নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভূ আশীবিষে, দংশেনি যারে ”

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮



এবারের রোজার সময় কোন এক জুম্মার নামাজে মসজিদের ইমাম সাহেব হঠাৎ গোটা বিশেক ফ্যান কিনে অতি সত্বর মসজিদের বাইরের চত্বরে বিভিন্ন স্থানে লাগিয়ে দেয়ার জন্য চাঁদাবাজি (!) শুরু করলেন। মসজিদে দান করলে অনেক সোয়াব, রোজার মাসে দান করলে আরো বেশী সোয়াব, ইত্যাদি বলে বলে মুসল্লিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগলেন। অমুক ভাই একটি ফ্যান .... সোবহানাল্লাহ, অমুক ভাই তিনটি ফ্যান ... আরো জোরে মাশাল্লাহ .... এভাবে বলে বলে ইমাম সাহেব মুসল্লিদেরকে উৎসাহিত করতে লাগলেন এবং তিনি ঠিকই ১৫ থেকে বিশ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত সকল মুসল্লিদের থেকে ২০ টি ফ্যানের বন্দোবস্ত করে ফেল্লেন।

ইমাম সাহেব সব সময়ই মসজিদের ভিতরেই ঠান্ডা এসি আর ফ্যানের বাতাসের মধ্যেই নামাজ আদায় করেন। হঠাৎ চত্বরের ফ্যানের জন্য তিনি এতো উতলা হলেন কেন, সেটা অবশ্য উনিই পরে ব্যাখ্যা করলেন। ব্যাখ্যা হলো এই রকম, গত দিন তিনি মাগারিবের ফরজ নামাজ আদায় করার পরই বিশেষ কারণে মসজিদের বাইরে বের হন। পরবর্তিতে পবিত্রতা অর্জন করে অবশিষ্ট নামাজ তার নির্দিষ্ট স্থানে যেয়ে আদায় করতে পারেননি। কারণ মুসল্লিগন তখন বিভিন্ন জায়গায় দাড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি যেখানে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করেন আরো কিছু মুসল্লির সাথে, সেখানে তিনি গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যান। তাই তিনি তখনই চত্বরে আরো ফ্যান লাগানোর প্রয়েজনীয়তা উপলব্ধি করেন এবং এই জুম্মায় দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এতদিন কিন্তু উনি চত্বরে আরো ফ্যানের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেননি।

ঘটনাটি এই কারণেই বল্লাম, যদি আমাদের দেশের বড় বড় মন্ত্রী, নেতা, আমলা (ইমাম গোছের লোকজন) যদি আমাদের মতো বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে চড়ে, ফেরী ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা দুধের বাচ্চা, প্রিয়তমা স্ত্রী আর বৃদ্ধ পিতা মাতাকে নিয়ে ৮-১০ ঘন্টা অসহ্য জ্যামের ভেতরে আটকা থেকে নাড়ির টানে নিজ ভিটে মাটিতে ফিরে ঈদ উদযাপন করতেন, তবে অবশ্যই অবশ্যই সাধারণ মানুষকে এতো যন্ত্রণা এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না। উপরোক্ত ঘটনার ইমাম সাহেবের মতোই সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি সাধন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। তাই কবি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদারের ভাষাতেই বলতে হয়

চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে ”

আমাদের দেশের নেতারা হলেন চীরসুখীজন। তাদের জন্য সব সুযোগ সুবিধা সব সময়ই অবারিত থাকে। তাই ওনারা কখনোই সাধারণ জনগনের দুঃখ দূর্দশা উপলব্ধি করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবতে পারেন না।

চিরচেনা ভোগান্তি। প্রতিকার নেই!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সঠিক কথা। আমরা ভুক্তভোগী না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই আমলে নেই না

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

আহলান বলেছেন: ঠিকিই বলছেন ...

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তোফায়েল আহমেদ রিকসায় বাড়ী যেতেন, মানুষ উনাকে ভালোবাসতো; প্রথমবার যখন পাজারোতে বাড়ী যান, মানুষ ঢিল মেরেছে; কিন্তু তোফায়েল কিছুই শিখেনি

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

পবন সরকার বলেছেন: ঠিক কথাই বলেছেন।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: সত্য কথাই বলেছেন। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.