নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

২য় স্বাধীনতার মেয়াদ কত দিন তা সমন্বয়কদের আচরণের উপর নির্ভর করছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩২





ছাত্র জনতার গন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা- আমাদের অনেকের মনে খুশির দোলা জাগিয়েছে। আমরা প্রাণ খুলে দুটো কথা বলতে পারছি। নিজেদের ভালো লাগা মন্দ লাগাকে প্রচার করতে পারছি। হোক সেটা কারোর পক্ষে, কারোর বিপক্ষে। আমরা ধরে নিয়েছি যে, এতে কারোর লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। এতে কেউ রেগে গিয়ে আমাদেরকে গুম করবে না। এটাই তো আমাদের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। যা এতো দিন স্বৈরাচারি আচরণের দ্বারা কুক্ষিগত ছিলো।

এই যে মানুষের মধ্যে মত প্রকাশ করতে না পারার আক্ষেপ থেকে মানুষ কতটা বিপ্লবী হয়ে উঠতে পারে, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ কিন্তু সমাজে আছে। আর সমাজের এই দর্পণ হিসাবে কাজ করে সংবাদ মাধ্যম, যার মাধ্যমেই মানুষের এই মত প্রকাশিত হয়। আজকে যদি আপনি ভালো কে ভালো আর খারাপ কে খারাপ না বলতে পারেন, তবে এর জন্য একদিন আপনাকে পস্তাতে হবে। যেমন পস্তাতে হয়েছে সাবেক সরকার প্রধানকে। সমাজে তার সম্পর্কে মানুষের ধারণা কেমন, তার শাষন ব্যবস্থাকে মানুষ কতটা ঘৃণা করে এসব যদি গন মাধ্যমে উঠে আসতো আর উনি যদি সেটা আমলে নিতেন, তবে হয়তো এই দিনটা তাদেরকে দেখতে হতো না।

গত দিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনাব সাখাওয়াত যা বলেছেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিত সমন্বয়ক জনাব হাসনাত যে রিএকশন দেখিয়েছেন, যে বক্তব্য রেখেছেন তা দেখে আমি সত্যিই হতাশ। আমি একা নই। সমাজের অনেকেই এখন তাদেরকে নব্য স্বৈরাচার বলে আখ্যা দিতে শুরু করেছে। তাদের যে বিপ্লব মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে, সেটাই আবার ম্লান হতে শুরু করেছে।

আওয়ামিলীগ তো নিষিদ্ধ কোন জঙ্গি সংগঠন নয়। তাদেরকে দেশে অরাজকতা নাশকতা বা ষঢ়যন্ত্র বা প্রতি বিপ্লবী না হয়ে সঠিক ভাবে রাজনীতি করতে উপদেশ দেয়া কি একজন উপদেষ্টার জন্য অপরাধ? সে কি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বা অন্য কোন দলের উপদেষ্টা? সে তো বাংলাদেশের বর্তমানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। সে কি সাবেক আই জি পি মামুনের মতো লীগের একজন কর্মীর মতো বক্তব্য দেবে? এটা কি কেউ আশা করে?

আমি আরো একটি বিষয়ে আমার কথা বলতে চাই, সেটা হলো বর্তমান এই সরকারে উপদেষ্টা হিসাবে দুইজন সমন্বয়ককে উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দেয়া মোটেও ঠিক হয়নি। রাস্তায় আন্দোলোন আর সরকার পরিচালনা দুটো ভিন্ন বিষয়। আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন সফল বিপ্লবী কিন্তু রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে তিনি একজন ব্যর্থ নায়ক। সূত্র একই। রাস্তায় আন্দোলোন করে বিজয় অর্জন আর সরকার পরিচালনা এক বিষয় নয়। আমাদের নব্য সমন্বয়কদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। উপদেষ্টা হতে গেলে যে বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা, ধী শক্তি ম্যানার প্রয়োজন, তার কোনটাই তারা অর্জন করে নাই। এই দুইজনের উপদেষ্টা হিসাবে পদ পাওয়ার ফলে অন্যান্য সমন্বয়কদের সাথে তাদের মধ্যে একটি বৈষম্যও তৈরী হয়েছে বলে আমি মনে করি- যা তাদের একতাকে দূর্বল করছে। ফলে এতে তাদের ইউনিটিতেও ফাটল ধরতে বাধ্য। ফলে আমরা এই অভাগা জাতি যেই লাউ সেই কদুই থেকে যাব।

আমি চাইলেই একটা প্লেন নিয়ে আকাশে উড়তে পারি না। জাহাজ চালাতে পারি না। তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা। দক্ষ ও যোগ্য মানুষ সঠিক জায়গায় কাজের সুযোগ পাক - এটাই হওয়া উচিৎ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলোনের লক্ষ্য, অথচ সেই আন্দোলোনের যের ধরে সেখানে তারাই অযোগ্য অদক্ষ উপদেষ্টা হয়ে বসে গেছেন। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আপাতত আর কি হতে পারে! মনে হয় না এই স্বাধীনতা মেয়াদ আমাদের বেশী দিন উপভোগ্য হবে ....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.