নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ও আঁধার.....

আলো ও আঁধার....আমি ই..............

পরিনীতি

আলো ও অন্ধকার, আমি ই.....

পরিনীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহার সমীপে......(শেষ পর্ব )

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

মেঘা বিছানায় ফোন ছুড়ে ফেলে দেয়। সে চুপচাপ জানালার পাশ ঘেষে বসে রইলো বাহিরের দিকে তাকিয়ে। কিছুক্ষন পর অয়নের ফোন এলো তার ফোনে অয়নের ফোন এলো।“হ্যালো পরী?”
মেঘা চুপ করে রইলো, কিছু বললো না।

“পরী প্লিজ চুপ করে থেকো না। কিছু একটা বলো” অয়ন নিবেদন করে

“আমি ভেবেছিলাম তুমি আর দশটা ছেলের মতো না। কিন্তু না, তুমি কোনো ব্যতিক্রম না” বলে মেঘা

“পরী প্লিজ আমার কথা শোনো”

“অয়ন্ how could you? আমার বিশ্বাস এভাবে ভাংতে তোমার একটু দ্বিধা হলো না ? তুমি কি করে আমাকে ওসব বলতে পারলে? ছিঃ, আমার ভাবতেও লজ্জা হয় আমার বন্ধুত্বকে তুমি এভাবে অপমান করলে” ক্ষুব্ধ মেঘা অয়নকে বলে

“পরী প্লিজ একটা বার আমার কথা তো শোনো। তুমি আমাকে ভুল বুঝছো”

“তুমি সব জানো, জেনেও আমাকে ওগুলো বললে? কি জানো তুমি ভালোবাসা সম্পর্কে? তুমি একে ভালোবাসা বলো ? এটা ভালোবাসা না মোহ। ধিক্কার তোমার এই মোহ কে” বলে মেঘা

“Shut up মেঘা” ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলে অয়ন। মেঘা বিরম্বিত হয়ে যায়

“এতোক্ষন আমাকে যা বলেছো, বলেছো। কিন্তু আমার ভালোবাসাকে গালি দেবার কোনো অধিকার তোমার নেই। আমি তোমাকে জোড় করিনি। তোমাকে বলিনি তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে। বলেছি? বলো, বলেছি ?”
চুপ করে থাকে মেঘা। অয়নের প্রশ্নের জবাব নেই তার কাছে

“আমি আমার ভালোবাসা স্বীকার করেছি, যেটা তুমি চাচ্ছনা”

“অয়ন আমি” “Just shut up” মেঘাকে থামিয়ে দিয়ে অয়ন বলে।

“তুমি আমাকে প্রশ্ন করছো আমি ভালোবাসার কি জানি? তোমাকে যেই মুহুর্ত গুলোতে তোমার আরালে ভালোবেসেছি, আমি জেনেছি ভালোবাসা কি। তোমার হাসির মধ্যে যখন আমি আমার সবটুকু সুখ খুজে পেয়েছি, আমি জেনেছি ভালোবাসা কি। তোমার ভেতরের সব কষ্ট যখন আমি আমার নিজের মধ্যে ধারণ করেছি, আমি জেনেছি ভালোবাসা কি। তোমার প্রত্যেকটা চোখের পানির ফোটা আমাকে যতটা যন্ত্রণা দিয়েছে, সেই যন্ত্রণা আমাকে বুঝিয়েছে ভালোবাসা কি” রাগান্বিত কন্ঠে বলে অয়ন

“আমার ভালোবাসা স্বীকার করতে আমার কোনো সঙ্কোচ নেই। তোমার কেনো মনে হয় তোমাকে ভালোবাসা মানে ঘোর অপরাধ? নিজের জগৎ থেকে বের হয়ে আসো মেঘা। যা তুমি চাও, যেভাবে চাও, জরুরী না সবসময় তাই হবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভালোবাসবো। তুমি আমাকে আটকাতে পারো না। I love you damn it”

“ আজকের পর থেকে, ইন ফ্যাক্ট এই মুহুর্ত থেকে Its over.” ঠান্ডা কন্ঠে বলে মেঘা

“over মানে?”

“যা শুনতে পাচ্ছো তাই। তুমি আমার সাথে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ করবে না। আমার লাইফ থেকে দুরে চলে যাও। অনেক দূরে” বলে মেঘা

“আমি দূরে চলে গেলে তুমি খুশি হবে?” জিজ্ঞেস করে অয়ন

“হ্যাঁ” বলে অয়ন

“ঠিক আছে। তাই যদি হয়, তবে আমি আমি চলে যাবো। আমি তোমার খুশির আগে কখনও কিছু চাইনি। এখনও চাই না। ভালো থেকো” ফোন রেখে দেয় অয়ন

নীথর হয়ে যায় মেঘা। একি করলো সে। এটাতো সে চায়নি। এমনটা তো হবার কথা ছিলো না। সে চিৎকার করে কাদঁতে শুরু করে। অয়নকে হারাবার শোকে এই কান্না, নাকি যাহিনকে ফীরে পাবার আনন্দে তা সে জানে না।
রাত কেটে ভোর হলো। নিদ্রাহীন কাটে মেঘার রাত। তখনও ঝিড়ি ঝিড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্যে রওনা দিলো সে। পার্কিং এ তার চোখ অয়নকে খুজছিলো, কিন্তু অয়ন নেই। সে দেখলো অয়নের গাড়িও নেই পার্কিং এ। মেঘা নিরবে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে সে অফিসে চলে যায়।
দিন চলে যায়, রাত চলে যায়। অয়ন মেঘাকে আর ফোন করেনা। মেঘা গীটারের আওয়াজও আর শুনতে পায়না। সে রোজ বারান্দায় যায়। চশ্মা চোখে সিগারেট হাতে যদি অয়নের দেখা মেলে…পরী বলে সে যদি আবার ডাকে। কিন্তু না। অয়নের দেখা মেলে না। অয়ন আর বারান্দায় আসেনা। অয়নের বারান্দার দরজ়া আর খোলা দেখা যায়না। দু সপ্তাহ পার হয়ে যায়
মেঘা ড্রয়িংরুমে বসে তিভি দেখছে। তার ফোনে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসে।

“হ্যালো?” বলে মেঘা

“মেঘ?” বলে ফোনের ওপাশ থেকে

“যাহিন?” প্রচন্ড অবাক হয় মেঘা
“মেঘ আমি চলে এসেছি তোমার কাছে। আর কোথাও যাবনা আমি তোমাকে ছেড়ে” বলে যাহিন
মেঘার চোখ অশ্রুওজল হয়ে ওঠে। ডুকরে কেঁদে ওঠে সে।

“বাবু প্লিজ কাঁদেনা। আমি আছিনা? আর কোনো ঝামেলা থাকবে না। আমি অনেক কাঁদিয়েছি তোমাকে। তুমি যখন ছিলেনা, তখন আমি বুঝেছি তুমি আমার জন্যে কি। মেঘ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। একটা বার বলো তুমিও আমাকে ভালোবাসো” বলে যাহিন

“ আমি…” “আমি জানি তুমি আমাকে আমার চাইতে বেশি ভালোবাসো। আর তোমার এই ভালোবাসাই আমাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে এনেছে” মেঘাকে থামিয়ে বলে যাহিন।

“কাল তুমি আমার সাথে দেখা করবে। সারাদিন শুধু তুমি আর আমি। আর তোমার জন্যে একটা সারপ্রাইজ। ঠিক আছে?”
মেঘা চুপ করে থাকে।

“বাবু, আমি এখনও বাসায় যাইনি, এয়ারপোর্ট থেকে কল করেছি তোমাকে। আমি বাসায় যাচ্ছি, কেমন? রাখি” ফোন রাখে যাহিন।

মেঘা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে। সে বিশ্বাস করতে পারছিলো না যে যাহিন তার কাছে ফীরে এসেছে। এত বছর সে যেই সময়তার জন্যে অপেক্ষা করেছে, সেই সময় আজ এসেছে। কিন্তু কেনো যেনো তার ভেতর এক অদ্ভুত যন্ত্রনা কাজ করছে। সে নিজেকে বুঝেতে লাগলো যাহিন চলে এসেছে, এবং সে অনেক খুশি। আয়নার দিকে তাকিয়ে সে হাসে। মমোকে ফোন করে সে।

“হ্যালো মমো?”

“কি হলো হাপাচ্ছিস কেনো?”

“যাহিন দেশে এসেছে জানিস”

“হ্যা, জানি। তো?

“ও ফোন করছিলো আমাকে”

“কি? কেনো? কি বললো সে?” জিজ্ঞেস করে মমো

“মাফ চেয়েছে। ও আমার সাথে দেখা করতে চায়” উত্তর দেয় মেঘা।

“ওহ। ভালো তো” বলে মমো

“তুই আমার জন্যে হ্যাপি না?”

“আমি আসলে কনফিউজড তোর জন্যে হ্যাপি হবো নাকি আফসোস করবো” বলে মমো

“কি বলতে চাচ্ছিস তুই?” অবাক কন্ঠে বলে মেঘা

“কিছুনা। অভিনন্দন তোকে। তুই তোর ভালোবাসা ফীরে পেয়েছিস” বলে মমো

“আচ্ছা রাখিরে। ভালো থাকিস” ফোন রেখে দেয় মমো
মেঘা স্পষ্ট বুঝতে পারে মমো তার জন্যে হ্যাপি না।
সে রাতটা ছিলো মেঘার জীবনের সবচেয়ে বীবর্ণ রাত। সে রাতের কোনো সংজ্ঞা নেই তার কাছে। শুধুই ছিলো প্রতীক্ষা…কখন সকাল হবে, কখন যাহিনের সাথে তার দেখা হবে। এসব কিছুর ভেতরও বার বার তার অয়নের কথা মনে পরছিলো। কিন্তু সে যাহিনের কথা ভেবে নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
রাত কেটে যায়, সকাল হয়ে আসে। যাহিন তাকে ফোন করে

“বাবু তুমি কি করছো?”

“কিছুনা” উত্তর দেয় মেঘা।

“তুমি রেডি হয়ে যাও। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে তোমাকে নিতে আসছি। আজ আমাদের জন্যে অনেক স্পেশাল একটা দিন” বলে যাহিন

“ঠিক আছে” ফোন রেখে দেয় মেঘা
আকাশী নীল রঙের একটি শাড়ি পড়ে মেঘা। চোখে কাজল, কপালে ছোট্ট একটা টিপ। হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি। সে নীচে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। কিছু একটা যানো তাকে আটকাচ্ছে। সে নিজেকে সামলে নেয়। বেড়িয়ে যায়। সে দেখে যাহিন দয়ঁড়িয়ে আছে। মেঘাকে দেখে সে থমকে দাঁড়ায়…তাকিয়ে থাকে মেঘার দিকে, অপলক দৃষ্টিতে।

“তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে মেঘ” বলে যাহিন

“থ্যাঙ্কস” হাসিমুখে বলে মেঘা

“চলো আমাদের জন্যে সবাই অপেক্ষা করছে”

“সবাই?”

“আহা চলো তো” যাহিন মেঘার হাত ধরে তাকে নিয়ে যায়। গাড়িতে বসে তারা। যাহিন মেঘার হাত ধরে। মেঘার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। যাহিন খেয়াল করে মেঘা তার পাশে থেকেও তার সাথে নেই।
যাহিন একটা ছোট্ট কটেজের সামনে গাড়ি থামায়। মেঘা একটু অবাক হয়। সে যাহিনের দিকে তাকায়।

“এসো” যাহিন মেঘাকে গাড়ি থেকে বের করে আনে। মেঘা একটু ঘাবড়ে যায়। ভেতরে গিয়ে দেখে যে যাহিন আর তার সব বন্ধুরা, মমো এবং ফাহাদ সবাই তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে।

“কি বলছিলাম না সবাই অপেক্ষা করছে?” বলে যাহিন

“আজকে আমার মেঘ আমাদের সবাইকে রান্না করে খাওয়াবে” বলে যাহিন

“আমি মেঘা কে হেল্প করছি” বলে মমো। জড়িয়ে ধরে সে মেঘা কে

“তুই ঠিক আছিস।?”

“হুম” উত্তর দেয় মেঘা
মেঘা রান্নাঘরে রান্নার প্রস্তুতি নিতে থাকে।

“মেঘা, নিজের মনের ডাকে সাড়া দিস। মন যা বলে তাই করিস। ভুল সিদ্ধান্ত নিস না” বলে মমো
মেঘা তাকিয়ে থাকে মমোর দিকে।

“নিজের ভেতরে উকি দিয়ে দেখ। সব প্রশ্নের উত্তর, সব দ্বিধার সমাধান তোর ভেতরেই আছে। তোকে বুঝতে হবে তুই কি চাস। এই সময় আর পাবি না। তোর সিদ্ধান্ত যাই হোক, আমি ও ফাহাদ তোর সাথে আছি। আমরা শুধু এটুকুই চাই, তুই তোর জন্যে যা বেস্ট তাই ডিসাইড করিস” বলে মমো
মমোকে জড়িয়ে ধরে মেঘা

“আমার কিছু কেনো ভালো লাগছে না মমো? আমি যা চেয়েছি তাই হচ্ছে, তাহলে কেনো…” “মেঘ এদিকে এসো তো” যাহিন ডাকে মেঘা কে
সবার মাঝখানে মেঘাকে দাড় করায় যাহিন। মেঘার হাত ধরে তাকে বলে-

“আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, কাঁদিয়েছি। যা করেছি, তার জন্যে আজ সবার সামনে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি” হাত জোড় করে বলে যাহিন

“Baby, please marry me। আমি সারাটা জীবনের জন্যে তোমাকে আমার করে পেতে চাই” বলে যাহিন।
মেঘা চোখ বন্ধ করে ফেলে।

“চুপ করে কেনো আছো মেঘ। বলো? Will you marry me?”
চোখ খোলে মেঘা। কিছুক্ষন চুপ করে সে যাহিনের দিকে তাকিয়ে থাকে।

“baby, তোমার এই silence আমাকে টেনশন দিচ্ছে। হ্যা বলো” বলে যাহিন

“না!” দৃঢ় কন্ঠে বলে মেঘা

“স্যরি? না মানে?” অবাক হয়ে যায় যাহিন

“না মানে, না। আমি তোমাকে বিয়ে করব না” উত্তর দেয় মেঘা

“I’m so sorry আমাকে যেতে হবে এখন” বলে সে বাইরে বের হয়ে আসে।
বাইরে বেরিয়ে আসে মেঘা ও যাহিন। যাহিন মেঘার হাত ধরে আটকায়।

“দাড়াও। এটা তুমি করতে পারোনা। সবার সামনে আমাকে একতা জোক তুমি বানাতে পারোনা” বলে যাহিন

“আমি কিছুই করিনি যাহিন। যা করেছো তুমি করেছো। অনেক আগেই করেছো”

“আমি এতোদুর তোমার জন্যে এসেছি। আর তুমি এসব বলছো?” বলে যাহিন

“ভুল। তুমি আমার জন্যে না, তোমার নিজের জন্যে এসেছো। তুমি তখনও স্বার্থপর ছিলে, তুমি এখনও স্বার্থপরই আছো” মেঘা চলে যেতে থাকে

“কোথায় যাচ্ছো? ওই রেস্টুরেন্টর বন্ধুর কাছে?” বলে যাহিন

“অয়ন! ওর নাম অয়ন। আমি এখন বুঝতে পারলাম তোমার দেশে আসার কারন। I’m glad সেদিন রিমি আপু আমাকে অয়নের সাথে দেখেছিলো। নাহলে তোমাকে নিয়ে আমার ভেতরে যে সংশয় ছিলো তা হয়তো দূর হতো না। তুমি ঠিকই ধরেছো, আমি অয়নের কাছে যাচ্ছি” মেঘা পেছনে না তাকিয়ে চলে যায়
মেঘার ভেতর হঠাৎ এক চাঞ্চল্য কাজ করে। সে অয়নকে ফোন করে।

“হ্যালো?”

“হ্যালো অয়ন? শেষবার আমাদের যেখানে দেখা হয়েছিলো ওখানে চলে আসো, এখনই। আমি অপেক্ষা করছি” বলে সে ফোন রেখে দেয়।
বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘা দেখে আকাশে বেশ ঘন মেঘ করেছে। সে দ্রত একটা সিএনজিতে উঠে পড়ে। সে পৌছে যায় তার গন্তব্যে। সে দৌড়ে যায় সেই মাঠের ধারে। দেখে অয়ন অখানে দাঁড়িয়ে আছে।

“স্যরি আসতে দেড়ি হয়ে গেলো। রাস্তায় বেশ জ্যাম ছিলো” হাপাতে থাকে মেঘা

ইটস ওকে” বলে অয়ন

“পানি আছে তোমার কাছে?”

“হুম” গাড়ি থেকে পানি বের করে মেঘাকে দেয় সে

“কখন এলে?” জিজ্ঞেস করে মেঘা

“আমি এখানেই ছিলাম” বলে অয়ন। অয়নের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মেঘা

“তুমি জানো যাহিন দেশে এসেছে?” বলে সে

“না” বলে অয়ন

“তাহলে তো তুমি এটাও জানোনা যে সে আমাকে বিয়ের জন্যে প্রপোজ করেছে”

“Congrats”

“তুমি জিজ্ঞেস করবে না আমি কি উত্তর দিয়েছি?”
অয়ন নীচের দিকে তাকিয়ে থাকে

“আমি না বলেছি”
অবাক দৃষ্টিতে মেঘার দিকে তাকিয়ে থাকে অয়ন। মেঘা জড়িয়ে ধরে অয়নকে। অয়ন অপ্রস্তুত হয়ে যায়।

“আমি জানি না আমি তোমাকে ভালোবাসি কিনা। আমি শুধু এটুকু জানি, আমি তোমার সাথে থাকতে চাই, তোমার পাশে থাকতে চাই” বলে মেঘা
অয়ন জড়িয়ে ধরে মেঘাকে। তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় মেঘার সান্যিধ্যে।

“অয়ন, আমি একটা স্টুপিড। আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি, যে আমার প্রতিটা কষ্টকে হাসিতে রুপান্তর করেছে। এতদিন ধরে ভালোবাসো আমাকে, এতটা ভালোবাসো, কখনো আমাকে কিছু বলোনি, কেনো? এটা কেমন ভালোবাসা?” অয়নের দিকে তাকিয়ে ডুকড়ে কেঁদে ওঠে সে।

“কেউ একজন আমাকে বলেছিলো, ভালোবাসার কোনো অর্থ নেই, অর্থ আছে ভালোবাসার মানুষ্টির কাছে। তার সমীপে” হাসিমুখে উত্তর দেয় অয়ন
অয়নের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলে মেঘা। অয়ন আলতো করে মেঘার কপালে একতি চুমু দেয়

“অনেক ভালোবাসি তোমাকে মেঘা”

“পরী…আমি তো তোমার পরী…”

“হ্যাঁ, তুমি আমার পরী” মেঘাকে নিজের বুকে আগলে রাখে অয়ন


***কখন কোন মুহুর্ত আমাদেরকে আমাদের ভালোবাসা খুজে নেয়, আমরা কেউ তা জানিনা। ব্যস, শুধু ওই মুহুর্তই আমাদের জানিয়ে দেয়, আমরা আছি, তার সমীপে…***

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.