হাবিব (সাঃ) বলেন হয়েছে তো। আল্লাহ বলেন ঐ আজান আমার আরশে পৌছয়নি ..... ! নবীজি (সাঃ) যা বোঝার বুঝে নিলেন। পরবর্তিতে নবীর জীবদ্দশায় হযরত বেলাল (রাঃ ছাড়া আর কেউই আজান দেয়নি মদিনা শরীফের মসজিদে নববীতে।

মসজিদের মিম্বরে বসা মানেই বেহেশতের টিকেট হাতে পাওয়া নয়.... এর গুরু দায়িত্ব বহন করা এতো সম্তা নয় ..........

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"একবার এক পাখি গাছে বসে ইয়া কাড়িমু! ইয়া কাড়িমু!! বলে জিকির করছিলো। একজন নবী (আঃ) সেটি শুনতে পেরে পাখিকে খুব করে ধমক দিয়ে বল্লেন, ইয়া কারিমু হবে, তুমি কাড়িমু বলছ কেন? নবী(আঃ) এর ধমক শুনে পাখির জিকির বন্ধ হয়ে গলো। তখনই আল্লাহ ওহির মারফত তার নবী(আঃ)কে জানালেন, হে নবী! সে আমাকে কি নামে ডাকছে, সেটা তো আমি ঠিকই বুঝতে পারছি। তুমি ধমক দিয়ে কেন তার জিকির থামালে? "

-ভেবে দেখেন, এটাও তা'হলে ঘটেছে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

আহলান বলেছেন: হুম... শিক্ষনীয় !

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৮

বন্যলোচন বলেছেন: মাথা নিচু করে দুলবেন আর ঘুমাবেন। বর্তমানে ওয়াজের সময় এইটাই ট্রেন্ড চলতেছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

আহলান বলেছেন: আমি কি আর এই ট্রেন্ডের বাইরের কেউ? ;) ....

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

যোগী বলেছেন:
ঠিক, আমিও দেখেছি "ইন্নামাল আমানু বিন্নিয়্যাতি" বলে যে একটা হাদিস আছে সেটা হুজুররা সব সময় ভুলে যায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

আহলান বলেছেন: সেটাই ... অন্তরের পরিশুদ্ধ নিয়্যেত এর দিকে খেয়াল করে না ..

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩১

জনদরদী বলেছেন: প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ । বাংলাদেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ তার অর্থ জানে না । কি পড়ে সেটা বেশির ভাগ মুসলিম জানে না, পড়তে হয় তাই পড়ে ।
আমি একটু অন্য প্রসংগে বলি, শিক্ষার ইংরাজিকে আমাদের দেশের ৯৯ ভাগ লোক এডুকেশন বলে উচ্চারণ করে । আসল উচ্চারণ শুনলে বুঝতে পারি না । প্রকৃতপক্ষে এডুকেশন বলে উচ্চারিত ইংরাজিতে কি কোন শব্দ আছে ? শুধু ইংরাজি নয় , বাংলাকেও ছাড়ি না আমারা । ই আর ঈ , উ আর ঊ, ও আর ঔ এর মধ্যে উচ্চারণের পাথর্ক্য কবেই নাই করে দিয়েছি ।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২৮

কামের কথা কন!! বলেছেন: @বন্যলোচন বলেছেন: মাথা নিচু করে দুলবেন আর ঘুমাবেন। বর্তমানে ওয়াজের সময় এইটাই ট্রেন্ড চলতেছে।

হা হা @বন্যলোচন সেই রকম বলেছেন । পোস্টে একমত তবে সব ইমাম এক রকম না। কিছু আছেন যারা এই গুলো বুঝেন। ইসলাম এর নিয়ম কানুন তো আসলে খুব কঠিন কিছু না। আর যে পুরা উনিভারস এর মালিক সে এত আনস্মার্ট ও না বোকা ও না। হি নোজ এভরিথিং।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

আহলান বলেছেন: সেটাই তো কথা ... যতদূর পারা যায় শুদ্ধ করার চেষ্টা তো সবাই করে .... কিন্তু হুজুরদের কথা শুনলে মনে হয় আম মুসল্লিদের সবই ভুল ....

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

সাগর মাঝি বলেছেন: মসজিদের মিম্বরে বসা মানেই বেহেশতের টিকেট হাতে পাওয়া নয়.... এর গুরু দায়িত্ব বহন করা এতো সম্তা নয় .........

চমৎকার হয়েছে লেখক সাহেব।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ....!

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪

সাগর মাঝি বলেছেন: বন্যলোচন বলেছেন: মাথা নিচু করে দুলবেন আর ঘুমাবেন। বর্তমানে ওয়াজের সময় এইটাই ট্রেন্ড চলতেছে।

হাঃ হাঃ হাঃ..........হাসালেন আমাকে বন্যলোচন।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০২

বিজন রয় বলেছেন: বয়ান শোনা ভাল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আহলান বলেছেন: অবশ্যই ভালো .... !

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

চিত্রনাট্য বলেছেন: আমাদের পাশের মসজিদের হুজুরকে পরকীয়া প্রেমে মগ্ন থাকা অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হয়েছিলেন। =p~ =p~

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

আহলান বলেছেন: যে যুগ যামানা পড়ছে, হুজুরদের আর কি নফস ঠিক রাখার কায়দা আছে? ঐটাও মনে হয় ঈমানি দায়িত্ব মনে করে সহিহ ভাবে আদায় করতে গেছিলো ! ;) (নাউজুবিল্লাহ্)

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আলেমরা আলেম ব্যাতিত অন্যদের মোটামুটি ধর্মীয় অজ্ঞই মনে করে । তারা নিজেরাই ঠিক মত ধর্ম কর্ম করেনা ।
''এমন আলেম খুব কম আছেন যারা ঠিক মত ফজরের নামাজ পড়েন।'' শেষের কথাটা একজন প্রখ্যাত আলেমের , যা বলতে আমি নিজ কানে শুনেছি ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৭

আহলান বলেছেন: আসলেই তাই, আমরা সমাজে যাদেরকে লেবাসধারী আলেম দেখি, আসলেই কি তারা সবাই কি আলেম ?

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

মুছাফির বলেছেন: উপকৃত হলাম । ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

আহলান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ...!

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: //আল্লাহ দেখেন পরিশুদ্ধ অন্তর। মুখের উচ্চারণের গুরুত্ব আছে লোক সমাজে, কিন্তু অন্তর্যামরি কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো বান্দার অন্তর কি বলে? হযরত বেলাল (রাঃ) এতোই অত্যাচার সয়েছিলেন যে, তিনি সহিহ ভাবে কিছু কিছু আরবী শব্দ উচ্চারণ করতে পারতেন না। তাই লোকজন তাকে বাদ দিয়ে অন্য একজন সাহাবকে দিয়ে আজান দেয়াতে রাসুলকে অনুরোধ করলেন। রাসুল তাদের সথায় সম্মত হয়ে অন্য একজন সাহাবিকে দিয়ে আজান দেয়ালেন যার গলার আওয়াজ সুস্পষ্ট, উচ্চারণ সহিহ।। পরবর্তিতে আল্লাহ নবীজি (সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন হে নবী ! আজ আপনার মসজিদে নববীতে কি আজান হয়নি? আল্লাহর হাবিব (সাঃ) বলেন হয়েছে তো। আল্লাহ বলেন ঐ আজান আমার আরশে পৌছয়নি ..... ! নবীজি (সাঃ) যা বোঝার বুঝে নিলেন। পরবর্তিতে নবীর জীবদ্দশায় হযরত বেলাল (রাঃ ছাড়া আর কেউই আজান দেয়নি মদিনা শরীফের মসজিদে নববীতে।// ---

হযরত বেলাল (রাঃ) এই ঘটনাটা নিয়ে আমিও অনেক দিন ভেবেছি ।
সহিহ উচ্চারণ না বিশুদ্ধ মন --- আপনার লেখায় তার উত্তর পেলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ .. .. ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.