নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেজাল ঔষধ হতে নিরাপদ থাকতে নতুন এ্যপসকে সুস্বাগতম!!

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪




আমাদের দেশে ভেজাল হয় না এমন কোন জিনিষ নাই। যাই ধরবেন, আসল না নকল তা চিন্তাতে আসবেই। ভয়াবহ জাল আর প্রতারনার ফাদ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। আমাদের দেশের ঔষধ শিল্প বর্তমানে আশাব্যঞ্জক একটি খাত। এই খাতেও ভেজাল ৗষধে ছয়লাব।

মির্জাপুর উপজেলায় ফুডস সাপ্লিমেন্টের নামে বিদেশি নকল ও ভেজাল ভিটামিন ক্যাপসুল ও ঔষধ তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে ইত্তেফাকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে। সেই কারখানার তৈরি বিভিন্ন ঔষধ এখানকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে সরবরাহ করা হচ্ছে। সেইসব ঔষধের কৌটার গায়ে ইংরেজিতে লেখা আছে গুণাগুণের আকর্ষণীয় বর্ণনা। এইসব ঔষধের লেবেলে কোনো ডিএআর নম্বর নাই। নাই উৎপাদন ও মেয়াদের শেষ তারিখও।

আবার একশ্রেণির লাইসেন্সধারী বা লাইসেন্সবিহীন কোম্পানি অনবরত ভেজাল ঔষধ উতৎপাদন করেই যাচ্ছে যাহা উদ্বেগজনক। এইসব কোম্পানির সংখ্যা খুব বেশি নহে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের দাপট ও প্রভাব অনেক বেশি। এতে ভাল কোম্পানিগুলি মার খেয়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় কথা কচরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ভুক্তভোগী রোগীরা। কার্যত মির্জাপুরের ন্যায় দেশের সর্বত্র গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে ভেজাল ঔষধের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়। অশিক্ষা ও অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এমন অন্যায় ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়। মির্জাপুরের ঘটনা তাহারই প্রমাণবহ।

কিছু নিম্নমানের ঔষধ আসছে সীমান্ত পথে চোরাচালানের মাধ্যমে। কোথাও কোথাও মুদি দোকানেও নানা ক্ষতিকর ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও সিরাপ জাতীয় ঔষধ বিক্রয় হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড পাইকারি ঔষধ মার্কেটে নকল ঔষধ বিক্রয়ের দৃষ্টান্তও রয়েছে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয় বটে, তবে কিছুদিন পরে যা তাই থেকে যায়।

ড্রাগ মার্কেটের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের ১৮,০০০ হাজার কোটি টাকার ঔষধের মার্কেটে প্রতি বছর ৬০০ কোটি টাকার নকল ঔষধ সরবরাহ হয়ে থাকে।

দেশের ঔষধ শিল্পের এই করুণ পরিস্থিতি হতে মুক্তি পেতে এদেশীয় কোম্পানী রেনাটাই সর্বপ্রথম চুক্তি করেছে Panacea Live Ltd এর সাথে। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়। রেনাটার উৎপাদিত ম্যক্সপ্রো (এসিডিটির জন্য) বা রোলাক (ব্যথা উপসমের জন্য) কিনলেই ঔষধের গায়ে লেখা কিছু কোড ২৭৭৭ নাম্বারে এসএমএস করলেই ভোক্তাকে দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে, ঐটি আসল না নকল ঔষধ। আমার মতে এই সিস্টেমটি দ্রুত সব ঔষধ কোম্পনীর গ্রহণ করা উচিৎ। জীবন বাচানোর চেয়ে ঔষধ খেয়ে যদি জীবন প্রদীপ নিভে যায়, তাহলে তার মতো দুঃখ আর কি হতে পারে!

তথ্য সূত্র- সুন্দর যুগপোযোগী উদ্যোগ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৬

লিংকন১১৫ বলেছেন: অনেক ভালো উদ্যোগ , হুম সব কোম্পানির এমন করা উচিৎ ।
সাথে নেটে যাতে চেক করা যায় , ও ওষুধের বিবরণ ও যাতে পাওয়া যায় এমন করা উচিৎ

২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহলান বলেছেন: ঠিক বলেছেন! ধন্যবাদ

২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০২

কুব্বত আলী বলেছেন: আপনার এই মনোরম সুন্দরম উপস্থাপনায় আমি মুগ্ধ হলাম,,
এই ধরনের পোস্ট জাতীর কল্যানে কাজে আসবে, নিশ্চয় ধর্ম বিরোধী লেখা জাতীর জন্য ক্ষতিকর,
যা বিভিন্ন মাতাল ব্লগার লেখার টপিক না পেয়ে ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে, যাদের পোস্ট আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত অবশ্যই তাদের বুঝা উচিৎ, আপনি শিক্ষিত,, তারা এই ধরনের পোস্ট করা শিখতে পারে আপনাকে দেখে,
সুস্থতা কামনা করছি

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

আহলান বলেছেন: ব্লগ একটা সামাজিক দায়িত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি। আর আমরা ব্লগারগন সমাজের দর্পন হিসাবে কাজ করতে চাই ... ধন্যবাদ ভাই ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.