নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞ অভিজ্ঞ গনের নিকট একটা জ্ঞ্যান অর্জনের জন্যে এই পোষ্টে। ইদানিং আমরা দেখি যে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের পক্ষে কর্মকর্তাগন বিভিন্ন দোকানে গিয়ে গিয়ে পণ্যের মূল দাম ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে কত বিস্তর ফারাক সেটা বেশ খতিয়ে দেখেছেন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ওনাদের বক্তব্য হচ্ছে ৫ টাকা দিয়ে একটি পণ্য কিনে কিভাবে আপনি ৫০০০ টাকায় বিক্রয় করেন? আমার জানার বিষয় হলো
প্রথমতঃ নিত্য পণ্য বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য (চাল ডাল তেল আটা লবন চিনি ইত্যাদি) বাদে জামা কাপড় কসমেটিক্স এর ক্ষেত্রে একজন বিক্রেতার প্রোডাক্ট অনুযায়ী প্রফিট মার্জিন সর্ব্বোচ্চ কত পার্সেন্ট হতে পারবে? দ্বিতীয়তঃ একজন বিক্রেতা যদি ৫ টাকার শার্ট ৫ লাখে বিক্রি করতে পারে তো এতে তার মহা লাভ আর বিক্রি করতে না পারলে তার ঐ ৫ টাকাই লস। সেই ক্ষেত্রে লাভ ও লসের ঝুঁকি নিয়ে কোন বিক্রেতা যদি ঐ সব সৌখিন পণ্য নিজের মতো দামে বিক্রি করতে পারে, তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের কি এমন দ্বায় পড়ে যে তাকে কম প্রফিটে বিক্রয় করতে বাধ্য করে? তাছাড়া যত দামে বিক্রি হবে, সরকারের ঘরে তো তত বেশী ভ্যাটের টাকা জমা হবে। এতে তো সরকারেরও লাভ হয়। তাহলে কেনো এই ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জুতা জামা কসমেটিক্স বা ওয়র স্টপ শপিং মলে ঢুকে বিক্রেতারগনকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছেন। একটি দোকানের ভাড়া, তার কর্চারীদের বেতন, ব্যবসায়ে তাদের ঝুঁকি সহ বিনিয়োগ সব কিছু বিবেচনা করে কি ভোক্ত অধিকার সংরক্ষন কাজ করছে?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
আহলান বলেছেন: এখন তো ই ভ্যাট মেশিন আছে । সুতরাং ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার সুযোগ কম।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি মূসক পাই না কেনাকাটা করতে গেলে। অধিকাংশ সময়ে। আর মাঝে মাঝে মনে হয় তারা কাগজ দিলেও দুই ধরনের বই ব্যবহার করতে পারে। একটি মূসক এর জন্য আরেকটি আসল হিসাবের।
মানুষ আইন মানে না বলেই সড়কে বেড়া দিতে হয়। আমাদের অনেকেই আইন মানতে চায় না। রমজানে অতি মুনাফার প্রতি আগ্রহ অনেকের। এই প্রবাহ কাপড়ের জন্য প্রযোজ্য। ৫ টাকার জিনিস ১০ টাকা দেখিয়ে ৫০% ছাড়! কিংবা এসি দোকানে থাকা মানে পণ্যের দাম অনেক বেশি রাখা।
এই জাতির জন্য ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠান আশীর্বাদ বলব। দেখা যাক কতদিন সৎভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০০
শেরজা তপন বলেছেন: এদের বেশীরভাগ কর্মকান্ড লোক দেখানো। কেন কি জন্য করছে কোন আইনে করছে জিজ্ঞেস করলেই ফেঁসে যাবেন- ওরা নিজেরাই আইন বানায় প্রতিদিন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
আহলান বলেছেন: সহমত। স্কুল কলেজ যে ফিস নেয় বেতন বাবদ, সরকারি নিয়মের কোন তোয়াক্কা নাই, সে দিকে কোন খেয়াল নাই। কোটিটাকা দামের গাড়ি বিক্রি হয়, কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট বিক্রি হয়, আরো কত শত শত কোটি কোটি টাকার কারবার, সেদিকে কোন কিছু নাই। শুধু আছে ব্র্যান্ডের দোকান গুলোতে গিয়ে এই সব ধর পাকড় করে।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৩
কিরকুট বলেছেন: আমি ছোট্ট একটা উদাহারন দেই। দেশের বিক্ষাত শপিং মলের কস্টিং থাকে ২০০ পার্সেন্ট। নাম বললাম না অনুমান করে নিন। এরা নিজেদের দেশীয় পন্যের প্রচারের গুরু বলে থাকে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২০
আহলান বলেছেন: ভাই , পণ্যের গায়ে স্টিকার দেয়া আছে। কারোর পোষালে কিনবে, না পোষালে না কিনবে। অতিরিক্ত মূল্য হাঁকানোর কারণে পণ্য বিক্রি না হলে তো বিক্রেতারই লস, এখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ওয়ালাদের ভুমিকা আসলে কি!
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ভোক্তা অধিকার তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাব এপালন করছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। আপনার একটা প্রশ্নের উপর একটু মতামত দিই। বিক্রেতা যত বেশি দামে বিক্রি করবে, সরকার তত বেশি ভ্যাট পাবে। আমার মনে হয়, আমরা এখনো এতখানি সৎ হই নাই যে, প্রকৃত ভ্যাটের অ্যামাউন্ট আমরা সরকারকে দেখাবো, আর প্রকৃত অ্যামাউন্টই আমরা সরকারকে দিব। যদি এতখানি সৎই হতাম, তাহলে মূল দাম আর প্রফিটের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকতো, অর্থাৎ, সুযোগ পেলেই আমরা অতি মুনাফা লাভের চেষ্টা করতাম না।
আমাদের মধ্যস্বত্বভোগীদের সংখ্যা বেশি, সততার অভাব, ঘাটে ঘাটে বিভিন্ন জনকে চাঁদা প্রদান, ইত্যাদি কারণে ভোক্তাকে অতি দামে জিনিস কিনতে হয়, আর চাষী ভাইয়েরা চিরকাল বঞ্চিতই থেকে যান।
সর্বস্তরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে জিনিসের দাম কমবে না, ভোক্তারা ভুগতেই থাকবেন।