নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তি চোর

গুপ্ত চোর

লিংকন_ফেণী

প্রযুক্তি লিখক

লিংকন_ফেণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি সুপারভাইজার নই, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বলছি

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

***ষড়যন্ত্রকারীদের যুক্তি ও জবাব***



কতিপয় নির্বোধ যুক্তি দেখান যে:

ডিপ্লোমা নার্স দের কি ডাক্তার বলা হয়?

প্যারা-মেডিকেল বা 'ম্যাটস' এর

ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েট গণ কি ডাক্তার

উপাধি পায়?

পায় না।

তাহলে আপনারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গণ

কেন ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন।

সুন্দর চমৎকার যুক্তি।

যেন বলছেন যে

ইংলিশ এ অনার্স কে কি B.Sc বলে,

তাহলে ফিজিক্স এ অনার্স কে কেন B.sc

বলা হয়???

হে গর্ধপ!!

'ডিপ্লোমা- ইন নার্সিং' এর গ্রাজুয়েট দের

যেমন Nurse বলে তেমনি "B.sc/M.sc in

Nursing" এর গ্রাজুয়েট দের ও Nurse

বলা হয়।

তাদের কেন ডাক্তার

বলা হবে রে হাম্বা??

Course টাই তো নার্সিং এর।

ডিপ্লোমা Nurse দের যদি নার্স

না বলে আয়া বলা হত তাইলে তারা ও

মাঠে নামত।

প্যারা মেডিকেল এর সাবজেক্ট হল:

# ডেন্টাল,

# প্যাথলজি,

# ফার্মেসি ইত্যাদি

এই Subject এর উপর Diploma, B.sc, M.sc,

P.hd যাই করা হোক তারা ডেন্টিস্ট,

Pathologist ও ফার্মাসিস্ট ই হবেন।

ডাক্তার কেন হবে রে গাধা??

আমাদের কোর্সে এর নাম "ডিপ্লোমা ইন

ইঞ্জিনিয়ারিং"। (Diploma in Engineering)

আমাদের ও তো সেই প্রশ্ন,

B.sc না করে ও ডিপ্লোমা নার্সেরা নার্স,

ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট রা ডেন্টিস্ট,

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট রা ফার্মাসিস্ট,

তাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার রা কেন

সুপারভাইজার???

আপনারা কি জানেন??

----------------------------------





ইন্জিয়ারিং টিমের ধারণা:



যেসব লোকের একনিষ্ট কাজের ফলে কোন শিল্প কারখানা / স্থাপনা / উন্নায়ন কার্য দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয় এবং প্রযুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়, এসব লোককে একত্রে ইন্জিয়ারিং টিম বলা হয়।

যেমন- বিজ্ঞাণী, ডিগ্রি ইন্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, দক্ষ শ্রমিক নিয়ে ইন্জিনিয়ারিং টিম গঠিত।

ইন্জিনিয়ার টিম সদস্যদের নিয়োগের আন্তর্জাতিক অনুপাত হচ্ছে- ১ : ৫ : ২৫

অর্থ্যাৎ ১জন ডিগ্রি ইন্জিনিয়ার : ৫জন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার : ২৫ জন টেকনিশিয়ান।

(বি:দ্র: অদক্ষ শ্রমিক বা day labor গণ Engineering team এর সদস্য নয়)



ইন্জিনিয়ার টিমের শ্রেণী বিভাগ:



শিল্প কারখানা / স্থাপনা / উন্নায়ন কার্য ইত্যাদির আকার আয়তন এর উপর ভিত্তি করে ইন্জিনিয়ার টিমকে ৩টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

যথা-

1. Three layer Engineering team

2. Four layer Engineering team

3. Five layer Engineering team.



Three layer Engineering team:

(1) Plan & Designer (Degree Engineer)

(2) Execution & Supervision (Diploma Engineer)

(3) Skill Worker (HSC VOC pass technician)



Four layer Engineering team:

(1) Creative Engineer (Degree Engineer)

(2) Execution & Supervision (Diploma Engineer)

(3) Skill Worker (HSC VOC pass technician)

(4) Semi Skilled worker (SSC VOC pass tecnician)



Five layer Engineering team:

(1) scientists (Phd degree)

(2) Execution ( BSc Engineer)

(3) Supervision (Diploma Engineer)

(4) Skill Worker (HSC VOC pass technician)

(5) Semi Skilled worker (SSC VOC pass technician)



ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কাকে বলে?



ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হচ্ছে একজন ব্যাক্তি, যিনি প্রাথমিক ভাবে উপ-সহকারি প্রকৌশলি পদে নিযুক্ত হোন এবং ইন্জিনিয়ার টিমের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বা মধ্যমনি হিসেবে কাজ করেন। ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার গণ উপরের স্তরের কর্মকর্তাদের থেকে কাজ বুঝে নেন এবং অধীনস্ত দক্ষ শ্রমিক/টেকনিশিয়ানদেরকে কাজ বুঝিয়ে দেন।

আর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে Supervising, Technologist & Development Engineer সৃষ্টি করা।

এই জন্য ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং কোর্স মৌলিক ইন্জিনিয়ারিং বই সমূহ ছাড়াও Book Keeping & Accounting, Business organization & Communication, industrial management সহ আরো অনেক গুলো কমার্সের বই পড়তে হয়।

বাংলাদেশে ৪৯টি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট ৩২টি টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা করানু হয়। চাকুরির প্রাথমিক অবস্থায় ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারগণ ২য় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা এবং ১০ম গ্রেড থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। ৪/৫বছর সফলতার সাথে কাজ করলে ৯ম গ্রেডে তথা প্রথম শ্রেণীর প্রকৌশলী হিসেবে প্রমোশন পান।

(বি:দ্র: Diploma is a Proffession Not Occupation)



কারিগরি শিক্ষার সেকাল - একাল সম্পর্কে মোঃ আহসান হাবীব সেতু ( ঢা. প. ই ) বলেন-



দেড়শতাধিক বছর আগে শুরু হয়েছিলো পলিটেকনিক শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য মূলত এ শিক্ষাব্যাবস্থা র পথচলা। ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা হিসেবে পরিচিত করা হয় এই শিক্ষাব্যাবস্থা কে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা যাতে উ শিক্ষা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষে দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পড়ার সুযোগ করে দেয় তৎকালীন শিক্ষাপরিষদ। ডিপ্লোমাদেরকে সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দশটি কোটা দে।



ভালই চলতে শুরুকরে ডিপ্লোমা ও অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক বছরের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখাযায় প্রতিটি বিভাগে যে দশ জন করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেওয় এক থেকে দশম স্থান অর্জন করেছে। শুরু হয়ে গেল সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ( এটা প্রথম শুরু হয় রুয়েটে )। তারা দাবিকরে কোন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তাদের সাথে পড়তে পারবে না। তাদের লাগাতার কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ডিপ্লোমাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য চালু করা হয় একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট। যার আসন সংখ্যা মাত্র বারশত। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা তা বীণা যাত্রা ও কঠিন পথে। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কমে যাওয়ায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কর্ম সংস্থানে যোগ দিতে শুরু করে। সেখানে তারা তাদের সৃজনশীল প্রতিভার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নিয়ে যায় উচ্চ শিক্ষিত বি.এস.সি প্রকৌশলীদের সমপর্যায়ে। শুরু হয়েগেল আবার দন্দ।



বি.এস.সিরা মানতে চাইলনা ডিপ্ এ পদন্নতি। শুরু হয়েগেল আন্দোলন, বৈষম্য ও শত্রুতা। এমন একটা কথা আছে, 'যে দিন থেকে কেউ ডিপ্লোমাতে ভর্তি হল, সেইদিন থেকেই সে বি.এস.সিদের শত্রু হয়ে গেল '। বি.এস.সিরা লাগাতার আবেদন জানাতে থাকল যে, ' ডিপ্লোমারা আমাদেরচেয়ে কম শিক্ষিত, তারা কোন কাজে প্রতিভা দেখাতে পারেনা, আমরা তাদের পদন্নতি মানি না '।



আবার নীল - নকশায় হারিয়ে গেল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। ২০০৮ সালে কেড়ে নেওয়া হল তাদের পদবী। তারা আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী থাকলনা, হয়েগেল "সুপারভাইজার"



লং টাইম শিক্ষা ব্যাবস্থা:

---------------------------

ফেণী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট(Gov.) এর Data telecommunication & network engineering বিভাগে ৬ষ্ঠ সেমিষ্টারে ছাত্র মুহাম্মদ মুরসালিন বলেন- আমার SSC/স্কুল – এর সববন্ধু দেশের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ছে। ছাত্র হিসেবে আমি মোটামুটিভালোই- তবে ডিপ্লোমাতে পড়ছি বলে, বন্ধুরা মাঝে মধ্যে বাঁকা চোখে দেখে। ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার হতে একজন ছাত্র্রের (১০+৪=১৪) শিক্ষা বর্ষ প্রয়োজন হয় সেখানে BSC Engineering –এ লাগে (১০+২+৪=১৬) শিক্ষাবর্ষ। ডিপ্লোমাতে ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা হচ্ছে SSC পাস অন্যদিকে ডিগ্রি ইন্জিনিয়ারিং এ HSC পাস প্রয়োজন। ডিপ্লোমা ৪বছর মেয়াদি হওয়ার সত্যেও অনেকে বলে এটি নাকি HSC সমমানের। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি ডিপ্লোমা HSC এর সমমানের হয় তবে একজন ডিপ্লোমা হোল্ডার কিভাবে ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন?

জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদি পাস কোর্স করতেও যেমন-(১০+২+২=১৪)বছর লাগে যা ডিপ্লোমার ১৪ বছরের সমমানের।.

আমার ২য় প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি পাস কোর্স ডিপ্লোমা সমমানের?

আমার ৩য় প্রশ্ন হচ্ছে, যদি ডিপ্লোমা পাস কোর্সের সমমানের হয়, তবে পার্স কোর্সের ছাত্রদের ন্যায় ডিপ্লোমা ছাত্ররা সরাসরি ৩/৪ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারে না কেন?

শিক্ষা প্রবিধান অনুসারে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক(১-৮), মাধ্যমিক(৯-১২), উচ্চ শিক্ষা।তাহলে ডিপ্লোমা কোন স্তরের শিক্ষার আওতায় পড়ে?

Click This Link থেকে জানতে পারি যে-

In the general education stream, higher secondary is followed by college/university level education through the Pass/Honors Graduate Courses (4 years). The masters Degree is of one year's duration for holders of Bachelor Degree (Honors) and two years duration for holders of (Pass) Bachelor Degree. Higher education in the technical area also starts after higher secondary level. Engineering, agriculture, business, medical and information & communication technology are the major technical and technological education areas. In each of the courses of study, except for medical education, a 5- year course of study is required for the first degree.



এই প্রশ্নের জবাবে এম আরিফুল ইসলাম ( ইন্সট্রাকটর সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ) বলেন,



আপনাকে ধন্যবাদ এই প্রশ্নটি করার জন্য কারন আমার ও ছাত্র আছে যাদের মনে এমন প্রশ্ন আছে।



ডিপ্লোমা একটি world’s recognized education level. A level or HSC করার পরে কারিগরি ব্যবস্থায় ১ বছর পড়ালেখা করলে Technician হওয়া যায়। তারপর ১ বছর পড়ালেখা করলে Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর আরো ১ বছর মোট ৩ বছর পড়ালেখা করলে Heigher Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর ১ বছর পরে BSc এবং তার ১ বছর পরে MSc.



আমাদের দেশের HSC (12 Y) বিদেশের A level (11 Y)

BSc Engineer হতে হলে A level এর পরে ৪ বছর পড়ালেখা করতে হয়



সেই হিসাবে International standard এর Diploma certificate চাইলে HSC এর পরে ২ বছর পড়ালেখা করতে হবে। তাই Diploma ৩ বছর থেকে ৪ বছর করা হয়েছে। আর ডিগ্রী ৩ বছর। তাই Diploma Degree equivalent হয় না ।



আর একটা কথা কারিগরি ব্যবস্থার সাধারণ শিখ্যার সাথে মিলানো যাবেনা , যেমন Medical এ ৫ বছর পড়ালেখা করে তা ডিগ্রী সমতুল্য ঢাকা পিজি তে পড়ে Postgraduate হতে হয়। কিন্তু General education system এ ৫ বিছরেই Postgraduate degree পাওয়া যায়।



Diploma একটি কারিগরি Education Level general education এর সাথে এর কোন সমর্পক নেই । অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে General degree pass করা লোকজন Diploma Engineer er under এ কাজ করে।



বিদেশের মত বাংলাদেশেও Diploma এর পরে ২ বছর পড়ালেখা করলে BSc certificate দেয়া উচিৎ।



---------------

আরেক টা কথা------- অনেকে বলে ডিপ্লোমায় নাকি বাংলায় পড়া লেখা করা হয়??????

এখন প্রমাণ করবো, ডিপ্লোমারা কি সত্যি বাংলা মাধ্যমে পড়ালেখা করে নাকি?

কথাটা ১০০% সত্য না। কারণ ডিপ্লোমার সিলেবাসটা একটা আন্তজার্তিক মানের এবং ইংলিশ সিলেবাস যার রেপারেন্স সব বই বিভিন্ন বিদেশি রাইটারদের লেখা। বিশ্বাস না করলে- Click This Link

এই লিংক থেকে শুধু ডাটা টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ৮ম পর্বের সিলেবাস টা দেখতে পারেন।

তবে এই কথা সত্য যে ক্লাসের মধ্যে বাংলায় লেকসার দেয়া হয়, যা ইংরেজী মাধ্যম নামধারি বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে ও করা হয়।

আমিও একজন ডিপ্লো ছাত্র আর আমার সাবজেক্টের কোন বই এখনো বাংলা ভাষায় লেখা হয় নি তাহলে কি আমি ইংরেজী বই না পড়ে বাংলায় ক, খ শিখে ইন্জিনিয়ার হচ্ছে নাকি????

--------------------

বি:দ্র: ডিপ্লোমা প্রোগ্রামটা এক দম বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিস্টেমে ক্রেডিট/সিমিস্টার অনুসরণ করা হয়। চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করতে ১৬০ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয় যা অনার্সের সমমানের। বিশ্বাস না করলে



Click This Link

এখানে দেখতে পারেন।

---------------------





আর একটা বিষয় Diploma engineering একটি Applied Science তাতে ভাল কিছু জানতে হলে অবশ্যই Science ar Student হতে হবে। মাদ্রাসা, কলা আর ব্যবসায় শিখ্যা ছাত্র দিয়ে পলিটেকনিক ভড়লে Diploma Engineering এর মান ধীরেধীরে Technicians দের থেকেও নিচে নেমে যাবে।

------------------------------------------------

অষ্ট্রলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাটার দেখলে সব বুঝা যাবে আমরা কোথায় আছি?

অর্থাৎ ডিপ্লোমার অবস্থান কোথায়???????





সবাইকে ধন্যবাদকতিপয় নির্বোধ যুক্তি দেখান যে:

ডিপ্লোমা নার্স দের কি ডাক্তার বলা হয়?

প্যারা-মেডিকেল বা 'ম্যাটস' এর

ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েট গণ কি ডাক্তার

উপাধি পায়?

পায় না।

তাহলে আপনারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গণ

কেন ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন।

সুন্দর চমৎকার যুক্তি।

যেন বলছেন যে

ইংলিশ এ অনার্স কে কি B.Sc বলে,

তাহলে ফিজিক্স এ অনার্স কে কেন B.sc

বলা হয়???

হে গর্ধপ!!

'ডিপ্লোমা- ইন নার্সিং' এর গ্রাজুয়েট দের

যেমন Nurse বলে তেমনি "B.sc/M.sc in

Nursing" এর গ্রাজুয়েট দের ও Nurse

বলা হয়।

তাদের কেন ডাক্তার

বলা হবে রে হাম্বা??

Course টাই তো নার্সিং এর।

ডিপ্লোমা Nurse দের যদি নার্স

না বলে আয়া বলা হত তাইলে তারা ও

মাঠে নামত।

প্যারা মেডিকেল এর সাবজেক্ট হল:

# ডেন্টাল,

# প্যাথলজি,

# ফার্মেসি ইত্যাদি

এই Subject এর উপর Diploma, B.sc, M.sc,

P.hd যাই করা হোক তারা ডেন্টিস্ট,

Pathologist ও ফার্মাসিস্ট ই হবেন।

ডাক্তার কেন হবে রে গাধা??

আমাদের কোর্সে এর নাম "ডিপ্লোমা ইন

ইঞ্জিনিয়ারিং"। (Diploma in Engineering)

আমাদের ও তো সেই প্রশ্ন,

B.sc না করে ও ডিপ্লোমা নার্সেরা নার্স,

ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট রা ডেন্টিস্ট,

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট রা ফার্মাসিস্ট,

তাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার রা কেন

সুপারভাইজার???

আপনারা কি জানেন??

----------------------------------





ইন্জিয়ারিং টিমের ধারণা:



যেসব লোকের একনিষ্ট কাজের ফলে কোন শিল্প কারখানা / স্থাপনা / উন্নায়ন কার্য দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয় এবং প্রযুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়, এসব লোককে একত্রে ইন্জিয়ারিং টিম বলা হয়।

যেমন- বিজ্ঞাণী, ডিগ্রি ইন্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, দক্ষ শ্রমিক নিয়ে ইন্জিনিয়ারিং টিম গঠিত।

ইন্জিনিয়ার টিম সদস্যদের নিয়োগের আন্তর্জাতিক অনুপাত হচ্ছে- ১ : ৫ : ২৫

অর্থ্যাৎ ১জন ডিগ্রি ইন্জিনিয়ার : ৫জন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার : ২৫ জন টেকনিশিয়ান।

(বি:দ্র: অদক্ষ শ্রমিক বা day labor গণ Engineering team এর সদস্য নয়)



ইন্জিনিয়ার টিমের শ্রেণী বিভাগ:



শিল্প কারখানা / স্থাপনা / উন্নায়ন কার্য ইত্যাদির আকার আয়তন এর উপর ভিত্তি করে ইন্জিনিয়ার টিমকে ৩টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

যথা-

1. Three layer Engineering team

2. Four layer Engineering team

3. Five layer Engineering team.



Three layer Engineering team:

(1) Plan & Designer (Degree Engineer)

(2) Execution & Supervision (Diploma Engineer)

(3) Skill Worker (HSC VOC pass technician)



Four layer Engineering team:

(1) Creative Engineer (Degree Engineer)

(2) Execution & Supervision (Diploma Engineer)

(3) Skill Worker (HSC VOC pass technician)

(4) Semi Skilled worker (SSC VOC pass tecnician)



Five layer Engineering team:

(1) scientists (Phd degree)

(2) Execution ( BSc Engineer)

(3) Supervision (Diploma Engineer)

(4) Skill Worker (HSC VOC pass technician)

(5) Semi Skilled worker (SSC VOC pass technician)



ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কাকে বলে?



ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হচ্ছে একজন ব্যাক্তি, যিনি প্রাথমিক ভাবে উপ-সহকারি প্রকৌশলি পদে নিযুক্ত হোন এবং ইন্জিনিয়ার টিমের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বা মধ্যমনি হিসেবে কাজ করেন। ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার গণ উপরের স্তরের কর্মকর্তাদের থেকে কাজ বুঝে নেন এবং অধীনস্ত দক্ষ শ্রমিক/টেকনিশিয়ানদেরকে কাজ বুঝিয়ে দেন।

আর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে Supervising, Technologist & Development Engineer সৃষ্টি করা।

এই জন্য ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং কোর্স মৌলিক ইন্জিনিয়ারিং বই সমূহ ছাড়াও Book Keeping & Accounting, Business organization & Communication, industrial management সহ আরো অনেক গুলো কমার্সের বই পড়তে হয়।

বাংলাদেশে ৪৯টি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট ৩২টি টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা করানু হয়। চাকুরির প্রাথমিক অবস্থায় ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারগণ ২য় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা এবং ১০ম গ্রেড থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। ৪/৫বছর সফলতার সাথে কাজ করলে ৯ম গ্রেডে তথা প্রথম শ্রেণীর প্রকৌশলী হিসেবে প্রমোশন পান।

(বি:দ্র: Diploma is a Proffession Not Occupation)



কারিগরি শিক্ষার সেকাল - একাল সম্পর্কে মোঃ আহসান হাবীব সেতু ( ঢা. প. ই ) বলেন-



দেড়শতাধিক বছর আগে শুরু হয়েছিলো পলিটেকনিক শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য মূলত এ শিক্ষাব্যাবস্থা র পথচলা। ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা হিসেবে পরিচিত করা হয় এই শিক্ষাব্যাবস্থা কে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা যাতে উ শিক্ষা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষে দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পড়ার সুযোগ করে দেয় তৎকালীন শিক্ষাপরিষদ। ডিপ্লোমাদেরকে সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দশটি কোটা দে।



ভালই চলতে শুরুকরে ডিপ্লোমা ও অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক বছরের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখাযায় প্রতিটি বিভাগে যে দশ জন করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেওয় এক থেকে দশম স্থান অর্জন করেছে। শুরু হয়ে গেল সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ( এটা প্রথম শুরু হয় রুয়েটে )। তারা দাবিকরে কোন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তাদের সাথে পড়তে পারবে না। তাদের লাগাতার কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ডিপ্লোমাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য চালু করা হয় একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট। যার আসন সংখ্যা মাত্র বারশত। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা তা বীণা যাত্রা ও কঠিন পথে। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কমে যাওয়ায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কর্ম সংস্থানে যোগ দিতে শুরু করে। সেখানে তারা তাদের সৃজনশীল প্রতিভার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নিয়ে যায় উচ্চ শিক্ষিত বি.এস.সি প্রকৌশলীদের সমপর্যায়ে। শুরু হয়েগেল আবার দন্দ।



বি.এস.সিরা মানতে চাইলনা ডিপ্ এ পদন্নতি। শুরু হয়েগেল আন্দোলন, বৈষম্য ও শত্রুতা। এমন একটা কথা আছে, 'যে দিন থেকে কেউ ডিপ্লোমাতে ভর্তি হল, সেইদিন থেকেই সে বি.এস.সিদের শত্রু হয়ে গেল '। বি.এস.সিরা লাগাতার আবেদন জানাতে থাকল যে, ' ডিপ্লোমারা আমাদেরচেয়ে কম শিক্ষিত, তারা কোন কাজে প্রতিভা দেখাতে পারেনা, আমরা তাদের পদন্নতি মানি না '।



আবার নীল - নকশায় হারিয়ে গেল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। ২০০৮ সালে কেড়ে নেওয়া হল তাদের পদবী। তারা আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী থাকলনা, হয়েগেল "সুপারভাইজার"



লং টাইম শিক্ষা ব্যাবস্থা:

---------------------------

ফেণী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট(Gov.) এর Data telecommunication & network engineering বিভাগে ৬ষ্ঠ সেমিষ্টারে ছাত্র মুহাম্মদ মুরসালিন বলেন- আমার SSC/স্কুল – এর সববন্ধু দেশের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ছে। ছাত্র হিসেবে আমি মোটামুটিভালোই- তবে ডিপ্লোমাতে পড়ছি বলে, বন্ধুরা মাঝে মধ্যে বাঁকা চোখে দেখে। ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার হতে একজন ছাত্র্রের (১০+৪=১৪) শিক্ষা বর্ষ প্রয়োজন হয় সেখানে BSC Engineering –এ লাগে (১০+২+৪=১৬) শিক্ষাবর্ষ। ডিপ্লোমাতে ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা হচ্ছে SSC পাস অন্যদিকে ডিগ্রি ইন্জিনিয়ারিং এ HSC পাস প্রয়োজন। ডিপ্লোমা ৪বছর মেয়াদি হওয়ার সত্যেও অনেকে বলে এটি নাকি HSC সমমানের। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি ডিপ্লোমা HSC এর সমমানের হয় তবে একজন ডিপ্লোমা হোল্ডার কিভাবে ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন?

জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদি পাস কোর্স করতেও যেমন-(১০+২+২=১৪)বছর লাগে যা ডিপ্লোমার ১৪ বছরের সমমানের।.

আমার ২য় প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি পাস কোর্স ডিপ্লোমা সমমানের?

আমার ৩য় প্রশ্ন হচ্ছে, যদি ডিপ্লোমা পাস কোর্সের সমমানের হয়, তবে পার্স কোর্সের ছাত্রদের ন্যায় ডিপ্লোমা ছাত্ররা সরাসরি ৩/৪ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারে না কেন?

শিক্ষা প্রবিধান অনুসারে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক(১-৮), মাধ্যমিক(৯-১২), উচ্চ শিক্ষা।তাহলে ডিপ্লোমা কোন স্তরের শিক্ষার আওতায় পড়ে?

Click This Link থেকে জানতে পারি যে-

In the general education stream, higher secondary is followed by college/university level education through the Pass/Honors Graduate Courses (4 years). The masters Degree is of one year's duration for holders of Bachelor Degree (Honors) and two years duration for holders of (Pass) Bachelor Degree. Higher education in the technical area also starts after higher secondary level. Engineering, agriculture, business, medical and information & communication technology are the major technical and technological education areas. In each of the courses of study, except for medical education, a 5- year course of study is required for the first degree.



এই প্রশ্নের জবাবে এম আরিফুল ইসলাম ( ইন্সট্রাকটর সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ) বলেন,



আপনাকে ধন্যবাদ এই প্রশ্নটি করার জন্য কারন আমার ও ছাত্র আছে যাদের মনে এমন প্রশ্ন আছে।



ডিপ্লোমা একটি world’s recognized education level. A level or HSC করার পরে কারিগরি ব্যবস্থায় ১ বছর পড়ালেখা করলে Technician হওয়া যায়। তারপর ১ বছর পড়ালেখা করলে Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর আরো ১ বছর মোট ৩ বছর পড়ালেখা করলে Heigher Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর ১ বছর পরে BSc এবং তার ১ বছর পরে MSc.



আমাদের দেশের HSC (12 Y) বিদেশের A level (11 Y)

BSc Engineer হতে হলে A level এর পরে ৪ বছর পড়ালেখা করতে হয়



সেই হিসাবে International standard এর Diploma certificate চাইলে HSC এর পরে ২ বছর পড়ালেখা করতে হবে। তাই Diploma ৩ বছর থেকে ৪ বছর করা হয়েছে। আর ডিগ্রী ৩ বছর। তাই Diploma Degree equivalent হয় না ।



আর একটা কথা কারিগরি ব্যবস্থার সাধারণ শিখ্যার সাথে মিলানো যাবেনা , যেমন Medical এ ৫ বছর পড়ালেখা করে তা ডিগ্রী সমতুল্য ঢাকা পিজি তে পড়ে Postgraduate হতে হয়। কিন্তু General education system এ ৫ বিছরেই Postgraduate degree পাওয়া যায়।



Diploma একটি কারিগরি Education Level general education এর সাথে এর কোন সমর্পক নেই । অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে General degree pass করা লোকজন Diploma Engineer er under এ কাজ করে।



বিদেশের মত বাংলাদেশেও Diploma এর পরে ২ বছর পড়ালেখা করলে BSc certificate দেয়া উচিৎ।



---------------

আরেক টা কথা------- অনেকে বলে ডিপ্লোমায় নাকি বাংলায় পড়া লেখা করা হয়??????

এখন প্রমাণ করবো, ডিপ্লোমারা কি সত্যি বাংলা মাধ্যমে পড়ালেখা করে নাকি?

কথাটা ১০০% সত্য না। কারণ ডিপ্লোমার সিলেবাসটা একটা আন্তজার্তিক মানের এবং ইংলিশ সিলেবাস যার রেপারেন্স সব বই বিভিন্ন বিদেশি রাইটারদের লেখা। বিশ্বাস না করলে- Click This Link

এই লিংক থেকে শুধু ডাটা টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ৮ম পর্বের সিলেবাস টা দেখতে পারেন।

তবে এই কথা সত্য যে ক্লাসের মধ্যে বাংলায় লেকসার দেয়া হয়, যা ইংরেজী মাধ্যম নামধারি বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে ও করা হয়।

আমিও একজন ডিপ্লো ছাত্র আর আমার সাবজেক্টের কোন বই এখনো বাংলা ভাষায় লেখা হয় নি তাহলে কি আমি ইংরেজী বই না পড়ে বাংলায় ক, খ শিখে ইন্জিনিয়ার হচ্ছে নাকি????

--------------------

বি:দ্র: ডিপ্লোমা প্রোগ্রামটা এক দম বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিস্টেমে ক্রেডিট/সিমিস্টার অনুসরণ করা হয়। চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করতে ১৬০ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয় যা অনার্সের সমমানের। বিশ্বাস না করলে



Click This Link

এখানে দেখতে পারেন।

---------------------





আর একটা বিষয় Diploma engineering একটি Applied Science তাতে ভাল কিছু জানতে হলে অবশ্যই Science ar Student হতে হবে। মাদ্রাসা, কলা আর ব্যবসায় শিখ্যা ছাত্র দিয়ে পলিটেকনিক ভড়লে Diploma Engineering এর মান ধীরেধীরে Technicians দের থেকেও নিচে নেমে যাবে।

------------------------------------------------

অষ্ট্রলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাটার দেখলে সব বুঝা যাবে আমরা কোথায় আছি?

অর্থাৎ ডিপ্লোমার অবস্থান কোথায়???????





সবাইকে ধন্যবাদ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পুরাই ক্রিস ক্রস...জিগ জ্যাগ... B:-/

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

লিংকন_ফেণী বলেছেন: ধন্যবাদ--- একটু সোঁজা করে দেন

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হেডস্যার বলেছেন:
জ্ঞানী পোষ্ট।
মেলা কষ্ট কইরা লেখছেন।
+

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

লিংকন_ফেণী বলেছেন: ভিটামিন সি নামক ব্লগার বলেন--- : ডিপ্লোমাধারীদের অসম্মান, কাজের ক্ষেত্রে বৈষম্যতা কেবল আমাদের দেশেই। আমি ৬ বছর যাবত সিংগাপুরে আছি। এখানে দেখি কর্মক্ষেত্রে ডিপ্লোমাধারীদের বেতন, পজিশন অনেক ভালো। বাংলাদেশী অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এখানে প্রজেক্ট ম্যানেজার, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে। তাই বলি ডিপ্লোমাধারীদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। পড়ালেখার পাশাপাশি আপনার ডিপ্লোমা রিলেটেড অথবা যে বিষয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, সে বিষয়ে কোর্স করুন। তারপর যে কোন ভিসা নিয়ে চলে আসুন প্রবাসে। প্রবাসে আপনার ডিপ্লোমা না বিএএসসি এটা দেখে না; দেখে আপনি কতটুকু কাজ পারেন। প্রবাসে এসে আপনি বসের সাথে কথা বলে আপনার পজিশন বুঝে নিন। তা না হলে দেশে কোন একটা সুবিধাজনক জবে ঢুকে বিএসসি টা কোন প্রাইভেট ইউনি থেকে করে নিন। ইভিনিং এ বিএসসি করা খুবই সহজ যদি একটু ধৈর্য্য ধরেন। এই বছর থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স কোর্স চালু করেছে। ভর্তির যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স রাখা হয়েছে। সো নো টেনশন ভায়া।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

লিংকন_ফেণী বলেছেন: আমি সুপারভাইজার নই, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বলছি বাংলাদেশ


টিউন করেছেন : আইটিরঙ বিডি | প্রকাশিত হয়েছে : 20 October, 2013 সময় - 7:43 pm | 22 বার দেখা হয়েছে | 16 জন প্রিয় করেছে
3লেখাটি http://www.cnhnews24.com/?p=8307 থেকে কপি করা।

বাংলাদেশে একের পর এক হামলা আসছে ডিপ্লোমাইঞ্জিনিয়ারদের উপর। কেন? শারীরিকভাবে হত্যা নয় মানসিক ভাবে খুন করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের. কাজের ক্ষেত্রে না নিচে না উপরে , কার্য ক্ষেত্রে সকল চাপ একজনের উপর ,নিচে থেকে প্রশ্ন ,উপরে দিতে হয় উত্তর ,তার উপর পদবি কেড়ে নেয়া .এ কি মেনে নেয়া যায়?আমি আমর সন্তান কে কোন দিন ও ডিপ্লোমা পড়াবো না ,একাত্তরে যেমন করে মা বনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিলো পাকিস্তানীরা ,মদদ করেছিলো রাজাকার আল বদর এখন দেশীয় দালাল রা সে রকম পিছু লেগেছে ,কি করে নিঃশেষ করা যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের.এতই যখন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কতিপয় লোকের চক্ষু শূল ,তাহলে কেন চালু রাখা এই কারিগরী প্রতিষ্ঠান ?কেন প্রতারনার জন্য বেঙ্গের ছাতার মত সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান? কেনো ধোকা দেয়া হচ্ছে কারিগরী শিক্ষার নামে ? সরকার কেনো ব্যস্ত এখন সুপারভাইজার পদবী দেয়ার জন্য? বিরুধী কিংবা ডান -বাম দল কোন কথা বলছে না ? তাদের ছেলে মেয়েরা, সন্তানরা কি কেউ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে না? নাকি বড় বড় নেতাদের সন্তানরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন বলে। দেশের শিক্ষাবিদ,দার্শনিক,টক শো তারকারা চুপ করে আছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দুর্দিনে। নিউজ বা মিডিয়ার আয়োজকরা শুধু রাজনৈতিক চুল টানা টানি ,চুদুর বুদুর নিয়ে ব্যস্ত .এই সমস্যা কি তাদের দৃষ্টিগোচরে আসছে না ?ঠিক আছে চার বছর কোর্স করলে যদি সুপারভাইজার হয়, তাহলে ছয় বছর যারা পড়াশোনা করে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন তাদের পদবী সিনিয়র সুপার ভাইজার করা হউক .দেখি তাদের কলিজায় লাগে কিনা?ইসলামের গায়ে হাত দিলে রক্ষা নাই,দেশের মানচিত্রে ,শহীদ মিনারে হাত দিলে রক্ষা নাই ,শিখ জাতির পাগড়িতে হাত দিলে রক্ষা নাই,তেমনি ডিপ্লোমার সাথে ইঞ্জিনিয়ার পদবীতে কাট ছাট করলে রক্ষা নাই .এ যে আমাদের মান ইজ্জত,বেইজ্জতি , অস্তিত্বের প্রশ্ন .যখনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্ররা কোন ন্যায্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কতিপয় মধ্যস্তা কারী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ,পরীক্ষার অজুহাতে লন্ড ভন্ড করেছে .দমিয়ে দিয়েছে আন্দোলন।পরীক্ষা দিবে না আন্দোলন করবে। হায়ার ডিপ্লোমা আন্দোলনে ১৯৯২ সালে আমদের সাথে চেলেছিল এই রকম কুট চাল কিন্তু আমরা পিছ পা হই নি .আমরা তিন বছরে শেষ করেছিলাম কোর্স।আমরা বুঝেছিলাম তিন বছর আর চার বছর ডিগ্রির পদ মর্যাদা কোন দিন ই আমরা পাবো না।এখন হায়ার ডিপ্লোমা শেষ,ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শেষ, করতে চাইছে সুপারভাইজার।

যারা নিজেদের সন্মান দিতে জানে না তারা অন্যের কাছে কি ভাবে সন্মান আশা করবে?বিশ্বে বিভিন্ন দেশে জাতীয়পরিচয় পত্র ও এডুকেশনাল সার্টিফিকেট এর পাশা পাশি শিক্ষা গত যোগ্যতার সরকারী ভাবে আই ডি কার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে যদি পূর্ব পাকিস্থান এর পর থেকে অর্থাত ১৯৭২ সাল থেকে সুপার ভাইজার ডিপ্লোমা খোলা হতো তা হলে হয়তো এত ডিপ্লোমা বেকার থাকতো না .কারন এই টাইটেল এর জন্য লক্ষ ছাত্র এই লাইনে পরা শোনা করতো না আমদের সময়ের তিন আর বর্তমানের চার বছরের কোর্সে কত লক্ষ টাকা সরকার সাবসিডি দিচ্ছে আর প্রত্যেক ছাত্রের কত লক্ষ্য টাকা খরচ হচ্ছে .আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে সব ছাত্র ছাত্রী মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং ,বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগ পায় না তারা অন্তত বিকল্প পথে ডিগ্রী করার স্বপ্ন দেখে।কেউ অল্প সময়ে একটা সন্মান জনক সার্টিফিকেট নিয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ধরতে চায় পরিবারের হাল।স্বল্প সংখ্যক বিত্তবান ঘরের দুলাল দুলারী রা এই ডিপ্লোমা পরলেও মধ্য বিত্ত আর নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা নামের সাথে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি জুড়তে চায় .আজকের সাহিত্যিক,সাংবাদিক,লেখক,কলামিষ্ট ,দেশে দেশের বাইরে অনেক ডিপ্লোমা ধারী ব্যক্তি বর্গ রয়েছেন সন্মানীয় পর্যায়ে .আমি আজ ও বুঝতে পারিনা কেনো যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এই চক্রান্ত .ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যাটা কোথায়?তাদের প্লেটের খাবারট কেউ কেড়ে নিচ্ছে না .চাকুরী স্থলে পদবীর রয়েছে আনুপাতিক হার।তবে তারা বার বার কেন সর যন্ত্র করছেন? সন্মান গেলে চার বছর পরা শোনা কি দরকার , নাইট কলেজে ট্রেড করলেইতো হয় ৬ মাস কিংবা ১ বছরের।কেন বাবা মায়ের লক্ষ টাকার ক্ষতি .রাত জেগে সেশনাল খাতা তৈরী করা।জব রিপোর্ট তৈরী করা।ভোর হতেই খালি পেটে বিশাল ড্রইং বোর্ড কাঁধে দৌড় .যেখানে সরকারের উচিত ডিগ্রির মর্যাদা দেয়া এডুকেশনাল ইয়ার বিবেচনা করে সেখানে উল্টো বানানো হচ্ছে সুপারভাইজার ডিপ্লোমা।আমার পরামর্শ এ বছর থেকে পলিটেকনিক গুলিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করা হউক .যাদের কোর্স চলমান তাদের টা চলুক .তারা তাদের যোগ্য সন্মান নিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সার্টিফিকেট অর্জন করুক।সরকার ঘোষনা দিক বাংলাদেশে কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নাই আছে শুধু ট্রেড বা সুপারভাইজার কোর্স। তা হতে হবে এক বছর বা ছয় মাস মেয়াদী . দেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে .বাংলাদেশে ছেলে মেয়েরা ব্যক্তি উদ্যোগে উন্নতি করছে, বয়ে আনছে বহিঃ বিশ্ব থেকে অর্থ সন্মান কিন্তু দেশের কিছু কুট চালের পন্ডিত সব সময় সর যন্ত্র করছে কিভাবে দমিয়ে রাখা যায় জাতিকে .হাতে কলমে শিক্ষিত একজন ডিপ্লোমা কাজের ক্ষেত্রে যখন দুই বছরের অভিজ্ঞ তখন একজন ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার চাকুরিতে আসে তখনি সমস্যার সৃষ্টি .কাগুজে জ্ঞান আর হাতে কলমে শিক্ষার সামঞ্জস্যতা আনতে যে সময় টুকু ব্যায় তাই তারা সয্য করতে পারেন না .আর যদি কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান প্রমোশন দেয় কোন ডিপ্লোমা কে তা হলে তো মনে হয় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা .আমি বর্তমানে ডি যে বিল্ডার্স নামে র কোম্পানিতে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আমার যদি এই ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট না থাকত তা হলে আমি কিভাবে এই পদোন্নতি পেতাম .আমার যতই যোগ্যতা থাক। আমার পাশ ও এস পাশ ,যাকে বলা হয় ওয়ার্ক পারমিটের একটু উপরে। মধ্য প্রাচ্যের সৌদি, ওমান ,দুবাই ,কাতার ও এখানে সিঙ্গাপুর কত ডিপ্লোমা ভালো পজিশনে কাজ করছেন তাদের সার্টিফিকেট এর জন্যে , আমি যখন দেশে যাই কষ্ট পাই বিমান বন্দরে তাদের ব্যবহার।কষ্ট পাই রাস্তা ঘাটে বাজারে কারন আমরা সন্মান দেয়া শিখিনি .আমার দেশের সরকার যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সন্মান না দেয় তা হলে প্রবাসে ডিপ্লোমাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেবে না .তাই এদের এই সব হীন ইচ্ছা ত্যাগে বাধ্য করা উচিত .বন্ধ করা উচিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নামের প্রহসনের কোর্স।কোর্স না থাকলে অন্য সাবজেক্টে পড়াশোনা করবে আমার বংশধর।তাহলে হলে আমার উত্তর সূরিদের সইতে হবে না অপমান- লাঞ্চনা . সে দিন ফেস বুক কমেন্টসে দেখলাম এক ভাই লিখেছে “আমি সুপারভাইজার নই ,ইঞ্জিনিয়ার”.
সিঙ্গাপুর থেকে -মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু-প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ,ডি জে বিল্ডার্স ,সিঙ্গাপুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.