নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃত পক্ষেই আমাদের কৃত ইবাদত কতটুকু পরিশুদ্ধ!

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

***অন্তরের গীবত***
প্রখ্যাত বুজুর্গ ইব্রাহিম আল আজহারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এক শীতের দিনে আমি মসজিদের দরজায় বসে ছিলাম। এমন সময় দুটি পাতলা বস্ত্র খন্ড পরিহিত এক যুবক সেখানে আগমন করল। সে লোকদের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়ায় বলে আমার ধারণা হলো। আমি মনে মনে বললাম -এর চেয়ে বরং কাজ করে কামাই করলেই সে ভালো করত। একসময় যুবকটি চলে গেল। রাতে আমি স্বপ্নে দেখলাম, দুজন ফেরেশতা এসে আমার দুই পাশে ধরে আমাকে সেই মসজিদে নিয়ে গেল, যার দরজায় আমি বসাছিলাম। আমি দেখলাম আমার সামনে দিয়ে গমন কারী পাতলা বস্ত্র খন্ড পরিহিত লোকটি সেখানে শুয়ে আছে। চেহারা কাপড় দিয়ে ঢাকা। ফেরেশতারা তার চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে দিল। আমাকে তার পাশে বসিয়ে দিয়ে বলল এবার মন ভরে তার গোশত খাও। আমি বললাম- সে কি! আমি তো তার গীবত করিনি! ফেরেশতা দুজন বলল অবশ্যই করেছ। দিনে সে মসজিদে এসেছিল, তখন তুমি তাকে যাচনাকারী( অন্যের কাছে যে চেয়ে বেড়ায়) ভেবেছিলে, তোমার মত মানুষের পক্ষে এটা শোভনীয় নয়। ভয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। শোয়া থেকে উঠে বসলাম।

এরপর ৩০ দিন যাবত মসজিদের দরজায় বসে লোকটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ফরজ নামাজ ভিন্ন অন্য কোন প্রয়োজনে সেখান থেকে উঠতাম না। আশায় ছিলাম লোকটি আসবে আর আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব। অবশেষে ৩০তম দিনে লোকটি এলো। পরনে পাতলা কাপড় খন্ড। সেই আগের মত অবস্থা। আমি লাফিয়ে উঠে পিছন থেকে গিয়ে তাকে ধরলাম। সে একবার তাকিয়েই হাঁটতে লাগলো। তার চলার গতি দেখে আমার মনে হলো তাকে হারিয়ে ফেলবো। তাই ডাক দিয়ে বললাম ভাই, আপনাকে বলছি! সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ইব্রাহিম! শেষ পর্যন্ত তুমিও মনে মনে মুমিনদের গীবত করা শুরু করলে? একথা শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। জ্ঞান ফিরলে দেখি যুবক টি আমার শিয়রে বসা। আমাকে চোখ মেলতে দেখে বলল, এমন কাজ আর করবে? আমি বললাম - না। তারপর সে কোথায় যেন চলে গেল আর তাকে দেখতে পাইনি।

আমরা এই ঘটনা থেকে খুব সহজেই অনুমান করতে পারি যে, আমরা প্রতিনিয়ত এহেন এবং এর থেকেও কত জঘন্য ভাবে এই ধরনের অন্তরের গীবত করেই চলেছি। কত ভাবে মৃত ভায়ের গোশত খেয়েই চলেছি। গীবত হচ্ছে সেই পাপ যা অন্যান্য ভালো এবাদত সমুহকে মাটি করে দেয়। যার গীবত করা হয়, তার পাপ গীবতকারীর আমল নামায় এবং গীবতকারীর সাওয়াব তার আমলনামায় স্থানান্তরিত হয়। এতে করে আমাদের ইবাদত বন্দেগী বা পরকালের পাথেয় কতটুকুইবা আল্লাহর দরবারে অবশিষ্ট থাকছে? আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন! সঠিক বুঝ দান করুন। সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।


(সংগৃহিত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: গার্বেজ।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

আহলান বলেছেন: বোঝার ভুল ! আফসোস ... !

২| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

নাহল তরকারি বলেছেন: আসুন। আমরা একজনের বদনাম আরেক জরনের কাছে প্রকাশ না করি!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.