![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের জনগণ প্রথমবারের মত ভারতের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ন্যাক্কারজনক ও অন্যায়ভাবে হারিয়ে দেওয়ার জন্য। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের বন্ধুপ্রতীম ভারত যে আন্তর্জাতিক মানের বেঈমান তা সে আন্তর্জাতিক পর্যায়েই প্রমাণ দিলো। বাংলাদেশীদের বুঝতে হবে যে, ভারত কোন চেতনায় একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এহেন অন্যায় আচরন করতে সাহস করলো কিংবা কেন করলো? চেতনার দিক থেকে উক্ত ঘটনার জন্য ভারতকে তত দায়ী করা যায় না, কারণ হচ্ছে; যে দেশের সীমান্তে ৪/৫ জন নিরীহ নাগরিককে ভারত প্রতিনিয়ত হত্যা করে, যে দেশ সরকারীভাবে তার প্রতিবাদটুকু পর্যন্ত করতে পারে না, যে দেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীতে বাধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে দেশের ২% হিন্দুকে ভারতের আদেশক্রমে সরকারী চাকুরীরর মোট ৫০% দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে দেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের নীতিনির্ধারক পদ সমূহের ৭০% ঐ ২% হিন্দুদের দখলে। ৯৮ মুসলমান জনগোষ্ঠীর মগজধোলাই এর জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ৭৫% কর্মকর্তাদের পদ সমুহ হিন্দুদের দখলে।
যে দেশের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করার দ্বায়িত্য ২% হিন্দুদের দখলে যে দেশে ৯৮% মুসলমানদের স্কুল কলেজের পাঠ্যসূচিতে ৫০% হিন্দুদের লেখা পড়ানো হয়। যে দেশে ৯৮% মুসলমান থাকা স্বত্তেও ব্যাপক হারে হিন্দু শিক্ষক দ্বারা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়র মুসলমান মেয়েদের সম্ভ্রমহানী ঘটানো হয়। হিন্দু জনসংখ্যা ২% কিন্তু পুলিশে ৪৫% হিন্দু, প্রশাসনের সকল পদ সমূহের ৪০% হিন্দু, দেশে বিদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহের প্রায় ৮০%হিন্দু [সূত্র: Click This Link
যে দেশের সরকারকে বিনা ভোটে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হয়েছে অখন্ড ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লীর প্রতি আনুগত্যতা ভারতের যে কোন রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর চাইতে অনেক বেশী, যে দেশের ৫৭জন অফিসারকে একসাথে হত্যা করে সেনাবাহিনীর হাটু ভেঙ্গে ফেলে দেয়া হয়েছে, ২৩ জন জেনারেলের স্থানে ৬২জন কে জেনারেল পদবী দিয়ে মাথাভারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, বেতন/ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি ব্যপক হাড়ে বৃদ্ধি করে পেট মোটা করে দেওয়া হয়েছে, এই মাথাভারী, পেটমোটা আর হাটুভাঙ্গা সেনাবাহিনী দিয়ে আর যাই হোক যুদ্ধ হবে না এহেন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে দেশের পুলিশ বাহিনীকে ভারতের স্বার্থে বিরোধীদলীয় যে কোন ধরণের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদে অবাধে গুলি করে মানুষ হত্যার অধিকার দেওয়া আছে। যে দেশের সীমান্ত প্রহরী (আজিজ জেনারেল) সীমান্ত ছেড়ে ভারতের স্বার্থে বিরোধী দলীয় গণমানুষের হত্যায় ব্যস্ত। যে দেশের জনগণকে আমরা স্বাধীনতা (?) দিয়েছি, ২৪ ঘন্টা ভারতীয় সিনেমা এবং টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে যে জাতিকে মানসিক ভাবে ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। যে দেশের উপদেষ্টা জেনারেল তারিক অথবা মন্ত্রীসভায় আসাদুজ্জামান নূরের মত ১২/১৩জন মন্ত্রী আছে যারা সরাসরি ভারতীয় এজেন্ট, যে দেশ দুদিন পর সিকিমের মত আমাদের আর একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে। সেই দেশ একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতকে হারিয়ে দেয় কিভাবে?
দেশকে ভালোবাসে এমন বাংলাদেশীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে তবে ভারতের দিকটা বিবেচনা করলে তত বেশী খারাপ বোধ হওয়ার কথা নয় । কারণ অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারত যখন ক্রিকেটের মোড়লীপনার দ্বায়িত্ব নিয়েছে তখন থেকেই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট রাজনৈতিক কুটচালের খেলাঘরে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষতার পর্দার আবরণে এখন সেখানে চলে এক জটিল স্বার্থবাদী খেলা যে খেলায় সব সময় জয়ী হবে ঐ তিন দেশের স্বার্থ। ক্রিকেট খেলার ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা সেদিন থেকে শেষ হয়েছে যেদিন ঐ ৩ দেশ নিজেরা মোড়ল সেজে বসেছে। ভারতে যেমন ৪০% মুসলমান অর্থনৈতিক ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করে কিন্তু মাঝে মাঝেই একজন তথাকথিত মুসলমানকে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করে বিশ্ব মুসলমানকে ধর্ম নিরপেক্ষতার ভাওতা দেওয়ার জন্য। ঠিক তেমনি আই সি সি তে চেয়ারম্যান হিসেবে রেখেছে বাংলাদেশী এক মন্ত্রীকে। সমস্যা হয়েছে এই যে, ঐ চেয়ারম্যান ভুল করেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ফেলেছে। এখন যা হওয়ার তাই হবে । আই সি সি থেকে উষ্ঠা মেরে তাকে বের করে দেওয়া হবে। কারণ ঐ ৩ মোড়ল দেশ যা বলবে তাই সঠিক, বাস্তবে তা যত মিথ্যা বা অবাস্তবই হোক না কেন। বিশ্বজুড়ে মুসলমান নিধনে কিংবা তৃতীয় বিশ্বের সম্পদ লুন্ঠনে জাতিসংঘ যে রোল প্লে করে, বর্তমান আই সি সি এখন ঐ রকম একটা অবস্থান নিয়েছে।
শুধু মাত্র এই অন্যায় সিদ্ধান্তকে গ্রহন করার জন্য পৃথিবীর সকল ক্রিকেট খেলতে অংশগ্রহনকারী দেশ সমূহ এক জোট হয়ে আই সি সিকে চাপ দিয়ে পূর্বের ব্যবস্থাপনা সেট্ আপ এ নিয়ে যাওয়া উচিৎ। যেখানে ক্ষমতায় থাকার জন্য দিল্লীকে আমাদের চরম দূর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতারা সাষ্টাঙ্গে নমষ্কার জানায় সেখানে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা যোগ্যতা দিয়ে ভারতকে চপোটাঘাত দিতে গিয়েছিলো। খেলায় তারা হেরেছে কিন্তু তা ছিলো বাংলাদেশের জন্য এক বড় ধরণের নৈতিক বিজয় । আমরা দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি তবে ভারতের মত দেশকেও হারাতে সক্ষম এ বিষয়টা জাতির উপলব্ধিতে দিতে হবে, তবেই হবে আমাদের সত্যিকারের বিজয়। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সহায় হউন, আমীন।
N.B. দেশের স্বার্থে যত বেশী সম্ভব প্রচার করুন।
©somewhere in net ltd.