![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তিপ্রাজ্ঞ (logicalsage) নিকে সামহোয়্যারইন ব্লগে রেজিস্টেরেশন করেছিলাম মার্চ ২০০৭। পিলখানার ঘটনার পরে ক্ষতিগ্রস্থ (VictimXYZ) নিকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে সেনাবিদ্বেষ নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দিলাম। বর্তমান পোস্ট দেয়ার পরে আমার ব্লগের উপর সুলেমানি ব্যান দেয়া হল, প্রথমে পোস্ট দেয়ায় ও পরে কমেন্ট করায়ও নিষেধাজ্ঞা। আজ হঠাৎ এই ব্লগের কথা মনে পড়ল, বহুদিন পরে লগইন করলাম। এখন দেখি ব্যান তুলে নেয়া হয়েছে!
ঐ সময় ফেসবুকের ব্যবহার অতি কম ছিল, লোকে ব্লগে লিখত। এই ব্লগগুলো ছিল অতি ইসলামবিদ্বেষীদের হাতে, দিনরাত ঘৃনা ছড়াতো তারা। এখানে আওয়ামী-বাঙু পোগতিশীলদের গালাগালি সিন্ডিকেট সিপি (ছাগু পোন্দানী) গ্রুপের ভয়াবহ উৎপাত ছিল। এদের মুখোশ প্রথমে খুলে দেন মাহমুদুর রহমান তার আমার দেশ পত্রিকায়। এর ফলে আমার দেশকে নিষিদ্ধ করা হয়, কিন্তু হেফাজত এইসব ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, যার পরিণতি হয় শাপলা চত্ত্বরে, এসল্ট ফরমেশনে শত শত হেফাজতি খুন করে। আজ শাপলা চত্ত্বরের শহিদদের স্মরণে যেই পোস্টে ব্যান খেয়েছিলাম, সেটা দিয়ে পুণঃশুরু করলাম।
-------------------
থাবা বাবা কোন একক ব্যক্তি না, এটা একটা সিন্ডিকেট, এরা ধর্মকারী, মুক্তমনা, আমারব্লগ, ইস্টিশন – এইসব প্রচন্ড ইসলামবিদ্বেষী ও ঘৃনা ছড়ানো ব্লগগুলো আমাদের শিক্ষিত সমাজের মানস গঠনে ভয়াবহ নেতিবাচক, ফ্যাসিবাদী ও হিংসাত্মক অবদান রাখছিল। এরা ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃনা ও উস্কানি ছড়িয়ে নোংরা ট্যাগিং, গালাগাল ও ব্লগ-দাঙ্গা বাধিয়ে রেখেছিল যা মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হত, এখনও হয়। থাবাবাবা, আসিফেরা এইসব দাঙ্গাবাজি কর্মকান্ডে ব্লগ কর্তৃপক্ষের বরাবরই প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ লাই পেয়ে এসেছে। সামহোয়্যারেও এই লাই বরাবর ছিল, যে ব্লগগুলার কথা বললাম তার চেয়ে একটু কম উগ্র মাত্রায়। এই ভয়াবহ ঘৃনার চর্চার বিষয়টি আদালতে নিয়েও কোন কাজ হয়নি, থাবা বাবাদের কোন লাগাম টেনে ধরেনি কেউ, ধরতোও না। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত বিরূপ ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনগণের সামনে ধরে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান তাতে আমি তাকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।
মাহমুদুর রহমান কোন দাঙ্গা লাগায়নি, থাবাবাবারা ব্লগে যে দাঙ্গা বাধিয়ে বসেছিল সেই উস্কানি, সেই দাঙ্গার ভয়াবহ ধরনটা সমাজকে জানিয়ে তার সামাজিক দায় পালন করেছেন ও দেশকে নষ্টদের অধিকারে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। মাহমুদুর রহমানের জন্যই আমাদের সমাজের একাংশে গোপনে বেড়ে উঠা ক্যান্সারের প্রতিষেধকের কথা আজ শুধু হেফাজতিরা না, এমনকি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী সবাই বলছে। মাহমুদুর রহমানের জন্যেই আসিফকে ধরা হয়েছে এবং তাদের কাছে অন্তত এটুকু বার্তা স্পষ্ট পৌছেছে যে, ভার্চুয়াল জগতের সীমাহীন স্বাধীনতার সুযোগে ইসলাম বা অন্য কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানি ও দাঙ্গামূলক বক্তব্য দেয়াটা পূর্বাপর দায়মুক্ত কোন বিষয় না।
©somewhere in net ltd.