নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ্য সূচি নির্ধারণের নেপথ্যে কারা, জাতি সেটা জানতে চায়!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৪


স্কুলের পাঠ্য বইতে যে সকল গদ্য পদ্য থাকে সেগুলোর মধ্যে একটা মেসেজ থাকে। যা শিক্ষার্থীর মেধা ও বিবেক জাগ্রত করে। নীতি নৈতিকতা, ভালো মন্দের জ্ঞ্যান বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীগন সেই জ্ঞ্যান সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগায়। ছোট বেলায় আমরা রাখাল আর বাঘের গল্প পড়েছি। যেখানে শেখানো হয়েছে বারংবার মিথ্যামিথ্যি বাঘ আসার কথা বলে রাখাল সবাইকে অযথা হয়রানি করতো। কিন্তু সত্যি যেদিন বাঘ এলো সেদিন রাখালের ডাকে কেউ সাড়া দিলো না। তার মানে কখনোই মিথ্যা বলতে হয় না। আমরা পদ্যে পড়েছি কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কিরে কুকুরের কাজ, মানুষের শোভা পায়! অর্থাৎ মন্দ লোক যেমন ভাবে মন্দ কাজ করে, একজন সজ্জন সেইভাবে মন্দ কাজ করতে পারে না। এসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে ভালো কাজে উৎসাহ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার মেসেজ বা বার্তা পাঠানো হয়।

পাঠ্যসূচিতে আরো নানা ধরণের গল্প কবিতা ও মণিষীদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অবিস্মরণীয় ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে নীতি নৈতিকতা শিখানো হয়। কারণ স্কুলের বইতে যা আছে তা তাকে পড়তে হবে, এটি অন্য কোন গল্পের বই নয় যে, শখের বসে কেউ মন চাইলে পড়লো, কেউ পড়লো না তা নয়। সুতরাং স্কুলের পাঠ্য বইতে কি থাকবে না থাকবে সেটা সিলেকশন খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এখানে শরীফ শরীফার কাহিনী কতটা নৈতিকতা শেখাবে, শিক্ষার্থীদের কাছে কি মেসেজ পাঠাবে, সেটা নিয়ে কারা গবেষণা করেছে সেটা একটু খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমি মনে করি। এই ধরণের কাহিনী পাঠ্য বইতে ছাপানোর পিছনে তাদের যুক্তিটা কি, এর মাধ্যমে তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে কি মেসেজ দিতে চেয়েছেন, তাদের নিকট থেকে এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করা খুবই জরুরী বলে আমি মনে করি। প্রয়োজনে হাইকোর্ট সুয়োমুটো রুল জারীর মাধ্যমে এই শরীফ শরীফা গল্পের নেপথ্যের কারিগরদেরকে সমাজের সামনে দাঁড়া করাক, এটাই প্রত্যাশা!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



ওখানে আপনার নামও দেখলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:২৯

আহলান বলেছেন: তার মানে আপনি ঐ কমিটিরই লোক ... একজনকে পাওয়া গেলো। ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্টিকি হবার মত একটি পোস্ট । ২৩/২৪ বছর ধরে বিদেশে আছি। এখানকার কোন পাঠ্যবইয়ে ট্রান্স জেন্ডার নিয়ে কোন কনটেন্ট দেখি নাই। গতকাল ব্লগে যারা আমাদের দেশের বাংলা মিডিয়ামের পাঠ্যবইয়ে এই রুপান্তরের গল্প অন্তর্ভুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল যে , উন্নত কোন দেশের পাঠ্যবইয়ে এই কন্টেন্ট আছে কিনা? কারো কাছ থেকেই কোন উত্তর পাইনি।

আপনার পোস্টে আশা করছি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

আহলান বলেছেন: আমাদের সমাজে এসব ইন্জেক্ট হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কারণে, এটা সুস্পষ্ট। অন্য দেশে যা হবে না, ব্যবসার প্রয়োজনে আমাদের মতো গরীব দেশে তা হবে। আর আমাদের নীতি নির্ধরকগন নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যাস্ত, সমাজের কি হলো না হলো, সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কেউ নেই। ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকাতে এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ অনেক আগে থেকেই দুটো পক্ষের মাঝে গরম গরম অবস্থা বিরাজ করছে। পাঠ্য পুস্তকে অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় যোগ করে কোমলমতি বাচ্চাদের এক ধরনের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। এগুলো মূলত প্রভাবশালী মুষ্টিমেয় কিছু লোকজনের ইশারায় হচ্ছে। এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে পারেন। ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

আহলান বলেছেন: হ্যা ভাই। আগে ভাইরাস ঢুকাবে, তারপর বলবে এবার ভ্যাকসিন কিনুন ...আমাদের থেকে ..... আর যারা এসব প্রতিরোধ করবে, তারা নিজেরাই মেতে আছে নিজেদের সুখ সুবিধা রক্ষার কাজে .... ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশ অলরেডি জাতিসংঘের জেন্ডার সনদ স্বাক্ষরকারি দেশ,
নারী নীতির ৪.১ নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ’, জাতিসংঘের ‘সিডও’, এলজিবিটি অধিকার জেন্ডার ইকুইটি ‘মিলেনিয়াম সামিট’ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিলে বাংলাদেশ অন্যতম স্বাক্ষরকারি দেশ।
এই সরকার এসেই অন্যান্ন সভ্য দেশের মত ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
চাকরি দিচ্ছে, ভাতাও দেয়। সভ্য রাষ্ট্র সভ্য মানুষ হিসেবে এটা আমাদের সবার দায়ীত্ব
কিন্তু অনেকের কাছে এটা ভাল লাগেনি। বিশেষ করে মানবতা বিরোধী অপশক্তি ও জংলিবাদ সমর্থকদের কাছে ভাল লাগার কথাও নয়।
যেখানে এই দেশে সামান্য নারীর অধিকারই ঠিকভাবে দিতে চায় না। সেখানে অন্য ধরনের লিঙ্গবৈচিত্রকে মেনে নেয়া হবে না, অধিকার দেয়া তো দুরের কথা। আর শিক্ষার্থিদের সচেতনাতার জন্য পাঠ্যপুস্তকে এড করলে তো পিত্তি জ্বলা শুরু হবেই
বাংলাদেশের কট্টরপন্থি ও চিহ্নিত তালেব সমর্থকরা এই অসভ্য লোকটির মানবতা বিরোধী বক্তব্য সমর্থন করছে। করবেও।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:২৮

আহলান বলেছেন: মানবতা দেখানোর জন্য এইসব যথেচ্ছাচার স্বিকৃতি দিতে হয় নাকি? ধর্মের বাইরে গিয়ে মানবতা দেখানোর সুযোগ কি একজন মুসলমানের আছে? ধর্মেই তো মানবতার কথা বলা আছে, সেগুলো অনুসরণ করা যায় না? নাকি ধর্মে যথেচ্ছা করার নিষেধাজ্ঞা আছে বলেই শয়তানে কামড়ায় ....

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ্পাঠসূচীতে আসলে কোনো সমস্যা নাই।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আরোগ্য বলেছেন: শরীফ শরীফা ছাড়াও আরো ভয়াবহ বিষয় পাঠ্যবইতে যোগ করা হয়েছে, শুধু একদিকে নজর দিলেই হবে না।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনি থাকলে শরীফা গল্প নিতেন না।
দেশের মানুষ অনেক সুখি হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.