নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা আল ইমরানের ৮১ তম আয়াতে আল্লাহ তাবারাক্তায়ালা বলেন," আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! আমি আমার এক কুরাইযি ইয়হুদি বন্ধুকে বলেছিলাম যে, সে যেনো আমাকে তাওরাতের সমস্ত কথা লিখে দেয়। আপনার অনুমতি পেলে আমি সেগুলো পেশ করি। একথা শুনে রাসুল (সাঃ) এঁর চেহারা মোবারক পরিবর্তিত হয়ে যায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাবিত (রাঃ) তখন হযরত উমর (রাঃ) কে বলেন," আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এঁর মুখমন্ডলের অবস্থা লক্ষ্য করছেন না?" তখন উমর (রাঃ) বলেন," আল্লাহকে প্রভু রুপে, মোহাম্মাদ (সাঃ) কে রাসুল রুপে এবং ইসলামকে ধর্মরুপে আমি সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিচ্ছি।" এর ফলে রাসুলুল্লা(সাঃ)-র ক্রোধ দূরীভুত হয় এবং তিনি বলেন," যে আল্লাহর অধিকারে আমার প্রাণ রয়েছে তার শপথ! যদি হযরত মুসা (আঃ) তোমাদের মধ্যে আগমন করেন এবং তোমরা আমাকে ছেড়ে তাঁর অনুসরণ কর, তবে তোমরা সবাই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। সমস্ত উম্মতের মধ্যে আমার অংশের উম্মত তোমরাই এবং সমস্ত নবী (আঃ) এর মধ্যে তোমাদের অংশের নবী আমি।
মুসনাদ-ই- আবু ইয়ালার মধ্যে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন," তোমরা কিতাবধারীদেরকে কিছুই জিজ্ঞাসা করো না, তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট, সুতরাং কিরুপে তারা তোমাদেরকে সুপথ প্রদর্শন করবে? বরং সম্ভবত তোমরা কোন মিথ্যার সত্যতা প্রতিপাদন করবে এবং কোন সত্যকে মিথ্যা বলে দেবে। আল্লাহর শপথ! যদি তোমাদের মধ্যে হযরত মুসাও(আঃ) থাকতেন, তবে তাঁর জন্য আমার আনুগত্য ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। কোন কোন হাদিসে রয়েছেঃ যদি হযরত মুসা (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) জিবীত থাকতেন, তবে তাঁদেরও আমার আনুগত্য ছাড়া কোন উপায় ছিলো না।
সুতরাং সাব্যস্ত হয় যে, আমাদের নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বশেষ নবী ও সবচেয়ে বড় ইমাম। যে কোন যুগে তিনি সবী হয়ে আসলে, তাঁর আনুগত্য স্বিকার করা সবার জন্যই কর্তব্য হতো। অর্থাৎ রাসুলে খোদা (সাঃ) এঁর আনুগত্য অনুসরণ একজন সাধারণ মানুষ তো দূর, যে কোন নবী আম্বিয়া (আঃ) এঁর জন্যও শত ভাগ প্রযোজ্য ছিলো।
এই ক্ষেত্রে আমার আলোচনার বিষয় হলো, হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে রাসুলে খোদ(সাঃ) পর্যন্ত সব নবী (আঃ)ই এক আল্লাহর বানীই প্রচার করেছেন। কোন নবী(আঃ) এর ব্যতিক্রম করেননি। তবে কেনো আল্লাহ পাক এমন একটি নির্দেশনা দিলেন? কারণ আল্লাহ তায়ালা নিজেই চেয়েছেন যে, মানুষ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এঁর মাধ্যমেই তাঁর আনুগত্য করুক। তাঁর মাধ্যমেই তাঁর সমস্ত বান্দা হেদায়েতের পথ নসীব করুন।
সুরা ইমরানের উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে যে, তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।" কোন নবী(আঃ) এর এই কথা বলার সাহস বা এখতিয়ার আল্লাহ দেন নাই যে, হে আল্লাহ! আমরা তো আপনার দেওয়া হুকুম আহকামই পালন করি ও পালনের নির্দেশ দেই, সুতরাং আমি কেন আমার পরে আগত রাসুলের আনুগত্য স্বিকার করতে যাবো? অর্থাৎ আমিই তো আল্লাহর সরাসরি নব্যুয়তি প্রাপ্ত একজন নবী, আমি কেনো অন্য নবীর মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম মানতে যাবো? এমন কথা ঘুনাক্ষরেও কোন নবী আম্বিয়া (আঃ) করেননি। কারণ তাঁরা আল্লাহর তায়ালার সঠিক নির্দেশটিই এক কথা মেনে নিয়েছেন।
সুতরাং রাসুল (সাঃ) এর আনুগত্য পালনকে মাধ্যম রেখেই আল্লাহ সমগ্র বিশ্বের সকল মানুষের নাজাতের উছিলা করে রেখেছেন।
আল্লাহ বলেন, হে নবী ! আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আলইমরান-আয়াত- ৩১)
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
আহলান বলেছেন: সালাত সালাম রাসুলে পাক (সাঃ) এঁর উপর। তাঁর আহলে বাইতের উপর। .... এর থেকে উত্তম কথা কাজ আর কি হতে পারে? ধন্যবাদ +++++++++++++++++++++++++++++++
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
হানিফঢাকা বলেছেন: সুরা আল ইমরানের ৮১ তম আয়াতে আল্লাহ তাবারাক্তায়ালা বলেন," আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
এইখানে নবীগনের মধ্যে কি নবী মুহাম্মদ অন্তর্ভুক্ত নয়? কেন অথবা কেন নয়?
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
আহলান বলেছেন:
তাফসির ইবনে কাসিরে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় শুরুতেই যা বলা হয়েছে .... ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
রাসেল সরকার বলেছেন: মহান প্রিয়নবীর জাহেরী শুভাগমনের মাধ্যমেই সমস্ত অন্যায়, অভিচার, মিথ্যা, জুলুম ও পাশবতা উৎখাত হয়েছিল । কিন্তু কালের প্রবাহে আবু জাহেল, আবু লাহাব এবং চির অভিশপ্ত কাফের এজিদের ধারক বাহকরা পবিত্র কলেমার বিপরীত শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করছে । তাই মিথ্যা-জুলুমের সমর্থক বা সহযোগী হয়ে প্রিয়নবীর উছিলা কামণা করা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয় । কেননা অন্যায় শক্তির সহযোগী হওয়া মানে পবিত্র কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
আহলান বলেছেন: আল্লাহ চাইলে আপনাকে আমাকে সরাসরিই ঈমানদার বানিয়ে দিতে পারতেন, কারণ তিনি বান্দার ঘাড়ের শরা রগের থেকেও অনেক নিকটে। তারপরেও কেন তবে নবীদের প্রেরণ করার প্রয়োজন পড়লো? আল্লাহ কি মূর্খ (নাউজুবিল্লাহ) তাই না ভাইজান? আমরা আল্লাহকে মানবো, এখানে নবীকে ভালোবাসা বাসির কি প্রয়োজন? অথচ ৩১ নং আয়াতে আল্লাহই স্বয়ং নবীকে ভালোবাসাকে মাধ্যম বা উছিলা হিসাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন .... যার যেটা বুঝে আসে আর কি! ভালো থাকবেন ভাইজান ...
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @রাসেল সরকার
হুম ঠিক বলেছেন। আবু জেহেল আবু লাহাবরা তখন যেমন নবীকে ভালবাসতেন না, বিশ্বস করতেন না জানমাল দিয়ে নবীেক নবী প্রেমিকদের কষ্ট দিতেন আজও একটা গ্রুপ আছে তাদের অনুসারী!
যারা সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে বলে!!
নবীকে বাদ দিয়ে কলেমা উচ্চারনের সাহস করে!
অথচ মুসলমান হবার শর্ত সশূহের মধ্যে অন্যতম কলেমায় বিশ্বাস- আর সেই কলেমার ফূর্নতা রাসূল সা: কে স্বীকৃতি দেয়া অর্ধেক অংশ। আবু জেহেলরা কিন্তু অনেকেই একত্ববাদ মানত- কিন্তু রিসালাতকে অস্ভীকার করার কারণেই তারা কাফির!
আল্লাহ হেদায়েতের মালিক। রাষুল সা: তার উসিলা। সালাত সালাম ইয়া রাসুল-আল্লাহ!
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: অথচ ৩১ নং আয়াতে আল্লাহই স্বয়ং নবীকে ভালোবাসাকে মাধ্যম বা উছিলা হিসাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন ......
এখানে সুক্ষ একটি বিষয় আছে মামা। নবী (সাঃ) কে ভালবাসা আর অনুসরণ করা এক জিনিষ নয়। সুরা আল ইমরানের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: "হে নবী ! আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
ফাত্তাবি'উনি মানে "অনুসরন করো", "ভালোবাসো" নয়। এখানে অনেকে ভুল করে। একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন: নবীর (সাঃ) চাচা আবু তালেব কিন্তু নবীকে (সঃ) খুবই ভালবাসতেন। কোলে-পিঠে বড় করেছেন। নবু্য়্যত পাওয়ার পরেও নবীকে (সাঃ) ভালবেসে গেছেন। কিন্তু নবী (সাঃ) যতবারই কালেমার দাওয়াত দিয়েছেন, গ্রহন করেননি। এমনকি আবু-তালিবের ইন্তেকালের সময়ও নবী (সাঃ) কলেমা পড়তে বলেছেন মানেননি। এভাবে ভালবাসলেও হবে না, যেটি বলবেন সেটি অনুসরণ করতে হবে। নবীকে (সাঃ) যদি অনুসরণ করে কালেমা পড়তেন তাহলে উনি বেহেস্তে চলে যেতেন।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫১
আহলান বলেছেন: কে কতটুকু ভালোবাসে সেটা বোঝা যায় কে কতটুকু তাঁকে অনুসরণ করছেন। এখানে ভালোবাসার মাপকাঠিই অনুসরণ। যেমন হযরত উয়ায়েস কারনী (রাঃ) নবীকে ভালোবেসে তার সব দাঁতই ভেঙ্গে ফেলেছিলেন, যখন তিনি শুনেছিলেন যে যুদ্ধে নবীজীর দান্দান মোবারক শহীদ হয়েছিলো ....
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: কোরআকে কি নিজের ইচ্ছেমত তরজমা করা যাবে? এই পোস্টটি আমি লিখেছিলাম। আমি জানি না আমার লেখা কেন প্রথম পাতায় আসছে না। আমি এডমিনকে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন সমাধান পাইনি।
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
হানিফঢাকা বলেছেন: আমি জানতে চাইছিলাম এখানে "নবীগন"- বলতে আপনি কি বুঝেন? এর মধ্যে কি মুহাম্মদ (সাঃ) অন্তর্ভুক্ত? যদি হয় কেন? যদি না কেন না?
আপানর মতে আপনার সুবিজ্ঞ মতামত জানতে চাই।
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৬
আহলান বলেছেন: নবীগন থাকলে রাসুলও ছিলেন, এটাই বোঝায়
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কে কতটুকু ভালোবাসে সেটা বোঝা যায় কে কতটুকু তাঁকে অনুসরণ করছেন। এখানে ভালোবাসার মাপকাঠিই অনুসরণ।
ভাইরে, এমন একটি উদাহরণ দেয়ার পরেও বুঝলেন না?? অনুসরণ ভালবাসা থেকেই আসে - এটি ১০০% ঠিক। কিন্তু আরো একটি কথা আছে, অনুসরণ না করেও ভালবাসা যায়। তার উদাহরণ দিলাম আবু তালেবের কথা বলে, আবু তালেবের ভালবাসা সত্যিকারে ভালবাসাই ছিলো। মাইজভান্ডারীর ওরা নবী (সাঃ) কে অনেক ভালবাসে, কিন্তু তারা নবীর (সাঃ) সবকিছু অনুসরণ করে না - এটাই তাদের সমস্যা।
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১
আহলান বলেছেন: না বোঝার মতো কোন কথা আপনিও বলেন নাই আমিও বলি নাই .. বুঝেছি আপনি কি বলেছেন।মাউজভান্ডারি রা কি করে আমি তা স্বচক্ষে কখনো দেখিনি। তাই কিছু বলতে পারছি না ... ধন্যবাদ।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫২
রাসেল সরকার বলেছেন: প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মা মৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত । তাই তারা সত্যকে যেমন উপলব্দি করতে পারে না, তেমনি মিথ্যাকেও উপলব্দি করতে পারে না । প্রিয়নবীর প্রেমই আত্মার মুক্তি ও জীবনের স্বাধীনতা । পবিত্র কোরআনের সূরা নিসা, আয়াতঃ ৮০, বলা হয়েছে "রাসূলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া ।
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
আহলান বলেছেন: সুন্দর কথাই বলেছেন .... রাসুলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া .... আল্লাহকে পেতে হলে রাসুলকে পেতে হবে .... রাসুলই আল্লাহকে পাবার মাধ্যম .... আমিও তো তাই বলেছি .. ধন্যবাদ
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
হানিফঢাকা বলেছেন: নবীগন থাকলে রাসুলও ছিলেন, এটাই বোঝায় - তাহলে " অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে।"- এইখানে কোন রাসুলের কথা বলে হয়েছে?
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
আহলান বলেছেন: সেটার ব্যাখ্যার জন্যই তো স্ক্রীন শটটা দিলাম ... একটু পড়েন ....
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
হানিফঢাকা বলেছেন: ব্যাখ্যা ত ভাই পড়লাম। প্রথম স্ক্রীন শটে বলা আছে আদম থেকে ঈসা; দ্বিতীয় স্ক্রীন শটে যা বলা আছে তার অর্থ নবী মুহাম্মদ ব্যাতীত প্রত্যেক নবী । আপনি বললেন " নবীগন থাকলে রাসুলও ছিলেন, এটাই বোঝায় "।
স্ক্রীন শট পড়ে যা বুঝলাম তার অর্থ হচ্ছে নবী মুহাম্মদ এই অঙ্গীকারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেনা না। কোরআনের লিটারেচারে কোন সাধারণ বিষয়ে যদি কোন ব্যাতিক্রম থাকে সেটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া থাকে। শব্দটা আরবী পুরুষবাচক বহুবচন। কিন্তু আপানার দেওয়া স্ক্রীন শটে দেখলাম নবী মুহাম্মদকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করে ব্যাতিক্রম করা হয়েছে, যা কোরআনে বলেনি। এটা কেন করেছে?
আর আপনি যদি বলে থাকেন " " নবীগন থাকলে রাসুলও ছিলেন, এটাই বোঝায় "।- তাহলে অতঃপর শব্দ দ্বারা কোন রাসুলের কথা বলা হয়েছে? নিশ্চয় নবী মুহাম্মদ নয় কারন তিনিও ত একি অঙ্গীকার করেছেন তাই না?
ব্যাপারটা একটু যদি বিস্তারিত ব্যাখা করতেন তবে উপকৃত হতাম।
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১২
আহলান বলেছেন: বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার মতো জ্ঞ্যন আমার নাই।
কোরআনের লিটারেচারে কোন সাধারণ বিষয়ে যদি কোন ব্যাতিক্রম থাকে সেটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া থাকে ...
আপনার এই কথার সাথে সবাই একমত হবে বলে মনে হয় না। আর যাাঁরা ব্যতিক্রম হিসাবে বর্ণনা করেছেন, তাঁরা নিশ্চই আপনার আমার থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ গুন অধিক জ্ঞ্যন রাখেন বিধায় ওভবে ব্যাখ্যা করেছেন। নইলে কোরআনের তাফসির বা ব্যাখ্যা করতেন না। অনেক হাদিসে এসেছে রাসুল বলেন আদম যখন কাদা পানিতে মিশ্রিত ছিলেন, তখনও আমি নবী। সুতরাং ওনাকে ব্যতিক্রম ধরার বহু কারণ থাকতেই পারে। যাযাকাল্লাহু খাইরান ....
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
হানিফঢাকা বলেছেন:
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬
মূল-উপদল বলেছেন: ওয়ায়েস কুরনী দাত ভেঙ্গে ফেলেছিলেন, একটা প্রমান দিন। ভালোবাসাটা রিয়েলিস্টিক হতে হবে যেমনটা সাহাবী (রাঃ) রা বেসেছিলেন, নবী(সঃ) দাত ভেঙ্গে গেলেও তাঁরা নিজের জীবনের পরোয়া না করে, নবী(সঃ) এর চারপাশে ঘিরে রেখেছিলেন বর্মের মত। এটাই ভালোবাসা, আর যদি ওয়েস কুরনীর প্রচলিত কথা যা তা ভালোবাসা না, অতি আবেগ, যদিও তিনি এমনটা করেছিলেন বলে যা বলা হয় তা আমি কোন নির্ভরযোগ্য ক্ষেত্র থেকে শুনিনি, যা সমাজে প্রচলিত তার বাইরে। আর আমাদের সমাজে যা প্রচলিত তা ঐ মাইজভান্ডারির মতন পীরেরা চালু করেছে।
বাংলায় অনুদিত বেহেশতী জেওর এ মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী লিখেছেন- ওমর আর আলীর টানাটানিতে ইমাম গাজ্জালী(রঃ) বাবা মায়ের কোন সন্তান বেচে থাকতো না। এই রকম হাজারো কুফরী-শিরকি কথা বার্তা সমাজে প্রচলিত আছে, যার প্রচারক, আধুনিক বা আরো কিছুকাল আগের পীর সম্প্রদায়।
রাসুল(সঃ) কে ভালোবাসা মানে সুন্নতের অনুসরন, যেমন সোমবার নফল রোজা রাখা। এটা রাসুল(সঃ) জন্ম বার, তাই এদিন তিনি রোজা রাখতেন, ভালোবেসে সাহাবী(রাঃ)রাও রাখতেন, ভালোবেসে আমরাও রাখবো
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
আহলান বলেছেন: হ্যা আপনি যে উদাহরণ দিলেন সেটা অবশ্যই ভালোবাসার নমুনাই বটে।
উয়ায়েস কারনীর (রাঃ) উক্ত ঘটনাকে অতি আবেগ বলে আপনি ব্যাখ্যা করতেই পারেন, তবে এই আবেগই বা ক‘জনের মধ্যে পয়দা হয়? আমি ঘটনাটির রেফারেন্স আপনাকে দিতে পারি। তবে সেটা আপনার কাছে গ্রহণীয় হবে কিনা সেটা আপনার ব্যপার। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্কে নামার কোন প্রয়োজন দেখি না। মরহুম শেখ ফরীদ উদ্দীন আত্তার (রহঃ) কর্তৃক রচিত এবং আলহাজ্জ মৌঃমোহাম্মদ শামসুল হক কর্তৃক অনুদিত 'তাযকেরাতুল আউলিয়া' নামক গ্রন্থের প্রথম খন্ডের ৯নং পৃষ্ঠায় ঘটনাটি বর্ণনা করা আছে। ধন্যবাদ ....
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
আহলান বলেছেন:
১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
মূল-উপদল বলেছেন: আপনি যে মাওলানা শামসুল হক (রঃ) আর আমি যার কথা বলেছি দুজনেই কি এক? যদি হয় তাহলে আপনার দেওয়া রেফারেন্স টা গ্রহন করছিনা। যে মাওলানা বেহেশতী জেওরের মুখবন্ধে এই রকম শিরকী কথা লিখতে পারেন তার অন্য কথা গ্রহন করতে আমার নির্ভর্যোগ্য রেফারেন্স চাই। যাই হোক এসব নিয়ে আর তর্কে যেতে চাই না। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহলান বলেছেন: কে শিরক করছে আর কে করছে না, সেটা বিচারের ভার আল্লাহর উপরেই ছেড়ে দিন ভাই। কারণ আপনি যেটাকে শিরক মনে করছেন, হয়তো আল্লাহর কাছে সেটি শিরক না, ফলে আপনি নির্দিষ্ট করে কাওকে সরাসরি "শিরক করছে" বলে মন্তব্য করলে, যদি সেটা ভুল হয়, তো তার জন্য আপনিই গোনহগার হয়ে যাবেন। যেমন আমরা বলতে পারি নামাজ না পড়লে জাহান্নামে যেতে হবে, কিন্তু আমরা এই কথা বলতে পারি না যে অমুক নামাজ পড়তো না, তাই সে জাহান্নামী। কারণ আল্লাহ ই ভালো জানেন সে কি হালতে আছে। আল্লাহ আপনাকে আমাকে সবাইকেই ভালো রাখুন! ধন্যবাদ .. ..
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বালাগাল উলা বেকামালিহী
কাশাফােদ্দাজা বেজামালিহী
হাসুনাত জামিো খেসালিহী
সাল্লা আলাইহি ওয়া আলিহী...
সালাত সালাম রাসুলে পাক সা : এর উপর। তাঁর আহলে বাইতের উপর।
++++++++++++++++