নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতি ঘরে ঘরে হাবিল কাবিলের ঘটনার পূনরাবৃত্তি চলছে হরদম- প্রেক্ষাপট বা বিষয়বস্তু হয়তো ভিন্ন !!

২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০১



আমারা সবাই নবী হযরত আদম (আঃ) এঁর বংশধর। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমরা সবাই তাঁর মহান আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। অর্থাৎ সবাই যে সৎ সততা সত্যনিষ্ঠ এবং অনুতাপকারী সঠিক পথের অনুসারী তা কিন্তু নয়। হাবিল ও কাবিলের ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা ভালো ও খারাপ উভয় চরিত্রেরই সন্ধান পাই।

এমনকি হাবিল ও কাবিলকে যখন তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহর জন্যে কিছু উৎসর্গ করতে বলা হয়েছিলো, তখনও কাবিল তার পক্ষ থেকে নিকৃষ্ট শস্য উৎসর্গ করেছিলো পক্ষান্তরে হাবিল তার পক্ষ থেকে সর্বোৎকৃষ্ট পশুটিই উৎসর্গ করেছিলেন। পরবর্তিতে যখন হাবিলের উৎসর্গ কবুল হলো তখন হিংসা ও জেদের বশবর্তি হয়ে কাবিল হাবিলকে হত্যা করে। সেই ক্ষেত্রেও হাবিল নিজেকে সংযত রেখেছিলেন আর কাবিল ছিলো অসংযত। শক্তি সামর্থ থাকার সত্ত্বেও হাবিল কাবিলকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে প্রত্যাঘাত করেন নি। আল্লাহকে ভয় করেছেন। ধৈর্য্যাবলম্বন করেছেন।
একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একটি জন্তুর পিঠে সাওয়ার ছিলেন। তাঁর পিছনে বসা ছিলেন হযরত আবু যার (রাঃ)। তিনি বল্লেন," হে আবু যার(রাঃ)! আচ্ছা বলতো যখন মানুষ এমন দারিদ্রের সম্মুখীন হবে যে, তার (ক্ষুধার কারনে) বাড়ি হতে মসজিদ পর্য্যন্ত যেতে পারবে না, তখন তুমি কি করবে?" তিনি উত্তর করলেন," আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এঁর যা নির্দেশ হবে , তা-ই করবো।" তিনি বল্লেন," যখন পরস্পরের মধ্যে খুনাখুনি শুরু হয়ে যাবে, এমনকি মরুভুমির পাথরও রক্তে রঞ্জিত হয়ে যাবে, তখন কি করবে?" (হযরত আবু যার (রাঃ) বলেন) আমি ঐ উত্তরই দিলাম। তিনি বল্লেন," বাড়িতেই অবস্থান করবে এবং দরজা বন্ধ রাখবে।" আমি বল্লাম," আমি যদি তাতে অংশ গ্রহণ না করি, তবুও কি?" তিনি বল্লেন," তুমি যাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের মধ্যেই চলে যাবে এবং সেখানেই অবস্থান করবে।" আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি অস্ত্র ধারণ করবো না কেন? তিনি বল্লেন,"তাহলে তুমিও তাদের মধ্যেই শামিল হয়ে গেলে। বরং যদি কারো তরবারির ঝলক তোমাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে তবে তখনো তুমি তোমার মুখের উপর কাপড় দিয়ে দেবে যাতে সে তোমার ও তার নিজের পাপ গুলো নিয়ে যায়।" [তথ্য সূত্র- তাফসির ইবনে কাসির, ৭ম খন্ড]
হযরত রাবঈ (রাঃ) বলেন, আমরা হযরত হুযাইফা (রাঃ) এঁর জানাযায় হাজির ছিলাম। একজন লোক বল্লেনঃ আমি এঁর( হযরত হুযাইফা) মুখে শুনেছি, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হতে শোনা হাদিস গুলো বর্ণনা করতে গিয়ে বলতেনঃ "তোমরা যদি পরস্পর লড়াই কর তবে আমি আমার সবচেয়ে দূরের বাড়িতে চলে যাব এবং দরজাগুলো বন্ধ করে দিয়ে বসে পড়বো। যদি সেখানেও কেউ ঢুকে পড়ে, তবে আমি তাকে বলে দেবো, তুমি তোমার ও আমার পাপরাশি তোমার মাথায় উঠিয়ে নাও। আমি হযরত আদম (আঃ) এঁর দু'পূত্রের মধ্যে যিনি উত্তম ছিলেন, তাঁর মতোই হয়ে যাবো।" [ তথ্য সূত্র -ঐ-]

শুরুতে যা বলছিলাম যে যদিও আমরা নবী বংশধর, তবুও তার আদর্শ কিন্তু আমরা সবাই ধারণ ও পালন করতে পারি না। আজো ভায়ে ভায়ে হিংসা হানাহানি মারামারি, তর্কাতর্কি স্বার্থ সম্পদ নিয়ে খুনাখুনি করেই চলেছি। আল কোরআন এঁর সুরা আল মায়্যিদাতে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত ঘটনার বর্ণনা করে আমাদেরকে যে সাবধান বাণী দিয়েছেন, আমাদেরকে যে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন, আমরা তার কিছুই বুঝতে ও মানতে চাই না। উপরোন্তো কেউ ধৈর্য্য ধারণ করলেও সেটা তার দূর্বলতা ভেবে অবজ্ঞা করাটাও আমাদের সমাজের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দলাদলি করেই মুসলমানরা ধ্বংস হচ্ছে।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

আহলান বলেছেন: ভায়া নিজ নিজ পরিবারের দিকে তাকাই ... মুসলমান বা অন্যান্য ধর্ম জাত পাত তো অনেক বড় ব্যপার !!

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানুষের ভেতরে যে প্রবৃত্তিতে মানব বা অন্যসব প্রাণি সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে হানাহানি খুন খারাবি বন্ধ হবার নয় । এটা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে ।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৪

আহলান বলেছেন: সেটা তো ঠিক। তবু যদি আমরা একটু পরস্পরের প্রতি সহানুভুতিশীল হতে স্বচেষ্ট হতে পারি।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই রে দেশের করোনা পরিস্থিতি হলো এই রকম- গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ১৮, নতুন আক্রান্ত ৩৫১২, সুস্থ ১৮৩৫,
নমুনা পরীক্ষা ২৫৯৫৪
মোট মৃত ৮৭৩৮, আক্রান্ত ৫৭৭২৪১, সুস্থ ৫২৫৯৯৪।
কাজেই আমাদের সাবধান হতে হবে। ভালো হতে হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৫

আহলান বলেছেন: জি জনাব। ভালোর বিকল্প ভালো! আর কিছু নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.