নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মিয় স্বজনের হক আদায়ে যত্নবান হই!!

০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮




রমজান মাস সমাগত। জাকাত সাদকা করার সর্বোত্তম মাস হচ্ছে এই রামাদান মাস। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যে, এমন একটা আমল আছে যা খুবই গুরুত্বপুর্ন, যা আমরা একদমই গুরুত্ব দেই না। আর তা হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনের হক্ব আদায়, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সদ্ব্যবহার।

বর্তমান জীবন ব্যবস্থায় আমরা এতটাই ব্যস্ত যে, যে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেয়ার সময় আমাদের হয় না। কাজকর্ম ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে আমরা এত ব্যস্ত যে আমাদের গরীব অভাবগ্রস্থ আত্মীয়-স্বজনের সুখ দুঃখের খবর নেয়ার সময় আমাদের হয় না। ধীরে ধীরে আমরা এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি যে নিজের পরিবার ছাড়া আর কারো খবর রাখার মনমানসিকতাও আমরা হারিয়ে ফেলছি। অথচ ল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন কোরআন শরীফে আত্মীয়তার হক্ব আদায়ের ব্যপারে বলেনوَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا [সুরা নিসা ৪: আয়াত নং ৩৬] অর্থাৎ "আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে।"

আমাদের চারপাশে আমাদেরই অনেক আত্মীয় পরিজন রয়েছেন, যারা আর্থিক ভাবে অসচ্ছল, অভাবগ্রস্থ। ঋণে জর্জরিত। লোক লজ্জা, সামাজিকতা, আত্মসম্মানের ভয়ে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। একজন ভিক্ষুক তার প্রয়োজনটি ঠিকই অপরের থেকে চেয়ে নিয়ে পূরণ করতে পারে, লোক লজ্জার ভয় সে করে না। কিন্তু গরীব আত্মিয় স্বজনেরা শত প্রয়োজন থাকলেও কারোর নিকট কিছু চাইতে শরমিন্দা বোধ করে। ফলে তাদের সমস্যার আর সমাধানও হয় না। এই কারণেই আল্লাহর হাবিব রাসুলে খোদা (সাঃ) বলেছেন " মিসকিনদের উপর সাদকা শুধু সাদকাই হয় এবং আত্মিয়দের উপর সাদকা সাদকাও হয় এবং সাথে সাথে আত্মীয়তার সংযোগ স্থাপনও হয়।"

কোথাও পড়েছিলাম যে, একবার ইবলিশ তার চ্যালা ব্যালাদেরকে ডেকে তাদের কাজ কর্মের খোঁজ নিতে থাকে। একজন চ্যালা বলে আমি আজ অমুক বান্দাকে দিয়ে আরেক বান্দার বাড়িতে চুরি করিয়েছি। ইবলিশ বল্লো এটা এমন কোন পাপ না। আরেক চ্যালা বল্লো আমি এক বান্দাকে দিয়ে জেনা করিয়েছি। ইবলিশ বল্লো এটাও তেমন কিছু নয়। আরেক চ্যালা বল্লো আমি দুই ভায়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে এসেছি। এইবার ইবলিশ খুশি হয়ে বল্লো এতক্ষনে তুমি একটা কাজের কাজ করেছ। আমি খুব খুশি হয়েছি।

আমরা একটা কথা প্রায়ই বলে থাকি যে, আমার অমুক আত্মীয় আমার সাথে ভাল ব্যবহার করে না, আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না, তাই আমিও তার সাথে ভাল ব্যবহার করব না, তার খোঁজখবর রাখব না বা তাকে সাহায্য সহযোগীতা করব না। এরকম বলা বা করা ভুল। নবী করীম (সাঃ) হাদিস শরীফে ইরশাদ করছেন যে, "প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক্ব আদায়কারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক্ব আদায়কারী সেই ব্যক্তি যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও সম্পর্ক রাখে। " (সহীহ বোখারী, হাদিস নং: ৫৫৬৫)।

অর্থাৎ যে আত্মীয় ভাল ব্যবহার করে তার সাথে ভাল ব্যবহার করা ও তার সাথে সম্পর্ক রাখাকে আত্মীয়তার হক্ব আদায় বলা হয় নাই বরং তা প্রতিদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভালোর বিপরীতে তো ভালোই হবে। বরং যে আত্মীয় খারাপ ব্যবহার করবে , অনিষ্ঠ চাইবে তার সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে আত্মীয়তার হক্ব আদায় হিসাবে বলা হয়েছে।

সুতরাং আত্মিয়তা বজায়ে রাখার ব্যপারে আমাদের আরো যত্নশীল হওয়া কর্তব্য। এবাদত ও মুয়ামালাত- এই দুটি বিষয়ই আমাদের ধর্মে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আহলান বলেছেন: আমরা একটু আন্তুরিক হলেই কিন্তু পারস্পরিক সৌহার্দ্যকে বাড়াতে পারি।

২| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

আহলান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

আহলান বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.