নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অলস, আমাকে ঘুম থেকে ডাকবেন না

বন্যলোচন

অনর্থক জীবন ধারণ, বিতৃষ্ণার মূল কারণ।

বন্যলোচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিক রোগীর সাথে অল্প সময় কাটানোর পর অনুভূতি

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬



লেখালেখি একজন আত্মবিধ্বংসী মানুষের কাছে কতটা পরিশ্রমের ব্যাপার সেটা আমি জানি। যখন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না, তখন কলম টেনে লেখো- ভাবলেও হাসি পায়।

আমরা বলতে খুব ভালবাসি- আমাদের সবার 'ভাল্লাগেনা' রোগ আছে।
এইটা ভাল্লাগেনা।
অইটা ভাল্লাগেনা।
কিচ্ছু ভাল্লাগেনা।

কিন্তু আসলে ভাল লাগা আর না লাগার পাশাপাশি আরেকটা জায়গাও আছে। সেটা হোলো শূন্যতা। অতল অভিশপ্ত গহ্বর। নীটশের 'অ্যাবিস'। এই শূন্যতায় যারা পড়ে যায়, তারা কিছু অনুভব করতে পারে না। ধনাত্মক ঋণাত্মক কোন আবেগেই কিছু যায় আসে না। তবু যেহেতু মানব মাত্রই সমাজের অংশীদার, তাই তারা সামাজিক আবেগ নকল করতে শিখে যায়। হাসির জায়গায় হাসো, নগন্য ব্যাপারে উৎসাহ দেখানোর ভান করে যাও, ভদ্রতা বজায় রাখ।

এই শূন্য গহ্বর মানুষকে ঘিরে ফেলে, রক্তে-কোষে মিশে গিয়ে একটা অবাস্তব বিষাদের জগত সৃষ্টি করে যেখানে কোন ঈশ্বর নেই, কোন নিয়ম নেই, কোন পরম সত্য নেই, কোন বাঁচার কারণ নেই। আসলে এই জিনিসটা অদ্ভুত, খুব অদ্ভুত। আমরা কেন বেঁচে আছি?

আপনি কেন বেঁচে আছেন? কি লাভ? দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে? প্রিয় মানুষের প্রতি কর্তব্য আছে বলে?

যদি এমন হয়, দুনিয়ার একটি মানুষও বেঁচে থাকার জন্যে আপনার ওপরে নির্ভরশীল নয়? হয়তো অনেকে কষ্ট পাবে, দুই একজন ভেঙে পড়বে, কিন্তু, দিনশেষে, আপনার মৃত্যুতে কারো জীবন নষ্ট হয়ে যাবে না- এমন হলে?

কিংবা প্রিয় মানুষের কথা বলি। যদি এমন হয়, প্রিয় মানুষেরা কেউ বেঁচে নেই? তখন?

তখন বেঁচে থাকার কারণ কি হতে পারে?

কোন কারণই নেই। হতাশের কাছে ধর্ম-কর্ম সব বাজে কথা। খোঁড়া যুক্তি। আসলে জীবনকে উপভোগ করা খুব একটা কঠিন কিছু না। পরিশ্রম করলেই তৃপ্তি মেলে। যারা দিনরাত খাটে, খায়, প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে বাঁচে- সুখি তারাই। বিষাদ আঁকড়ে ধরে তাঁদের, যারা বসে বসে ভাবে আর মাথা থাপড়ায়।

আমাদের সমাজ আত্মহত্যাকে খারাপ চোখে দেখে। আমি মনে করি এটা একটা ভ্যালিড অপশন হওয়া উচিত। আঠারো বছর বয়স হলে প্রত্যেক মানুষকে একটা পরীক্ষার মুখোমুখি করা হোক। তাঁকে আত্মহত্যার সুযোগ দেওয়া হবে। করলে তো হলই, জনসংখ্যা কমল, কিন্তু যদি সে কাজটা না করে, তবে শপথ করবে যে বাকি জীবনে আর কখনো আত্মহত্যার কথা ভাববে না।

কত টিনেজ বাচ্চারা আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করে। আমার খারাপ লাগে খবরগুলো শুনলে। আর কতবার শুনব হারপিক বা ইঁদুরের বিষ বা ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে পোলাপান। হাতের শিরা কেটে কেবল রক্তক্ষরণ হয়েছে, হাতের নার্ভ নষ্ট হয়ে গেছে; কিন্তু তবু বেঁচে আছে। দালান থেকে লাফ দিয়েছে, পঙ্গু হয়ে গেছে, মরেনি। ফাঁসি নিয়েছে, দড়ি ছিঁড়েছে বা কড়িকাঠ ভেঙে গেছে, মরেনি।

মধ্যবয়েসিরাও চেষ্টা করেন। 'মিডলাইফ ক্রাইসিস' বলে না? বাজার করতে গিয়ে রাস্তায় ট্রাকের সামনে বা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। দুই একজন মরেন। বাকিরা পঙ্গুত্বের বর পান।

এসব হল তৎক্ষণাৎ চিন্তার ফসল। সোজা বাংলায়- বলদামি। আত্মহত্যা একটি সরল স্বাভাবিক ক্রিয়া যা সম্পাদন করা উচিত কমপক্ষে এক মাস ভেবে। ঠাণ্ডা মাথায়। এটি হল স্বাধীনতার সর্বোচ্চ প্রকাশ। আমার অস্তিত্ব থাকবে কি না থাকবে সেটা ঠিক করার সিদ্ধান্তটা একমাত্র আমারি। এই মহান সিদ্ধান্ত না ভেবে নেওয়ার চেয়ে বড় অপমান আর নাই।

এই নিয়ে একটা গাইডলাইন থাকা উচিত। ফুটপাতে বিক্রি হবে এরকম চটি বই। রংচঙে কভারে লেখা থাকবে-- 'পাঁচ মিনিটে সুইসাইড- ১০০% গ্যারান্টি!'। সেখানে লাইনগুলো থাকবে এরকম-

১। দড়ি

ওজন ৬০-৯০ কেজির মধ্যে থাকলে সিলিং-ফ্যানের হুকে দড়ি বিষ গিট্টু দিয়ে ঝুলে পড়ুন। যা যা লাগবে- কমপক্ষে এক আঙুল মোটা দড়ি
একটা চেয়ারম্যান চেয়ার
সিলিং-ফ্যানের হুক
অক্ষত গলা

সম্ভাব্য সময়- দেড় মিনিট।

২। লম্ফন

কমপক্ষে চারতলা উচ্চতা থেকে মাথা নিচে দিয়া লাফ দেবেন। বেশি উঁচু বিল্ডিঙয়ে যাওয়ার দরকার নেই, মানুষজন সন্দেহ করে। পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে লাফ দেওয়া ভাল। লাফ দিয়ে আরেকজনের ঘাড়ের উপরে যেন না পড়েন সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।

সম্ভাব্য সময়- সর্বোচ্চ ৪-৫ সেকেন্ড।

৩। বিষ

এক শিশি সায়ানাইড খান। কেমিস্ট দিতে চাবে না, ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হবে।

সম্ভাব্য সময়- তরল সায়ানাইড হইলে ১৫-২০ সেকেন্ড। আর পাউডার সায়ানাইডে সময় নির্ভর করে মানের ওপরে, যেমন পাউডারে ছাতা পড়ে গেলে মরতে অনেকক্ষণ লাগে। মরার আগে ডায়রিয়া হইতে পারে। অ্যাডাল্ট ডায়পার পরে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে আত্মহত্যা করাটাই আমার কাছে পছন্দ না। কিন্তু যারা ভেবেচিন্তে আত্মহত্যা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বলার কিছু নাই। জীবন তাঁদের, বাঁচবেন না মরবেন- সিদ্ধান্তও তাঁদের হওয়া উচিত।

আমি বিশ্বাস করি- মানুষ যদি জীবনের সাধারণ আনন্দগুলোকে পাশ কাটিয়ে কেবল মাত্র জীবনের অর্থ বা সার্থকতা নিয়ে ভাবত- তাহলে আমাদের এতো সাধের মানব সভ্যতা ধসে পড়ত। দলে দলে আত্মহত্যা করত অসুখি মানুষেরা, আমরা সাবধানে গলা কাটতাম প্রিয়জনের; যাতে এই অসহ্য অস্তিত্ব থেকে মুক্তি মেলে, তারপর রক্তাক্ত হাতে ক্ষুর নিয়ে চালাতাম নিজের গলায়।

কিল ইওর ডারলিংস।
কিল ইওর জয়।
ক্লিওপেট্রা ইজ ডেড।
গো স্যাক ট্রয়।

লেখালেখি নিয়ে ভাবছিলাম। কেন লিখি? আমার লেখা আবর্জনা এটা আমার চেয়ে ভাল কেউ জানে না। অন্ততঃ পাঠক হিসেবে আমি ভাল খারাপ বুঝি, আর নিজের লেখা পড়তে গেলে নিজেরি বিরক্তি ধরে যায়। তবু কেন লিখি?

বুকের ভেতর জমে থাকা অন্ধকার কলমের কালিতে মিশিয়ে কাগজে ঢালব বলে? কি লাভ?
লাভ খুজেই বা কি লাভ?

যখন জীবনের অর্থ নেই ভেবে হাসছি, তখন লেখালেখির পেছনে মহৎ কোন অর্থ থাকবে সেটাই বা ভাবি কি করে? পুড়ুক পুড়ুক সব।

সূর্যের শবে সব রোদ জড়িয়ে দিলাম
বিদায়, বিদায়।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৪

বিজন রয় বলেছেন: লেখায় প্লাস।
+++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

বন্যলোচন বলেছেন: রয়সাব, আপনে ব্লগরত্ন। প্লাসে প্লাসে ভরায়ালচেন!

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

রিপি বলেছেন:
লেখায় এত বিষাদ কেন?
হতাশা, বিষাদ জীবনের একটা অংশ। তাই বলে আত্মহত্যা করতে হবে কেন?
হতাশা, বিষাদ কাটিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জীবনতো একটাই।


কালকে একটা ব্লগে কথাটা পড়লাম।

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন
জোস্নারাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন।


বিষাদে না ডুবে চোখ মেলে একবার তাকিয়ে দেখেন পৃথিবীটা কত সুন্দর। সব বিষাদ হোক। আশা থাকুক জেগে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

বন্যলোচন বলেছেন: আমি আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করছি না। স্রেফ বলছি, সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিস্কে কেউ বেঁচে থাকা কন্টিনিউ না করতে চাইলে- তাঁকে সুযোগটা দেওয়া উচিত।

জীবন যদি একটা না হয়? যদি, জাস্ট কথার কথা, মরার পর আপনি দেখেন আরেকটা জীবন আছে? কেমন হয় তাহলে?

ইমন জুবায়েরের কথাটা সুন্দর।

পৃথিবীটা, আপা, আপেক্ষিক। পর্যবেক্ষক যা দেখতে চায় সে তাই দেখে। যার চশমায় কাঁচ ভাঙা, সে ফাটলে ভরা জগতই তো দেখবে, বলেন?

ভাল থাকেন।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: লেখার স্টাইল ভাল। তবে আত্মহত্যায় স্বার্থপরতা দেখি। তাই এটাকে কখনই সাপোর্ট করি না।

বেঁচে থাকুন, ভাল থাকুন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

বন্যলোচন বলেছেন: আমিও না। আত্মহত্যা কাপুরুষের পছন্দ, স্বার্থপরের কাজ। তবে, আমরা, মানবজাতির সাধারণ সদস্যেরা, সর্বদাই সাহসি এবং পরার্থপর। এইটাই সমস্যা।

আপ্নাকেও একই কামনা জানাই।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

অবশ অনুভূতি বলেছেন: বালা কাম করছো। পিলাছ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০১

বন্যলোচন বলেছেন: দেন্নাই তাও কঙ্ক্যা?

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

রিপি বলেছেন:

জীবন যদি একটা না হয়? যদি, জাস্ট কথার কথা, মরার পর আপনি দেখেন আরেকটা জীবন আছে? কেমন হয় তাহলে?

থাকলে তো ভালোই হত। সেই জীবনে তাহলে প্রতিটা মূহুর্তকে উপোভোগ করতাম। একদম মন খারাপ করতাম না। B-)
আর যারা আত্মহত্যায় আগ্রহী তারা সুযোগ পেয়ে আরেক স্টাইলে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারতো কি বলেন? :P

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০০

বন্যলোচন বলেছেন: অবশ্যি অবশ্যি।

এম্নিতেই জিজ্ঞেস করি, আপনার কাছের কোন মানুষ কখনো আত্মহত্যা করেছে? উত্তর না দিলেও সমস্যা নেই।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৩

রিপি বলেছেন: হ্যাঁ করেছে। চুমকি নামের একটা আপু। ছ্যাকা খেয়ে উনি রেললাইনে উপর চলন্ত ট্রেনে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছিল। মাত্র ক্লাস টেনে পড়তো। আমি যেদিন শুনছিলাম অনেক শকড হয়ে গেসলাম। এইটুকুন মেয়ে জীবনের কিছুই দেখতে পারলোনা আফসোস। যেই ছেলের জন্য আত্মহত্যা করেছিল উনি এখন বেশ সুখেই আছেন বউ বাচ্চা নিয়ে। হায়রে আবেগ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বন্যলোচন বলেছেন: পরের কাছে আঘাত পেয়ে নিজের ক্ষতি করাটা ভুল। কম বয়সে তা বোঝা কঠিন।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আঠারো বছর বয়স হলে প্রত্যেক মানুষকে একটা পরীক্ষার মুখোমুখি করা হোক। তাঁকে আত্মহত্যার সুযোগ দেওয়া হবে। করলে তো হলই, জনসংখ্যা কমল, কিন্তু যদি সে কাজটা না করে, তবে শপথ করবে যে বাকি জীবনে আর কখনো আত্মহত্যার কথা ভাববে না।

এই কাজ করলে এক পক্ষ তো তখনই শেষ, আরেক পক্ষ এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারাবার অনুশোচনাতেই আত্মহত্যা করে মরতো। :|

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বন্যলোচন বলেছেন: তাহলে টাইম বাড়ান। আঠারো না দিয়া তিরিশ বছরে সুযোগ দেওয়া হোক। এতে তো খ্রাপ হয় না।

৮| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিষ্ঠুর, নির্লিপ্ত রসিকতা। বাস্তবের কাছাকাছি বলেই এটা আরো বেশি কষ্টের অথবা হাস্যের!

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

বন্যলোচন বলেছেন: কষ্ট পাব না হাসব এটাই এখনকার ডিলেমা!

৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৪

ইমরান নিলয় বলেছেন: তিতা সত্য

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১০

বন্যলোচন বলেছেন: হ।

১০| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

Ishrat Jahan Shima বলেছেন: তারপরেও আত্মহত্যা কোন অপশন হওয়া উচিত না। কারণ জীবন স্রোতশীল আর খারাপ সময় একটা সময়ে কেটেই যায়। হয়তো ভালো সময় আসতে কখনও একটু বেশি সময় লাগে আর কখনও বা কম। আমরা ভালো সময় কত লম্বা সময় জুড়ে পার করছি মনে রাখি না, কিন্তু খারাপ সময়টা এক মুহূর্তের বেশি কাটাতে চাই না। আর সব সময় ভুলে যাই আমার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমিই দায়ী।

১২ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

বন্যলোচন বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

ইতল বিতল বলেছেন: আমার ক্যানো যেন মনে হয়,প্রত্যেক মানুষ তার পুরো জীবনে অন্তত একটা মুহূর্তের জন্যে হলেও আত্মহত্যাকে সমাধান হিসেবে খোঁজে,খোঁজেই।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫০

বন্যলোচন বলেছেন: তা ঠিক, এই চিন্তা মুহূর্তের জন্যে হলেও কার না মাথায় আসে নি!

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:১১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনি তো ইন্টারেস্টিং আছেন। আপনার এই রকম লেখা আরো অনেক পড়তে চাই।

এই ধরণের একটা বোধ থেকেই লিখেছিলাম।

বিষচুমু ।। রেজওয়ান তানিম

ঠোঁটে বিষের লিপস্টিক
মেখে নেয় প্রিয়ন্তিকা, আমাকে
চুমু খাবে বলে।

ওতো জানে না, আজকাল
বিষচুমু খেতে খেতে অদ্ভুত কেমন এক
এন্টিবডি তৈরি করেছে শরীর,
বিষের চুমু খেলেই এখন
শুধু নেশা ধরে!

মনে হয়,
মরে গেলেই ভাল হত!

দেখতে হত না
আরেকটা বিষমাখা সকাল।

‘শাদা পরচুল অন্ধকার’ (ফেব্রুয়ারি ২০১৪) গ্রন্থ থেকে

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৬

বন্যলোচন বলেছেন: আরে কবিতা তো সেই! থ্যাঙ্কু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.