নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অলস, আমাকে ঘুম থেকে ডাকবেন না

বন্যলোচন

অনর্থক জীবন ধারণ, বিতৃষ্ণার মূল কারণ।

বন্যলোচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দগদগে দাগাদাগি ২

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

আবার আঁকিবুঁকি। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে।


--কালো শার্টে ছেলেটাকে মানায়। এমন না যে সে ফরসা, তাই উজ্জ্বল বাদামি চামড়ায় কালো রঙ ফুটে উঠবে। মানায় কারণ কালো হচ্ছে শোকের রঙ। ছেলেটাকে শোকাহত হলেই স্বাভাবিক লাগে। তার নিজস্ব একটা জগত আছে, সবার যেমন থাকে। তার জগতে আশা উদ্দীপনা টর্নেডোর চোখে জ্বলতে থাকা মোমবাতির মত। বিষাদ তার গায়ের চাদর। আলস্য তার হাতের লাঠি। এই কারণে ছেলেটা কালো শার্ট পরেছে।

-কিংবা, আজকে বেরোনোর সময় সামনে যে শার্টটা পড়েছে সেটা পড়েই বের হয়েছে সে। এত মানসিক এপাশ ওপাশের আখ্যান হয়তো ভাবে নি। হতে পারে না?

আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষ নিজের সাথে স্বর্গ এবং নরকের ক্ষুদ্র একটা অংশ বয়ে বেড়ায়। সুখ নির্ভর করে এই দুটোর ভারসাম্যে। সুখি হওয়া একটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, ব্যক্তির অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানসিক অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কত পাগল সুখি, দেখে ঈর্ষা জাগে। কত জ্ঞানী, কত ধনী বিষাদে মুড়িয়ে রাখে বুকের ভেতরটা।

আমি বিশ্বাস করি, জীবনের কোন গুরুত্ব নেই। জীবন, আমার জীবন- বড্ড নগণ্য।
সাধারণ।
অর্থহীন।
তুচ্ছ।

আমি বিশ্বাস করি, মানুষ স্বয়ং একদিন ছোটখাটো ঈশ্বরে পরিণত হবে। আমরা ঈশ্বরেরা, আমাদের সৃষ্টিরা- সবাই মিলে অনর্থক জগতের এন্ট্রপি বাড়িয়ে যাব।

একটা পাথর হাতে নাও। শুঁকে দেখ। নাকে ধুলো গেল? হাঁচো। হ্যাহ....হ্যাহ... হ্যাচ্চো! এই পাথর পৃথিবীর হাড়। ধুলো তোমার চামড়ার নগ্নাবশেষ। ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে পাহাড়। বাতাসে পিয়ানো বাজে। শোনো। আজ দুনিয়ার শেষ দিন। বাসার সামনে চেয়ার বসিয়ে গা এলাও। হাতে কফি থাক। এখনই এই অনন্ত মহাজগতের ক্ষুদ্র এক কোণে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক তারার চারিপাশে ছুটে চলা তোমার এই গ্রহ অন্ত খুঁজে পাবে। তাই একেবারে সামনের সারির আসনটা বরাদ্দ রেখেছি তোমার জন্য। দ্যাখো। উপভোগ করো।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর !

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১

বন্যলোচন বলেছেন: :)

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

তাওহিদ হিমু বলেছেন: বাহ! দারুণ তো!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

বন্যলোচন বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

তার আর পর নেই… বলেছেন: ভাল লাগছে। কিন্তু নামটা দগদগে কেন?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

বন্যলোচন বলেছেন: আঁকাআঁকি আমার কাছে একটা দগদগে ঘা এর মত। বসে থাকলেই চুলকাতে ইচ্ছে করে। তাই দগদগে দাগাদাগি!

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

বন্যলোচন বলেছেন: *আনন্দের ইমো*

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গুড জব

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩

বন্যলোচন বলেছেন: থ্যাঙ্কস।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষ নিজের সাথে স্বর্গ এবং নরকের ক্ষুদ্র একটা অংশ বয়ে বেড়ায়। সুখ নির্ভর করে এই দুটোর ভারসাম্যে।

--- সহমত।

আঁকাআঁকি ভালো লাগলো। যদিও শেপ দেখে বুঝিনি কি আঁকলেন তবে আমি আঁকলে অবস্থা আরো খারাপ হতো। আমার টেবিলের লেখার যে টেবিল ক্যালেন্ডার ওখানে শুধু গোল গোল সার্কেল আঁকা দেখে মনে হবে রিকশার চাকা আর ফুলের শেপে কাটাকুটি ( দুইটাই আমাকে বলে দিত এহবে। না বললে আবার বুঝবেন না)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২০

বন্যলোচন বলেছেন: হাহা, এটাও তেমনি কাটাকুটি। কোন মানে নাই, এম্নি। স্ট্রেস কাটানোর ভাল একটা উপায় মনে হয় আমার, এই দাগাদাগি কাটাকুটি করাটা।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ছবির মাধ্যমে ভাল উপস্থাপনা।
++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

বন্যলোচন বলেছেন: থ্যাঙ্কস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.