নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তম কথোপকথন - বিষয়ঃ শা\'বান মাসের মধ্যভাগের গুরুত্ব!!

১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৩



- আস্সালামু আলাইকুম!
-ওয়ালাইকুম আস্সালাম!
-কি খবর বন্ধু? অনেক দিন বাদে ফোন দিলি....
-হ্যা ... আসলে একটু বেশী ব্যস্ত থাকি ইদানিং, তাই আর তোর খোজ খবর নিতে পারি না। আছিস কেমন তোরা?
-আলহামদুলিল্লাহ ! ভালো আছি, তোদের খবর কি? ভালোতো?
-আলহামদুলিল্লাহ! আমরাও ভালো আছি। তো একদিন আয় না বাসায়? ২৩ তারিখ তো শবে বরাতের ছুটি আছে, চলে আয় বাসায়!
-হুমম ..দেখি! সারা রাত নামাজ কালাম এবাদৎ বন্দেগী করে ২৩ তারিখে রোজা রাখার নিয়্যেত আছে। আসতে পারবো কিনা জানিনা। চেষ্টা করবো.... ইনশাল্লাহ!
-ও! তুই তো আবার বিদাআত পন্থী!!
-মানে কি?
- মানে আবার কি? শবে বরাত টরাত বলে আবার কিছু আছে নাকি? যত্তসব বিদাআতি কাজ কারবার.....!
-শবে বরাত বলে হয়তো কিছু নেই, তবে নিফসে মিন শাবান বা শাবান মাসের মধ্যভাগ সংক্রান্ত কিছু হাদিস তো অবশ্যই আছে।
-ও! তুই হযরত আইশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত যঈফ হাদিসটার কথা বলছিস তো?
- হাদিস তো আল্লাহর রাসুলের বাণী। তা তো যঈফ বা দূর্বল হতে পারে না। হাদিস বর্ণণাকারীদের উপর ভিত্তি করে সেটাকে দূর্বল বা বাতিল বলে গণ্য করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হযরত আইশা সিদ্দিকা( রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস তো ইমাম বুখারী বা ইমাম মুসলিম বা সেই সময়ের কোন আলেমই জাল বা বাতিল বলেন নি। তাছাড়া ঐ হাদিস শরীফ তো তিরমিজি ও আহমদ শরীফেও বর্ণিত আছে। সুতরাং শাবানের মধ্যভাগ বা শবে-বরাতকে কেন্দ্র করে যে এবাদত বন্দেগীর প্রথা চালু আছে, তা অস্বিকার করার তো উপায় দেখি না।
- কোন সাহাবা (রাঃ) এমন আমল করছে দেখাতে পারবি? আর সারারাত নফল নামাজ কালাম পড়ে ভোরে ফজরের নামাজ ক্বাজা করে ঘুম পাড়বি, এই তো তোদের কাজ!
- আরে পাগল! যে মানুষ আল্লাহর দ্বীনকে ভালোবেসে সারারাত এবাদত বন্দেগী করে, সে কি কখনো সকালের ফজরের নামাজ ক্বাজা করবে? না করতে পারে?
- আরে তুই যত যাই বলিস রে ভাই! এসব বিদাআত, এসব করে কোন ফায়দা নেই। ২৩ তারিখে দুপুরে বাসায় চলে আয়। হ্যাব্বি খাইদাইয়ের এন্তেজাম করি ...
- কেনো? তুই ২৩ তারিখ অর্থাৎ শাবানের মধ্যভাগে রোজা রাখবি না?
-এটা আবার কোন হাদিসে আছে?
-আছে তো! সহিহ মুসলিমেই বর্ণিত আছে। তাহলে শোন-

২৬১৭- হাদ্দাব ইবনে খালেদ (রাঃ) ...... ইমরান ইবনে হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে অথবা অপর কাওকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি শাবান মাসের মধ্যভাগে সওম পালন করেছিলে?” উত্তরে তিনি বল্লেন, “না”। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বল্লেন,“ যখন তুমি সাওম পালন করনি, তখন দুই দিন সাওম পালন করে নিও।”

২৬১৮- আবু বকর ইবন আবু শায়বা ...... ইমরান ইবনে হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি এ মাসের মধ্যভাগে কিছু দিন সওম পালন করেছিলে?” উত্তরে তিনি বল্লেন, “না”। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বল্লেন,“ তুমি তার বদলে রমযানের সিয়াম শেষ করে, দুই দিন সিয়াম পালন করবে।”

সুতরাং সারারাত নামাজ না পড়লেও সহিহ হাদিস মানলে ওয়ালা হিসাবে তো তোর শাবানের মধ্যভাগে অবশ্যই রোজা বা সিয়াম পালন করা উচিৎ। শুধু তাই না, উপরোক্ত হাদিস দুটি অন্তরে অনুধাবন করে এটা বোঝা উচিৎ কেনো নবীয়ে পাক (সাঃ) শাবানের মধ্যভাগকে এতোটা গুরুত্ব দিয়েছেন। উপরোক্ত হাদিস দুটির সাথে হযরত আইশা সিদ্দিকা (রাঃ) এঁর বর্ণিত হাদিসকে সমন্বয় করলে কিন্তু ঐ যঈফ হাদিস আর যঈফ থাকে না।
- ঠিক আছে, আমি আগে মুসলিম শরীফ দেখে নিই, আসলেই রোজা রাখার কথা বলা আছে, নাকি তুই ঘুরায়ে ফিরায়ে কিছু বলছিস, তারপর না হয় দেখা যাবে।
- এতোকাল আমল আর এবাদত বন্দেগীর ব্যপারে কেউ ঘুরায়ে ফিরায়ে চিন্তা করেনি। কিন্তু তোরা যে কোন তরীকাপন্থী হইলি, কথায় কথায় শুধু বিদাআত বিদাআত করে অস্থির হয়ে যাস। যাক! এটা নিয়ে তোর সাথে আর একদিন কথা বলবো। আপাততঃ তুই সহিহ মুসলিম থেকে শাবান মাসের সওম বিষয়ে জ্ঞ্যান আহরণ করে, সেই অনুযায়ী আমল কর, কাজে দেবে ..... !!


মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.