নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাইফবার্গ

লাইফবার্গ

মহামনীষীদের শিখিয়ে দেয়া শিক্ষায় শিক্ষিত এক অবুঝ...

লাইফবার্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের প্রমিত উচ্চারণ নিয়ে দ্বিধা

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

যারা বাংলা ভাষায় প্রাঞ্জল ও শুদ্ধ ভাবে লিখে থাকেন, তাঁদের কাছে জানতে চাই। এই লেখাটির সূত্রপাত সিনেমা শিল্পের কিছু শব্দ নিয়ে নিজের মনে ঘটে চলা দ্বন্দকে সবার সামনে নিয়ে আসা ও এই আলোচনা থেকে নতুন কিছু শেখা। খুব বেশি ভূমিকায় না গিয়ে যদি বলি, বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের প্রচলিত রূপ কিভাবে শুরু হয়েছিল, সেটা বিশেষতঃ জানতে চাই। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, যদি কোনও লেখক যে কোনো বিদেশী শব্দকে উচ্চারণ ঠিক রেখে যদি লিখতে চায়, আর এই ক্ষেত্রে যদি বাংলা ভাষায় প্রচলিত কোনো শব্দ থেকে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক কিভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে? যেমন, লিপ্যন্তর, প্রতিলিপিকরণ বা প্রতিবর্ণীকরণ, কোনটি সঠিক বলে ধরে নেয়া যায়? যারা ভাষাজ্ঞানে দক্ষ তাঁরা হয়তো এখানে তাদের মতামত দিয়ে সবার জন্য বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে উপস্থাপন করতে পারবেন। যারা নিচের শব্দগুলোর সাথে পরিচিত নন, এবং সিনেমা নির্মাণে উৎসাহী, তাঁরা বিষয়গুলোর সাথে পরিচিত হতে পারেন। আজকে নিচের চারটি শব্দ তুলে ধরতে চাই:

১. Auteur উচ্চারণ [ফরাসি: উতার, ইংরেজি: অটার, বাংলা: অঁতর]

প্রশ্ন: যদি বাংলায় উতার লিখি, তাহলে সেটা কি সঠিক? যদি না হয়, কেন? কেন বাংলায় চন্দ্রবিন্দু দিয়ে (অঁ) শুরু হবে?

২. Montage উচ্চারণ [ফরাসি: মোন্তাজ, ইংরেজি: মন্টাজ, বাংলা: মন্তাজ]

প্রশ্ন: যদি বাংলায় 'মোন্তাজ' লিখা হয়, সেটা কি বাংলায় প্রচলিত 'মন্তাজ' এর সাথে সাংঘর্ষিক?

৩. Noir উচ্চারণ [ ফরাসি: নোয়াহ্, ইংরেজি: নোয়ার, বাংলা: নোয়া] এখানে উল্লেখ্য, নোয়া একটি বাংলা শব্দও বটে, যার অর্থ ১. /বিশেষ্য পদ/ লৌহ; লোহার চুড়ি এয়োস্ত্রীর লক্ষণ। ২. /ক্রিয়া পদ/ অবনত হওয়া; ঝুঁকে পড়া।

প্রশ্ন: বাংলায় নোয়াহ্ লিখলে কি ধরণের ব্যাকরণগত বা ভাষাগত ভুল হবে?

৪. Avant Garde উচ্চারণ [ফরাসি: আভঁ গার্দহ্, ইংরেজি: আভং গার্ড, বাংলা: আভা গার্দ]

প্রশ্ন: আভঁ গার্দহ্ লিখলে বাংলায় বেশি প্রচলিত 'আভা গার্দ' এর কি কোনো ভাষাগত বিচ্যুতি হয়?

আমি রেফারেন্স হিসাবে, স্ব-স্ব ভাষার মাতৃ ভাষাভাষীদের উদাহরণকে নিয়েছি। এছাড়াও, আমি বাংলা একাডেমি'র এবং পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি'র যেকোন তথ্যসূত্রকে প্রাধান্য দিতে চাই। ভাষা নিয়ে যারা দক্ষ, তাদের মতামতই আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। এছাড়াও, ব্যক্তিগতভাবে, আমি ভাষার বিকাশে বিদেশী শব্দের যেকোন শব্দের ব্যবহারে মূল ভাষার অবিকৃত উচ্চারণকে বেশি প্রাধান্য দিতে চাই। আমি মনে করি, এই আধুনিক যুগে এসে মূল ভাষার উচ্চারণের ব্যবহার আমাদের ভাষাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলবে, উল্লেখ্য, যদি কারো উচ্চারণগত সমস্যা না থেকে থাকে, তাহলে মূল ভাষার উচ্চারনে লিখলে বাধা কোথায়?

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ৭৬৪ বার পঠিত, সর্বাধিক পঠিত পোস্টের তালিকায়, কিন্তু কোনো মন্তব্য লাইক নেই--ঘটনা কী!

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৪

লাইফবার্গ বলেছেন: ঘটনা সহজ, গোলমেলে বিষয়, এড়িয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। :D

২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যে কোনো ভাষায়ই বিদেশি শব্দ প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
দরকার পড়লে অল্প একটু পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা যেতে পারে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৭

লাইফবার্গ বলেছেন: সহমত। আমি আরো মনে করি, বিদেশী ভাষার শব্দ অবিকৃত অবস্থায় যে কোনো ভাষায় আসা উচিত। তাতে বাংলা ভাষা আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো বিষয়ের উপর লিখেছেন। বিষয়টা জটিল। এর সমাধান পাওয়া দুরূহ। আপাতত আপনি নীচের দুটো পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন, কোনো সলিয়্যুশন পান কিনা।

বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস

বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের প্রচলিত রূপ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা ভাষা ইতিহাসবিদদের বিষয়। তবে, অনুমান করে বলা যায়, আদিতে যখন বিদেশী ব্যবসায়ী বা পর্যটকরা এদেশে আসতেন, তাদের কথাগুলো এদেশীরা যেভাবে উচ্চারণ করতেন, সেভাবেই লিখতেন। অন্যদিকে, এদেশীরাও বিদেশে গিয়ে বিদেশী শব্দ আমদানি করে বাংলায় এনেছিলেন। কিছু শব্দের বহুল ব্যবহারে বাংলা হারিয়ে গেছে, চেয়ার-টেবিল, ইত্যাদি। ধর্মীয় কারণেও হয়েছে অনেক বিদেশী, বিশেষ করে আরবি-ফারসী শব্দের আমদানি।

বিদেশী শব্দের উচ্চারণ কোনো বাংলা শব্দের উচ্চারণের সাথে মিলে গেলে সমস্যা নাই। ওটা কোন শব্দ তা এর ব্যবহার থেকেই বোঝা যাবে।

'উতার' থেকে যে অঁতর হলো- আমার মনে হয় এটা বাংলা পরিভাষা। যদি আপনি ফারসী ভাষার শব্দটাই বাংলায় উচ্চারণ করতে চান, তাহলে অবিকল উচ্চারণের মতো বানান লিখতে হবে। এটা শুধু ফারসী না, যে-কোনো বিদেশী শব্দের জন্য প্রযোজ। যেমন, ইংরেজিতে পোলিস অথচ বাংলায় পুলিশ।

বাংলায় যে বিদেশী শব্দটা প্রমিতকৃত, সেটার মূল বিদেশী উচ্চারণ যদি কাছাকাছি হয়, যেমন মোন্তাজ/মন্তাজ, তাহলে সাংঘর্ষিক না, কনফিউশন সৃষ্টি হবে আমার মতে, যে আপনি কোন উচ্চারণটা লিখেছেন। পোলিস শব্দটার কথাই ধরুন। পোলিস আসামিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে- এখানে 'পোলিস' শব্দটা আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হবে। তেমনি, 'নোয়া' শব্দের জায়গায় নোয়াহ লিখলে দর্শক, যারা 'নোয়া'র সাথে পরিচিত, একটু থতমত খেতে পারেন। সিনেমার ক্রেডিট লাইনে নোয়া লিখলে সেটা অবনত বোঝাবে না। (আমি জানি না, এই নোয়াহ্‌ অর্থ কী)।

আভঁ গার্দহ্‌ লিখলে অবশ্য বোঝা যাবে এটা বিদেশী শব্দ। আভা গার্দ থেকে বেশ আলাদা।

আমার ধারণা, আগের দিনের মানুষ বিদেশী শব্দগুলো যেভাবে উচ্চারণ করতেন, পাঠকের সুবিধার্থে লেখকরা সেভাবেই লিখতেন, ফলে মূল উচ্চারণের চাইতে বাংলার উচ্চারণে পার্থক্য হতো। আজকের মানুষের অন্য ভাষায় অ্যাকসেস বেশি। নতুন বিদেশী শব্দের ভাষান্তর না করে হুবহু ঐ শব্দটাই লিখে থাকেন। আমার মতে এটাই ভালো। ব্রিটেনকে বিলাত, আমেরিকাকে মার্কিন মুলুক বলার কী দরকার?




০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৮

লাইফবার্গ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর ব্যাখ্যার জন্য। বিশেষতঃ
"আমার ধারণা, আগের দিনের মানুষ বিদেশী শব্দগুলো যেভাবে উচ্চারণ করতেন, পাঠকের সুবিধার্থে লেখকরা সেভাবেই লিখতেন, ফলে মূল উচ্চারণের চাইতে বাংলার উচ্চারণে পার্থক্য হতো। আজকের মানুষের অন্য ভাষায় অ্যাকসেস বেশি। নতুন বিদেশী শব্দের ভাষান্তর না করে হুবহু ঐ শব্দটাই লিখে থাকেন। আমার মতে এটাই ভালো। ব্রিটেনকে বিলাত, আমেরিকাকে মার্কিন মুলুক বলার কী দরকার?"

আমি আপনার এই বক্তব্যের সাথে ১০০% একমত। আমার মূল কথা হলো, আগের দিনের লেখকদের বাস্তবতায় তাঁরা বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের শ্রেষ্ঠ রূপটি চিত্রায়িত করেছেন, তাদের লেখা পড়েই আমরা বড় হয়েছি। কিন্তু এই যুগে যেখানে জ্ঞান শুধু লেখার মাধ্যমে নয়, শব্দ ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও প্রকাশিত, সেখানে সেটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পক্ষেই আমার মত। গোলমেলে শব্দের ক্ষেত্রে, শিক্ষামূলক লেখনীতে প্রচলিত বাংলা ও সর্বোচ্চ কাছাকাছি উচ্চারণের রূপ দুটোই ব্যবহৃত হতে পারে। যাতে পাঠক, বা দর্শক, তাদের পছন্দমত শব্দরূপটি চয়ন করতে পারেন। ভাষা অতি গতিশীল একটি বিষয়।

আবারো, অনেক ধন্যবাদ, কমেন্ট ও লিংকের জন্য।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৮

লাইফবার্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ২ নং মন্তব্যকারী আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন।

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ২:০০

লাইফবার্গ বলেছেন: আমারও একই মত, মূল বিদেশী শব্দের ব্যবহার অন্ততঃ এই ইন্টারনেটের যুগে অবিকৃত ব্যবহার করলে খারাপ কি?

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: চন্দ্র বিন্দু বাংলা বর্ণমালার একটা অপ্রয়োজনীয় বর্ণ, যার উচ্চারণ স্বাভাবিকভাবে করা যায় না।
আমি ১৯৯৯ সালে থেকে আমার লেখা প্রকাশিত সব বইয়ে চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়েছি।
ব্লগেও কখনো এটা ব্যবহার করিনা।
এত অনেক সমালোচনা করলেও আমার যুক্তি,কোনো ভাষা কিরকম হবে বা সেই ভাষায় কোন কোন বর্ণমালা থাকবে,সোট লেখকরাই ঠিক করবেনন।
কোনো বাংলা একাডেমীর মতো কোনো প্রতিষ্ঠান না ,যেটার নিজের নামের সাথেই অপ্রয়োজনে একটা ইংরেজী শব্দ যুক্ত আছে।

০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০৪

লাইফবার্গ বলেছেন: "বাংলা একাডেমীর মতো কোনো প্রতিষ্ঠান না, যেটার নিজের নামের সাথেই অপ্রয়োজনে একটা ইংরেজী শব্দ যুক্ত আছে।

সুন্দর একটি বাক্য। আমার কাছে ভালো লাগলো।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমি ভাষাবিদ নই।কিন্তু নিজের বক্তব্য বলতে পারি।আমি বিদেশী শব্দের উচ্চারণ যেভাবে করি সেভাবে বাংলায় লিখি।ইংরেজি উচ্চারণ মোটামুটি ভাবে সবারটাই একই।এদেশে অন্তত।ফলে ইংরেজি উচ্চারণ লিখলে সমস্যা হয় না।কিন্তু অন্য ভাষার শব্দ যেমন ফরাসি,জার্মান এর সব স্বরবর্ণ তো উচ্চারণ করতে পারি না।আবার সব শব্দের উচ্চারণ সঠিকভাবে বাংলায় লেখাও সম্ভব না।সেক্ষেত্রে এরকম শব্দ লেখার ক্ষেত্রে প্রচলিত উচ্চারণ খুঁজে দেখি।যেমন,জার্মান Volkswagen কে বাংলায় লিখি ভক্স ওয়াগন।

যদি প্রচলিত কিছু না থাকে তাহলে নিজে যেটা উচ্চারণ করি তাই লিখি।পাশে মূল শব্দ লিখে দেই।এখন কিছু বিদেশী শব্দের বাংলা উচ্চারণ আছে।আবার সত্যিকারের উচ্চারণটাও পারি।যেমন নয়ার(Noir) যে নোয়া আছে সেটা কখনো জানতাম না।নয়ারটা শব্দটাই লিখি।আবার Mexico শব্দের প্রমিত এবং চলতি উচ্চারণ হিসেবে মেক্সিকো লিখি।মেহিকো লিখি না।

আসলে পুরো ব্যাপারটাই লেখকের উপর নির্ভর করে বলে মনে করি।লেখক যদি মূল উচ্চারণ পারেন তাহলে মূল উচ্চারণ লেখা উচিত।কেউ বাঙ্গালির নিজস্ব উচ্চারণে লেখে তাহলেও আপত্তির কিছু নেই।এতে বিদেশী শব্দের উচ্চারণ পরিবর্তিত হয়ে দেশি শব্দভান্ডার উন্নত হবে।জাপানিজরা google,MacDonald এর মতো পরিচিত শব্দকে পর্যন্ত জাপানিজ বানিয়ে ফেলেছে।শেষ পর্যন্ত আমজনতা সেটাই গ্রহণ করবে যেটা শুনতে এবং বলতে ভালো লাগে।এবং সেটাই টিকে যাবে।

০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১১

লাইফবার্গ বলেছেন: "লেখক যদি মূল উচ্চারণ পারেন তাহলে মূল উচ্চারণ লেখা উচিত। কেউ বাঙ্গালির নিজস্ব উচ্চারণে লেখে তাহলেও আপত্তির কিছু নেই।"

আমার কাছে মনে হয়, পাঠকদের উপরই সব কিছু নির্ভর করে। একজন লেখক যে ভাষায় তাঁর মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তা তিনি লিখতেই পারেন, পাঠকই মূল বিচারক, যারা নতুন শব্দকে নিজেরা ধারণ করে অন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও মূল ভাষার উচ্চারণকে গুরুত্ব দিতে চাই। যদিও এই উপমহাদেশীয়রা নিজেদের মত করেই উচ্চারণ করেন বিদেশী ভাষা। অবশ্য ইউরোপীয় ও আফ্রিকানরাও এরকম উচ্চারণগত ত্রুটি করে থাকেন। কিন্তু আমার কথা হল, আমরা বাংলাদেশী বা বাঙালীরা তো শুধু শব্দ নয়, কয়েকটি দেশের অরিজিনাল নামও নিজেদের মত করে বলি। মাসর(ইজিপ্ট) কে মিশর, চায়না কে চীন, তুর্কি কে তুরস্ক, মালডিভ কে মালদ্বীপ! এটা কেন?

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

লাইফবার্গ বলেছেন: দেশের নামের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা আমারও। যেমন, ভারত, বিশ্বে ইন্ডিয়া নামে পরিচিত শুধুমাত্র ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের কারণে। কিন্তু এখন ভারতে অনেকেই, বিশ্বে, নিজেদের ভারত নামেই পরিচিতি পাওয়ার পক্ষে। আমি যতদূর পড়েছি, তাতে, ধারণা করতে পারি, বাংলা ভাষাভাষী লেখনগন তাদের নিজস্ব শৈলীতে বিদেশী শব্দ নিজ নিজ লেখায় ব্যবহার করেছেন পাঠকদের কথা বিবেচনা করে। সেই হিসেবে, এখনকার লেখকগণও তাদের নিজস্ব শৈলী নিয়ে আসতে পারেন, পাঠকদের কথা বিবেচনা করে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পোস্টে এসে খলিল ভাইয়ের অসাধারণ দুইতা পোস্টে সন্ধান পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টে দেয়ার জন্য।
খলিল ভাইয়ের এইসব পোস্ট ব্লগের ডায়মন্ডের মতো।

ইংরেজি শব্দ নিয়া আমার মতামত হলো যতটা সম্ভব অরিজিয়াল উচ্চারণই লেখা উচিৎ। যেহেতু বাংলা যে কোন উচ্চারণ লেখা যায়।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

লাইফবার্গ বলেছেন: সহমত।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: তবে বিদেশী ভাষার শব্দ অবিকৃত অবস্থায় যে কোনো ভাষায় আসা উচিত। তাতে বাংলা ভাষা আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে -এটা মানতে পারলাম না।
এভাবে বাংলা ভাষায় অগণিত বিদেশী শব্দ ঢুুুুুুুুকলে বাংলা পরিণত হবে সম্পূর্ণ মিশ্র একটা ভাষায়।
এমনিতেই বাংলা ভাষায় অপ্রয়োজনে অনেক বিদেশী শব্দ আছে।
ধন্যবাদ , দু:খিত এসব শব্দ থাকার পরও বেশীরভাগ মানুষ অকারণে Sorry ,Thank you বলছে।
জাতে উঠার জন্য বাবা-মাকেও অনেকে ইংরেজীতে ডাকে।কিন্ত যদি সবাই ডাকা শুরু করে তাহলে এসব শব্দও বাংলা ভাষায় স্থায়ী হয়ে যাবে।
তখন বাংলার অবস্থাটা কি দাড়বে?

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৫

লাইফবার্গ বলেছেন: আপনার কথা যুক্তি সঙ্গত। কিন্তু আমি মূলত দ্বিধান্বিত যেসব বিদেশী শব্দের বাংলায় কোনো প্রতিশব্দ নেই, সেধরণের শব্দগুলোর ব্যাপারে কোন চর্চাটি করলে ভালো হতে পারে, সেটি নিয়ে। খুবই যুক্তি সঙ্গত যে, বিদেশী ভাষার অনর্থক প্রয়োগ খুব ভাল কিছু নিয়ে আসবে না আমাদের জন্য। হয়তো যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে অথবা অনেকটা স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে অনেকেই বিদেশী ভাষায় কথা বলা বা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে কথা বলা বা লেখা একধরণের শৈলী বলে মনে করেন, যেটি আমার কাছে কষ্টদায়ক। আমি মনে করি, বাংলায় যখন বলবো, তখন যেমন শুদ্ধ করে বলবো, আবার প্রয়োজনে যখন বিদেশী ভাষায় বলবো, তখন সেই ভাষায় শুদ্ধ করে বলবো।

যেই শব্দটি আমাদের শব্দভান্ডারেই নেই, বা অন্য কোনো বাংলা শব্দের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করা যায় না, তা অবিকৃত অবস্থায় যোগ করলে তো বাংলা ভাষা আরো সমৃদ্ধ হওয়ারই কথা বলে, আমার মনে হয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: চেষ্টা করলে বিদেমী ভাষার যেকোনো শব্দকেই বাংলায় উচ্চারণ করা সম্ভব।যেমন ইংরেজী Museum এর বাংলা প্রতিশব্দ যাদুঘর, যেটা হুবহু না হলেও একই অর্থ বহন করে।ইউরোপীয় এবং চীনা,জাপানী,কোরিয়রা বিদেশী ভাষার প্রায় প্রতিটা শব্দকে নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে উচ্চরণ করে।
ইচ্ছা থাকলে বাংলার ক্ষেত্রেও এটা সম্ভব।
সমস্যা হয় প্রযুক্তিগত শব্দের ক্ষেত্রে। সেটার সমাধান করাও কঠিন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.