![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্ঘুম জেগে থাকার নাম হতে পারে স্বপ্ন অথবা শুধুই একটি রাত..।
লোকটা আড়মোড় ভেঙ্গে বেঞ্চি থেকে উঠে বসলো । রাতে একটু ঠান্ডা বেশি পড়লেও এই বেঞ্চিটাতে ঘুমাতে একটু আরাম পাওয়া গেছে, বেঞ্চির পাড়টা উত্তরমুখী তাই উত্তরের বাতাস পাওয়া যায় না । শীতকালের প্রধান দুইটা পরিবর্তন হলো, বাতাস উত্তর থেকে বয়, আর সূর্য দক্ষিণে হেলে যায় । লোকটা এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে না দেখে বেঞ্চির পেঁছনে গিয়ে প্রাতঃকালীন প্রাকৃতিক কর্ম সারতে বসে গেলো । লোকটা জানে সে আজ আর এই বেঞ্চিতে ঘুমাবে না, হয়তো ঘুমাবে অন্য কোন পার্কে, অন্য কোন বেঞ্চিতে । তাই সে এখানে ঘুমানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক কর্মটাও সারলো ।
লোকটা কাজ সেরে উঠে হাত থেকে বস্তাটা ছেড়ে দিলো, আর বস্তাটা তার বুক থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে দিলো । পাছার উপরে গোলাপী কালিতে লেখা 'গরীবের বন্ধু বস্তালয়' । সে পার্ক পেরিয়ে রাস্তা এসে পড়লো । স্যুট, টাই, ইন করা ভদ্রলোকগুলো ঝুলছে বাসের হাঁতল ধরে, কেউ কেউ দৌঁড়াচ্ছে সেই বাসে একটু পা ফেলার জন্য। লোকটার দৃষ্টি সে দিকে নয়, রাস্তার কিনার ঘেঁসে সে হাঁটছে অন্য কোন পার্কের খোঁজে, অন্য কোন বেঞ্চির জন্য । সবার উদ্দেশ্য থাকে, তেমনি তারও আছে ।
সকালে জগিং সেরে মাঝ বয়সী দুইটা ভদ্রলোক পার্কের বেঞ্চিতে বসলো । পেপার খুলতে খুলতে একজন বললো, জীবন মানেই যন্ত্রণা, গত তিনমাসে কম্পানির প্রফিট কমেছে দুই শতাংশ, এ নিয়ে খুব টেনশনে আছি, কোম্পানির ভবিষ্যত যে কী হবে কে জানে । অন্যজন এদিক ওদিক কী খুঁজতে খুঁজতে অন্যমনস্ক হয়ে বলতে লাগলো, টেনশানের কী আছে এর আগের মাসেই তো ডাবল লাভ করেছিস । সে বললো, ওতো লাভ হয় নি, স্যোশাল ওয়েলফেয়ার করতে গিয়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেই তো বেশকিছু টাকা খসে গেলো । অপরজন বললো, তোর কাছে কী কোন গন্ধ লাগছে ? সে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক নাক টেনে বললো, হ্যা লাগছে, কোথা থেকে আসছে এমন বিশ্রি গন্ধ ? অপরজন বললো, চল এখান থেকে, অন্য কোন বেঞ্চিতে বসি । এ বলে তারা উঠে গেলো আর বলতে লাগলো, নাহ এ দেশ থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।
এই বেঞ্চিতে দুর্গন্ধের কারণে কয়েকদিন কেউ বসতে পারলো না । এরপর এদিকে বসতে আর তেমন কেউ আসলো না, আস্তে আস্তে বেঞ্চি ঘিরে ঘাসগুলো বড় হতে লাগলো । একটা সময় বেঞ্চিটা লতাপাতায় পরিবেষ্টিত হয়ে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে রইলো ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: বাহ! চমৎকার গল্প।
শুভ কামনা জানবেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩
সুমন কর বলেছেন: মূল বিষয়টি গল্পে ফুঁটিয়ে তুলতে পারেন নি বলে, আমার মনে হল !!
তবে শুরুটা ভালো লাগছিল।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
গল্পক বলেছেন: লেখাটায় মূলভাবটা ফুটিয়ে তোলা থেকে বড় পরিসরে মানুষের অর্থনৈতিক এবং নৈতিক আচরণের একটা চিত্র তুলে ধরা উদ্দেশ্য ছিল ।
ধন্যবাদ ।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগছিল পড়তে। কিন্তু অসমাপ্ত রয়ে গেলো লেখাটা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
গল্পক বলেছেন: লেখাটা ছোট পরিসরে লেখা তাই হয়তো অসমাপ্ত মনে হয়েছে । এই লেখাগুলোকে আসলে বড় আকারের ছোট ভার্সন বলা যায় । বড় করে লেখবো হয়তো পরবর্তিতে ।
ধন্যবাদ ।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কী বোঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারিনি
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
গল্পক বলেছেন: গরীবের বন্ধু বস্তালয় ।
স্যুট, টাই, ইন করা ভদ্রলোকগুলো ঝুলছে বাসের হাঁতল ধরে, কেউ কেউ দৌঁড়াচ্ছে সেই বাসে একটু পা ফেলার জন্য।
গত তিনমাসে কম্পানির প্রফিট কমেছে দুই শতাংশ, স্যোশাল ওয়েলফেয়ার করতে গিয়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেই তো বেশকিছু টাকা খসে গেলো ।
নাহ এ দেশ থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।
একটা সময় বেঞ্চিটা লতাপাতায় পরিবেষ্টিত হয়ে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে রইলো ।
.....
গল্পটায় উপরের লাইনগুলো জরুরী। প্রথম লাইনে- শীতে যেখানে মানুষ সুয়াটার, ব্লেজার পড়ছে সেখানে এই লোকটির জন্য বস্তাটাই বড় বন্ধু যা আসলে সুশীল সমাজে খুবই বেমানান এবং নিকৃষ্ট ( এখানে দু'টির ব্যপক ব্যবধানও বোঝানো হয়েছে) । দ্বিতীয় লাইনে- যে সব লোকগুলো বাসে ঝুলছে তাদের সাথে লোকটার ড্রেস কোডে আক্ষরিক অর্থে তেমন পার্থক্য নেই, তারা খুব ভাবের জামা কাপড় পরেও হাতলে ঝুলছে আর সেখানে লোকটা গায়ে বস্তা পরেও সুখী মানুষের মত আরামসে যাচ্ছে । তৃতীয় লাইনে- এখানে ব্যাক্তিটি তার কম্পানির প্রফিট কমেছে, আর শীত বস্ত্র বিতরণের কারণে তার লস হয়েছে সেই চিন্তায় মগ্ন, এর অর্থ এই যে শীতে যারা খুব দুর্ভোগে আছে তাদের চিন্তা তার কাছে অর্থহীন , তার আফসোস তার রবোটিক কম্পানিটির জন্য । চতুর্থ লাইনে- যে দুর্গন্ধের ফলে তারা দেশকে তাচ্ছিল্য করছে, মুল অর্থে এই দূর্গন্ধ তাদের দ্বারাই তৈরী হয়েছে, তারা সেটা বুঝতে পারে না । পঞ্চম লাইনে- বেঞ্চিটাকে একটি দেশের প্রতিকৃত হিসেবে ধরেছি, যাকে আমাদের দ্বারা সৃষ্ট দূর্গন্ধ ঘিরে আছে, আর তা আমরা জানতেই পারি না, তাই তা পরিস্কারের বদলে অবহেলা করি আর দেশ পঁচে গেছে বলে নাক ছিটকাই, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করি ।
ধন্যবাদ ।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
হাসান নাঈম বলেছেন: ভাল গল্প। তবে মুল বক্তব্যটা বুঝতে পারলাম না।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
গল্পক বলেছেন: পাঁচ নাম্বার প্রতি মন্তব্যে একটু ব্যাখ্যা করেছি ।
ধন্যবাদ ।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প ।ভালো লাগলো ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্প নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা পড়ার পরে সারমর্মটা ধরতে পারলাম। বেঞ্চের প্রতীকটা চমৎকার হয়েছে।
অতিশয়োক্তি নাই, পুরাই বাহুল্যবর্জিত গল্প। এক কথায় অনবদ্য।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: পেপার খুলতে খুলতে একজন বললো, জীবন মানেই যন্ত্রণা। এই কথাটি খুব ভাল লেগেছে। গল্পটি ভাল ছিল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: বেঞ্চের প্রতীকটা আসলেই ভাল হয়েছে। শুভকামনা রইল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
গল্পক বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
আনু মোল্লাহ বলেছেন: চমৎকার গল্প হয়েছে। ধন্যবাদ