নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ আমরা স্বভাবতই পাপ প্রবণ। অশ্লীল বিষয়ের প্রতি অনুরক্ত। আল্লাহ্ র এবদত বন্দেগীতে যথেষ্ট অলসতা আর তাঁর হুকুম আহকাম মেনে চলাটা বিশাল এক ঝামেলার কাজ মনে হয় করি। অথচ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মোহে দিন রাত পরিশ্রম (হালাল বা হারাম) করে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জনে কোন অলসতা আসে না। দিনে দুই রাকাত নামাজও আমরা খুসু-খুজু ও হুজুরি ক্বলব দিয়ে আদায় করতে পারি না, অথচ সিনেমা থিয়েটার নাটক নোভেল ঠিকই মনোযোগ দিয়ে দেখি। নায়ক নায়িকা বা অভিনেতাদের দুঃখ দেখে চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, কিন্তু জায়নামাজে বসে আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা অশ্রুও আসে না।
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষে ইবলিশে যে বিরোধ, এর জের প্রতিটি মানুষকেই পোহাতে হয়। ইবলিশ চায় আমরা আল্লাহর হুকুম না মেনে যেভাবে খুশি সেভাবে চলি, সে আমাদেরকে ডানে বামে অগ্র ও পশ্চাত সকল দিক থেকেই কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। তার এই কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে পাপের পথ থেকে সরে থাকাই মানুষের প্রধান কাজ। ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ- এটাও একটি জিহাদ। খারাপ কাজে বাঁধা দেয়ার শক্তি না থাকলে মনে মনে সেটিকে ঘৃণা করতে বলা হয়েছে ...তবু কোন পাপ বা খারাপ কাজকে স্বিকৃতি দেয়ার সুযোগ নেই।
তাই সব সময়ই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে সর্বদা স্বচেষ্ট থাকাই মানুষের কর্তব্য! আর মানুষ যখন এভাবে শয়তানের প্ররোচনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবে, তখনই সমাজ পাপ ও অপরাধ মুক্ত থাকবে।তখন সে মিথ্যা বলবে না, চুরি করবে না, ঘুষ খাবে না, ওজনে কম দেবে না, অধিক মুনাফার লোভে মানুষকে জিম্মি করবে না, গীবত করবে না, হিংসা করবে না, অপরের অনিষ্ট করবে না।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০, হাদিস: ৫০)। অর্থাৎ মানুষের মন যখন শয়তানের প্রভাব মূক্ত থাকে, তখন সে যাবতীয় অশ্লীলতা ও শয়তানি কর্মকান্ড থেকেও দূরে থাকে।
কিন্তু কিভাবে এই গোশতের টুকরা বা ক্বলবকে পরিষ্কার রাখব? শয়তানের থাবা থেকে নিষ্কলুশ রাখব? এর জন্য প্রয়োজন অধিক আল্লাহর স্মরণ বা আল্লাহর জিকির। আল্লাহর জিকির মানুষের মনকে নরম করে, পাপ সমুহকে ভয় করতে সহায়তা করে। ভালো মন্দ ভেদ বিভেদ করতে চলার চিন্তা শক্তি সৃষ্টি করে। অতঃপর সে ধীরে ধীরে আল্লাহর দিকে রুজু হতে থাকে। শেষ মেষ সে এমন হয় যে, আল্লাহকে ছাড়া বা আল্লাহর হুকুম ছাড়া সে আর কোন কিছুই বোঝে না। আল্লাহতে সে বিলীন হয়ে যায়।
তবে এর জন্যে প্রয়োজন কঠিন অধ্যাবসায় ও খালেস নিয়্যেত। যে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হয়, আল্লাহ তায়ালাও তার দিকে অগ্রসর হন। যে আল্লাহর কাছে হেদায়েত চায়, আল্লাহ তাকে তা দেন। সুতরাং আমাদের ভাবতে হবে, আমরা আসলেই কি চাই। আমরা সৎ সতাতা সত্যনিষ্ঠা সব খুজে বেড়াই, খাঁটি পণ্য, খাঁটি শিক্ষা, খাঁটি চিকিৎসা সেবা সব খুজে খুজে আজ আমরা হয়রান, কোথাও খাঁটির খোঁজ পাই না, কারণ আমাদের শরীরের ভেতরের ঐ গোশতের টুকরাটি শয়তানের প্রভাবে এতটাই প্রভাবিত, যে সেখান থেকে ভালো কিছু আর বের হচ্ছে না।
আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েতের নূর দ্বারা আচ্ছাদিত করে দিন। হেদায়েতের আলোতে পথ চলার তৌফিক দান করুন।
২| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ শয়তানকে না বানালে দুনিয়ায় সমস্যা কম হত। এবং মুসলমানরা নেশি বেহেশতে যেত।
২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
আহলান বলেছেন: ভাই, আল্লাহ কি করলে ভালো হতো সেই বিষয়ে জ্ঞ্যান দেয়ার ক্ষমতা যখন আপনার আছে বলে মনে করেন, তখন তো আপনারই উচিৎ আরেকটি শয়তান বিহীন পৃথিবী বানিয়ে নেয়া ... এই কারণেই আপনি বোধ হয় জেনারেল হয়ে আছেন ... !!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।আমীন।