নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজা ও তারাবিহ আদায় করবেন যে কারণে ..... !

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০



যে লোভে লোভে পুরো রোজায় রাতে ইমামের পিছনে পূর্ন তারাবিহ আদায় করবেন এবং রমজানের সকল রোজা রাখবেন, সেই সংক্রান্ত দুটি হাদিসঃ

হাদিস -১।

যে ব্যক্তি ইমামের সাথে তারাবীহ শুরু করে শেষ পর্যন্ত থাকে তাকে পুরো রাত ইবাদতের সওয়াব দেয়া হয়।
(আবু দাউদ, ১৩৭৫, ইবনে মাজা: ১৩২৭ নিসায়ী: ১৩৬৫ তিরমিযী: ৮০৬)

হাদিস-২।

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের বিনিময় দশগুণ থেকে সাতশতগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। আল্লাহ বলন, কিন্তু রোজা তার ব্যতিক্রম, কারণ সেটি কেবলমাত্র আমার জন্যই রাখা হয় আর তার বিনিময় আমিই দিব। সে আমার কারণেই তার প্রবৃত্তিগত চাহিদা ও পানাহার ত্যাগ করে থাকে। রোজাদারের জন্য দুইটি খুশি, একটি খুশি হলো ইফতারের সময়, আর অপর খুশি হলো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তম।
(বোখারি:১৮৯৪ ও মুসলিম:১১৫১)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি সকল মুসলিম ভাই-বন্ধুরা আপনার এটি দেখবেন।

ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

আহলান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ব্রাদার ! :)

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

শেখক বলেছেন: ভাই, আপনি প্রথমে উদ্ধৃত হাদিসে 'তারাবিহ' নামাজের কথা বলেছেন। তারাবিহর কথা তো হাদিসে নেই। ব্যাখ্যাকাররা এশার নামাজের কথা বলেছেন। আপনি যদি মনে করেন ওখানে তারাবিহর কথা বলা হয়েছে সেটা ব্রাকেটে দিতে পারতেন।

আমি এখানে আরবি মূল টেক্সট এবং বাংলা দুটোই তুলে দিচ্ছি।

، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ ‏.‏

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের সাথে রমযান মাসে রোযাব্রত পালন করেছি। তিনি (সাঃ) রমযান মাসের প্রথম দিকে (তারাবীহ নামায) আমাদের সাথে আদায় করেন নাই। অতঃপর উক্ত মাসের মাত্র সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকতে তিনি আমাদের নিয়ে নামায (তারাবীহ) আদায় করেন; এভাবে রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়। অতঃপর তিনি (সাঃ) ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ পরের রাত) আমাদের সাথে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন নাই। পরে পঞ্চম রাতে তিনি (সাঃ) আমাদের সাথে নামায আদায় করাকালে রাতের অর্ধাংশ অতিবাহিত করেন।

রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি (সাঃ) বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে নামায আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়। রাবী বলেনঃ তিনি (সাঃ) চতুর্থ রাতে (২৭শে রমযান) মসজিদে আসেন নাই (তারাবীর নামাযা আদায়ের জন্য)। অতঃপর তৃতীয় রাতে তিনি (সাঃ) তাঁর স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনদেরকে এবং অন্যান্য লোকদেরকে একত্রিত করে জামাআতের সাথে (তারাবীর) নামায আদায় করেন (এবং তার সময় এত দীর্ঘ হয় যে,) আমাদের আশংকা হচ্ছিল যে, হয়ত আমারা “ফালাহ্”-র সুযোগ হারিয়ে ফেলব। রাবী বলেন, আমি তখন জিজ্ঞাসা করিঃ ‘ফালাহ’ কি? তিনি বলেনঃ সেহরী খাওয়া। অতঃপর তিনি (সাঃ) উক্ত মাসের বাকী দিনগুলিতে (২৯ ও ৩০) আমাদের সাথে জামাআতে আর তারাবীহ আদায় করেন নাই

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

আহলান বলেছেন: হ্যা, আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে একটি হাদিসের ব্যাখ্যায় অন্যান্য হাদিসের আলোকেই করা উচিৎ। যেমন উক্ত হাদিসের ঠিক পরের হাদিসেই তারাবিহ কে ইঙ্গিত করে হাদিস বর্ননা করা হয়েছে। ইবনে মাজাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত -

ব্যাখ্যা কারকদের ভেতরেও রকমফের আছে। আলবানী লা মাজহাবীদের ব্যাখ্যা হয় এক রকম, মাজহাব পন্থীদের ব্যাখ্যা হয় আরেক রকম। ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

শেখক বলেছেন: দ্বিতীয়ত, হাদিসের ভাব থেকেই বোঝা যায়, সাহাবী রাসূলের সাথে কিয়ামুল লাইল পড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাসূল তাকে ফরজ নামাজ পড়ে ঘরে চলে যাওয়ার কথা বলেছেন।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

শেখক বলেছেন: আপনি ভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, ভিন্ন দিকে চলে গেছেন। আবার পড়ুন হাদিসটি,

রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি (সাঃ) বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে নামায আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়।

এখানে দুই রকমের নামাজের কথা আছে। প্রথম নামাজ হলো সাহাবী রাসূলের সাথে সারা রাত নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন। এটা নিশ্চয়ই এশার নামাজ না। এরপরে রাসূল বলেছেন ইমামের সাথে নামাজ আদায় করে ঘরে চলে যাওয়ার কথা। এটা অবশ্যই সারা রাতের নামাজ না।

আর আপনি মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি নিয়ে যে কথা বলছেন সে বিষয়ে সামান্যতম আগ্রও আমার নেই। মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা ফরজ। মুসলিম সবচেয়ে বড় পরিচয়। গ্রুপিং শয়তানের কাজ।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

শেখক বলেছেন: দ্বিতীয় কথা হলো خُلُوفُ শব্দের অর্থ গন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এসে এটা দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। রোজাদারের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার দরকার কী? সে ভালোভাবে দাঁত মাজলে তো দুর্গন্ধ থাকার কথা না।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহলান বলেছেন: রোজা থেকে বুঝেন মুখে গন্ধ হয় কিনা আর সেটা সু না দূ ..

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আহলান বলেছেন: আরে ভাই হাদিসের প্রথম প্যরাতেই তো রোজার রাতে নামাজের উল্লেখ আছে। সেহেরী ছুটা যাবারও আশংকা করার হয়েছে। এই নামাজ কি এশার নামজ হতে পারে তারাবিহ ছাড়া? আর বিভেদ আপনাদের মতো পন্ডিতদের জন্যই তৈরী হচ্ছে, আমরা পুরানো হাক্কানী আলেম উলামাদেরকেই অনুসরণ ও তাদের ব্যাখ্যাই মেনে চলি। ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৩৫

শেখক বলেছেন: আমি আপনাকে তারাবিহ নিয়ে কথা বলিনি, এশার নামাজ নিয়েও কথা বলিনি। বলেছি আপনি ভুল অনুবাদ করেছেন। হাদিসের টেক্সটে যা নেই অনুবাদে আপনি নিজের মনমাফিক সেটা ঢুকিয়েছেন।

আর আপনি দাঁত না মেজে বেশি বেশি দুর্গন্ধ বানান।

যাই হোক, আপনি যদি হাদিসের দিকে না তাকিয়ে আপনার পুরনো লোকদের মেনে চলেন তাহলে তো আর কিছু করার নেই। আমি কোনো রকম বিভেদের কথা বলিনি, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও আপনি অন্য দিকে যাচ্ছেন। পুরো হাদিসটি আবার পড়ুন। রাসূলের হাদিসের ব্যাপারে যদি ইচ্ছামতো অনুবাদ হয় সেটা কি ঠিক বলুন? ভালো থাকবেন।

০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

আহলান বলেছেন: দেখুন নাসাঈ শরীফে অনুবাদ


এখানে সুস্পষ্ট ভাবেই তারবির কথা বলা আছে। আমার মন মাফিক কিছু বলি নাই। তাছড়া এটার বুঝেরও বিষয়। হাদিসের শুরুতেই বলা হয়েছে হুজরে পাক সাঃ আমাদের সাথে তারাবির লালাত আদায় করেননি। সাত রাতঅবশিষ্ট থাকেতে তারবিহ আদায় করেন। ইবনে মাজা শরীফে বলা আছে যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত আদায় করে ফিরে আসে, এখানে ফরজ পড়েই বাসায় ফিরতে বলা হয়নি, দেখুন সুতরাং ইমাম যদি তারাবিহ পড়েন, তাহলে মুক্তাদিকেও ইমামের সাথে তারাবিহ পড়েই ফিরতে হবে, তবেই এই ফজিলত হাছেল হবে। তিরমিযী শরীফে বলা হয়েছে ইমামের সাথে, ফরজ কথাটি ব্রাকেটে আছে, ফরজ নামাজে শামিল হয় এবং ইমামের সাথে নামাজ আদায় শেষ করে, দেখুন এখানেও ফরজ পড়ে বাসায় চলে যেতে বলা হয়নি, সুস্পষ্ট ভাবেই ইমামের সাথে সালাত আদায় শেষ করতে বলা হয়েছে, সুতরাং ইমাম যদি তারাবিহ পড়ে আর আপনি শুধু ফরজ পড়েই বাসার পথ ধরেন, তবে তো ফায়দা হাছিল হবে না। এতো কিছুর পরেও যদি আপনি বলেন আমার ভুল হয়েছে, তবে আর আমার কিছু বলার নাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

আর সেহরী খাওয়ার পরে দাঁত ভালো রুপে ব্রাশ করার পরেও সারাদিন রোজা রাখার ফলে মুখে (পাকস্থলী নির্গত) যে গন্ধটা হয়, সেটা অনুভব করতে পারে তারাই, যারা সঠিক নিয়মে রোজ পালন করে। এবং সেটা কোন সুগন্ধ নয়। সুগন্ধ হলে আর আল্লাহ তায়ালার পছন্দের বিষয় বলে উল্লেখ করা হতো না। দূর্গন্ধ হয় বিধায়ই কথাটি বলা হয়েছে .... যাযকাল্লাহু খাইরান ....

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

শেখক বলেছেন: আপনি ঘুরেফিরে আপনার কথাই বলছেন। স্পষ্টভাবে তারাবিহর কথা লিখেছেন অনুবাদক, হাদিসে তারাবিহর কথা নেই। অনুবাদক কি ভুল করতে পারেন না?

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

আহলান বলেছেন: হাদিসে কোন নামাজ নিয়ে কথা বলা হয়েছে?

১০| ১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

ইক্বরা বলেছেন: হাদিসটাকে আমরা রোজা কেন্দ্রিক করে সারা বছরের সওয়াব থেকে বন্চিত করার পায়তারা করছি। কিন্তু আরবী ইবারতের কোথাও তারাবীহ কথাটাটি নেই এই সহজ কথাটা বূঝতে চাইছি না। ফরজ বাদ দিয়ে নফল নিয়ে টানাটানি। হাদিসটা মুলত এশার ফরজ নিয়ে ছিল।

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

আহলান বলেছেন: তারাবিহ কথাটি নেই -
হাদিসের শুরুতেই বলা আছে আল্লাহর রাসুল রমজান মাসে আমাদের সাথে তারাবির সালাত আদায় করলেন না- ধরে নিলাম তারাবি কথাটি নেই, তারাবির বদলে এশার সালাত ধরলে অর্থ কি দাড়ালো? রাসুল এশার সালাত আদায় করলেন না, তাইতো? কি বুঝাতে চান আপনি?
হাদিসটা মূলত এশার ফরজ নিয়ে ছিলো। এটা আপনার মনগড়া কথা।

হাদিসেই বলা হচ্ছে এই নামাজ পড়তে পড়তে সেহেরী ছুটে যাওয়ার আশঙ্কার কথা ... এশার ফরজ পড়তে পড়তে সেহেরী ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে .... তাইনা ? আর তারবি না ধরে এশা ধরলে তো দেখা যায় নবীজি শরুর দিকে এশার নামাজই পড়েননি - নাউজুবিল্লাহ। রোজার মাসে কৃত আমলকে তো রোজা কেন্দ্রিকই ধরতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.