নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেলাতে পারি না কিছু অন্তরে বাহিরে!!!!

সোহরাব সুমন

লেখক / কবি

সোহরাব সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বিড়ালের কথা.............

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪২

আমার বিড়ালটা সোনালি রঙের ! সারা দিন ঘুরে ঘুরে কাঁচা মাছ খাবার বায়না ধরে ! এভাবে নিয়মিত কাঁচা মাছ খেয়ে তাড়াতাড়ি বেড়েও উঠছে ! তিতিন ওর নাম !





















তিতিন অনেক বড় হয়ে গেছে। এদিকের কোন বিড়ালই ওর সঙ্গে মারামারিতে পেরে উঠছে না। তাই অন্য বিড়াল বাসায় তেমন আসেওনা। মাঝে মধ্যে ক্ষ্যপা থাকে তখন এমনি এমনি অন্যদের কামড়ায়। এইতো সে দিন আমার ছোট ভাই কে কামড়ালো। সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুল ফুলে একেবারে কলাগাছ। আমার সনিভায়ো তেও কামড়ের দাগ দেখছি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে। ইঁদুরের খোজ না পেয়ে সারা দিন তেলাপোকার পিছু ধাওয়া করে। বড় আপার বিড়াল রয় এর সঙ্গে অনেকদিন মিলে মিসে থাকলেও কয়দিন হলো ওকেও বাড়ি ছাড়া করেছে। বেচারাকে হাজার ডাকলেও আসছেনা।







ইঁদুর তিতিনের খুবই প্রিয় শিকার ! খোজ পেলেই মড়িয়া হয়ে সেটাকে পাকড়াও করে। তখন নানা ধরনের খেলা দেখা যায় ওর কাছ থেকে। কিন্তু সব সময় সেটা পাওয়া সম্ভব নয় ওর পক্ষে।

তখন ও ফড়িং, ম্যান্টিস আর প্রজাপতির পিছু ধাওয়া করে বেড়ায় সারাটা দিন।







আর যখন হাতের কাছে কোন শিকার ই থাকে না তখন এই ভাবে বল নিয়ে খেলে আর হয়রান হয়ে গেলে বল ধরেই কোন নিরাপদ জায়গাতে লুকিয়ে থেকে বিশ্রাম নেয়।



তিতিনের শীতঘুম



এই বিশ্রামের সুজোগেই হাজির হয় আপার বিড়াল রয়। তাড়াহুরো করে তার দু'চারটি দানা-পানি পেটে চালান করে কেটে পরতে পারলেই হলো!

মন্তব্য ১১৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: +++++++++++++

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০০

সোহরাব সুমন বলেছেন: ইমন ভাই এই বিড়ালটার কথা আপনাকে সেদিন বলা হয়নাই ভুলে !

২| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৯

মুসাফির... বলেছেন: আপনার বিড়ালটির কথা আরো সুন্দর করে লিখুন:

আমার ট্রেডমার্ক বিড়ালটির কথা: এই লিঙ্কে দেখুন:

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: পরে এক সময় লিখব কেমন !

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: তিতিন তো মনে হচ্ছে খুব অলস, সব শুয়ে বসে ছবি.........


আর ছবি প্রসঙ্গে একটা কথা ভাইয়া, পোষ্টে যেখানে ছবি দেবেন ঐ জায়গাটা আগে কার্সর দিয়ে সিলেক্ট করুন, এর পরে নতুন ছবি আপলোড হলে, ছবিটার উপর রাইট বাটন ক্লিক করুন। দেখবেন ড্রপডাউনে মুছে ফেলুন, ইনসার্ট এমন কিছু অপশন এসেছে। এখান থেকে ইনসার্টটা সিলেক্ট করেন। ব্যাস ছবি সুন্দর করে আপনার পোষ্টের মধ্যে চলে আসবে, এমন নীচে জমা হবে না। আর আমাদেরও দেখতে সুবিধা হবে.........

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

সোহরাব সুমন বলেছেন: কি বলেন অলস ! কত কিছুযে এরই মধ্যে ভাঙ্গলো ! একটু শুয়ে বসে থাকে বলেই রক্ষা । বাকি সময় ছবি তুলতে গেলেও তেড়ে আসে! একটা ম্যাসাজ বল কিনে দিয়েছি । ঐটা নিয়ে সারা ঘর দৌড়ায় আবার কোথায় যেনো লুকিয়েও রাখে । পাইনা । খেলার সময় বের করে, দুর্দান্ত শিকারির মতো ঐটা নিয়ে কিযে করে !

এত দিন ভাবতাম আপনারা কিকরে এই ভাবে সাজিয়ে ছবি দেন ! যাক এবার ব্যপারটা শিখলাম। এর পর থেকে সুন্দর করে সাজিয়ে ছবি দিব। এর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৪

রাজসোহান বলেছেন: :-B

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ !

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১৫

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: হে হে হে.. বিড়াল দেকি কম্পিউটার চালাচ্চে। B:-) B:-) :-B :-B !:#P

২০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: চালাতে পারেনা ! শুধু শুধু এসে কি বোর্ডের উপর বসে থাকে !

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

উপদেশ গুরু বলেছেন: ভাই আমার ও একটা বিড়াল পালতে মনচায়। আপনার বিড়ালটার দাম কত?

২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

সোহরাব সুমন বলেছেন: প্রিয় কোন কিছুর দাম হয় না এভাবে বলে আর কষ্ট দিবেন না ভাই! পালতে চাইলে কোথাও থেকে একটা বাচ্চা বিড়াল যোগার করতে চেষ্টা করুন। বিদেশি বিড়াল পালা কিন্তু কষ্টর । অসুখ হয়ে অকালে মরে গেলে আরো খারাপ লাগবে তাই পালেত চাইলে দেশি বিড়াল পালার কথা ভাবুন।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১২

পুরাতন বলেছেন: বিড়ালের নামটা খুব সুন্দর :)





২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

সোহরাব সুমন বলেছেন: এভাবে সাজিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০১

বডটজসৃ বলেছেন: বিরক্তিকার বিড়াল..।অসহ্য..।

২০ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৩

সোহরাব সুমন বলেছেন: বিড়াল ভালো লাগাটা মনে হয় জেনেটিক । সবার এই প্রণীটারে পছন্দ হয় না ! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৫

প্রজাপতি'র ডানা বলেছেন: so cute.........
আমারো একটা বিড়াল আছে.......

২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:০৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা অনেক সুন্দর ! আপনার বিড়ালের ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আহা, অনেক সুন্দর

প্রথম বিড়ালটা ছিল, পাঁচ বছর। সুখ দু:খে ছেড়ে যায়নি। এমনকি বন্যায়ও। তাকে মেরে ফেলেছে পাড়ার ছেলেরা। একেবারে দেশী বিড়াল। সাদায় কালো। খুব মজার ছিল, শীতের রাতে মশারীর কাছে ম্যাও ম্যাও করতো লেপে তুলে নেয়ার জন্য, পায়ের কাছে মাথা ঘষতো কাঁটা খাবার জন্য। মানুষের মত দোষে গুণে বিড়াল। অনেক কিছুর পরও চুরি করে মাছ ভাজা ঠেকানো যায়নি। মারতে খারাপই লাগতো, তারপরও শাসন চলেছে।

অন্যটা আছে একেবারে বাচ্চা। ছোট ভাইটার কাছে থাকে।একসময় ছবি দেয়া যাবে।

২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:১৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: বিড়াল তার আচরনের কারনে খুব তাড়া তাড়ি মানুষের বন্ধু হয়ে উঠে। কিন্তু তার খাবার আসলে আমিষ। কাঁচা মাছ এদের খুব প্রিয়, ধারনা করা হয় সুন্দর বনের বাঘেরাও নাকি এই মাছের প্রাচুর্যের কারনে আকারে আকৃতিতে এত বেড়ে উঠেছে। মাছ আসলে বিড়ালের এতই প্রিয় যে অযথা মারধোর করে একে মাছ খাওয়া থেকে বিরত করা সম্ভব না। তাই মাছ সাবধানে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনার মন্তব্য পরে খুবই ভালো লাগলো।
ছবি দিয়েন এক সময় দেখবো।

আমার একটা আইডিয়া আসলো মাথায় এই মাত্র চলেন একবার আমরা এই ব্লগে ঘটা করে নিজেদের পোষা বিড়ালের একটা মেলা বসাই। তারো আগো এই মেলার এই ডিয়ার ডিটেইল দিতে সবাইকে আহ্বান জানানো দরকার কি বলেন..................?

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

দীপান্বিতা বলেছেন: তিতিনের বয়স কত!... বেশ দেখতে! :)
কাঁচা মাছ খাচ্ছে!!! মুখে গন্ধ হবে তো!...আর কি খায়! আমি তো আমারটাকে ভাত আর হলুদ দিয়ে মাছ স্বেদ্ধ করে দিচ্ছি, নুন দিই না...

২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:৫২

সোহরাব সুমন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিতিন সবই খায়। কিন্তু তার পরও কাঁচা মাছ ওর চাই। কাঁচা মাছে বিড়াল বাড়ে ভালো। এর আগে আমার ভাগ্নে রাফি পরিক্ষার আগে ওর বিড়ালছানা আমার কাছে রেখে যায়। তার পর একদিন বাসায় ফিরে অনেক ডাকা ডাকির পর ওর ডেড বডিটা পাই রান্না ঘরের মিডসেফের নিচে। রক্তে মাখা। ততক্ষনে রক্ত জমে গেছে। দুর্বল ছিলো বলেই এমটা হয়েছে।শক্তিশালি হুলো বেড়ালের সঙ্গে পেরে উঠেনি।

আবার আমার এক দুলা ভাইর হুইল দিয়ে খুব মাছ শিকারের শখ। ওই বাসার বিড়ালের নাম রাজা। মাস পাঁচেক আগেও ওর সাইজ ছিলো এই টুকুন, এখন মাঝাড়ি একটা কুকুরের সমান। কোন বিড়াল পারত পক্ষ ওর ছায়াও মারায় না। রোগ শোকও কম।

এত সব দেখে তিতিনও যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে তার জন্য রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়ার পর থেকে কিছু দিন মাছ দিয়ে ছিলাম। তখন তিন চার দিন ও দাড়াতেই পার ছিলো না। আমার কাছে আছে প্রায় দেড় মাস এখন ছবি দেখে দুঃবিক্ষে আক্রান্ত তিতিনকে চেনাই যায় না। সেই যে কাঁচা মাছ খাওয়ার ওভ্যেস হলো আর ছাড়ানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

তবে কাঁচা মাছের কারনেই বোধ হয় ও খুব হিংস্র; একটা ছোট খাটো বাঘ বল্লেও ভুল হবেনা। মাঝে মধ্যে পেছন থেকে আক্রমন করে আবার পায়ে জড়িয়ে ধরে। হলুদের বদলে শুধু আদা দিয়ে সেদ্ধ মাছ মাংশ দিয়ে দেখতে পারেন আপনার বেড়ালকে। এতে করে হিংস্রতা একদম থাকে না। আমার বাসার চার পাসে যেভাবে হুলো বেড়াল ঘুরঘুর করছে তাতে করে ভরসা পাই না। আমি চাচ্ছি যত তাড়াতাড়ি ওকে বেড়ে উঠতে দেয়া যায়। তাহলে খানিকটা হলেও নিরাপদ করতে পারবো ওকে!

ওর বয়স হয়তো মাস ছয়েক হবে।

আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ !

সুস্থ থাকুক আপনার বিড়ালছানা এবং আপনিও এই কামনা করি।

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:১০

রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: আমার বিড়াল লোহা খায়। মাঝে মাঝে বিমান খায়। তয় জাহাজ তার পছন্দ বেশি

২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪৩

সোহরাব সুমন বলেছেন: এইটা ভাই কোন ধরনের বিড়ালের কথা বলছেন বুঝিয়ে বলেন দয়া করে। আমরা কিন্তু সবাই রক্ত মাংশের বিড়ালের কথা বলছি।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে তথ্য দেওয়ার জন্য! :)...আরো কিছু ইনফরমেসন চাই।

আমার বিড়ালটি এসেছে একমাস। বয়স দু’মাস মত মনে হয়। এটি মেনি বিড়াল। কতদিনে বিড়াল মা হয় কিছু জানেন! একগাদা বাচ্চা হবে ভেবেই আতঙ্ক হচ্ছে!

আপনার তিতিনকে কি কোন টিকা দিয়েছেন! ওদের আঁচড়ে কি ভয়ের কিছু আছে!

আমারটি দু’বেলা ছোট একবাটি মত মাছ-ভাত খাচ্ছে, খাওয়ার পরিমান কি বারাতে হবে!

তিতিন সব খায় বলতে কি কি খায়! আমারটি তো অন্য কিছু শুঁকে পর্যন্ত দেখছে না! প্রতিদিন মাছের জোগান না থাকলে না খেয়ে বসে থাকছে, খুব খারাপ লাগে!

ইউটিউবে দেখে পটির অভ্যেস চেষ্টা করছি, এমনি ও টয়লেটের মেঝেতে পটি করছে। গুগুলে দেখলাম ওদের পটি নাকি ভাল না!

অনেক ছোট ছোট জিনিষ নিয়েও চিন্তা করছি, ভয় পাচ্ছি! তবে ও যা খেলে তাতে মন ভাল হয়ে যায়।

আমারটা কিন্তু খুব বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে না! আপনি বিড়াল পুষছেন বলে অনেক প্রশ্ন করে ফেললাম। বাংলা ব্লগে পশু-পাখি নিয়ে তথ্য একদম নেই!

তিতিন খুব ভাল থাকুক...আপনিও ভাল থাকবেন।

২২ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাচ্চার ভয় করার দরকার নেই! সাধারন সল্প মাত্রার .......ট্যাবলেট গুলো ভেঙ্গে ছোট্র একটুকরা খাইয়ে দেবন যখন বাইরে যেতে শুরু করবে আর হুলো বেড়ালের সঙ্গে মিসবে! ।ঐ সময় ওর আচরন দেখেই তা বুঝতে পারবেন। একই ভাবে মনিং আফটার পিলও।


সাধারনত বছর খানেকের মধ্যে একটি মাদি বিড়াল পরিপক্কতা পায়। এর আগেই কোন ভেট এর সঙ্গে আলাপ করে সব বুঝে নিলে আরো ভালো হয়। তবে এক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। অনেক সময় এদের ভুল চিকিৎসায় হিতে বিপরিত হতে পারে। তাই খুব সাবধান। নিজে ভালো মত বুঝে নিজের বিড়ালের যত্ন যতটা সম্ভব নিজেই নেয়া ভালো।


অবশ্যই ভয় আছে বলে শুনেছি। তবে আমার অভিজ্ঞতায় এমন কোন ঘটনা চোখে পরেনি। আর আমি কুকুর ছাড়া কোন দিন বেড়ালকে রেবিস ভেক্সিন দেইনি। এই ভেক্সিন কুকুরকে দিলেও এত বড় প্রাণীটা পর্যন্ত অনেক দিন অসুস্থ থাকে এই ভয়ে!


তবে আমি তিতিনকে শরিরের ওজনের অনুমান করে সামান্য এন্টিবায়টিক আর মাল্টি ভিটামিন দিয়েছি বাসায় আনার পরপর। এতে করে ভেতরকার ক্ষতিকর জিবানু মরে যায় ও ইনফেকশন ভালো হয়। আর কফোটা লেবুর রস মুখে দেবার পর থেকে চোখে আর কেতুর দেখতে পাবেন না। একইভাবে ভেঙ্গে আলবেন দিয়েছি ক্রিমি থেকে বাঁচাবার জন্য।

সেটা আপনি নিজেই অনুমান করতে পারবেন বলে মনে হয়। তবে একগাদা খাবার সামনে না দিয়ে রাখাই ভালো কারন শিশুদের মতো এদেরো খাবার ব্যপারে কোন আন্দাজ নেই যেটাতে একবার মজা পায় সেই খাবার সামনে পেলে খেতেই থাকে। এভাবে চলতে থাকলে দু' এক দিনের মধ্য পেট সর্বস্ব একটি পেটুক বেড়ালের দেখা মিলবে, তাই একবারে না দিয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেতে দিন। তাহলে আপনার পক্ষেও ওর চাহিদার সঠিক চিত্র পাওয়া সহজ হবে।

বিড়াল আসলে এমনই করে। আর প্রোটিন ছাড়া অন্য কিছু খেলেও কিন্তু সেটা এদের হজম হয় না কারন এনজাইমই নেই। অন্য কিছু না খেতে চাইলে ফাঁকি দেওয়ারো ব্যবস্থা আছে। খানিকটা মাছ তুলে রাখুন ফ্রিজে তার থেকে সামান্য অংশ ভেঙ্গে নিয়ে প্রতিবার ভাতের সঙ্গে মেখে তারপর পরিবেশন করুন।

ছোট একটা বাক্সে বারান্দায় বা বথরুমে বালু রাখাই ভালো। তাতে করে এদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে, রোগ শোক ছড়াবার ভয় থাকেনা।

না বাড়লে মাল্টি ভিটামিন আর কাঁচামাছ বা মাছ মাংশের ফেলনা অংশ কোন রকম অস্বস্থি না করে কিছূদিন খাওয়ান দেখবেন ভালো ফল পাবেন। ভিটামিন কিন্তু অতি সামান্য হওয়া চাই, সব সময় আমাদের সাথে এদের সাইজের তুলনা করলে ভুল হবার ভয় থাকবেনা।

ছোটা খাটো বিষয় নিয়ে তেমন ভাবার দরকার নেই, বিড়াল বুদ্ধিমান জিব। ওরা ছোট থেকেই নিজেদের যথেষ্ট টেক কেয়ার করতে পারে যা অন্য অনেক প্রাণীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়না। শুধু খেয়াল করে নিয়মিত খাবারের বাটিটা ধুয়ে রাখবেন আর আলাদা পাত্রে ধারে কাছে কোথাও পানি রাখবেন। ব্যাস !

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আমার একটা আইডিয়া আসলো মাথায় এই মাত্র চলেন একবার আমরা এই ব্লগে ঘটা করে নিজেদের পোষা বিড়ালের একটা মেলা বসাই। তারো আগো এই মেলার এই ডিয়ার ডিটেইল দিতে সবাইকে আহ্বান জানানো দরকার কি বলেন..................?

ভাল বুদ্ধি .. অবশ্য পুরনো বিড়ালটার জন্য বেশি খারাপ লাগে আর ঐটা বেঁচে থাকলে বেশী আগ্রহ পেতাম। অনেকদিন হলে বিড়াল হোক আর মানুষ হোক ..একটা মায়া পড়ে যায়।

২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:১১

সোহরাব সুমন বলেছেন: হুম ! এই মেলায় পুরানো বিড়ালেরো ছবি দেবার ব্যবস্থা থাকবে ! আপনার কি মত ?

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

দীপান্বিতা বলেছেন: সাহস পাচ্ছি আপনার উত্তর দেখে। :)

তার মানে মানুষের পিল বিড়ালকে খাওয়ান যাবে, যখন ও বাইরে মিশবে!

আমারটাকে কি ‘আনবেল’ ক্রিমির ওসুধ এখন খাওয়াব!

চোখে কেতু কি? আমারটার চোখে এখনও কিছু হয় নি। গায়েও একদম পোকা নেই। কাফোটা লেবু কি আর ওর রস কি খাওয়াতে হয়!

আমার ভুলোটাকে ডাক্তার দেখাতাম, বাবার মাসে ২০০-৩০০টাকা খরচ করাতাম, এখন সেটা সম্ভব না...এমনি আলাদা তালে ভ্যাকসিন কিছু করাচ্ছি না!

টয়লেট বক্সটাই ভাল বলেছেন, কমডেরটা সাকসেস হচ্ছে না।

খাবার ওই মাছ-ভাতই থাক তা'লে!

খাবার বাটি প্রতিদিন ধুই আর জলও দিয়ে রাখি তবে জল তো খায় না!

অনেক প্রশ্ন করে বিরক্ত করলাম...8-|

২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:১৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: হুম কিন্তু আপনি নিজে বিবাহিত না হলে এই রিস্ক নিয়েন না কারন যে সব পারাতো মাসি বা দিদিদের কাছ থেকে এসব যোগার করবেন তারা আড়ালে বিকৃতভাবে ছড়াতে পারে।

পশু হসপিটালে নিয়ে গিয়ে লাইগেশন করাতে পারেন। তবে তার আগে অবশ্যই একটা অন্তত যেন বাচ্চা থাকে কারন মা হবার অধীকার ওরো আছে।

স্হায়ী ....বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, মা হতে গিয়ে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি থাকেনা। আমার একটা সুন্দর বিড়াল একবার এভাবে মারা যায়..........

যাবে। তবে তার আগে পেট ফাপা কিনা, বমি বা বিছানায় ঘুমিয়ে থাকার সময় ক্রিমি বের হয় কিনা দেখে নিন। অনেক সময় সাদা চার কোনা ক্রিমি বের হয় পায়খানার রাস্তাদিয়ে।

ঐযে চোখের কিনারে জমে ওটাই কেতুর বলাহয়। ভিটামিন সি এর ভাল ওষুধ। একদম থাকেনা খাওয়ার পর।

জল অবশ্যই খায় আপনার চোখে পরেনি কারন এরা অনেক কম জল খায়। বিষয়টা দেখতে চাইলে ভরপেট খাওয়ার পর জল দিয়ে দেখুন।
দেখবেন কেমন চেটে চেটে জলখাচ্ছ, দেখতেও ভালো লাগবে।

বিরক্ত হবো কেন ভালইতো লাগছে।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৫৭

দীপান্বিতা বলেছেন: ঠিক কথা...ওকে প্রথমবার মা হতে দিতে হবে...তা সে হতে হতে তো এক বছর! তারপর না হয় লাইগেশনই করিয়ে নেবো!

ক্রিমির ব্যাপারটা তো চিন্তার! বিড়ালের ক্রিমি হবে কেন! ও তো মিষ্টি খায় না!...আর বিছানায় ঘুমিয়ে থাকার সময় ক্রিমি বার হয় নাকি!!!:| কি সাঙ্ঘাতিক! এসব হলে তবেই ‘আনবেল’ খাওয়াতে হবে!


চোখের কোনে তো এখনও তেমন কিছু দেখছি না! মানুষের চোখ ওঠার মত ব্যাপার নাকি! হলে কি আমরা ভিটামিন সির যে ট্যাবলেট খাই তাই খাওয়াবো!

আমি ভাতের সাথে এত জল দিয়ে চটকে দিই যে আলাদা করে বোধহয় ওর জল খেতে হয় না!:P

যাক, নিশ্চিন্ত হলাম! আমার মেনির টুক্‌টাক সমস্যা হলেই আপনাকে জ্বালাবো! :)

আপনার কি অনেক বিড়াল!...ব্যাস্ততার মাঝেও সময় করে একবার পারলে ‘পোষ্য বিড়াল’ নিয়ে একটা পোস্ট দেবেন, অনেকেই উপকৃত হবে মনে হয়! আমি যে হবো তাতে সন্দেহ নেই... :D


আমার মেনি

২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:৪৩

সোহরাব সুমন বলেছেন: মেনিকে মা হবার সিদ্ধান্তে আসতে পারার জন্য ধন্যবাদ !

আপনার মেনি কিন্তু খুব রূপসি। দেবেন বিয়ে তিতিনের সঙ্গে ! তিতিন কিন্তু ঘর জামাই যাবে না !

আসলে এটা আমাদের ভুল ধারনা। মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ক্রিমি হবার কোনই সম্পর্ক নেই। মনে হচ্ছে এসব কথাজেনেই বলছেন কিনা ! একটা ক্রিমি এক সঙ্গে হজার হাজার ডিম পাড়ে। এই ডিম আসপাসের ধুলা বালি আর ময়লা আবর্জনার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে , সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারলে আপনার বেড়াল থেকে আসা ক্রিমির ডিমে আপনি নিজেও আক্রান্ত হবেন।

যত যাই বলেন জল অন্তত কিছুটা হলেও আলাদা দেয়াই ভালো।
এতে মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য সহ হজমের জন্য ভালো বলে আমি মনে করি।

ছোট বেলা থেকেই বিড়াল পালছি। এেদর নিয়ে মজার যেমন অনেক ঘটনা আছে তেমনি দুঃখ জনক ঘটনাও কম নেই। এগুলোকে আমি আমার ব্যক্তিগত বিষয় বলেই মনে করি। তিতিনের বিষয়টা কি ভেবে যেন সেয়ার করে বসি ........................

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪৯

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ... ধন্যবাদ![মেনিকে রূপসি বলার জন্য :D]

দাঁড়ান! মেয়ে বড় হোক! নিজের পায়ে দাড়াক![এখানে কলার তোলা, দাম্ভিক ইমো হবে:P] ... তবে পাত্র মন্দ না!:D

এর আগে আমার ভুলো ছিল...ও সারা বছর খুব ভুগতো, পায়ে খুব ঘা মত হত, তাই সারা বছর নিমপাতা বা শিউলি পাতার রস খাওয়াতাম, তাই আলাদা করে ক্রিমির ওসুধ কিছু খাওয়াতে হয় নি। আপনি বলার পর থেকে এর পটি ভাল করে লক্ষ করছি, ক্রিমির মত তো তেমন কিছু দেখছি না! ভাবছি একেও নিমপাতার রস খাওয়াবো...আপনি কি বলেন! [ আপনার বেড়াল থেকে আসা ক্রিমির ডিমে আপনি নিজেও আক্রান্ত হবেন -বেশ ভাবনার!:|]

না, দেখেছি জল ছোট্ট বাটি থেকে একদম খাচ্ছে না...ভাতে প্রচুর জল যদিও দিচ্ছি। জোর করে কি খাওয়াতে হবে!

আপনি ছোট থেকে বেড়াল পুষছেন, আপনাকে তাই আবার অনুরোধ করবো সময় করে পারলে এদের নিয়ে বাংলায় ব্লগ দিন...বাংলাদেশে তো অনেকেই বেড়াল পোষেন, সবাই সেখানে নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারবো...বাচ্চারাও পশু-পাখি পালনে উৎসাহ পাবে, প্রাণীগুলি সুস্থ ভাবে বাঁচার সুযোগ পাবে...দয়া করে একটু ভেবে দেখবেন...

আপনি ও তিতিন খুব ভাল থাকবেন :)

২৭ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:১০

সোহরাব সুমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !

নিমপাতার রস খাওয়ানোর আইডিয়াটা ভালো !

পানি খাওয়ানোর জন্য জোরাজোরির কোন দরকার নেই জাস্ট দিয়ে রাখুন দরকার হলে ও নিজেই খেয়ে নেবে।

খুব বেশী আক্রান্ত হওয়ার আগে এভাবে ক্রিমি চোখে পরার কথানা। তবে আগাম সতর্ক থাকা ভালো।

অনেক দিন ধরেই বিড়াল নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। সুজোগ মত অবশ্যই লিখবো।

১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:১৪

দীপান্বিতা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ ....সময় করে পোষ্য বিড়াল নিয়ে লিখবেন জেনে অনেক আশা জাগছে :)

হুম্! একটু চিন্তিত হলাম! আচ্ছা, আমি কি একটা ‘আনবেল’ ট্যাবলেট কিনে খাইয়ে দেবো! ধরুন ওর ক্রিমি নেই তাতে আবার কিছু খারাপ হবে না তো! ওতো সারাদিন আমাদের গায়ের সাথেই লেপ্টে থাকে! মানুষের দেহে আসতে পারে শুনে ভয় লাগছে!

২৮ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: নিশ্চিন্তে খাওয়াতে পারেন কোন অসুবিধানেই ! তবে নিমের রসেওতো ভালো কাজ হবার কথা ।

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

শায়মা বলেছেন: তিতিন দেখছি কম্পু এ্যাডিক্টেড।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা ! একদম পুরাদমে !

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:১৩

দীপান্বিতা বলেছেন: যানেন আজ এক ভদ্রলোকের সাথে আলাপ হল, ওনার অনেক বিড়াল! উনি ৫০বছর ধরে বিড়াল পোষেন! তা, ওনার সাথে আমার মেনি নিয়ে কথা হচ্ছিল, উনি সব শুনে বললেন অত চিন্তা করে কাজ নেই। এত ছোট এক্ষুনি ওসুধ দিতে হবে না। আরও বললো যে বিড়ালদের কেজি পিছু ৫গ্রাম করে প্রোটিন দিতে। সে হিসেবে মেনি বেশি খাচ্ছে! তো কাল থেকে খাওয়া কমাতে হবে...

আপনার তিতিনের কি খবর!

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা ঠিকই বলেছে, তবে একেবারে ওজন কম হলে অন্যকথা।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪৪

দীপান্বিতা বলেছেন:
:) :) :)

০২ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৪

সোহরাব সুমন বলেছেন: অবাক হলাম ! কি পাখি ওটা ?

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সোনালি রঙের বিড়াল দেখতে সুঈট লাগে :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা সুইটতো অবশ্যই ! আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪০

দীপান্বিতা বলেছেন: এটি কোকিল :)... ইনিও মেয়ে... বলতে পারেন কোকিলা বড় মেয়ে আর মেনিটি ছোট :D

সেই পোস্টটা কবে পাচ্ছি!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: কোকিল কোথায় পেলেন ! পোষ মানে নাকি ! মেনিতো দেখিভয়ে সেধিয়ে আছে। ঠোকর দিলে কি হবে কিজানি ! এই কোকিলটি নিয়ে একটা পোস্ট দেননা প্লিজ, অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে হচ্ছে!

২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৩

দীপান্বিতা বলেছেন: কোকিলটাকে বছর দু’এক আগে পিসির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। কাকের বাসায় হয়, কাকরা বুঝতে পেরে ঠুঁকড়ে তাড়ায়। এটার বা’ডানাটা কম জোরি, উড়তে পারত না, ঝোপে লুকিয়ে থাকত...তিনদিন ওভাবে থেকে ঠোক্কড় খেয়েছে...তারপর ভাই উদ্ধার করে...কিছুদিন পিসির বাড়ি ছিল, কিন্তু যেহেতু নিজে খেতে তখনও শেখেনি তাই খুব ঝামেলা হত...তখন থেকে আমার কাছেই আছে। :)

বড় কোকিলা খুব রাগী, আবার ছোট মেনিটা দূরন্ত...দুটোকে আগলে আগলে রাখতে হয়!...মেনিটা পেছন থেকে ওকে তেড়ে যায়, কোকিলটাও তখন ঠোক্কড় দেয়...এভাবেই চলছে আপাততো!:D

০৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: কোকিল কি ডাকছে বাসার ভেতরে বসে ।

২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৩

দীপান্বিতা বলেছেন: মেয়ে কোকিল খুব একটা তো গায় না!...তবে এনার মুড ভাল থাকলে আস্তে আস্তে ‘কুহু...কুহু’ করে...আবার রেগে গেলে তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকেও! :)

০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: দারুন মজারতো। ছোট থাকতে এমন একটা পাখি ঝড়ের পর কুড়িয়ে পেয়ে ছিলাম তখন বুঝতে পারিনি কোকিল। পোষমানেনি বলে ভাগিয়ে দিয়েছিলাম এখন আফসোস হচ্ছে !

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:২০

দীপান্বিতা বলেছেন: বাঃ! ওটা কি বিড়াল ছানা যে ভাগাবেন!:P...আপনার পোস্টটা কিন্তু এখনও পেলাম না! :D

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:০৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা কলাবাগানে বাসার পেছন হয়ে বহুদূর হেটে লেকসারকাসের বিলে সবুজ ঘাসের মাঝে ছেড়ে দিয়ে এসে ছিলাম পাখিটাকে তখন আমি ভাবতাম ওটা বুঝি শ্যামা।

ভাই যে ধরনের ঝামেলায় আছি তাতে মনে হচ্ছে ঈদের আগে পারাযাবে না।

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৬

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভাল করেছেন...পাখিটা স্বাধীন হয়েছে... :)

ঠিক আছে, ধিরেসুস্থে দিন, অপেক্ষা থাকবে...

১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: আদৌ সেটা স্বাধীন হতে পেরেছিলো কিনা নাকি কোন বখাটের গুলিতর আওতায় পড়েছিলো তা আর জানতে পারিনি। কিন্তু ওকে নিয়ে ওনেক দিন ভেবেছি, ভালো করে পোষ মানলে হয়তো ফিরেও আসতো, ফিরে যখন আসেনি কি আর করা।

আসলে ঈদের আগে লেখার অনেক চাপ থাকে, কাজও, তাছাড়া পুরোনো দিনের কথা অনেক ভেবে চিন্তে লিখতে হবে এই জন্যই সময় নিচ্ছি।

২৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০০

সোহরাব সুমন বলেছেন: তিতিন অনেক বড় হয়ে গেছে। এদিকের কোন বিড়ালই ওর সঙ্গে মারামারিতে পেরে এঠেনা। তাই অন্য বিড়াল বাসায় তেমন আসেওনা। মাঝে মধ্যে ক্ষ্যপা থাকে তখন এমনি এমনি অন্যদের কামড়ায়। এইতো সে দিন আমার ছোট ভাই কে কামড়ালো। সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুল ফুলে একেবারে কলাগাছ। আমার সনিভায়ো তেও কামড়ের দাগ দেখছি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে। ইঁদুরের খোজ না পেয়ে সারা দিন তেলাপোকার পিছু ধাওয়া করে। বড় আপার বিড়াল রয় এর সঙ্গে অনেকদিন মিলে মিসে থাকলেও কয়দিন হলো ওকেও বাড়ি ছাড়া করেছে। বেচারাকে হাজার ডাকলেও আসছেনা।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৫

দীপান্বিতা বলেছেন: আমার মাউটা আজ খুব কাদঁছে...ঘ্যান ঘ্যান করছে, কেন বুঝতে পারছি না...খাওয়াটা মোটামুটি ঠিকই আছে...খেলার সঙ্গী নেই বলে নাকি! এখন যদিও পাড়ায় ঘুরতে বেড়িয়ে গেছে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: কিচ্ছু করার নাই ! সব বয়সের দোষ ! তিতিনো সারা দিন পাড়া বেড়ায় আর মানুষরে স্বরে অদ্ভূদ সব আওয়াজ তোলে !

৩০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৫

দীপান্বিতা বলেছেন: এর মধ্যে কি কান্ড হয়েগেছে জানেন! রবিবার রাতে অন্যদিনের মত বেরিয়ে তো গেলেন! তারপর আর এলোই না! ...কি অবস্থা! সারাদিন ভাই অফিস থেকে ফোন করছে! ওকে চিন্তা করতে বারণ করছি...এদিকে রাতে শুয়ে২ চমকে উঠছি! শেষে দু’দিন পর তিনি কালো-রোগা-হাত কেটে ফিরলেন! কি যে ভয় পেয়েছিলাম আমরা, কি বলবো!...আপনারটি এমন করেছে কোনদিন!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৫

সোহরাব সুমন বলেছেন: হ্যা ! মাঝে মধ্যে সেইযে পাড়া বেড়াতে বের হয় আর ফেরার নামটি পর্যন্ত করে না। কোথা যেনো সারা রাত পার করে , তার পর হঠাৎই আহত, দূর্বল নোংরা শরীরনিয়ে দরজার বাইরে ম্যাও ম্যাও করতে থাকে, বিশ্রাম শেষ হলে পর আবার বাইরে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। এইটা মনে হয় অন্যসব বেড়ালদের সঙ্গে পাল্লাদিয়ে এলাকা দখল আর উপযুক্ত সঙ্গী খোজার মহড়া।

৩১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৬

""শ্রাবণী"" বলেছেন: তিতিনের নামটা খুব সুন্দর। তিতিনের স্বাস্থ্য এমন কেনো? ও কি খায় না ঠিক মতো? আমিও বিড়ালের একদম পুচকে ছানা খুঁজছি। পাচ্ছিনা এখনও। :(

১৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ! ওর স্বাস্থ্য এখন আগের চাইতে ওনেক ভালো। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করছে। ছবিগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার পর পর বলে ওমন দেখাচ্ছে। কয়টা ছানা চাই ? ঠিকানা পেলে পৌছে দিতাম।

৩২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৮

দীপান্বিতা বলেছেন: কি খবর আমাদের তিতিনের!:) ...তিনি কি বাবা হয়ে বসে আছেন নাকি!:D...হুলোরা তো শুনি বাচ্চাদের মেরে দেয়!#:-S

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: বেশ কয়েক জন বান্ধুবি এরই মধ্যে জুটিয়ে ফেলেছে। এই নিয়ে যন্ত্রনাও কম করছেনা, প্রায়ই রাতভর সয়ং বাসায় নিয়ে এসে ড্রইংরুমে বসে যমপেশ আড্ডাদেওয়া হচ্ছে, কি ভয়ানক রকমের চিৎকার চেচামেচি যদি একবার শুনতেন, এতে আমাদের ঘুমের কি অবস্থা হবে এই নিয়ে যদি একটুএ টেনশন থাকতো! আপনার মেনির ব্যপারে পাকা কথা বোধ হয় আর বলা হচ্ছে না।

৩৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৪

দীপান্বিতা বলেছেন: হাঃ...হাঃ! এতো একদম বখাটে হয়ে গেল!;)...না বাবা! আমার কন্যাটি সেদিক দিয়ে খুব ভাল মানুষ! আমরা বাড়ি না থাকলে এখনও বাড়িতেই দিব্যি ঘুমিয়ে কাটায়...ঠান্ডা পড়ায় খুব বেশি বাইরে বের হয় না...যদিও আমারটির তো সবে বয়স ছয়মাস...পরে কি হবে জানি না! তখন আপনার চেয়ে আমার অবস্থাটা কাহিল হবে...একগাদা ছানাপোনা-নাতিপুতি ভাবলেই ঠান্ডা মেরে যেতে হয়! :|

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৮

সোহরাব সুমন বলেছেন: বখাটে মানে বলছেন কি, পুরদুস্তর গুন্ডা একটা -এর ওপর আবার প্রায়ই জখম নিয়ে বাড়ি ফিরছে, দিন কতক বিশ্রাম নিয়ে আবার সিড়ি ভেঙ্গে যখন তখন ফুলবাবুর মত শুড়শুড় করে বেরিয়ে পড়ছে, আটকে রাখার জো নেই যখন তখন এসে ফ্রিজ বরাবর দৌড়ে মাছ দেবার জন্য অডার করছে, খাওয়া হলেই দড়জা দেখাচ্ছে খুলেদেবার জন্য, যেন সময় করে অফিস যেতে হবেই, আবার বিনা নোটিসে এসে দড়জার বাইরে ত্বারস্বরে চিৎকার জুড়ে দিচ্ছে, ছয় তলার ছাদে উঠে বড় আপার কবুতরের দিকেও নজর দিচ্ছে, এবাড়ির ওবাড়ির ছাদে সারা দিন ঘুরে বেড়ানো আর অন্য সব হুলোদের তার শাশানো চাই চাই !

৩৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৫

দীপান্বিতা বলেছেন: বাবা! এত দুষ্টু হল কি ভাবে!:P ...বাড়িতে কাকে দেখে এসব শিখছে!;)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: তিতিনের এই সব আচরন মনে হয় স্বভাবজাত, কারন বাড়িতে এমন লোক একটিও নেই, তবে ভদ্র লোকদের সঙ্গে থাকে বলে ও যথেষ্ট ভদ্র, এখনো পর্যন্ত একটাও কবুতর মারেনি, বাথরুমের বড় বালতি থেকে পরিষ্কার পানি খায়, সোফা আর বিছানা ছাড়া বেচারার ঘুমই আসতে চায়না, আর আমিষ ছাড়া অন্য কোন খাবার তার মুখে রুচেনা, বাথরুম করার জন্য তার চাই পরিষ্কার বালির ঢিবি।

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

দীপান্বিতা বলেছেন: হাঃ...হাঃ! আপনার সাথে থেকে দেখছি তিতিন খুব ভদ্রই হয়েছে!:#)

আমার মাউয়ের পেট ছেরেছে, কেন বুঝছি না... :(

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০০

সোহরাব সুমন বলেছেন: মনে হয় খাওয়া দাওয়ায় কন্ট্রল নেই একটু খেয়াল রাইখেন তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে মনে হয় !

কেন মেনির মধ্যে কি এমন ভদ্র আচরন একদমই দেখতে পাচ্ছেন না ?
নাকি ও এর থেকেও বেশী ভদ্র !!!

৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৭

দীপান্বিতা বলেছেন: আমার মেনি খুব ভাল মেয়ে...ভাত আর মাছ খাচ্ছে...পায়ে পায়ে ঘুরছে...মাঝে মাঝে বাইরে যায়, আবার ফিরে আসে, আমার মতই ঘুমাতে পছন্দ করে;)...ক’দিন পটি করছে খুব!.... আপনারটা কোথায় শোয় রাতে!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৩

সোহরাব সুমন বলেছেন: কেনো আমার সঙ্গেই শোয়, বেশির ভাগ সময় পায়ের কাছে! কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি ল্যপটপের ওপর...........

৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৫

কবির চৌধুরী বলেছেন: আমার ১২ টা বিড়াল এক সাথে ছিল :-* :-* :-* :-*

মজার একটা পোস্ট। +++++++++++++++++++++++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৫

সোহরাব সুমন বলেছেন: ১২টা ! কি বলেন, আপনার সেই বিড়াল গুলোকে নিয়ে কোন পোস্ট কি দেন নি এখনো !............

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !

৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

দীপান্বিতা বলেছেন:
marry x-mas...marry x-mas!!:#P ....আজ তিতিনের স্পেশল মেনু কি হচ্ছে!:D...আমার মাউ তো আমার সঙ্গেই ঘুমায়...কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখন ওকে একটা বাস্কেটে শোয়ানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু কিছুতেই রাতে সেটায় শুতে চায় না!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: marry x-mas...marry x-mas ! সকালে উঠেই মাঁউ মাঁউ করে ফ্রিজ খুলতে বাধ্য করলো তারপর সেখার থেকে দেশী রাতার আস্ত একটা রান কাবাব করে দেওয়া হলো, সেটা খেয়ে আপার ঘরে গিয়ে গরুর মাংশে ভাগ বসালো। রাতে গলদা চিংড়ি আর মুরগির মাংশ ব্যস সব মিলিয়ে তিতিনের বড় দিন সাংঘাতিক ভারো কেটেছে !

বাস্কেটা বিছানার ওপরে রেখে চেসআ করা যেতে পারে, তাতে কাজ না হলে জোরাজোরির দরকার নাই, এই একটা জায়গায় এরা খুবই স্বাধীনতা প্রিয় !

৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

লেডি বার্ড বলেছেন: কিউট তিতিন। :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫১

সোহরাব সুমন বলেছেন: কিউট লেডি বার্ড ভাই তুমি নিজেও যতই কিউট হও না কেন তিতিন দেখতে পেলে কিন্তু রক্ষে নেই ! তাই তাড়াতাড়ি ভাগোওওওওওওওওওওওওওওও ..........................................!

৪০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এই বিড়ালটার নাম তিতিন?বাহ বেশ মজার তো।খুবই দুষ্টু প্রকৃতির বিড়াল।সবাইরে বাড়িছাড়া করতেসে।রয় তাইলে এখন কোথায়?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: রয় বেচারা সারা দিন বাইরে বাইরে ঘুরে আর সুজোগ পেলেই হাতে মুখে টপাটপ দু'মুঠো খেয়ে পগার পার !

রয়ের ছবিও দিবো দেখতে আইসেন আবার !

৪১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: আর জোরাজোরি করছি না, আমার সাথেই শুচ্ছে :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০১

সোহরাব সুমন বলেছেন: খুব ভালো করেছেন !

৪২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩২

দীপান্বিতা বলেছেন: শুভ নববর্ষ!... কি খবর আপনার আর আপনার তিতিনের!...আমার মাউয়ের একটা সুসংবাদ আছে...তিনি মা হতে চলেছেন...যদিও আমি বেশ একটু চিন্তায় আছি...কি করবো না করবো ভেবে পাচ্ছি না...পরামর্শ চাই অবশ্যই!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১০

সোহরাব সুমন বলেছেন: শুভ নববর্ষ ! আমি ও তিতিন দুজনেই ভালো ! ওএখন প্রতি রাতেই নাক ডেকে আমার কম্বলের নিচে সকাল দশটা অব্দি ঘুম যায় !

সুসংবাদটা যে পাবো তা আগেই ধারনা করতে পেরেছিলাম ! এখন আরও খুশি লাগছে ! আগের মতই খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যান, খেয়াল রাখবেন এই সময় ওকে যেনো কেউ না ধরে বা বিরক্ত না করে, এমনকি কোলেও যেনো না নেয়, বাদবাকি মেনি সোনা নিজেই সামাল দিতে পারবে বলে মনে হয় !
বিড়ালেরা নিজেদের ধাত্রীর কাজ নিজেই করে ! কালে ভদ্রে মানুষের সাহায্যের দরকার হতে পারে তবে মেনি মনে হয় এক্ষেত্রে একাই যথেষ্ট !

৪৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩১

দীপান্বিতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন তো! আজ সকালেই কোলে তুলে আদর করলে ও রেগে উঠল!....বাদ বাকি ও নিজেই সামলে নিতে পারবে বলছেন!!!...অনেক অনেক ধন্যবাদ! অনেকটা সাহস পেলাম!...আবার বিরক্ত করবো, অসুবিধায় পরলে :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: অবশ্যই !

৪৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৫

দীপান্বিতা বলেছেন: কবে কি হয়! কিছুই বুঝছি না! :(

১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১০

সোহরাব সুমন বলেছেন: খুব বেশী যে একটা সময় নিবে তাও কিন্তু না! কিন্তু সময় ঘনিয়ে এলে দিন ক্ষণ বোঝা কষ্টের। তবে ঘটনার একটু আকর্ষীকতা থাকা কিন্তু ভালো। কাছাকাছি থাকলে একেবারে সময় ঘনিয়ে আসার সময় নিশ্চই কিছু একটা বুঝতে পারেবেন। বাড়তি কোন দুঃশ্চিন্তার একদমই দরকার নেই।

৪৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৩

দীপান্বিতা বলেছেন:
আগে একটু মিষ্টিমুখ করে নিন :)...অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

এ এক দারুন অভিজ্ঞতা হল বলতে পারেন!...১২তারিখ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বাচ্চা দুটো হলো...ছেলে হলে নাম রাখবো বিবেকানন্দ বা বিলে...বিলেই ভাল, কি বলেন!...সেদিন আমার মাউ অন্যদিনের মত ছিল না সকাল থেকেই পায়ে পায়ে ঘুরছে আর কাঁদছে!...খুব অল্পই খেল...আমি প্রায় সব কাজ ফেলে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে যাচ্ছি, একটু উঠলেই আবার কাঁদে! তারপর দুপুর চারটে নাগাদ আমার কোলের কাছেই একটু কষ্ট করে ঝিমোচ্ছিল...হঠাৎ কোত্‌ পারতে থাকে...দেখলাম সন্তান জন্ম দেওয়া খুব কষ্টের!...খাটে খুব কষ্ট করছে...এক সময় একটা কালো ল্যাজ আর একটু শরীরের অংশ দেখা গেল, তখন মাউয়ের খুব কষ্ট! লাফিয়ে মাটিতে নেমে গেল...ভায়ের খাটের তলায় একটা কাঠের ড্রয়ার রাখা ছিল আগে থেকেই, তাতেই ধিরে ধিরে দুটি বাচ্চাকে জন্ম দিল, নিজেই পরিষ্কার করল...এখন রাতেও বাচ্চাদের কাছেই শোয়, আগেরদিন রাতেও আমার কোলে শুয়ে ছিল!


আমার মাউ-য়ের ছানারা

এখন আবার কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে...মাউএর খিদে বেরেছে...কি কি দিলে ভাল হয়...আর, সেই আগের মতই দেব কি! মানে ওজন পিছু ৫গ্রাম করে, নাকি একটু বেশি খাওয়াতে পারি!...বাচ্চাদের চোখ কবে ফুটবে!...আমি ওদের ভয়ে ছুঁইনি, যদি নোনা লাগে! কিন্তু আমার ভাই ওদের নিয়েই আছে...অফিস থেকে এসেই ওদের বিছানা ঠিক করবে, হাতে নেবে...বারন করলেও শোনে না, ওর একটা মা খরগোশ ছিল, সেটাকে খুব ভালবাসতো...তো সেটা খুব কষ্টে মারা যায় আর ও বাচ্চাদের মত কেঁদে ফেরে, তাই বেশি বকি না...এখন কি কি নিয়ম মানতে হবে বলুন :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১১

সোহরাব সুমন বলেছেন: আসলেই এই অভিজ্ঞতার কোন জবাব নেই ! যাক আপনার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেল। আর একটু বড় হলেই ওদের হৈচৈ আর খেল ধুলায় সব ভুলে যাবেন।

মাঝের এই কটা দিন খানিকটা সতর্ক থাকতেই হবে। এসময় ছানাদের যত নিরিবিলি রাখা যায় ততই ভালো, এসময় মায়ের দুধই যথেষ্ট, কয়েক দিনের মধ্যেই গায়ে ঢাউস আকারের উকুন দেখাদেবার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো হাত দিয়েই মেরে দিতে হবে, মেনি দূরে সরে যাবার পরই কাজটা করবেন, তাতে তরতর করে ওজন বাড়বে, আর মেনির খাবারের পরিমানো সামান্য বাড়াতে হবে, দুধের সঙ্গে দিন কতক পর পর অতি সামান্য মাল্টি ভিটামিন সিরাপ দিতে পারেন, ঘরে শিশুদের জন্য আনা এধরনের ভিটামিনের মজুদ আগেই থাকতে পারে।

ওদিকে শীত কেমন সেটা জানাননি, শীতে নাকে ইনফেকশন হয় আর বেড়াল খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এমন হলে নাক শুকনো থাকবে বা তাতে দুগন্ধ পাবেন, মেনি এবং বাচ্চারা খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন, এরকম কিছু নিশ্চিত হওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে এন্টিবায়টিক দিতে ভুলবেন না, তিতিনের এই অবস্থায় আগে আমি মোক্সাসিল ব্যবহার করেছি, কদিন আগে ফের সেফরো দিলাম, ওষুধটা খুবই কাজের কিন্তু খাবারের সঙ্গে মিলীয়ে অনেক কৌশল করে খাওয়াতে হয়, দ্বিতীয় বার কিন্তু একই কৌশলে ওষুধ খাওয়ানো কঠিন, ওকে ক্যাপসুল ভেঙ্গে ৫০০এমজির/ ৫০ কেজি হিসেবে দিয়ে ভাল ফল পেয়েছি। অবস্থা বেগতিক দেখলে একই পথ অনুসরন করতে পারেন।

৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০১

দীপান্বিতা বলেছেন: বাচ্চারা মার সাথে একদম ঢাকাঢুকি দিয়ে আছে, মায়ের দুধ খাচ্ছে...উকুন আসবে কোত্থেকে! মায়ের গায়ে তো একটাও পোকা নেই! চোখ ফুটবে কবে!...মেনিকে প্রায় প্রতিদিন খাবারের সাথে A to Z মাল্টি ভিটামিন সিরাপ খাওয়াচ্ছি ...শীত তো খুব পড়েছি!...মেনি তো সারাক্ষণ বাচ্চাদের সাথেই বাক্সে ঢুকে বসে থাকে, খিদে পেলে বাইরে আসে আর দুপুরে জানলা দিয়ে বাইরে দেখে...ওসুধের নামটা লিখে রাখছি, দরকার হলে খাওয়াবো...আপনাকে অনেক ধন্যবাদ:)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪১

সোহরাব সুমন বলেছেন: কোথা থেকে যে উকুন আসবে সেটা বলা মুস্কিল তবে ছোট বাচ্চাদের গায়েই বেশী বাসাবাঁধে এরা। ১৫-২০ দিনের মধ্যে চোখ ফুটতে পারে, সময় যাই লাগুক এ সময়টা মায়ের তত্বাবধানে থাকাই ভালো। ভিটামিন দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ, কিন্তু দেখবেন পরিমানে যেনও খুব বেশী হয়ে না যায়। শীত বেশী থাকলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থেকে যায় সেদিকে একটু নজর রাখবেন ব্যাস, আপনাকেও ধন্যবাদ !

৪৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৫

দীপান্বিতা বলেছেন: আচ্ছা! আরেকটা প্রশ্ন.... পাখির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা আছে! আমার কোকিলটার পা’দুটো একদম পরে গেছে...দাঁড়াতে পারে না, উল্টে উল্টে যায়

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: পাখির মধ্যে কবুতর পালার অভিজ্ঞতা এই টুকুই। কোন জিবানুর সংক্রমন কিনা বুঝতে চেষ্টা করুন, নিশ্চিত হতে পারলেই এন্টিবায়টিক। মলের রঙ আর টেক্সারে কোন পরিবর্তন দেখলে বা খাওয়ায় অনিহা হলে ওষুধ খাওয়ান, কাছেধারে পোল্ট্রি থাকলে সেখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন, তবে নেটই বা কম কিসের।

৪৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০২

দীপান্বিতা বলেছেন: ভিটামিন 2.5mlকরে মেনিকে দিচ্ছি...বাচ্চাগুলোকে তো হাতে নিতেই ভয় করে! ঠিক আছে কাল দেখবো গায়ে পোকা হল কিনা...পাখিটা এখনও খাওয়াটা ঠিক করছে...আমার এক কাকা পাখি পোষেন, তাকে সব বল্লাম তিনি ক্যালসিয়াম খাওয়াতে বললেন...আর পাখিটাতো প্রথমদিন থেকেই ভুগছে, তাই প্রস্তুত থাকতে বললেন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০২

সোহরাব সুমন বলেছেন: আরো কদিন যাক তখন দেখবেন, বিশেষ করে মেনি বাইরে যেতে শুরু করলেই।
দেখুন চেষ্টা করে ক্যালসনিয়াম দিয়ে হয় কীনা ! আমাকে খানিক স্টাডি করে বলতে হবে, এছাড়া ভরসা পাচ্ছি না।

৪৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৪

দীপান্বিতা বলেছেন: আমার কোকিলা আর নেই...আজ আমার কোলেই শুয়ে মারা গেল ....

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: সরি ! আমার বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি !

৫০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৯

দীপান্বিতা বলেছেন:
ধন্যবাদ সোহরাব সঙ্গে থাকার জন্য...কোকিলা সব সময় আমার স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে...তার কিছু ভিডিও আমার ভাই নেটে দিয়েছে...



ছানাদুটির চোখ ফুটেছে ....

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৩০

সোহরাব সুমন বলেছেন: দারুন ও লে লে সোনামণি !

৫১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫২

দীপান্বিতা বলেছেন: কি খবর কেমন আছেন! তিতিনের খবর কি!...এদিকে আমার পুঁচকি দুটোর তো চোখ ফুটেছে, দুটিই মেয়ে হয়েছে মনে হচ্ছে...আর মাউ তো আবার খুব পাড়া ঘুরছে! ভাই বলছে আবার ছানা-পোনা হবে মনে হয়! কি করা যায় বলুন তো!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: ভালো আছি ! তিতিনো ভালো আছে !

ওষুধ ভেঙ্গে কাঁচা মাছের ভাজে ভরে খাইয়ে দেখতে পারেন ! আপনার একটা মেইল আইডি দিয়ে রাখলে বড় ডকুমেন্ট পাঠাতে সুবিধা হতো।

৫২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দীপান্বিতা বলেছেন: পিসিকে বলেছি pill এনে দেবে বলেছে...কিন্তু কথা হচ্ছে ওর পেটটা আবার একটু ফোলা ফোলা লাগছে, বাচ্চাগুলো আগের মাসে ১২তারিখ হয়েছে, এখনও তো এক মাস হয় নি! এখনই কি আবার বাচ্চা আসতে পারে! আর যদি ধরুন এলো এ অবস্থায় কি pill খাওয়ান উচিত হবে!

আপনার মেল আইডিটা দেবেন!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এমন হতে আমিও দেখেছি ! বেশি সন্দেহ হলে আরো কয়েক দিন খেয়াল করে দেখেন আগের বারের অভিজ্ঞতার সাথে কিছু মেলে কিনা ! তারপর ভেবে চিন্তে ব্যাবস্থা নেওয়া যাবে। তবে দুধ খাওয়া অবস্থায় প্রেগনেন্সি কম হয় বলে শুনেছি !

৫৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩২

দীপান্বিতা বলেছেন: ঠিক আছে, লক্ষ্য রাখবো...তবে ভাই তো বলছে ও আবার মা হবে মনে হয়! আগেরবারও ওই আগে বুঝেছিল!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: আপনার মেইল পেয়েছি ! এফবিতে মনে হয় নতুন একাউন্ট খুলেছেন তাই না , আমি এডরিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। আপনিও বুঝতে পারবেন একটু ভালে করে লক্ষ করলে !

৫৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১২

আইরিন সুলতানা বলেছেন: তিতিন তো দেখছি বেড়ে দূরন্ত বিড়াল! দারুণ এক বন্ধু আপনারা নিশ্চয়ই !

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সোহরাব সুমন বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন ! ও এখন আমার খুবই কাছের মানুষ !

৫৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০০

দীপান্বিতা বলেছেন: আমার মাউ ও তার ছানারা :)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১২

সোহরাব সুমন বলেছেন: আপু পুরোটা দেখলাম ! আপনার মেনির ছানারা খুব সুন্দভাবে বেড়ে উঠছে। খেলাধুলা করে এভাবেই আপনাদের সবাইকে মাতিয়ে রাখছে ! আইডিএম সমস্যার কারনে পরে ডাওনলোড করতে হবে। তবে আমার খুবই ভালো লেগেছে, ওদের ছুয়ে দেখতে পারলে আরো ভালো লাগতো!

৫৬| ১১ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৭

দীপান্বিতা বলেছেন:

কি খবর …কেমন আছেন…তিনিনেরই বা খবর কি…আমার মেয়ে আর নাতনিরা আজকের ছবি:D

১২ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৪০

সোহরাব সুমন বলেছেন: বাহ বাহ ! অনেক সুখি পরিবার !

মারামারি করে তিতিনের যাতা অবস্থা ! শরীর-স্বাস্থ্য তেমন ভালো যাচ্ছেনা বেচারার, পেছনের পায়ের একই জায়গায় পর পর দু দুবার ইনফেকসন বাধালো, প্রথমবার ওষুধ খাওয়াতে কষ্ট হয়েছে, ওষুধ দেখলেই ভাগতো, কদিন ধরে কাঁচা মাংশের ভেতরে ভরে দিচ্ছি বলে আর খেতে অমত করছে না।এর মধ্যে তেমন কাজ না হওয়ায় পরপর কয়েক বার এন্টি বায়টিক বদলেছি, এখন একটু ভালো পথে। কিন্তু দু'দিনধরে আবার বাইরে যেতে শুরু করেছে। কখন যে কী হয় সেটা বুঝতে পারছিনা। আবার ঘরেও বসিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা, বাইরে সে যে করে হোক যাবেই, বাঁধা দিলে ঘ্রান ঘ্যন করে সেটা ভালো লাগেনা।

৫৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০১

দীপান্বিতা বলেছেন: সেই তো! তিতিন এখন কেমন আছে!...আমাদেরটার পিছে তো আবার হুলো ঘুরে বেরাচ্ছে!

২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩৯

সোহরাব সুমন বলেছেন: খুবই ভালো ! ওজন বেড়েছে ! নতুন লোমও উঠছে ! এই ঘটনাটা ঘটছে একই দিনে পর পর চারটি বয়লার মুরগির মাথা চুড়ি করে খাবার পর ! এখন কদিন ধরে দিচ্ছি বয়লার মুরগির পা ! সেই লোভে বাসায় ফেরার পর থেকে লেগেই থাকে আমার পিছে ! আল্লাদ করাও বেড়েছে রাগও...সেইটা ঝাড়ছে বাইরের বিড়াল গুলার ওপর !

৫৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১১

দীপান্বিতা বলেছেন: তিতিন ফিরলো!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

সোহরাব সুমন বলেছেন: না !!!!!!!!!!!!!!!!!

৫৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
তিতিন এর কথা জানলাম
দারুন এক বিড়াল :)
+++

১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৫১

সোহরাব সুমন বলেছেন: কিন্তু সেই তিতিন এখন শুধুই স্মৃতি !

ওর কথা মনে পড়লে খুব মন খারাপ হয়....ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.