![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিটেন ভাইভা শেষ, সামনে এখন প্র্যাকটিকাল ... ছাত্রদের এক দফা দাবী শুনে এমনটাই মনে হয়েছে। জানি না আমাদের এই বাচ্চাগুলার ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে। যে দেশ আপাদমস্তক দূর্ণীতি গ্রস্থ। যে দেশ শিষ্টের দমন আর দুষ্টের পালনে অভ্যস্ত, আর্মস ক্যাডার, বিসিএস ক্যাডার, প্রথম শ্রেনী থেকে চতুর্থ শ্রেনীর অধিকাংশ কর্মচারী কর্মকর্তা যেখানে একটি নির্দিষ্ট দলের গোলামী করে সেলামী প্রাপ্ত সেখানে গনতন্ত্রের মতো সেনসিটিভ ফুল ফুটানো কি এতোই সহজ?
সাইদ হত্যায় ১৬ বছরের নিরীহ কিশোরকে আসামী করা হয়েছে। এতো শত প্রাণ ঝরে গেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন পুলিশের গুলিতে কেউ মরেনি, এমন বুলেট পুলিশরা ব্যবহার করে না। ছাত্রলীগ মহান দায়িত্ব পালন করতে সেখানে উপস্থিত ছিলো, তাদের দ্বারা কোন প্রকার হাঙ্গামা হয়নি। এমন আরো কত মজার মজার কথা শুনবো আমরা। এমন বক্তব্য থেকেই তো সুস্পষ্ট বোঝা যায় ভবিষ্যতে এই ছাত্রদের ভাগ্যে কি পরিণতি অপেক্ষা করছে।
সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই তরুণ সমাজ আজ এই রকম আত্মঘাতি কর্মকান্ডে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলেছে। আমার কাছে তাই মনে হয়। আজ থেকে বিগত পনেরো বছর আগে এদের সবার বয়স কত ছিলো? এরা তাদের বই পুস্তক আর শিক্ষা উপকরণে কর্মকান্ডে একটি নির্দিষ্ট দলের স্লোগান আর জয়গান ছাড়া আর কিছুই শোনেনি, দেখেনি। তারপরেও তারা আজ সেই দলের বিপক্ষে দাড়িয়েছে। এই বিগত পনেরো বছরের হাজারো ভুলের মাশুল আজকের এই দিন।
পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা বেশী শক্তিশালী থাকলেও তাকে পরজয় বরণ করতে হয়েছিলো মীর জাফরের কূটচালে আর ঘোষেটি বেগমের ষঢ়যন্ত্রের কাছে। আমরা পেয়েছিলাম দুশো বছরের গোলামীর জীবন। আমাদের জন্য ওটাই ঠিক ছিলো। কারণ ঐ যে, জাতি হিসাবে আমরা পা চাটা জাতি।
কবি গুরু বলেছিলেন, আয়রে নবীন আয়রে আমা কাঁচা, আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। আজকে সেই ঘা আমাদের তরুণ সমাজ আমাদেরকে দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু সেই ঘা মেনে নেয়ার মতো মন মানসিকতা আমাদের মতো দূর্নীতিগ্রস্থ অন্যায় সুবিধা আর মধু খাওয়া মানুষদের আছে কি না জানা নাই।
তাই তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে এটাই দেখিয়ে দেয় যে, আমরা নিজেরাই আমাদের শত্রু। আমরা উন্নত বিশ্বের মতো হতে চাই, তবে হাতে থাকবে রাম দা আর হকি স্টিক।
পরিশেষে এটুকুই আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করি, আল্লাহ তুমি আর কোন বাবা মায়ের বুক খালি করো না। বেঁচে থাকুক আমাদের ভাবিষ্যৎ প্রজন্ম এই বিদ্রোহের আগুন নিয়ে। কর্ম জীবনে তারা তাদের সৎ সততা দিয়ে এই অভাগা জাতিকে আলোর পথ দেখাক। এখনি যেনো তাদের এই দ্রোহের আগুন নিভে না যায় স্বৈরাচারের হাতে .....
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
নয়া পাঠক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন জনাব। বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা সব মিলিয়ে কত হবে? সেই সাথে যোগ করেন ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ এর পেটোয়া সন্ত্রাসী বাহিনী। আমার মনে হয় না সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০ লক্ষ হবে হয়ত। আর আপামর জনসাধারণের সংখ্যা কত? আসলে কিছু কিছু হিসেব মনে হয় সংখ্যা দ্বারা করা যায় না। যদি করা যেত কয়েক হাজার ইংরেজ সেনার হাতে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হত না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন, সাহস, নৈতিকতা আর একতা। আমরা যদি সব দায়িত্ব অন্যদের উপরে ছেড়ে দিয়ে ভাবি তারাই সব করবে, আর আমরা নিরব দর্শক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখব, তাহলে আবার স্বৈরশাসকের অত্যাচার অবিচার আর নিষ্পেষনে প্রতিটা মানুষের জীবন আজ যেমন দশা হয়েছে, ভবিষ্যতে হয়তবা এর চেয়েও বেশি হয়ে যাবে। কারণ অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে তা কেবল বাড়তেই থাকে, অতএব সমাধান তো আপনার হাতেই, কি করবেন আপনি?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
আহলান বলেছেন: বিজয়ের জন্য প্রয়োজন, সাহস, নৈতিকতা আর একতা। আরো একটা উপাদান খুব বেশী প্রয়োজন- সেটা হলো যোগ্য আস্থাভাজন নেতৃত্ব। যার অভাব আছে আমাদের ... !
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩
নয়া পাঠক বলেছেন: নেতৃত্বের অভাব আছে একথা ঠিক। কিন্তু এই অভাবের জন্য বসে থাকলে তো চলবে না, তাতে অন্যায় আরো বাড়তেই থাকবে, দেশ আরোও বেশি নেতৃত্বশূন্য হবে, আমাদের মেরুদণ্ড বলে কিছুই আর অবশিষ্ট রবে না, এমনিতেও এখন যে খুব বেশি অবশিষ্ট রয়েছে তাও না। পথে নামলে পথই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে। আমরা কি সবসময় যা ভাবি তা সঠিক হয়, হয় না; কখনও কখনও হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত কিছু পেয়ে যাই আমরা। তবে এর জন্য আমাদের থেমে থাকলে চলবে না, চলতে হবে একসাথে।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য সত ছিলো না।এই আন্দোলন যে একদফায় যাবে এটা প্রথম দিনই বলেছি যে দিন নুরু ছাত্রদের সামনে বক্তব্য দিলো।নুরু শিবিরের চেলা।আর সে ছাত্র না।তার এখানে কি কাজ।এখন নেতৃত্ব দিবে বিএনপি কারণ জামাত নিষিদ্ধ।প্রথম থেকেই নির্দেশ আসছে লন্ডন থেকে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
আহলান বলেছেন: এভাবে এতো সহজে দুয়ে দুয়ে চার হয়ে গেলে তো এই আন্দোলোন এত দূর আসার কথাই না। তবে সরকার যেভাবে কঠোর হাতে এই আন্দোলোন দমানোয় স্বচেষ্ট ছিলো, তাতে তো অঙ্কুরেই বিণাশ হওয়ার কথা। ছাত্রলীগ পুলিশ আনসার বিজিবি সেনা বাহিনী হেলিকপ্টার ট্যাঙ্ক কি নাই যা ব্যবহার করে নাই! ডিবি অফিসে নিয়ে তাদেরকে যে টর্চার করা হয়েছে, সেটাও জাতি দেখেছে। তার পরেও যখন ছাত্রদেরকে দমাতে অপারগ তখন আলোচনার দরজা খোলা হলো। ততদিনে হাজার খানেক লাশ পড়ে গেছে। উদ্দেশ্য যাই থাক (যদিও সেটা বিচার করার মতো তথ্য উপাত্ত কারোর কাছেই নেই) এই অবস্থায় আসতে তাদেরকে অনেক অনিশ্চিত পথে যাত্রা করতে হয়েছে।ঠিক যেমনটি ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা করেছিলেন। কি হবে না হবে সে সব না ভেবে খালি হাতে নগ্ন পায়ে স্বাধীনতা অর্জনে তারা ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। আচ্ছা যদি সরকার জানতোই যে আন্দোলন এই পর্যায়েই আসবে, তাহলে শুরুতেই কেনো ছাত্রদের দাবী মেনে নিলো না, তাহলে তো শুরুতেই শেষ হতে পারতো ... এখন এসব ব্যাখ্যা দিয়ে দুয়ে দুয়ে চার মেলানো মানসিক সান্তনা ছাড়া আর কিছু না ...
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলার আকাশে আজ দূর্যোগের ঘনঘটা!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
আহলান বলেছেন: বাংলার আকাশে দূর্যোগ কোন কালেই কম ছিলো না .... যা আমাদেরই সৃষ্টি ... পারস্পরিক কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করে নিজেদের আখের গোছানোর রাজনীতি যতদিন না বন্ধ হবে, ততদিন এই দূর্যোগ কাটবে না।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি যে অঞ্চলে থাকি সেখানে আন্দলন খানিক টা ঝিমিয়ে গেছে এই এক দফার চক্করে। একটা যৌক্তিক সফল আন্দোলনের সুবিধাবাদদের লোভে পরে অপমৃত্যু হতে যাচ্ছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩০
আহলান বলেছেন: জি , আপনি ঠিক বলেছেন। অর্থনীতির চাকা সচল না থাকলে, মানুষ কিভাবে সার্ভাইভ করবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০২
কাঁউটাল বলেছেন: