নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইভ ওয়েট হিসাব করে কোরবানী দিচ্ছেন নাকি গোশত খাওয়ার নিয়্যেতে পশু হত্যা করছেন!

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

কোরবানীর ইতিহাস আমরা কম বেশী সবাই জানি। ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য আর ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল সেই ইতিহাস। আল্লাহর হুকুমে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গ করাই যার মূল উদ্দেশ্য। হযরত ইসমাইল (আঃ) এঁর পরিবর্তে একটি দুম্বা প্রতিকী হিসাবে আল্লাহর রাহে জবাই হয়। এখানে গোশত খাওয়ার কোন উদ্দেশ্যই ছিলো না। অথচ আমরা এখন পশু কোরবানী দিয়ে থাকি, গোশত খাওয়ার জন্যে। ১০০% ভাগ নিয়্যেত থাকে গোশতের হিসাব। পশু হত্যা করে গোশত খাওয়াই যেনো মূখ্য বিষয়। কোরবানীর পশু কিনতে যাচ্ছেন? লাইভ ওয়েট কত আগে সেই হিসাব কষছেন। গরু বা ছাগল দেখে মনে মনে হিসাব কষছেন এ্ই পশুর গা থেকে কত কেজি গোশত পাওয়া যেতে পারে? ব্যবসায়ীগন কোরবানীর পশু বিক্রির আগেই আপনাকে বলে দিচ্ছে লাইভ ওয়েট এতো কেজি। বাজারে এক কেজি গোশতের দাম এতো টাকা, সেই হিসাবে এই পশুর দাম হবে এত টাকা। এই যখন কোরবানী দাতার মনের হিসাব তখন আপনার আর কসাই এ মধ্যে পার্থক্য কোথায় রাখলেন মশাই? কোরবানীর পশু যখন লাইভ ওয়েট হিসাব করেই নিবেন অর্থাৎ গোশত খাওয়াই যখন আপনার কোরবানীর মূখ্য উদ্দেশ্য তখন পাড়ার কসাইকে বলে রাখলেই তো হয় ঈদের দিন সকালে এতো মণ গোশত দিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার আর কোন ঝামেলাও থাকে না। লাইভ ওয়েট হিসাব করে গরু কিনে আমরা কোরবানীর নামে পশু হত্যাই করছি। কোরবানীর মূখ্য উদ্দেশ্য কোন ভাবেই এতে আদায় হয় না। সারা বছর এভাবে লাইভ ওয়েট হিসাবে পশু কিনে খাওয়া যায়, তবে কোরবানীর পশু কোন ভাবেই এই গোশতের পরিমান হিসাব করে কিনে কোরবানী আদায়ের সোয়াব পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০০

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: লাইভ ওয়েট এর মানে কি?

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

আহলান বলেছেন: জ্যান্ত ওজন।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: তাই বলে ১০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় কেনা বাঁ বেচা কে আপনি সমর্থন করতে পারেন না । সারা পৃথীবি জুড়ে পশু লাইভ ওয়েটে বিক্রি হয় কেবল বাংলাদেশেই কোরবানী আসলে ধর্ম কে পুজি করে মানুষ ঠকানোর ব্যবসা করে আরে আর তাতে বাতাস আপনারাই দেন । আমি যদি লাইভ ওয়েটে গরু আমার মনের মতো কিনে বেশি মানুষ কে দান করতে পারি লাভ আমার । চিন্তা করবেন না আপনাদের মতো ধর্মের নামে ব্যবসায়ী লোকের অভাব বাংলাদেশে নাই । এইগুলা দুই একটা ধইরা আল্লাহের রাস্তায় কোরাবানী করতে পারলে দেশ ও জাতির উপকার হতো ।

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০২

আহলান বলেছেন: জিনিস কয় টাকার সেটা নির্ধারণ কে করে? লাইভ ওয়েটে বিক্রির সুযোগে মানুষ মাছের মধ্যে জেলি ভরে, মার্বেল ভরে, গরু সার খাইয়ে মোটা তাজা করে। লোক ঠকানোর এই পন্থা কি আপনার জানা নাই? কোরবানী মানে গোশত খাওয়া নয় - এটাই বোঝাতে চেয়েছি।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

নিশাদল১ বলেছেন: কিভাবে পশু বেচাকেনা করলে ধর্মসম্মত হবে?
আমি মনে করি যেকোন পণ্য পরিমাপের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হওয়া উচিত।

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

আহলান বলেছেন: কোরবানি মানে ওজন করে গোশত কেনা নয় - এটাই বোঝাতে চেয়েছি।

৪| ২৪ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২২

ধুলো মেঘ বলেছেন: হযরত ইবরাহীম (আ) কে দুম্বা কিনতে হয়নি। আল্লাহ উনাকে ফ্রি দিয়েছিলেন। আমরা তো ফ্রি ফ্রি পাইনা। আমাদেরকে কিনতে হয়। যেখানে বেচা কেনা আছে - সেখানেই ব্যবসা'র নিয়ম নীতি খাটবে। তাই গরু কেনাবেচার সময় অবশ্যই গরুর স্বাস্থ্য, ওজন, কয় কেজি মাংস - সেটা হিসাবে আনতে হবে। এতে কুরবাণীর নিয়তে কোন সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয়না।

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

আহলান বলেছেন: আল্লাহর পরীক্ষা টা আপনার কাছে ফ্রী মনে হলো? নিজের ছেলেকে ছুরির আগায় শুইয়ে দেখেন, বুঝবেন ফ্রী কাকে বলে। যে যত বড় বা বেশী ওজন এর পশু কোরবানি দেবেন, আল্লাহ তাকে তত ভালোবাসবেন -বিষয়টা এমন হলে তবু মানা যায়। কিন্তু বিষয়টা তো এমন নয়।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: কোরবানী, হজ্ব এসব বিষয় গুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বেঁচে থাকা।

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১০

আহলান বলেছেন: বেঁচে থাকবেন কি থাকবেন না সেটাও আমাদের উপর নির্ভর করে না। টাকা খরচ করে টাইটানে মানুষ এমনি উঠে না .... ;)

৬| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

কিরকুট বলেছেন: ভাইজান কি গরুর ব্যাপারী? কয়টা গরু নিয়া বসলেন এইবার ।

২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১১

আহলান বলেছেন: আপনি বুঝি আদার বেপারী ... জাহাজের খোজ নিচ্ছেন ! ;)

৭| ২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: নিজের ছেলেকে কুরবাণী দেবার প্রথাই যদি চালু থাকত, তাহলে কেউই কুরবাণী দিতনা, সেটা ওয়াজিব কেন, ফরজ হলেও দিতনা। কেউ দিলেও তাঁর জেল-ফাসী কিছু একটা হত। এজন্যেই শরীয়তের বিধান পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে মানুষ খুব উৎসাহের সাথে তা পালন করে।

২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

আহলান বলেছেন: কিন্তু হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে যে ঈমানি পরীক্ষা দিতে হয়েছে, সেটার কি কোন মূল্য নেই? দুম্বাটা তো ফ্রী নয়, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এঁর ঈমানী পরীক্ষায় পাশের পুরষ্কার। রীতি মতো পরীক্ষা দিয়ে তাঁকে সেই সফলতা অর্জন করতে হয়েছিলো। তাঁর ত্যাগের বিনিময় এই দুম্বা। ফ্রী বলে যে উপেক্ষা করলেন, সেটা কি ঠিক হলো?

৮| ২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

নতুন বলেছেন: বাংরাদেশে যত মানুষ কুরবানী করে তারা কি ঠিক মতন যাকাত দেয়? তারা কি ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে? তারা কি সালাত কায়েমের জন্য কাজ করে?

কুরবানী এখন সমাজে প্রস্টিজ ইসু। আর ভালো মাংস খাবার অনুস্ঠান মাত্র।

২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

আহলান বলেছেন: দুঃখজনক হলেও অনেক ক্ষেত্রে এটাই সত্যি .. !

৯| ২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন:

সৌদির কোরবানী দেবার একটা পদ্ধতি সবার সাথে শেয়ার করি। এখানকার সুপারগুলো তাদের মাধ্যেমে কোরবানী আদায় করার অফার দিচ্ছে। বিভিন্ন পশুর দাম-আনুমানিক ওজন বর্ননা করে ক্রেতা আকর্ষন করছে, কেউ কেউ জবাই-কাটাকুটির সার্ভিস চার্জ ফ্রি করে দিচ্ছে।

২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

আহলান বলেছেন: মাশাআল্লাহ! সৌদিই তো আমাদের আদর্শ .. কোরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াস কিছু না। সৌদি যা বলবে করবে তাই সহিহ .... আসলেই কি ইসলাম তাই বলে? তাহলে ইমাম হুসাইন (রাঃ) কে কতল করলো কারা? ইতিহাস কি বলে?

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই আপনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। রথ দেখা আর কলা বেচা বলে একটা কথা আছে। গোস্ত খাওয়ার নিয়্যত আর নেকীর নিয়্যত দুইটা এক সাথে করা যায়। আপনি যদি গোস্ত না খেয়ে পুরোটা গরীবদের বিলিয়ে দিতে চান তাতেও ওজন দেখে ক্রয় করা জরুরী। কারন আপনি ঠকে গেলে আপনার সাথে গরী্বরাও ঠকে যাবে।
আসলে কোরবানী হজ্জ্বের একটি অংশ। সাফা মারওয়া দৌড়ানো-সহ ইবরাহীম (আঃ) এর স্মৃতিময় কিছু বিষয় হজ্জ্বের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আদতে, কোরবানীর পশুর গোস্ত কেও খেত না (হাবিল এবং কাবিল এর ঘটনা)। আল্লাহর রাহে কোরবানী কবুল হলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক প্রকার আগুন এসে ভস্মীভূত করে দিত। পরবর্তীতে কোরবানীর গোস্ত খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর নিকট ওদের গোশত রক্ত পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ৩৭)। এখন আপনি যদি প্রকৃতই আল্লাহর আদেশ পালনার্থে কোরবানী করেন তবে নিশ্চয়ই গরীবদের কিছু না দিয়ে খাবেন না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকে কোরবানীর মাংসের সম্পূর্ণ কিংবা প্রায় পুরোটা নিজেরাই খেয়ে ফেলে। সে ক্ষেত্রে পশু জবাই করে খাওয়া আর তার কোরবানীর মধ্যে কোন পার্থক্য খাকেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.