নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আত্মহত্যা মহাপাপ। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।
মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল এবং যে কেউ জুলুম করে, সিমা অতিক্রম করে এ কাজ (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য।” (সূরা-নিসা-২৯-৩০)
বোখারী শরীফে বর্ণিত আছে - হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে।যে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।
আরো একটি বর্ণনায় আছে যে নিজেকে যে জিনিষ দ্বারা হত্যা করবে, ক্বেয়ামতের দিন তাকে সেই জিনিষ দ্বারাই শাস্তি প্রদান করা হবে।
তাফসির ইবনে কাসিরে বর্ণনা করা হয়েছে যে, হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।
কোন এক যুদ্ধে একজন সাহাবী খুব বীরত্বের সাথে জিহাদ করছিলো। অন্যান্য সাহাবী রাসুল (সাঃ) এঁর কাছে এসে বার বার তার বীরত্বের প্রশংসা করলেও রাসুল (সাঃ) বার বারই ঐ সাহাবীকে জাহান্নামি বলে অভিহিত করছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ঐ সাহাবী চরম ভাবে আহত হয় এবং ব্যথা সহ্য করতে না পেরে নিজেই নিজেকে হত্যা করে। তখন অন্যান্য সাহাবী রাসুলের (সাঃ) এঁর কথার মর্ম বুঝতে পারেন।
যারা ইসলামের খেদমতের কথা ভেবে, হুর পরীর কথা ভেবে এভাবে সুইসাইড এটাককে জাইজ মনে করেন, তারা আশা করি বুঝতে পারবেন, সুইসাইড এটাক আসলে জাহান্নামে যাওয়ারই একটি সহজ রাস্তা। অবশ্য নামী দামী চ্যানেলেও সুইসাইড বোম্ব কে কেউ কেউ জাইজ বলে ফতোয়া দিয়ে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্য কি, সেটা গভীর ভাবে পর্যালোচনা করা উচিৎ।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার ...!
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
দূর পাহাড়ে বলেছেন: সুইসাইড অ্যাটাক যারা করে তারা তো পরিচালিত হচ্ছে ইহুদিদের দ্বারা। এ খবরও তো রাখতে হবে ভাই...........ইনিয়ে বিনিয়ে মুসলমানদের জঙ্গি বানালো তো হবে না। এখন থেকে আইএসের ডেজিগনেশন ইহুদি জঙ্গি।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
আহলান বলেছেন: সুইসাইড অ্যাটাক যারা করে তারা তো পরিচালিত হচ্ছে ইহুদিদের দ্বারা।
ভালো বলেছেন। তাহলে যে সকল মুসলমান নামধারী সুইসাইড এটাককে জাইজ বলে ফতুয়া দেয়, তারাও কি তবে ইহুদিদের দ্বারা পরিচালিত বলে মনে হয় না? হতেও তো পারে তাই না? ধন্যবাদ ...
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইহুদিদের দোষ দেয়ার আগে নিজেদের দোষ টা দেখেন।
আলকায়দা, আইএস, তালেবান, বোকোহারামজাদারা ইসলাম কায়েম করতে শত শত আত্নঘাতি হচ্ছে
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
আহলান বলেছেন: সেটা তো ঠিকই। আমরা আমাদের দ্বারাই মিস গাইডেড হচ্ছি। নামধারী কিছু আলেম সুইসাইড হারাম বলেও আবার পিরিস্থিতির কারণে এটাকে জাইজ বলে ফতুয়া দিচ্ছেন, আর এই কারণেই সাধারণ মুসলিমরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। ইহুদিদের কাজ ইহুদিরা করছে, আমরা মুসলমানরা কি আমাদের দায়িত্ব পালন করছি? করছি না .... ধন্যবাদ ভাই ...
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৮
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: অবশ্যই আত্মহত্যা মহা পাপ। সুইসাইড এ্যাটাক জায়েজ নয়।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
আহলান বলেছেন: মানুষ সেটাই এত কাল জানতো এবং মানতো, বেশীর ভাগ এখনো মানে, কিন্তু কিছু লেবাসি হুজুর (আধুনিক লেবাস!) মানুষকে বিভ্রান্ত করছে .. ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক বলেছেন।