নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অলস, আমাকে ঘুম থেকে ডাকবেন না

বন্যলোচন

অনর্থক জীবন ধারণ, বিতৃষ্ণার মূল কারণ।

বন্যলোচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালকের বুক রিভিউঃ ক্রাচের কর্নেল

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

বই নিয়া পর্যালোচনা করা নিঃসন্দেহে কঠিন জিনিস। প্রিয় বই নিয়ে লেখা আরও কঠিন। অনেকটা প্রিয় খাবার নিয়ে লেখার মতো- হ্যাঁ, দেখলেই জিভে জল আসে, লাফায়া গিয়ে গলধঃকরণের ইচ্ছা জাগে- কিন্তু কেন জাগে তা তো জানি না!

তবুও, চেষ্টা করে দেখি।



'ক্রাচের কর্নেল' বিখ্যাত লেখক শাহাদুজ্জামানের লেখা বহুল জনপ্রিয় এবং সমালোচিত বই, কর্নেল তাহেরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে যার ঘটনাবলি। জনপ্রিয়- কারণ তৎকালীন সময় আর তাহেরকে নিয়ে শাহাদুজ্জামানের পরিষ্কার লেখনি। সমালোচিত- কারণ ওই একই; তৎকালীন সময় আর তাহেরকে নিয়ে শাহাদুজ্জামানের পরিষ্কার লেখনি। এই ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ 'ক্রাচের কর্নেল' তাহেরকে ফলো করার পাশাপাশি ফলো করেছে সেই অস্থির সময় এবং সেই সময়ের প্রধান চরিত্রদের। তাহের লেখকের জন্যে সেই স্থির খুঁটিস্বরূপ- যাকে কেন্দ্র করে তিনি সেই সময়কে ফিরিয়ে এনেছেন বইয়ের পাতায়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বইটি দুই বিপরীত ট্রিটমেন্ট- জনপ্রিয়তা এবং বয়কটীয় মনোভাব- পেয়ে আসছে প্রকাশের পর থেকেই।

আসলে বইটির প্রাণ কোথায়? কেন পাঠক বইটি পড়বেন?

বইটি পাঠক পড়বেন কারণ শাহাদুজ্জামান নিরপেক্ষ চোখে ইতিহাসের পাঠ নিয়েছেন। আর তুলে এনেছেন বহু ব্যতিক্রমি আর দুর্লভ উপাদান। আমাদের নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধকে একরকম রোমান্টিক চোখে দেখে। ''হানাদার বাহিনি হামলে পড়ল আর আমরা সবাই বিভেদ ভুলে গিয়ে একত্রে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলাম'' --এরকম ভাবে। কিন্তু আসলে যুদ্ধের সময় কতটা প্রতিকূলতা এড়িয়ে একজন তাজউদ্দীন এগিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশকে, কতটা ত্যাগ স্বীকার করে একেক জন মুক্তিযোদ্ধা লড়েছেন, এবং কতশত সুবিধাবাদি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যুদ্ধ থেকে- তা এসেছে শাহাদুজ্জামানের উপন্যাসে। এসেছে অভ্যন্তরীণ ভাঙনের গল্প। আমাদের দেশের দুই প্রধান ফিগার- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং, বিশেষতঃ জিয়াউর রহমান- এদেরকেও হাঁটু গেড়ে বসে পূজা করা হয় নি। দুজনের পারসোনালিটির পার্থক্য এবং ভাল-খারাপ উভয় দিকগুলো এসেছে।

বঙ্গবন্ধুর সমুদ্রসম ব্যক্তিত্ব আর বুদ্ধিমান নেতৃত্বের কথা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে স্বাধীনতার পর তার দূরদর্শীতার অভাব এবং চাটুপ্রেমি হয়ে পথভ্রষ্ট হবার কথা।

নিরাবেগ, বাই দা বুক জীবনযাপনে বিশ্বাসী অতি ভাগ্যবান একজন মানুষ- জিয়ার - মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্ট্রাটেজি মেনে চলার কথা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে তার সুবিধাবাদি মনোভাবের কথা, প্রাণরক্ষাকারী তাহেরের সাথে তার শীতল বিশ্বাসঘাতকতার কথাও। এবং আমার মনে হয় এটাই একজন লেখকের কাজ। যিনি স্রেফ বিশ্লেষণ করবেন- গালি বা অন্ধভক্তির অর্ঘ্য না দিয়ে। খোলা চোখে।

প্রায় সাড়ে তিনশ পৃষ্ঠার এই বইয়ের পাতায় পাতায় আছে বাংলাদেশের রাজনীতির কুখ্যাত-বিখ্যাত সব রথি-মহারথির নাম। পরিচিতির কয়েক লাইন পরেই লেখক তাদের ভাগ্য জানিয়ে দিচ্ছেন। ইনি কয়েক বছর পড়ে এই পরিস্থিতিতে পড়বেন, ইনি এভাবে বদলে যাবেন। এই অংশগুলো পড়ার সময় চুরি করে বিধাতার ডায়েরি পড়ার অনুভূতি জাগে।

তারপর, আগে যেমনটা বলেছি, শাহাদুজ্জামান খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে উপন্যাসের এই ফরম্যাটটি ব্যবহার করেছেন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের, চলাকালীন, এবং পরের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটাকে সংক্ষেপে তুলে ধরতে। কি আসেনি গল্পে? আইয়ুব পতনের পর ইয়াহিয়ার উত্থান, শেখ মুজিব-ভাসানির শক্তিশালি অবস্থান, নির্বাচন, তারপর গড়িমসি, তারপর সরাসরি গণহত্যার, মুক্তিযুদ্ধের শুরু। যুদ্ধের সময়টা আমরা দেখি তাহেরের চোখে। তার পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সাহসি পলায়ন, পা হারানোর কাহিনী, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হাসপাতালে রিট্রিটের গল্প। এরপরে ধীরে ধীরে ভাঙা দেশকে গড়তে গিয়ে মুজিবের ফ্রাস্ট্রেশন এবং একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া, তারপর অভাবনীয় সেই হত্যাকান্ড। এরপরে উপন্যাসটা আর ঐতিহাসিক উপন্যাস থাকে না, হয়ে ওঠে থ্রিলার।

একের পর এক ক্যু হচ্ছে, দেশের প্রধান পাল্টে যাচ্ছেন প্রায় ঘন্টায় ঘন্টায়, তার সাথে পাল্টে যাচ্ছে হিসাব। ঝরছে রক্ত। আর আমাদের নায়কেরা একেক বেড়াজালে আটকে যাচ্ছেন যার আসলে কোন সমাধান নেই (এবং সবগুলোতেই খন্দকার মোশতাকের সর্পসম উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়)। দম আটকে রাখতে হয় পড়তে গেলে। পৃষ্ঠা না উলটে থাকা যায় না। সব শেষে তাহের এলেন মঞ্চে, এবং ভুল মানুষটির ওপরে বাজি ধরে হারালেন নিজের পরিবার, নিজের জীবন।

তাই সব শেষে, 'ক্রাচের কর্নেল' একটা ট্রাজেডি। তাহেরের ট্রাজেডি। যে মানুষটি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন বাল্যকাল থেকেই, যিনি সমাজতত্ত্বের পাঠ নিয়েছেন ধর্মগ্রন্থের আদেশের মতো করে, ভবিষ্যতে গেরিলা হবেন বলেই শত্রু আর্মিতে জয়েন করেছিলেন, যাকে কেন্দ্র করে তার সাহসি ভাই-বোন-মা-বাবা-স্ত্রী সবাই লড়েছেন, স্বপ্ন দেখেছেন, দেশকে যিনি ভালবাসতেন সর্বস্ব দিয়ে- সেই বীরের মৃত্যুর ব্যবস্থা করা হল রাষ্ট্রীয়ভাবে ষড়যন্ত্র করে! এর চেয়ে বড় লজ্জা কি হতে পারে আর!

এই বইয়ের রঁন্ধ্রে রঁন্ধ্রে ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশ, আর ছড়িয়ে আছে তার হতভাগা এক সন্তানের কথা। যিনি দেশকে দিয়েছেন অনেক, সুযোগ পেলে যিনি দিতে পারতেন আরও। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে ফাঁসির মঞ্চে নিবিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষ তাকে উপযুক্ত সম্মান বা পরিচিতি দেয় নি। তাঁকে আজো বহু মহলে ব্যঙ্গ করা হয় ল্যাংড়া তাহের বলে, এখনো গালাগাল দেয় অনেকে। মৃত্যুর পরেও তাদের অকারণ নিস্ফল ক্রোধ থেকে মুক্তি মেলে নি মানুষটির।

কিন্তু ইতিহাস বলে, তিনি এদেশের কতিপয় ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের একটি। তিনি একজন জন্মযোদ্ধা, যিনি দেশের ডাক শুনে কখনো মুখ ফিরিয়ে নেন নি। তিনি একজন সহজাত নেতা, যাকে অনুসরণ করে মৃত্যুকেও তুচ্ছ জ্ঞান করেছে অন্যরা। তিনি আমাদের তাহের।

আমাদের ক্রাচের কর্নেল।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

বই পড়া হয়নি; লেখক উনাকে কি বানায়েছেন কে জানে?

বেংগল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা যখন বুঝতে পেরেছিলেন যে, জিয়র সাথে আমেরিকা ও পাকিস্তান আছে, তখন তাঁদের জন্য সমাধান ছিল, জিয়াকে ক্ষমতা থেকে সরানো; তাহের সেইসব সেনাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকা করেছিলেন; জিয়াকে রক্ষা করেছিলেন তাহের, জিয়াও তাহেরকে বুঝতে পেরেছিল সঠিকভাবে; বুদ্ধিমানরা সাপ পোষে না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

বন্যলোচন বলেছেন: তাহের বড্ড বিশ্বাস করতেন মানুষকে, সেটিই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

আরজু পনি বলেছেন:
একটি ব্যাপার বুঝেছি এতোদিনে...কারো সম্পর্কে জানতে চাইলে একটা বই বা প্রবন্ধ লেখা যথেষ্ট নয়...বেশ কিছু লেখা, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর মানুষের লেখা থেকেই প্রকৃত সত্য কিছুটা হলেও অনুধাবন করা সম্ভব ।

আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো ।
বই নিয়ে আরো কিছু তথ্য দিলে পড়ুয়াদের জন্যে সুবিধে হতো, যেমন-বইয়ের মূল্য, প্রাপ্তিস্থান এসব...।

অনেক শুভেচ্ছা রইল, ভবিষ্যতে আশা করি বই নিয়ে আরো লেখা পাবো।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

বন্যলোচন বলেছেন: পরের বার থেকে অ্যাড করে দিবনে। মাওলা ব্রাদার্স, দামঃ সাড়ে চারশ টাকা।

টিপসের জন্য থ্যাঙ্কু।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

অগ্নিপাখি বলেছেন: বইটি কিনবো কিনবো করে আর কেনা হয় নাই। তবে পড়বার ইচ্ছা আছে। তবে কর্নেল তাহের কে নিয়ে একটা ছোট বই পড়েছিলাম বছরখানেক আগে- যেটি আমার সংগ্রহেও রয়েছে- "ফাঁসির মঞ্চে কর্নেল তাহেরঃ একটি অজানা কাহিনী"- । বইটির ভুমিকা লিখেছেন "আহমদ ছফা"। তবে "ক্রাচের কর্নেল" বইটি অবশ্যই পড়বো। আপনিও ""ফাঁসির মঞ্চে কর্নেল তাহেরঃ একটি অজানা কাহিনী" - বইটি কিন্তু পড়ে ফেলতে পারেন। আমি বর্তমানে আরেকটি দারুন বই পড়ছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা বই "হু কিল্ড মুজিব?" লেখক স্বনামধন্য সাংবাদিক এ এল খতিব। বইটিতে বিশাল পরিসরে তৎকালীন সময় এবং এর পূর্ববর্তী সময়কে তুলে আনা হয়েছে। পড়ে ফেলতে পারেন।
রিভিউ দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ লেখককে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

বন্যলোচন বলেছেন: আচ্ছা পড়ব অবশ্যই। আপ্নাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

অগ্নিপাখি বলেছেন: "ফাঁসির মঞ্চে কর্নেল তাহেরঃ একটি অজানা কাহিনী"- লেখক - আনোয়ার কবির।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

বন্যলোচন বলেছেন: :)

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: একটু আগেই অপর্ণা মন্ময় এর পোস্টে বইটার কথা পড়লাম। এখন আরো একটু ভাল করে।
বইটা পড়তেই হবে দেখছি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

বন্যলোচন বলেছেন: মজা পাবেন পড়ে।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

আবু শাকিল বলেছেন: ইতিহাস অনেক কথাই বলে।মনুষ্য জাতি গোপন করে।ততদিনে পদ্মায় অনেক জল গড়িয়ে যায়।কতটুকু গড়ালো সময় সুযোগে পড়তে হবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

বন্যলোচন বলেছেন: পড়ে দেখেন।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

ইমরান নিলয় বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

বন্যলোচন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি যখন রিডিং ব্লকে ভুগছিলাম তখন আবার বই পড়ার মাঝে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে চমৎকার এক বই পড়ার মধ্য দিয়ে আর সেটা হচ্ছে "ক্রাচের কর্ণেল"। গড়পড়তা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিয়ে একটা ধারণা কমবেশি সবারই আছে, আমারো ছিল। আমি সাধারণত ইতিহাসভিত্তিক বই খুব কম পড়ি। উৎসাহ পাই না। সে হিসেবে আমার শুরুটা নিঃসন্দেহে চমৎকার বলবো। খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে টোটাল ইতিহাসকে তুলে এনেছেন শাহাদুজ্জামান। আপনি ঠিক বলেছেন একটা পর্যায়ে থ্রিলিং এর ভেতর দিয়ে গিয়েছে যখন তাহের পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে আবেগী বলা চলে দেশে ফেরার পর থেকে। সঠিক মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন। তাজউদ্দীন আহমেদের সম্পর্কে আলাদা করে বই পড়বার ইচ্ছে ছিল। কয়দিন আগেই নান্দনিক নন্দিনীর একটা রিভিউ পড়লাম " সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ " বই নিয়ে তাজউদ্দীন কে নিয়ে লেখা। আর তাহের এর মত নক্ষত্ররা ক্ষণজন্মাই হয় যিনিও বঙ্গবন্ধুর মত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভুল মানুষকে বিশ্বাস করে। শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক এই দোহাই দিয়ে তো ইতিহাসকে পাল্টে ফেলা যায় না কিংবা জিয়াউর রহমানের কূটচাল অস্বীকার করা যায় না। যাই হোক সত্যি সবার সামনে উন্মোচিত।

ভালো থাকুন। রিভিউ ভালো হয়েছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

বন্যলোচন বলেছেন: রিভিউ লেখার দরকার অনুভব করছিলাম। আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম :)

সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ এর রিভিউ দেবার ইচ্ছা আছে। পড়ে শেষ করি।

ভাল থাকুন আপ্নিও।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: সুন্দর হইয়াছে রিভিউ।।
আপনি চেষ্টা করিলে আরও ভালো করিতে পারিবেন ভ্রাতা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

বন্যলোচন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বইটা এত ভালো লাগছিলো যে, আট দিনে শেষ করে ফেলেছিলাম ২০১১ সালের তীব্র শীতে।

তাহের এর মত নক্ষত্ররা ক্ষণজন্মাই হয় যিনিও বঙ্গবন্ধুর মত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভুল মানুষকে বিশ্বাস করে। শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক এই দোহাই দিয়ে তো ইতিহাসকে পাল্টে ফেলা যায় না কিংবা জিয়াউর রহমানের কূটচাল অস্বীকার করা যায় না।

ধন্যবাদ আপনাকে ।
ধন্যবাদ অপর্ণা ও পনি আপুকেও। ++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২

বন্যলোচন বলেছেন: সত্যি বলেছেন। ক্রুটি সবারই থাকে, সেটা স্বীকার করে নিয়ে সামনে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৫

অগ্নিপাখি বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধের মতো শেষ করলাম এই অসাধারণ উপন্যাসটি গত মাসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.