নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজীতে বলে টিট ফর ট্যাট। ভাবার্থ দাড়ায় যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেতুল!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১





একজন স্বর্ণব্যবসায়ী সন্ধ্য বেলা বাসায় ফিরে দেখে তার স্ত্রী মন ভার করে বসে আছে। চোখে মুখে তার বিষাদের ছায়া। কিছু একটা যেনো তার খুঁইয়েছে। স্বামী ঘরে ফিরে স্ত্রীর এমন মুখ ভার দেখে জিজ্ঞেস করলো-
স্বামী- কি ব্যপার! কি হয়েছে আমার সোনা বউয়ের? মন খারাপ কেনো? স্ত্রী একটু চুপ থেকে বল্লো
স্ত্রী- আজকে আমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করেছে।
স্বামী- কে ?
স্ত্রী- দুধ ওয়ালা। দুধের পাত্রটি আমার হাতে দেবার সময়, সে ইচ্ছা করে আমার হাত ধরে রেখেছিলো।
স্বামী- ইয়াল্লাহ! বলো কি? এতো বড় স্পর্ধা দুধ ওয়ালার!! পরক্ষনেই স্বামীর মনে পড়লো সেও তো প্রায়ই তার দোকানে আসা সুন্দরী রমনীদেরকে চুড়ি পরানোর উছিলায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় ধরেই তাদের হাত ধরে রাখেন। আর আজ গোয়ালা বা দুধ ওয়ালা তার ঘরের ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে!! লজ্জায় সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো আর মনে মনে সংকল্প করলো আর কখনোই সে এমন কাজ করবে না।

এভাবেই যদি সমাজের সব মানুষ তার কৃত কর্মের ফল সরাসরি ভোগ করত তবে হয়তো সমাজে এতো দূর্ণীতি থাকতো না। অনেক আগে একটি ঘটনা শুনেছিলাম। এক মুদি দোকানী সব সময় ভেজাল আর নষ্ট দ্রব্য বিক্রি করে অধিক মুনাফা করে। একদিন তাকে তার প্রতিবেশী দাওয়াত করলো। যথাসময়ে সে দাওয়াতে গেলো এবং খাবার খেয়ে ভিষন অসুস্থ্য হয়ে পড়লো। সে তখন প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করলো কোথা থেকে খাবার কিনেছিলেন? প্রতিবেশী বল্লো আপনার দোকান থেকেই তো সব কিনেছি!!

কাওকে ঠকিয়ে কোনদিন বড় কিছু অর্জন করা যায় না। একবার তিন বন্ধু (মনে মনে পরস্পরকে হিংসা করতো) বাড়ি থেকে বের হয়ে কোন এক বাড়ি থেকে অনেক টাকা পয়সা চুরি করলো। চুরির সম্পদ বনের ভেতরে বসে ভাগ বাটোয়ারা করার পর এক বন্ধুকে বল্লো বাজার থেকে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসতে। যখন সেই বন্ধু খাবার কিনতে গেলো, তখন অপর দুজন যুক্তি করলো ও ফিরলে ওকে মেরে ওর ভাগের টাকাটা নিজেরা ভাগ করে নেবে। যুক্তি মত সেই বন্ধু খাবার নিয়ে ফেরার সাথে সাথে অপর দুই বন্ধু তাকে মেরে ফেল্লো। তারপর তার আনা খাবার খেলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা বিষের যন্ত্রণায় ছট ফট করতে করতে মারা গেলো। অর্থাৎ যে বন্ধু খাবার কিনতে গিয়েছিলো, সেও মনে মনে ফন্দি করেছিলো যে, বিষ মিশ্রিত খাবার খাইয়ে দুই বন্ধুকে মেরে নিজেই সব সম্পদ হাতিয়ে নেবে। ফলশ্রুতীতে দেখা গেলো কেওই আর ঐ সম্পদ ভোগ করতে পারলো না।

এসব কাহিনী বা ঘটনা একটি বার্তাই সরবরাহ করে, সেটি হলো পরের জন্য খারাপ কিছু করলে, সেটি কখনো নিজের জন্য ভালো হতে পারে না। আমরা এই শিক্ষা থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি ......

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

আহলান বলেছেন: :) ধন্যবাদ ...

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ...

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

মোঃ ফারহান ইসলাম সজীব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। :|

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব মনে থাকলে তো দেশটা খুব সুন্দর চলতো। আমি জানিনা, আমাদের দেশের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজরা কীভাবে তাদের জীবন চালায়...

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

আহলান বলেছেন: সারা জীবন লাখ লাখ টাকা ঘুষ খায় আর বয়সকালে কোটি টাকা চকিৎসায়, বাকি টাকা হজ্ব ওমরা মসজিদে দান খয়রাত করে হালাল করার চেষ্টা করে ... আর ভাবে কি পাপ করছিলাম জীবনে???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.