নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাফায়াতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ....

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪


আরবি ‘শাফায়াত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে সুপারিশ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াতে তার প্রিয় নবী ও অলিদের সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। আল্লাহতায়ালা পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছেন, আল্লাহতায়ালার অনুমতি সাপেক্ষে নবী এবং অলি-আল্লাহরা আল্লাহতায়ালার প্রিয় ব্যক্তিদের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন এবং আল্লাহতায়ালা তাদের সুপারিশ কবুল করবেন। পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করুন, যাতে আল্লাহতায়ালা তার প্রিয়নবীকে (সা.) উম্মতের শাফায়াতের ক্ষমতা প্রদান করেছেন, ‘নিজেদের অবাধ্যতার পর ওরা আপনার নিকট এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে এবং আপনি ওদের জন্য ক্ষমা চাইলে তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও দয়ালু হিসেবে পাইবে (সূরা নিসা : ৬৪)’।

হাফেজ ইবনে কাছির তার বিখ্যাত তাফসিরে উপরোক্ত আয়াত শরিফের তাফসির করতে গিয়ে আবু মানসুর আস্সাব্বাগ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত একটি বিখ্যাত ঘটনার বর্ণনা করেন। হযরত উৎবির (রাঃ) বলেন," আমি রাসুলের (সাঃ) রওজা পাশে বসে ছিলাম। এমন সময় সেখানে এক বেদুঈনের আগমন ঘটে। সে বলে " আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আল্লাহ তাআলার এই আয়াতটি (উপরোক্ত) শুনেছি। তাই আমি আপনার সামনে স্বীয় পাপের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থণা ও আপনার শাফায়াত কামনা করছি। অতঃপর তিনি এই কবিতাটি পাঠ করেন,
" হে ঐসবের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি! যাদের অস্থিগুলো প্রোথিত হয়েছে প্রান্তরে এবং সেগুলোর সুবাসে পর্বত ও প্রান্তর সুরভীত হয়েছে। সে কবরের জন্য আমার জান উৎসর্গিত হোক, যে কবরে আপনি অবস্থানকারী। ওতে রয়েছে পবিত্রতা, দানশীলতা ও ভদ্রতা।"
অতপর বেদুঈন চলে যায় ও আমার চোখে নিদ্রা চেপে আসে। আমি স্বপ্নে দেখি যে, রাসুলুল্রাহ (সাঃ) আমাকে যেনো বলছেন, যাও, ঐ বেদুঈনকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তার পাপ মার্জনা করেছেন।" ( তাফসীর ইবনে কাসির, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা- ৪৬৬, )

হজরত আবদুর রহমান জামী (রহ.) তার বিখ্যাত শাওয়াহেদুন নবুয়ত কিতাবে উল্লেখ করেন, ‘হজরত আলী (রা.) বলেন, আমরা যখন রাসূল (সা.)-এর দাফনকার্য সম্পাদন করছিলাম তখন এক বেদুঈন এসে নবীজীর (সা.) কবরে আছড়ে পড়ল এবং নিজ মাথায় মাটি নিক্ষেপ করতে করতে বলতে লাগল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.), আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘যদি তারা নিজেদের ওপর জুলুম করে অতঃপর আপনার কাছে এসে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে আল্লাহ তাদের অপরাধ মার্জনা করবেন (সূরা নিসা : ৬৪)। এখন আমি আপনার দরবারে এই উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু আপনি তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখন আমি কোথায় যাব? তখন কবর থেকে আওয়াজ এলো- ‘যাও তোমাকে ক্ষমা করা হয়েছে’। হজরত আলী (রা.) বলেন, ওই আওয়াজ উপস্থিত সবাই শুনতে পেয়েছিল। (শাওয়াহেদুন নবুয়ত, মদিনা পাবলিকেশন্স পৃ. ১৪৩-১৪৪)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

এফেমেরাল ইটার্নিটি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ের।
ধন্যবাদ

২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: মামুর দেয়া অনুবাদ: ‘নিজেদের অবাধ্যতার পর ওরা আপনার নিকট এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে এবং আপনি ওদের জন্য ক্ষমা চাইলে তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও দয়ালু হিসেবে পাইবে (সূরা নিসা : ৬৪)’।

বাংলা অনুবাদ: "আর সেসব লোক যখন নিজেদের অনিষ্ট সাধন করেছিল, তখন যদি আপনার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও যদি তাদের হয়ে ক্ষমা চাইতেন। অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবানরূপে পেত। (সূরা নিসা : ৬৪)"

ইংরেজি Sahih International অনুবাদ: "And if, when they wronged themselves, they had come to you, [O Muhammad], and asked forgiveness of Allah and the Messenger had asked forgiveness for them, they would have found Allah Accepting of repentance and Merciful."

আমার কমেন্ট: আয়াতটি অতীত কালের ফর্মে নাজিল হয়েছে, মামু তুমি ভবিষ্যৎকালের ফর্মে অনুবাদ করেছো। এভাবে অনুবাদ করা ঠিক না, তবে এভাবে লিখলেও আসল অর্থ বুঝতে বেশি সমস্যা হয়নি যদিও।

যদিও আয়াতটি মুনাফিকদের একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিলো। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, এই আয়াত দ্বারা এটি বোঝা যায় যে নবীর কাছে যেয়ে আল্লার কাছে ক্ষমা চাইলে এবং নবীও যদি একসাথে অপরাধী ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।

তবে এই আয়াত কি কোনভাবে এটি ইংগিত করে যে পীর অলিদের মাজারে যেয়ে ক্ষমা চাইলে বা পীরদের কবরে সিজদা দিয়ে চাইলে সেটিও আল্লাহ গ্রহন করবেন? কিন্তু আমাদের দেশে যারা মাজার ব্যবসা করে তারা বলে তারা বলে পীর নাকি মুরিদদের জান্নাতে নিয়ে যাবে। মামু কি এমন কোন দলিল জানো, যেটি আমাদের দেশের মাজার ব্যবসায়ী ভন্ড হুজুরেরা ব্যবহার করে তাদের কবর পুজাকে সঠিক প্রমানিত করার জন্য?

মামু পোস্ট দিলে ভাগিনার চোখ এড়াতে পারে? তাই কমেন্ট করলাম।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

আহলান বলেছেন: পীর আউলিয়া এরা কারা , কারা নায়েবে রাসুল সেটা আগে বুঝতে হবে, জানতে হবে, তারা কি শিক্ষা দিয়েছেন সেটা আগে জানতে হবে। মাজার বা কবর পূজা কি জিনিষ আমার সেটা জানা নাই, তাই উত্তর দিতে পারলাম না।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ের।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

আহলান বলেছেন: জাজাকাল্লাহ ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.