নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Island in the Stream

লোনার

When men cease to believe in God, they do not thereafter believe in nothing, they then become capable of believing anything. - G.K. Chesterton

লোনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন প্রতিক্রিয়াশীলের বয়ান

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১০


ইন্টারমেডিয়েট পর্যায়ের পড়াশোনার জন্য যখন ঢাকা কলেজে ভর্তি হই, তখন বামপন্থী রাজনীতির সাথে প্রথম পরিচয় হলো। পৃথিবীর তাবৎ নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে উদ্ধার করার পবিত্র ও মহান দায়িত্ব যে কলেজ-পড়ুয়া সাহসী ও প্রগতিশীল তরুনদের উপরই বর্তায়, তা একপ্রকার নিশ্চিত জেনেই কারণে-অকারণে বড় ভাইদের সাথে মিছিল-মিটিং-এ অংশ নিতাম। তখন "বুর্জোয়া" ছাড়াও, "প্রগতিশীল"-এর উল্টো আর একটা অভিব্যক্তি খুব উচ্চারিত হতো বড়ভাইদের মুখে মুখে - সেটা হচ্ছে "প্রতিক্রিয়াশীল"। প্রাথমিকভাবে জামাত-শিবির বা ধর্ম-কর্ম যারা পালন করেন, তাদের বোঝাতে শব্দটা ব্যববহার করলেও - যারাই "কমরেডতন্ত্র"কে অপছন্দ করতেন, এটা ছিল তাদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেয়া একপ্রকার গালি।

এই ব্লগে অনেকদিন ধরেই নাম লেখানো থাকলেও, আমি নিয়মিত ব্লগার নই - আমার ব্লগে আসাটা অনেকটা ঝটিকা সফরের মত। সেই ঝটিকা সফরে লেখাগুলোতে চোখ বুলাতে বুলাতে যদি কোন লেখা ভালো লাগে, তবে হয়তো ২/১ টা মন্তব্য করা বা প্লাস দেয়া হয়। আর যদি খুব বেয়াদবী কোন লেখা চোখে পড়ে, যেখানে কেউ আমাদের মত গণ-মানুষকে, আমাদের বিশ্বাসকে আক্রমণ করে - অথবা, আমরা কি ভাববো কি ভাববো না, কি বিশ্বাস করবো বা করবো না তা ঠিক করে দিতে চায় - তখন হয়তো সেটার প্রতিবাদ করতে চেষ্টা করেছি। আল্লাহ অথবা তাঁর রাসূলকে (সা.) কেউ যখন অপমান করে, বা যখন দেখি কেউ ইসলামকে বিনির্মাণ করার চেষ্টা করছে তখন মুসলিম হিসাবে স্বভাবতই বুকে লাগে - তাই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময়ই যেখানে বা যে পোস্টে কোন বক্তব্যে/মন্তব্যে খারাপ লাগে, সেই পোস্টে প্রতিবাদ করাটা যথার্থ মনে হয় না। বরং সে বিষয়ে আলাদা একটা পোস্ট দিয়ে আমার অবস্থান ও বক্তব্যকে উপস্থাপন করাকে যথার্থ মনে হয়। সেজন্যই দুর্ভাগ্যবশত, আমার অধিকাংশ পোস্টকে কারো কাছে proactive মনে না হয়ে reactive মনে হতে পারে। আজকেরটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

তার সাথে মাত্র কয়দিন আগে ব্লগে পরিচয় হলো। তার একটা লেখা স্টিকি হয়েছিল - জনকল্যাণমূলক তথ্য সম্বলিত লেখা -খুবই সুন্দর! তার লেখায় দেখলাম সকল মতের পাঠক-পাঠিকা জড়ো হয়ে বাহ্বা দিচ্ছেন - রীতিমত "বাঘে-মহিষে" এক ঘাটে পানি খাওয়ার মত ব্যাপার।বুঝলাম তিনি খুবই জনপ্রিয় ব্লগার ছিলেন - মাঝখানে বেশ কিছু সময় অনুপস্থিত থেকে এখন আবার ব্লগে এসেছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা তথ্যবহুল ঐ পোস্টটার লিংক আমি আমার পরিবারের সদস্যদের দিয়েছি - তারা যেন তথ্যগুলো সম্বন্ধে অবগত হয় সেজন্য। এরপরই দেখলাম ঐ জনপ্রিয় ব্লগার, কুর'আনের ভাষা (আরবী) নিয়ে একটা সুন্দর লেখা পোস্ট করলেন। আমি খুব অবাক হলাম ২ টা কারণে: ক) সামুতে কুর'আনের ভাষা শিক্ষা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন বলে। খ) পোস্টটা তিনি শুরু করেছেন "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম।" বলে। নাস্তিক/মুরতাদ infested সামুতে দু'টো বিষয়ই আমার কাছে অভাবনীয় মনে হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত জীবনের জাহেলী অধ্যায়ে "রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায়" যখন শিল্পকলা একাডেমীতে গান শুনতে যেতাম, তখন খেয়াল করতাম যে, ৮৭% মুসলমানের দেশের নাগরিক হলেও, (আমি সহ) শ্রোতা দর্শকদের মাঝে ধর্ম-কর্মের কোন বালাই নেই (নাউযুবিল্লাহ্ ও আস্তাঘফিরুল্লাহ্) - কোনদিক দিয়ে মাগরিবের সময় চলে যাচ্ছে বা এশার আযান ধ্বনিত হচ্ছে - তার কোন প্রভাবই ঐ অডিটরিয়ামের উপর নেই। পরে, ইসলামে ফিরে আসার পর (অর্থাৎ practicing Muslim হবার পরে), ভাবতে চেষ্টা করেছি যে, কখনো যদি ভরাট গলার ঢুলু চোখের জাতীয় পর্যায়ের গাইয়ে, তার স্বাগত ভাষণ "আস সালামু আলাইকুম ও রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু" বলে শুরু করতেন, তা হলে ঐ অডিটরিয়মে কি অবস্থা দেখা যেতো? ৮৭% মুসলিমের দেশের রবীন্দ্র অনুরাগীদের অনেকেই হয়তো মূর্ছা যেতেন - মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত স্বাভাবিক ও সুন্নাহ্ ঐ সম্ভাষণে! কারো হয়তো ব্যাপাটাকে মনে হতো, শীতের রাতের "ভরা মজলিসে" ঠান্ডা পানি স্প্রে করে পরিবেশ প্রতিবেশকে "বরফ শীতল" করে দেয়ার মত। অথচ, ঐ গাইয়ের বাবা তাকে একটা সুন্দর ইসলামী নাম দিয়েছিলেন - যার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টময় অংশটা পরবর্তীতে তিনি "ছেঁটে" বাদ দিয়েছেন। নামের "তাক্বিউল্লাহ্" অংশটা বুঝিবা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে "যায়" না বলে তার মনে হয়েছে! এত কথা বললাম এটা বোঝাতে যে ঐ জনপ্রিয় ব্লগারের "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম।" লেখা দেখে আমি কেন অবাক হয়েছি! ঐ ক'টি শব্দের ভিতর আল্লাহর ৪টি নাম রয়েছে। আল্লাহ্-রাসূলের নাম শুনলে ব্লগের ৫-তারাদের অনেকেরই চুলকানি শুরু হয়। তা জেনেও ঐ জনপ্রিয় ব্লগার কেন ঐ শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন, সেটা আমাকে বেশ ভাবিয়েছে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি: "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম।" তিনি কেবল আরবী ভাষা নিয়ে লেখা ঐ পোস্টেই যুক্ত করেছেন - এর আগের বা পরের পোস্টে করেন নি! এটাও হতে পারে যে, আযান শুনলে শয়তান যেমন নিষ্ক্রান্ত হয়, তেমনি ৫-তারা কাফির/মুশরিক/মুরতাদ/নাস্তিকরা আরবী লেখা দেখেই ঐ পোস্ট আর ঢুকবে না, কেবল মুসলিমরাই পড়বে লেখাটি - এটা ভেবেই হয়তো তিনি আল্লাহর নামগুলো যুক্ত করেছেন।
"৪"
যে কারনে এই লেখাটার চেষ্টা সেটা বলার আগে ছোট্ট একটা গল্প বলে নিই: পেশাগত পড়াশোনার জন্য একসময় যখন উত্তর-পূর্ব ইংলন্ডের একটা শহরে থাকতাম, তখন আমার ক্লাসে খুব হাসিখুশী নাদূস-নূদূস একটা শ্রীলংকান ছেলে ছিল। পড়াশোনার পর্ব শেষে পরীক্ষার আগে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। একেকজন একেক সেন্টারে পরীক্ষা তথা orals দেই। তখনকার দিনে orals শেষেই আমাদের বলে দিত কে পাশ করেছি, কে করিনি। পরীক্ষার ক'দিন পরে শহুরে রেলে বাসায় ফিরছি, হঠাৎ মিটার ৫০-এক দূরে দেখি ঐ শ্রীলংকান ছেলেটা - সদাহাস্য মুখে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। তার হাসি দেখে আমি ভাবলাম, সে নিশ্চয়ই পরীক্ষায় উৎরে গেছে। কাছে এসে বললো যে, তার পরীক্ষক তাকে orals-এ ঘন্টখানেক আটকে রেখে পরে একটা বিশেষ দিনের পরীক্ষার ২ পেপার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বললো: "Your morning paper was good ...." - এই বলে আমার সেই শ্রীলংকান সহপাঠী হা হা করে হেসে বললো: "তার মানে বুঝলে না? My afternoon paper was not good! বেটা আমাকে একঘন্টা ধরে আটকে রেখে কত প্রশ্ন করলো - তারপর ফেল করিয়ে দিল!"
"শেষ"
আমার এই লেখায় উল্লেখ করা শ্রদ্ধেয় ঐ জনপ্রিয় ব্লগারের পরবর্তী লেখাটা ছিল আরেকটি "বাঘে-মহিষে" এক ঘাটে পানি খাওয়ানো লেখা - যথারীতি আরেকটি "হিট": লাভ অবসেশনঃযে প্রেম জীবন তছনছ করে দিতে পারে। এধরনের লেখায় আমি সাধারণত উকি দিই না আমি - আমার কাছে এসব বিষয়কে "talking for talking's sake" মনে হয়। কিন্তু ভদ্রলোকের সাথে পরিচয়ে একধরনের সমীহের বোধ জন্ম নেয়ায় ভাবলাম একটু পড়ে দেখি। দেখলাম অনেক তথ্য ও তত্ত্ব রয়েছে। দেখলাম Love Vs Obsession-এর একটা তালিকা রয়েছে (পাশে ভালোবাসা নিবেদনের একটা ছায়া-চিত্রও রয়েছে)। যেখানে "অবসেশনের" মত অসূরের বিপরীতে "লাভ"কে স্বর্গীয় দেবতার মত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। Obsession খারাপ, কিন্তু Love মহৎ - এমনটাই বুঝবে যে কেউ! আচ্ছা এ পর্যন্ত এই লেখাটা যারা পড়েছেন, তারা সত্যি করে বুকে হাত রেখে একটা কথা বলুন তো: এই যে এতক্ষণ ধরে যে "লাভ" শব্দটা শুনলেন, আপনাদের কি বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার কথা মনে হয়েছে? নাকি pre-marital বা extra-marital passionate love-এর কথা মনে হয়েছে? নিশ্চয়ই বিবাহপূর্বক বা বিবাহবহির্ভূত আবেগঘন ভালোবাসার কথাই মনে হয়েছে?? আমি ঐ পোস্টে মন্তব্যে লিখলাম: "সকল মুসলিমের জানা উচিত যে, passionate love ইসলামে হারাম!" প্রতিউত্তরে তিনি বললেন: "আমরা এখানে এমন একটা রোগ নিয়ে আলোচনা করছি যেটা সকল ধর্মের মানুষ এবং নাস্তিকদেরও হতে পারে। আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উচ্চারিত কথার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাচ্ছি।" আমার তখন মনে হলো তিনি আমাকে বলছেন: "এসবের ভিতর আবার ধর্মকে টেনে আনা কেন?" অথচ, তার তো জানার কথা, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের বিষয়ে ইসলামের একটা say রয়েছে! সকালে ঘুম থেকে উঠে বসার পর থেকে, রাতে অবসরে বা বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কাজের ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কাউকে মুসলিম হতে হবে এমন কোন কথা নেই! কিন্তু যিনি নিজেকে মুসলিম বলবেন, তাকে তো ইসলামকে একটা পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে, তাই না? যেমনটা অস্ট্রীয়-জার্মান ধর্মান্তরিত মুসলিম মুহাম্মদ আসাদ তার বইতে বলেছেন: "Islam leads a man to a unification of all aspects of life. Being a means to that goal, this religion represents in itself a totality of conceptions to which nothing can be added and from which nothing can be subtracted" [Page#93, Islam at the Crossroads]
শ্রদ্ধেয় ব্লগার "আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উচ্চারিত কথার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাচ্ছি।" বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন আমি ঠিক বুঝিনি। "ধর্ম যার যার, ভালোবাসা সবার" - এমন কিছু কি? আমি তো তার ধর্ম এবং আমার ধর্ম, বা সকল মুসলিমের ধর্ম ও আমার ধর্ম এক জেনেই সবাইকে সতর্ক করতে চেয়েছি। ঐ পোস্টে "বাক-বাকুম" করা সকল বিশ্বাসী মুসলিমকে জানাতে চেয়েছি: passionate love ইসলামে হারাম!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চরমপন্থীরা যে যার মতাদর্শ ছাড়া অন্য সবকিছুকে আক্রমণ করে - তা সে নাস্তিক চরমপন্থী হোক বা আস্তিক চরমপন্থীই হোক । আর তারা মনে করে তার মতাদর্শ ছাড়া অন্য মতাদর্শ সম্পূর্ণ বেঠিক। সুতরাং সবাইকে নিজেদের মতাদর্শ বাদ দিয়ে চরমপন্থীদের মতাদর্শকেই সমর্থন ও অনুসরণ করতে হবে - জোর করে হলেও। সমস্যা হচ্ছে এই দুই ধরণের চরমপন্থীদের মধ্যেই পরমত সহিঞ্চুতার অভাবের পাশাপাশি নৈতিকতা, সততা, মানবিকতার মতো গুণাবলীগুলির কেন জানি চরম দুর্ভিক্ষ দেখা যায়।

কি বলতে চাইছি আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২

লোনার বলেছেন: পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলোর মাঝে, ইসলামই সম্ভবত একমাত্র দ্বীন (ধর্ম) যার ধর্মগ্রন্থে চরমপন্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে - কেবল গরু খেয়ে যারা মুসলমান, তাদের অনেকেই হয়তো সেটা জানেন না। দ্বীনে (ধর্মে) চরমপন্থা বা الغلو في الدين ইসলামে তাই এমন একটি আলোচ্য/বিবেচ্য বিষয়, যার বয়স ইসলামের সমান। তবে কোনটা চরমপন্থা সেটা নির্ধারণ করার ব্যাপারে ইসলামের নিজস্ব "set of variables/values" রয়েছে। উদাহরণ দিচ্ছি: শীতের রাতে, গরম পানির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত সওয়াব হবে ভেবে আপনি যদি ঠান্ডা পানি দিয়ে অজু করেন, তবে সেটাকে ইসলামে চরমপন্থা বা বাড়াবাড়ি বলা হবে, অথচ প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে, জীবনে একদিনও সূর্যোদয়ের সময়ে যে ঘুমিয়ে থাকেন নি, সেটাকে স্বভাবিক ধরা হবে!

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: তর্কের জন্য বলছি না।পোস্টটা আমি পড়েছিলাম।যা হোক,আপনার লেখা অনুযায়ী Love শব্দটা শুনলে premarital বা extramarital love আপনার চিন্তায় আসে।মন্তব্যে তাহলে সেটাই লিখতেন, 'premarital বা extramarital passionate love ইসলামে হারাম।'

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৪

লোনার বলেছেন: Passionate love-এর একটা সংজ্ঞা নীচে তুলে দিলাম:

a type of love in which emotional arousal and usually sexual passion are prominent features; along with compassionate love, it is one of the two main types of love identified by social psychologists. Passionate lovers typically are greatly preoccupied with each other, want their feelings to be reciprocated, and are usually greatly distressed when the relationship seems awry.

আপনার কি মনে হচ্ছে এখানে স্বামী-স্ত্রীর ভলোবাসার কথা বলা হচ্ছে? Mills and boon থেকে নিয়ে আমাদের সেকেলে শরৎচন্দ্রের "অনুপমার প্রেম" অথবা রবীন্দ্রনাথের "নষ্টনীড়" - কোথাও কি প্রেম/ভালোবাসা বলতে স্বামী-স্ত্রীর ভলোবাসার কথা বোঝানো হয়েছে? না কি বিবাহবহির্ভূত (প্রাক অথবা উত্তর যেটাই হোক) ভালোবাসার কথা বোঝানো হয়েছে?

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বোজি আর না বোজি পড়ে ভালো লাগলো।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮

লোনার বলেছেন: ভালো!

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগে আপনি নিয়মিত হোক। এটাই চাই।

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

লোনার বলেছেন: ইনশা'আল্লাহ্!

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: পরিষ্কার হলো কি বক্তব্য?

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

লোনার বলেছেন: আমার ব্যর্থতা!

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১১

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি অসাধারন লেখার সমালোচনা করার জন্য। সামুতে নতুন আমি, লাভ- অবসেশন নিয়ে লেখাটি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। আপনার সমালোচনা দেখে খুজে নিয়ে লেখাটি পড়লাম, মুগ্ধ হলাম জাফরুল মবীন এর জ্ঞানের গভীরতা দেখে ,শ্রদ্ধাবনত হলাম আপনার ভিন্ন মতকে কত সম্মানের সাথে তিনি গ্রহন করেছেন তা দেখে।
পক্ষান্তরে আপনার লেখাটি আমাকে আহত করল । ২ নং কলামে আপনি 'infested' শব্দটি ব্যবহার করেছেন আমার মত 'ধর্মগ্রন্থের ঈশ্বরে' যারা বিশ্বাস করেন না তাদের অসম্মান করে। পৃথিবীকে দেখে, যুক্তি- জ্ঞান- বিজ্ঞান কে ব্যাবহার করে আপনি সিদ্ধান্তে এসেছেন যে কোন একটি বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস ই চিরন্তন সত্য- অন্যপক্ষে আমি সিদ্ধান্তে এসেছি যে ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য সত্য নয়। আমাদের মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পর কে সম্মান করার মানসিকতা থাকা প্রত্যাশিত ছিল না কি?

আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আপনি এক সময় রবীন্দ্র সাহিত্য এর মত উন্নত শিল্পকলার অনুরাগী ছিলেন- বর্তমানে আপনি সেই জাহেলি অধ্যায় থেকে আলোয় উপনীত হয়েছেন। অভিনন্দন- কিন্তু খেয়াল করেছেন কি ধর্ম আপনাকে শিখিয়েছে মানুষকে ঘৃনা করতে? নাস্তিক/ অজ্ঞেয়বাদী হলেও আমি/ আমরা মানুষ তো?
আপনার পোষ্টে passionate love হারাম বলতে আপনি সম্ভবত কেবল মাত্র শারিরীক সম্পর্ক কে ই বোঝাতে চেয়েছেন। আমার অনুভুতিতে passionate love- এর জন্য শারিরীক সম্পর্ক অপরিহার্য নয়- তীব্রভাবে কোন মানুষের কল্যান চাওয়াও passionate love হতে পারে। সেটি ইসলামে হারাম কিনা তা আপনারা আলোকপ্রাপ্ত প্রাকটিসিং মুসলিম রাই বলতে পারবেন। তবে আমার জানামতে ইসলামে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্কের অনুমতি আছে। দাসী- যুদ্ধবন্দিনী সহ দীর্ঘ তালিকা সেটা। এই তালিকা ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক নারীর সাথে প্র্যাকটিস করা হালাল- অথচ ভালবাসা হারাম? এই অবস্থান এবং এমনি আরো অনেক অবস্থান মেনে নিতে না পারার যোগফল কি আমার মত অনেক মানুষের ধর্ম থেকে সরে আসা?

আপনি উল্লেখ করেছেন কোন এক রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায় মানুষ গান বন্ধ রেখে ধর্মাচরনে যায়নি দেখে আপনি বিস্মিত হয়েছেন। আচ্ছা সেখানে কি সবাই অশিক্ষিত- অমার্জিত- অসচেতন ছিল? নাকি ঠিক বিপরীত? এই শ্রেনীর মানূষ যে ধর্মাচরন করেন না তাকি ওই রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায় - নাকি আরো সব সন্ধ্যায়? এর কারন কি?
এর কারন কি এমন হতে পারে যে তারা ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন কিন্তু নৃসংশতার ভয়ে তা প্রকাশ করছেন না? তারা কি জেনে গেছেন যে , কোন মানূষ যদি নিজের বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে ধর্মে যোগ দেন তাহলে ধর্ম তাকে মহা সমারোহে বরন করে নেয়- কিন্তু সেই একই মানুষ যখন সেই একই বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে ধর্ম ত্যাগ করতে চান- ধর্ম তখন তাকে দেয় মৃত্যুদন্ড? তারাকি অপেক্ষা করছেন এমন দিনের যখন ধর্মাচারীদের জবরদস্তি বন্ধ হবে আর তারা নির্ভয়ে নিজের বিবেক বুদ্ধি অনুসারে জীবন চালাতে পারবেন?

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬

লোনার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাবে একটা গোটা পোষ্ট দিয়েছি খানিকক্ষণ হলো। দেখে নেবেন, ইনশা'আল্লাহ্!

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানা হলো লেখা পড়ে

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

লোনার বলেছেন: আরও জানা উচিত! চেষ্টা করলে ইনশা'আ্‌ল্লাহ, আল্লাহ্ সহজ করে দেবেন!!

৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: ডেফিনেশন পড়লাম।কিন্তু আপনার ধারণার সাথে মিল পেলাম না।সাহিত্যিকদের কথা আমি বলছি না।আমি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপারেই মন্তব্যটা করেছিলাম।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০২

লোনার বলেছেন: আমারই ব্যর্থতা বোধহয় তাহলে..... । আচ্ছা passionate love এর উল্টো ব্যাপারটা হচ্ছে compassionate love - দেখুন তো এখন পরিষ্কার হয় কি না আমি যা বোঝাতে চেয়েছি? তাতেও না হলে কষ্ট করে এখানে দেখুন: view this link

Compassionate love describes attitudes toward and service for others, motivated by a desire for the good of the other. It includes caring for, valuing, and respecting the person so loved. The combination of the two words "compassionate" and "love" highlights features in both words: this combination describes sympathy towards the other, in a way that is caring, respectful, and appropriately emotionally engaged, which leads to appropriate action in service of the other person. Compassionate love can operate through the relief of suffering, but also through acknowledging life's full possibilities and making space for each human being to reach his or her potential. Compassionate love encourages fullness of life in the other.

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৭

সত্যমিথ্যাসন্ধানি বলেছেন: বুঝলাম না

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

লোনার বলেছেন: একান্তই আমার ব্যর্থতা!

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: passionate লাভের চূড়ান্ত পরিণতি হওয়া উচিত compassionate লাভ। এই লিঙ্কটা প্রাসঙ্গিক হতে পারে;

difference between passionate love and compassionate love

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৯

লোনার বলেছেন: আচ্ছা! ধন্যবাদ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.