নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে ভালোবাসার গল্প

I love you more than I can say... http://on.fb.me/ZU9ABE

ভালোবাসা

ভালোবাসার মানুষটাকে না বলা কথাগুলো এখানে লিখি। http://on.fb.me/ZU9ABE

ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নপূরণের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করে যাই

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৮

কেমন আছো তুমি? আজ অনেকদিন পর লিখছি। কিন্তু তাই বলে এমনটা ভেবো না যে আমি তোমাকে ভুলে থাকি। কেবল যখন তোমাকে খুব মনে পড়ে তখন লিখি। কারণ, আমার আসলে সবসময়ই তোমাকে মনে পড়ে। কথাটা বিশ্বাস্য নাকি অবিশ্বাস্য তা আমি জানি না। তবে এমন একটি জায়গায় আমি লিখছি, যেখানে তুমি পড়তেও পারো নাও পড়তে পারো, যেখানে আমার পরিচয় অজ্ঞাত, সেখানে আমার মিথ্যে বলার কোনো কারণই হয়তো নেই।



প্রতিটি রাতেই আমি অনেক কথা বলি তোমার সঙ্গে। তোমার সঙ্গে কথা না বলে আমি কোনোদিনই বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। হয়তো মনে মনে বলছো, কতবড় মিথ্যে কথা। না, মিথ্যে কথা নয়। যে সময়টা তোমাকে ফোন না দিয়ে থাকতাম, সেই সময়টা আমাকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো অন্য কিছু নিয়ে। তুমি নিশ্চয়ই জানো, সেই অন্য কিছুটা কী। তারচেয়ে বড় কথা, তুমি এও জানো সেই অন্য কিছুর দুশ্চিন্তাটা কতখানি প্রভাব ফেলে।



তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না বলে প্রতি রাতেই বিড়বিড় করি তোমার সাথে। একইভাবে শুয়ে হাজারও কথা বলে যাই তোমার সঙ্গে। কেবল আগে আমার কানের কাছে ফোন থাকতো, এখন কেবল মনের মাঝে তুমি থাকো। আরেকটা পার্থক্য আছে, আগে কথাগুলো তুমি শুনতে পেতে। এখন কথাগুলো তুমি আর শুনতে পাওনা। কে জানে হয়তো তুমি ভাবতেও পারো না যে ঐ সময় আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি।



জানো আমি তোমাকে সবসময়ই অনেক সম্মান করেছি। আমি নিজে খুব ভালোমতোই জানি যে সেই সম্মানের সিকি পরিমাণও আমি তোমাকে দেখাতে পারিনি। সম্মান দেয়া আর সম্মান দেখানোর মধ্যে পার্থক্য থাকলেও একটিকে ছাড়া অন্যটি আসলেই অপূর্ণ। আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, কিন্তু তার আগে যখন আমরা কেবলই বন্ধু ছিলাম, তখন আমি তোমাকে সম্মানও করতাম অনেক। করতাম মানে এই নয় যে এখন আর করি না। তোমাকে ভালো লাগতো। কিন্তু কখনোই বন্ধুর চেয়ে বড় কিছু ভাবতে পারিনি। নিজেকে যোগ্যই মনে করিনি কখনো, সেসব চিন্তা মাথায় আনা দূরে থাক।



তোমাকে সম্মান করতাম বলেই হয়তো সবসময় চেষ্টা করতাম তোমার জন্য কিছু করতে। তোমার মন খারাপ থাকলে মন ভালো করাকে আমার দায়িত্ব মনে করতাম। তুমি কষ্ট পেলে কীভাবে আবার তোমাকে হাসানো যায় সেটা নিয়ে ভাবতাম। কিন্তু কতটুকু সফল ছিলাম আমি? হয়তো সফল ছিলাম। কিন্তু যতটুকু সফল হওয়া উচিৎ ছিল, ততটুকু যে হতে পারিনি, অপ্রিয় বর্তমানই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।



আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা কথা বলতে না পারা। তোমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না যে আমি কতোটা একা পরিবেশে বড় হয়েছি। কথা বলতে না পারার সমস্যা সম্পর্কে তুমি যতোটা জানে অন্য কেউ ততোটা জানে না। তবুও যে কোনো কথাই আমি তোমাকে বেশি বলতে পারতাম সেই শুরু থেকেই। মনে আছে টিএসসিতে প্রথম ঘুরবার পর তুমি বলেছিলে আমি নাকি খুব বেশি কথা বলছিলাম। সত্যিই এর আগে কোনোদিন আমি এতো কথা বলিনি।



কিন্তু কথা বলতে পারার অর্থ হচ্ছে পরিস্থিতি সামলাতে পারা বা পরিস্থিতি বুঝে কথা বলা। বসুন্ধরা সিটির সামনের সিঁড়ির কথা মনে পড়ে? তুমি চুপচাপ বসেছিলে ব্যাগের উপর মাথা রেখে। আর আমিও অনেকটা বিমূঢ়ের মতোই বসে ছিলাম তোমার পাশে। তুমি রাগ করেছিলে, অথবা কষ্ট পেয়েছিলে। কারণ, তুমি আমাকে তোমার ফোন নম্বর মুখস্থ বলতে বলেছিলে। তুমি কি খেয়াল করেছিলে আমি হাসছিলাম যখন তোমার নম্বরটা শুরু থেকেই উল্টোপাল্টা করে বলছিলাম (জিরো ওয়ান থ্রি.....)? হয়তো খেয়াল করোনি। করলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারতে আমি তোমাকে খেপাবো ভাবছিলাম। কিন্তু তুমি কষ্ট পেয়ে বসলে। আমি ততোটা চালু নই। আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম তখন। খুব সহজ ছিল ব্যাপারটা। আমি আরেকবার ঠিকভাবে নম্বরটা বললেই হয়তো হয়ে সব ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু তোমার মন খারাপ হয়ে যাওয়া দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেল। চুপ করে মাথা নিচু করে অপরাধীর মতো বসে রইলাম। নিঃশব্দে তখন আমি আওড়াচ্ছিলাম, জিরো ওয়ান নাইন.....



তুমি চলে যাবে, কখনো ভাবিনি। কখনো ভাবতে চাইনি। প্রতিটি সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমাকে দেখবো ভেবেছিলাম। প্রতিটি রাতে তোমাকে বুকে নিয়ে ঘুমোবো ভেবেছিলাম। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত তোমার সঙ্গে আলোচনা করে নিবো ভেবেছিলাম। একটা সংসার সাজাবো ভেবেছিলাম, তোমার সঙ্গে।



ভাবনাগুলো আজও নিশ্চুপ নির্বাক হয়ে মনে ঘুরপাক খায়। তুমি কীভাবে চলে গেলে? তুমি কীভাবে চলে যেতে পারলে? আমার অপরাধ ছিল। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। একবার তোমার কাছে সুযোগ চাচ্ছি। যদি ভালোবাসো, একবার কি কাছে আসতে পারো না? মাত্র একবার?



প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। তারপর বিশ্বাস করতে চাইনি। শেষে যখন মনে হলো, সত্যিই তুমি চলে গেছো, তখন চেয়েছি নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে। আর সবার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলো না। তুমি তো জানোই এমনিতেই আমার জীবনে আর কিছু নেই। সবার মতো সাধারণ ভাগ্য নিয়েও আমি জন্মাইনি। তোমাকে পেয়ে ভেবেছিলাম ভাগ্য তবু অসাধারণ। কিন্তু আজ তুমিও চলে গেলে। আর কী নিয়ে বাঁচবো?



জানো, তবু কেন আমি বেঁচে আছি? জানো, কেন আমি তবু পড়ালেখা করে জীবন যেখানে নিয়ে যায় সেখানে লাইনচ্যুত না হয়ে বেঁচে আছি? কারণ, আমার স্বপ্ন আজও বেঁচে আছে। আমি তোমাকে মনের গভীর থেকে অনেক ভালোবাসি। আর আমার কেন যেন মনে হয় সৃষ্টিকর্তা যতই শাস্তি দিক না কেন, এই সৎ ভালোবাসার মূল্য তিনি একদিন না একদিন দেবেনই। আর এর মূল্য তোমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।



কিন্তু সেই একদিন যেন তুমি এসে আমাকে লাইনচ্যুত দেখে ফিরে না যাও, সে জন্যই আমার বেঁচে থাকা, ঠিক থাকা, খারাপের সঙ্গে জড়িয়ে না যাওয়া।



স্বপ্নপূরণের প্রত্যাশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আমার স্বপ্ন তোমাকে পাওয়া, তোমার ভালোবাসা পাওয়া। সেই স্বপ্নপূরণের প্রত্যাশায় তাই আজও বেঁচে রই।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: স্বপ্নগুলো সত্যি হোক

শুভকামনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৯

ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৪৫

বাবা নুড়া বলেছেন: দারুন হয়েছে ভাই! আপনার সপ্ন গুলো সত্যি হোক......... আমার আশা আপনার লেখাটি যার জন্য লিখেছেন সে যেন অবশ্যই পড়ে...... শ্রদ্ধা রইল আপনার ভালবাসার প্রতি ... এবং সেই মানুষটার প্রতি

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৯

ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:১৮

বিজন ব্যাথা বলেছেন: আহা কেন এমন হয়? কেন কে উ. কেউ বোঝে না কতটা ভালবাসা তার প্রতিখায় আছে....

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০

ভালোবাসা বলেছেন: জানি না।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৩

আর.হক বলেছেন: স্বপ্ন সত্যি হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫১

ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি হলে অবশ্যই জানবেন।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৩:১২

আমি রাইন বলেছেন: সম্ভব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.