নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু নাগরিক সুবিধা সময়মতো পরিচর্যা না করলে চরম মূল্য দিতে হবে আমাদেরকেই!!

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

রাজধানীর উত্তরার ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার নামে একটি বহুতল শপিং কমপ্লেক্সে লিফট ছিঁড়ে বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। এই রোজায় তার আর রোজা বা ঈদ বলে কিছু হলো না। আল্লাহ তার শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শোক কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুন।

কিন্তু কেন এই দূর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেট সংলগ্ন তিন নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সড়কে মার্কেটটির অবস্থান। ১৫ তলা ভবনের ৬ তলা পর্যন্ত মার্কেট। ওপরের ৯টি ফ্লোরে আবাসিক ভবন। ইফতারের আগমুহূর্তে মার্কেটের লিফটে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত লোক ওঠে। এতে লিফটি ছিঁড়ে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। লিফটের কাচ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে এতে লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত ও নিহতরা সবাই লিফটের ভেতরে ছিলেন।

এমন অতিরিক্ত লোক ওঠা কিন্তু খুবই কমন একটি ইস্যু। লিফটে জায়গা নাই বা বেশী মানুষ ওঠার পরেও কিছু মানুষ আছেন আকর্ন হাসি দিয়ে ভাই ভাই একটু একটু বলে খুসে খুসে নিজের জন্য জায়গা করে নেন। আর বাকিরা বিষয়টি মেনেও নেন। আর এই খেসারতই হয়তো জনাব মাহমুদকে দিতে হলো।

প্রত্যেকটি লিফটেরই নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। সেই সাথে নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষনেরও প্রয়োজন আছে। একবার লিফট একটা লাগিয়ে দিলাম আর জনম জনম তা চলতে থাকবে, এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। লিফট এখন বহুতল ভবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহন। এটাকে নিরাপদ রাখতে সবার সচেতন হওয়া জরুরী। তা না হলে হয়তো যে কাওকেই যে কোন সময় চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

পাশাপাশি আরো একটি বিষয় আমি তুলে ধরতে চাই। সেটি হলো সিলিন্ডার। হ্যা- গ্যাস সিলিন্ডার। আমাদের দেশে এখন গাড়ি বলতেই সিএনজি। এই সিলিন্ডারও নিয়মিত টেষ্ট করানোর নিয়ম। কিন্তু কতজন এই নিয়ম মেনে চলেন, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমাদের নিজেদের গাফিলতি আর অসচেতনতার জন্য আমরাই মূল্য দিই।

বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে বোধ করি। আর সেই কারণে যে কাজ গুলো করা যায় তা হলো ল এনফোর্সিং টিম গাড়ির ফিটনেস, ব্লুবুক, ট্যাক্স টোকেন দেখার পাশাপাশি সর্বশেষ কবে সে সিলিন্ডার চেক করিয়েছে, সেটাও দেখতে চাইতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর টেষ্ট এর সঠিক কাগজ দেখাতে না পারলে জরিমানা করতে পারেন। তবে সেই ক্ষেত্রে যেনো কোন ফেক টেষ্টিং রিপোর্ট না দেখাতে পারে, তার জন্য সরকার কর্তৃক কিছু সিলিন্ডার টেষ্টিং কোম্পানীকে সিলেক্ট করে দিতে পারেন।

পাশাপশি লিফটের ক্ষেত্রেও ভ্রাম্যমান আদালত ভবন ঘুরে ঘুরে সর্বশেষ কবে লিফট মেইনটেনেন্স করা হয়েছে, তার খোজ খবর নিতে পারেন। ফলে চলছে চলুক ..অসুবিধা কি ...এমন আলসেমির খেসারত হয়তো কমে আসবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.