নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নারীমুক্তি নামক যে শব্দটা প্রচলিত রয়েছে, সেটাকে নারীরাই সবচেয়ে বেশী ভয় করে, নারীদের কাছেই এই শব্দটাই সবচেয়ে বেশী অপরিচিত, তারা এটাকে অবিশ্বাস ক’রে, তারা এটাকে মানতে চায় না।তারা নিজেরাই নিজেদেরকে এখনও মুক্তি দিতে পারেনি।আর কেউ যদি তাদের মুক্তি নিয়ে কথা বলে

লিংকন বড়ুয়া

simple chele, karo shate jogra kori na.

লিংকন বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাও এখন নষ্টদের অধিকারে গেছে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১০

আমাদের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছে পাঁচ বছর বয়স থেকে। এখনকার ছেলেরা আরও আগে শুরু করছে। পাঁচ বছর হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে মা বাবার কাছে যা পেয়েছি তাই শিখেছি। এর পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ শিক্ষকের ছায়াতে চলে আসা। জীবনের যা পাথেয় তার অনেক কিছুই এর পর থেকে আস্তে আস্তে শিক্ষকদের কাছ থেকেই পেয়েছি এখনও পাচ্ছি। এইতো গেল নিজের কথা।

এবার আসি, কিছু রাজনীতিকরা ছেলেদের কথায়, এরাও ঠিক আর সকলের মতই স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজে ওঠে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। কলেজে এসেই এরা তাদের বড় ভাইদের স্পর্শে আসে বা পাড়ার কিছু বড় ভাইয়াদের স্পর্শে এসে রাজনীতিতে যোগদেয়। এদের লক্ষ্য থাকে রাজনীতিবিদদের চোখে পড়তে, যদি একবার মহান ব্যাক্তিদের চোখে পড়ে যায় তখন এদের আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা। যে কোন সরকারি চাকরিতে এদের প্রাধান্যতা আগে। আমি আর আপনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেড়িয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য জুতার তলা ক্ষয় করবো, তখন দেখবেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ না করা স্বত্ত্বেও এদের দলের মহাগুনবান মানুষগুলো চাকরি পেয়ে যাবেন ।এরা মাঝে মাঝে ক্লাসে যায় গন্ডগোল পাকানোর জন্য। এদের প্রধান কাজই হচ্ছে ক্লাসে গিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করা। আর পরীক্ষা আসলে এরা ব্যস্ত হয়ে পরে পরীক্ষার প্রশ্ন বের করার জন্য। আর এদের সাহায্য করে বড় ভাইয়ারা। এরা পরীক্ষার নকল করলেও , শিক্ষকরা কিছু বলতে পারবেনা। যদি কোন শিক্ষক কিছু বলে ফেলে তখন এরা এদের মহাগুনী ভাইদের নিয়ে এসে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়, না হয় স্যারকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করে, আর যারা একটু ঠান্ডা মাথার তারা শিক্ষকটাকেই মেরে ফেলে। এরা মারলে ও ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলা বা করা যায়না। এদের বিরুদ্ধে যখনি কোন দায় ওঠে তখন আমাদের দেশের উপরতলায় বসা কিছু গুনবান ব্যাক্তি এদেরকে বাঁচিয়ে দেন, আর যারা এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাদের কপালেতো শনির দশা ভর করে।

স্যার আপনি অপমান সহ্য করতে না পেরে বৃষ্টিতে ভিজছেন আর ওই সব মহাগুনবান ব্যাক্তিরা হয়তো শিক্ষকদেরকে মারার পর মহা আনন্দে রাজভোজ সারছে। স্যার দু:খ করে কি বা করবেন, এই দেশটা যে আরও অনেক আগে থেকেই নষ্টদের অধিকারে গেছে। নষ্টরায় যুগে যুগে দেশ চালাচ্ছে। আর নষ্টরায় যুগে যুগে মানুষের ভাল করার নামে মানুষ মারছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.