নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র হ্জ্জ্ব ব্রত পালনের পর পবিত্র মদিনা শরীফে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দিন দশেক সময় হাতে ছিলো। কয়েক জন মিলে আয়শা মসজিদে গিয়ে ওমরাহ নিয়েত করে পবিত্র ক্বাবা শরীফ তাওয়াফ ও সাঈ সম্পাদনের মাধ্যমে ওমরাহ করার খেয়ালে ছিলাম। কিন্তু হটাৎই কাফেলার কয়েকজন আমাদের দেশের বিশেষ (এবং বিতর্কিত) ওয়ায়েজিয়ানদের ইউটিউব ওয়াজ দেখিয়ে প্রচার করলো যে, যদি ফরজ হজ্জ্বের পরে কেউ উমরাহ করে, তবে তার ফরজ হ্জ্জ্ব বাতিল হয়ে যাবে। এই বক্তব্যে ভয় পেয়ে আমাদের কয়েকজন হাজ্জিসাহেব দেখলাম নিজেকে উমরা করা থেকে বিরত রাখলেন। তবে আমাদের সাথে অনেকেই ছিলেন, যারা এসব বক্তব্য আমলে নেন নাই। কারণ নামাজ রোজা সব জায়গাতেই পড়া যায়, কিন্তু ওমরা, তাওয়াফ আর সাঈ এই পবিত্র নগরী মক্কা ছাড়া সম্ভব নয়। সুতরাং কোন নফল বন্দেগী ফরজ বন্দেগীকে খারিজ করতে পারে না, বরং ফরজের ক্রুটি বিচ্যুতি নফল দ্বারা পূরন হয়-মর্মে হাদিসে উল্লেখ আছে।
আর যদি ফরজ হ্জ্জ্ব ওমরাহের দ্বারা নষ্টই হতো, তবে রাসুল (সাঃ) কি মা আয়েশা (রাঃ) কে ওমরা বাঁধার জন্যে তানইমে (বর্তমানে আয়েশা মসজিদ) পাঠাতেন? পরবর্তিতে সাহাবায়েকেরাম (রাঃ) বা তাবেঈ, তাবেতাবেঈন গন কি এই ভাবে উক্ত এলাকায় ওমরা না বাঁধার জন্যে ফতোয়া দিয়েছেন? সর্বোপরি সৌদি সরকার উক্ত মসজিদকে এই হজ্জ্বের মৌসুমেও ইহরাম বাঁধার উপযোগী করেই রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন। যেনো হাজ্জ্বি সাহেবগন গোসল ও ওজু সেরে প্রয়োজনীয় পবিত্রতা অর্জন করে এই মসজিদ থেকেই ইহরাম বেধে ওমরার উদ্দেশ্যে বের হতে পারেন। তায়েফেও দেখেছি সেখানার কারন আল মানাজিল মিকাত থেকেও শত শত হাজ্জ্বি সাহেবগন ইরাম বেঁধে ওমরাহ পালন করছেন, অথচ কোন হাদিসে অত্র এই জায়গা থেকে ইহরাম বাঁধার কোন নির্দেশ কোন হাদিসে আছে কি না বা কোন সাহাবি বা তাবেঈ বা তাবে তাবেঈন এখান থেকে ইহরাম বেঁধেছেন কিনা সেটাও আমার জানা নাই। তবে এই ব্যপারে উক্ত ইউটিউব হুজুরদের কোন আপত্তি বা বক্তব্য পাওয়া যায় না। নাজদের হাজ্জ্বি গন এখান থেকে ইহরাম বাঁধেন বলেই তাদের আপত্তি নাই কি না কে জানে?
আমরা দেখেছি প্রতিদিন সারা বিশ্ব থেকে আসা লাখ লাখ হাজ্জি সাহেবগন সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত প্রতিটি মুহূর্তে মসজিদে আয়শাতে আসছেন, ওমরাহর নিয়েত করছেন, ইহরাম বাঁধছেন আবার ফিরে যাচ্ছেন পবিত্র ক্বাবা শরীফের মাতাফে, তাওয়া আর সাঈর মাধ্যমে ওমরাহ করছেন। তাতে বুঝলাম ঐ মতবাদ খুব বেশী মানুষকে আপাততঃ উমরাহ করা থেকে ফেরাতে পারেনি। তবে খুবই আফসোস লাগলো ওনাদের জন্যে, যারা ওমরা পালনের নিয়্যেত থাকা সত্ত্বেও ঐ বক্তব্যের কারণে আর ওমরা করেন নাই। ওনাদেরকে এটাও বল্লাম ভাই, ফরজ হজ্জ্ব জীবনে একবারই হয়, পরবর্তিতে যত হ্জ্জ্ব করবেন, সবই আপনার জন্যে নফল হিসাবে গন্য হবে। তাহলে পরবর্তিতে আপনি হজ্জ্বে আসলে আপনার এইবারের ফরজ হ্জ্জ্ব কি নফল হজ্জ্ব এর দ্বারা নষ্ট হয়ে যাবে? কত মানুষ তো প্রতি বছরই হজ্জ্ব করছেন, তাদের অবস্থা তাহলে কি?
আমি বুঝিনা, আমাদের দেশে বর্তমানে একদল লোক কেনো মানুষকে এবাদত বন্দেগী করা থেকে বিরত রাখার মিশনে নেমেছে। এতে তাদের ফায়দা কি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০০
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আহারে! ভুল ব্যাখ্যার কারনে নফল ইবাদতের মধ্যে অন্যতম সর্বোত্তম নফল উমরা পালনে বিরত থাকলো হাজী সাহেবানরা। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকটা জানার ও বুঝার তৌফিক দান করুন।