![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#০৫.০১.১৬.
নতুন বছরের কমন ঝামেলা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে (ইতিমধ্যে? অভ্র দুইটাই দেখায়, আমি বিভ্রান্ত), প্রাক্টিকাল খাতা লিখছি, বছর এর জায়গায় এসে বারবার লিখে ফেলি পনেরো পনেরো পনেরো। ষোল আর হয় না। কাটাকুটি খেলার বয়স বা ইচ্ছা কোনটাই নাই, এখন সাদা কালি দিয়ে মুছে মুছে আবার লিখছি। যন্ত্রণা!
আচ্ছা বছরগুলো কেন উলটা দিকে যায় না? এই বছর ষোল। সামনের বছর পনেরো। কত সোজা হতো, ভুল হলে ষোলকে না কেটেই পনেরো বানিয়ে দেওয়া যেত। তের সালটা ভালো ছিল এদিক থেকে। টান দিয়ে চোদ্দ বানিয়ে দিয়েছি কত্ত সহজে।
চোদ্দ থেকে মনে হল, আজকাল শালীনতা নিয়ে ভাবছি। ফেসবুকে এক বন্ধুর পোস্টে যুক্তিবাচক (এবং হ, কিঞ্চিৎ আদিরসাত্মকঃ ইংরেজি বানানে হিন্দি ভাষায় "নাম তো সুনাই হোগা" বাক্যটা সহযোগে একটা কিছু লিখছিল, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম সুনা কার হোগা কার) কমেন্ট করলাম, একটু পরে দেখি ডিলিটেড। কিরে, কাহিনি কি? বন্ধুকে ধরলে বলল তাঁর বালিকাবন্ধু আছে, সে এটা দেখে সরাতে বলেছে। অবশ্যই অশালীন ছিল কথাটা। নাকি 'ফান' করে লেখা? লাইনটা কোথায়? সেটা ধ্রুব না ব্যক্তিকেন্দ্রিক?
একজনকে খুব আগ্রহ নিয়ে "এই মাতোয়াইলা রাইত" পড়ে শুনালাম, সে মুখ কুঁচকে বলল শামসুর রাহমানের নিকৃষ্ট কবিতা এটা। জিজ্ঞেস করলাম সুনীল কিংবা মলয়ের নাম শুনেছে কিনা। শ্রোতার মুখ কুঁচকানি গভীরতর হলো। এই কাহিনি দেখে বিয়ের রাতে চিন্তা করছি বউকে "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার" আবৃত্তি করে শোনাবো, স্রেফ রিয়াকশন-টা দ্যাখার জন্যে।
শালীনতা জিনিসটা আসলেই জানি কেম্নে কেম্নে। হদিস রাখা দায়। আমি ভেতরে পশু বাইরে যিশু এটা প্রমাণ করাই কি শালীনতার উদ্দেশ্য? আমার এক নিকটাত্মীয় আছেন যিনি স্বাভাবিকভাবে দারুণ জনপ্রিয় একজন মানুষ; প্রচন্ড মিশুক এবং সুকথক। রাতে মদ খেয়ে এসে তুমুল উৎসাহে বউ পেটান। বউও ছাড়ে না, হিংস্র কুস্তি বা জব্বারের বলি খেলার মতোন একটা চমৎকার প্রদর্শনী হয় তখন। পেটাতে পেটাতে লুঙ্গির গিঁট আলগা হয়ে খুলে যায় অনেক সময়, তিনি বউয়ের মাথা কিছুক্ষণ খামচে চুলের ওপরেই হড়হড়িয়ে বমি করে দেন। এরপরে বাইরে এসে নগ্ন অবস্থাতেই বারান্দায় সিগারেট মুখে কাটিয়ে দেন সারা রাত। তিনি কি একজন শালীন মানুষ?
শালীনতা হয়তো এটা যে, দোস্তের কাছে যে কথা চলে, মুরুব্বির কাছে চলে না; স্বপনে গোপনে যা ভাবে, সামনে এলে চেপে যায়। একটা দ্বিমুখী বিবর্তন। নানা ইনহিবিশন আর ট্যাবু সামলে মুখোশ আঁকড়ে ধরে থাকা।
কি সব লিখছি আল্লা! মাথামুথা একেবারে গেছে।
#৮.০১.১৬.
ছন্দ ঘুরে খালি মাথায়। আল্লা তুমি না দিছো গলা না দিছো শিল্পকলা, তবে এমন আছোঁলা দেবার কি মানে! যাজ্ঞা। লিখি কিছু।
"লাল ঘুড়ি
ঘোলা জল
জল ঝরে যায়
অবিরল;
বাজে মিষ্টি মিষ্টি গান
শোনো বাতাসের অভিমান
আকাশ, সবুজ ঘাসেএএএ...
লাল শাড়ি
মৃদু ছল
যেন অপ্সরা
অবিকল;
সাজে দুষ্টু দুষ্টু সাজ
দেখি ফেলে সব কাজ
আমার, চোখে ভাসেএএএ...
বেঁচে আছে
যত রঙ
তোমার মতন।
হয়ে তোমার মতন।।"
#১৬.০১.১৬.
কালকে রাত্রে মনের দুঃখে একটা কবিতা লিখছিলাম, এখন পড়ে তব্দা খাইলাম। ঘুমহীন বিরক্ত মস্তিস্ক মানেই অদ্ভুত জিনিসের কারখানা।
''আল্লার কসম আমার ঘুম আসছে না
লাইট নিভিয়ে কাঁথা আঁকড়ে শুয়েছি
বালিশটা ঠিকঠাক পড়েনি
ঘাড় ম্যাজম্যাজ করছে;
চাদরটা খসখসে, সরীসৃপের চামড়ার মতো
গা খুব চুলকোচ্ছে আমার
খুব খুব শব্দ করছে ঘড়ি
অসম্ভব চিন্তা ঘুরছে মাথায়
আর মোটেই ঘুম আসছে না।।
শালারা ঘুমোতে দে
সকালে চাস তো বিষ খেয়ে মরে যাব
এখন দুঘণ্টা ঘুমোতে দে
আমি আর কিচ্ছু চাই না।
গায়ের ওপর দিয়ে ইঁদুর দৌড়ে গেল
মোটা ওজনদার ইঁদুর
আমি নিচে শুয়ে আছি না শালারা উপরে উঠে আসছে
আঁধারে ঠাহর হয় না কিছু।
লাথ মারব? আবার কামড়ে না দেয়
ইঁদুরের কামড়ে ঘুম আসে এমন তো কোথাও শুনিনি
আমার গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, খোদা!
সারা দুনিয়া পাছা উল্টে নাক ডাকছে
আমি কেন ইঁদুরের কামড় খাব
আমাকে তোরা ঘুমুতে দে
আল্লার দোহাই লাগে।।''
#২১.০১.১৬.
ভালো মুডে আছি। চটুল গান লিখতে হাত নিশপিশ কচ্চে। আমার দোষ কি, মহান ভরতচন্দ্রও তো ষোলতম জন্মদিনে লিখেছিলেন মস্ত এক সাহিত্যকর্ম, যাকে বেশরম ইংরিজিতে বলে 'ইরোটিকা', তারপর সেই পঁচিশে গিয়ে হাত দিয়েছিলেন সিরিয়াস কাব্যে। মাঝখানে সেই রঙ্গরস-আদিকাব্য-রঙ্গরস।
তবে চটুল সাহিত্য লেখা কেন?
হাত মকশো করা। তৎকালীন নিয়ম ছিল এই- চোখকান বুজে, অমুক তমুক বিভিন্ন উপমা-রূপক ঘুঁটি মেরে একখানা জব্বর রসালো ইরোটিকা লিখে ফ্যালো, পাঠিকার গাল যত লাল হবে, বুঝবে কাব্যে তোমার ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল। অবশ্য রক্ষণশীল সমাজের ষোল বছরের পুঁচকে হয়ে, জীবনে একখানা বুকের খাঁজ না দেখেও এত রগরগে বস্তু কিভাবে লিখলেন তা গবেষণার বিষয়। হুঁ...তবে কি, পুস্কুনি-পার্শ্বস্থ আম্রবৃক্ষে চড়ে জলকেলিরত নারীদের নিরাভরণ অঙ্গসঞ্চালন দেখে কবি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন?
হেহ, এরাই তো পিম্প নামে কুখ্যাতি আনেন সাহিত্যিকের ওপরে।
পিম্প কোথাকার!
**শামসুর রাহমানের "এই মাতোয়াইলা রাইতে"
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
বন্যলোচন বলেছেন: শয়তান তো খুবই ক্রিয়েটিভ হবার কথা। সুতরাং এটা আসলে একটা প্রশংসাবাণী হয়তো।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
কানিজ রিনা বলেছেন: অলস মস্তিস্কে খাসা সয়তানের মাতাল্যা মাথা।
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
বন্যলোচন বলেছেন: এহনবি টিক্কৈচেন।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শালারা ঘুমোতে দে
সকালে চাস তো বিষ খেয়ে মরে যাব
এখন দুঘণ্টা ঘুমোতে দে
আমি আর কিচ্ছু চাই না।
--- আমিও ভাবতাছি ঘুম না এলে এম্নে হুমকি দিবো।
খুব ভালো লাগছে বলা না বলা কথা গুলো লেখায় দেখে।
পিম্প কি আবার?
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
বন্যলোচন বলেছেন: বড় দুঃখে লেখা কবিতা এটা।
পিম্প এর আক্ষরিক বাংলা দেহপসারিণীর প্রতিনিধি। কিন্তু বর্তমানে পিপিং টম (লুকিয়ে কোন গোপন কাজ দেখে যে) এঁর অর্থটা পিম্পের সাথে মিশে গেছে, দুই মিলে পিম্প আরও হানিকর অর্থে ব্যবহৃত হয়।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২১ তারিখ কি আপ্নের জন্মদিন আছিলো ভাইয়ু ? যদি থাইকা থাকে তাইলে
আর না থাইকা থাকলে আগাম ছুভেচ্ছা
গায়ের ওপর দিয়ে ইঁদুর দৌড়ে গেল
মোটা ওজনদার ইঁদুর
আমি নিচে শুয়ে আছি না শালারা উপরে উঠে আসছে
আঁধারে ঠাহর হয় না কিছু।
লাথ মারব? আবার কামড়ে না দেয়
ইঁদুরের কামড়ে ঘুম আসে এমন তো কোথাও শুনিনি
আমার গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, খোদা!
--- আমি হাসতে হাসতে শেষ। ইঁদুরের কামড়ে ঘুম আসে এমন তো কোথাও শুনিনি -- কইত্তে বানান এইগুলি ?
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৩
বন্যলোচন বলেছেন: কিছু বলার আগে ক্লিয়ার হওয়া দরকার, ডাকের ক্ষেত্রে ভাইয়ু এর অবস্থান কোন জায়গায়? আমার জানামতে সম্বোধনের মানদণ্ডে আপনি<তুমি<তুই, আঙ্কেল<ভাইয়া<ভাই, তেমনভাবে, ভাইয়া<ভাইয়ু না উল্টা? আপ্নাকেও কি আমার ভাইয়ু/বুনু বলতে হবে এখন থেকে?
২১ তারিখে ছিল না, এইগুলা সার্টিফিকেটের দাবি। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, আমার জন্ম আসলে কোন তারিখে হয়েছে তা বিশ্বস্ত সূত্রের মনে নাই, খালি মাসটা মনে রেখেছে। তারপরেও ছুভেচ্ছা তো বরাবরি স্বাগতম! থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু!
আসলে এসব কি ভেবে লিখসিলাম আমার মনে নাই
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা
সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে
সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা...
হুদাই পোস্টে হুদাই কমেন্ট।
২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৫
বন্যলোচন বলেছেন: শান্তি দাও, শুভা, শান্তি দাও
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এই মাতোয়াইলা রাইতে
ডায়েরি কবিতা দুইটাই পইড়ালাইছি।মজা নিছেন হেব্বি...
২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০০
বন্যলোচন বলেছেন: আরও আসিতেছে। মস্তকে আজতক ভীষণ বিভীষিকা পরিণীতা!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
সুরাইয়া বীথি বলেছেন: হাহা অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা !