নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের নামে এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা কতটুকু?

১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

বাংলাদেশের ৩৫ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে

"রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়"। ভারত বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথের নামে এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা কতটুকু?



(১) "রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথ ছিল দেড়শ টাকা বেতনের ইংরেজ ট্রেভর প্লাউডেনের চাকর । দ্বারকানাথ

ধনী হয়েছিল অনৈতিক ব্যবসার দ্বারা। রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথ ঠাকুরের তেতাল্লিশটা বেশ্যালয় ছিল কলকাতাতেই। ( তথ্যসূত্র: কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা,২৮শে কার্তিক,১৪০৬, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)"

"তাছাড়া মদ এবং আফিমের ব্যবসা ও ছিলো রবীন্দ্রনাথের দাদার। (তথ্যসূত্র: গোলাম আহমাদ মোর্তজা রচিত ‘এ এক অন্য ইতিহাস’ গ্রন্থের ‘অসাধারণ

দ্বারকানাথ’ অধ্যায় )।"



(২) কয়েক পুরুষ ধরে প্রজাদের উপর পীড়ন চালিয়েছেন জোড়াসাকোর এই ঠাকুর পরিবারটি। রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর ব্যতিক্রম ছিলেন না।

"১৮৯৪ সনে রবীন্দ্রনাথ চাষীদের খাজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন,খাজনা আদায়ও করেছিলেন [ তথ্যসূত্র: শচীন্দ্র অধিকারি, শিলাইদহ ও রবীন্দ্রনাথ

পৃঃ ১৮, ১১৭]।"

সব জমিদারা খাজনা আদায় করত একবার,কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষকদের থেকে খাজনা আদায় করত দুইবার। একবার জমির খাজনা দ্বিতীয় বার কালী পূজার সময় চাদার নামে খাজনা। ( তথ্যসূত্র: ইতিহাসের

নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত, লেখক - সরকার শাহাবুদ্দীন আহমেদ )

কর বৃদ্ধি করে বল প্রয়োগে করে খাজনা আদায়ের ফলে প্রজা বিদ্রোহ ঘটলে তাও তিনি সাফল্যের সঙ্গে দমন করেন।

" শোষক রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে শিলাইদহের

ইসলাইল মোল্লার নেতৃত্বে দু’শঘর প্রজা বিদ্রোহ করেন। [ তথ্যসূত্র: অমিতাভ চৌধুরী, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, দেশ

শারদীয়া, ১৩৮২।]"



(৩) রবীন্দ্রনাথ সহ সব হিন্দু কবি-সাহিত্যিকের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতা ও চরম বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন মুসলমানরা।

রবীন্দ্রনাথ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মুসলিম বিদ্বেষ হয়ে অনেক গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কবিতা রচনা করেছে। রবীন্দ্রনাথ তার ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোট গল্পে মুসলিম চরিত্র হরণ করেছে ॥ রবীন্দ্রনাথ তার ‘সমস্যা’ ‘পুরান’, ‘দুরাশা’ ও ‘কাবুলীওয়ালা’ গল্পে মুসলমানদের জারজ, চোর, খুনি হিসেবে উপস্থাপন করেছে। 'ইংরেজ ও ভারতবাসী' ‘সুবিচারের অধিকার’, নামক প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ তার মুসলিম বিরোধী অবস্থা আরো স্পষ্ট করে। বিশেষ করে ‘দুরাশা’ গল্পের কাহিনীটি আরো স্পর্শকাতর। এখানে দেখানো হয়েছে, একজন মুসলিম নারীর হিন্দু ধর্ম তথা ব্রাহ্মণদের প্রতি কি দুর্নিবার আকর্ষণ এবং এই মুসলিম নারীর ব্রাহ্মণ হবার প্রাণান্তকর চিত্র।



রবীন্দ্রনাথ তার ‘কণ্ঠরোধ’ (ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫) নামক প্রবন্ধে বলেন, "কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্রন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে- উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষ রূপে ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল।"

বঙ্কিমচন্দ্রের মুসলিম বিদ্বেষপূর্ণ সাহিত্যের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, "মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত নিজেদের জাতীয় সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করা। (তথ্যসূত্র: ভারতী পত্রিকা, একশ বছরের রাজনীতি, লেখক,আবুল আসাদ )"

কবির মুসলিম বিদ্বেষের আরো একটি নমুনা হলো-

" মরহুম মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলেন, ‘কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [ তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা,লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"



(৪) মুসলিম বিদ্বেষি রবীন্দ্রনাথ ছিলো ব্রিটিশদের দালাল।

" রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আবু জাফর দৈনিক ইনকিলাবে ৭ জুন ২০০০ তারিখ শুক্রবার প্রকাশিত উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে মন্তব্য করেন, “সর্ব-মানবিক প্রেম ছিল তার কবিতার উপজীব্য, কিন্তু কার্যত তিনি নিজে ছিলেন ব্রিটিশ রাজশক্তির অনুগত উপাসক।"



রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ইংরেজি লেখার কারিগর ছিলো সি. এফ অ্যানড্রুজ । রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একজন প্রধান সহযোগী ছিল মি. অ্যানড্রুজ। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর যার নাম দিয়েছিল ‘দীনবন্ধু’। (তথ্যসূত্র: আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ-অখণ্ড সংস্করণ,দ্বিতীয় খণ্ড, কলকাতা, পৃষ্ঠা ১০৮)

এই রবীন্দ্রই ড.ডেভিসের মধ্যস্থতায় এন্ডারসনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ‘চার অধ্যায়’লেখে। শুধু তাই নয়, ‘ঘরে বাইরে’ও তাকে টাকা দিয়ে লেখানো হয়।” (তথ্যসূত্র: দৈনিক বাংলাবাজারে প্রকাশিত ড.আহমদ শরীফের সাক্ষাৎকার, তারিখ ০১/০৫/১৯৯৭ ইং )

" কালীপ্রসনড়ব বিদ্যাবিশারদ তার 'মিঠেকড়া'তে পরিষ্কার বলেই দিয়েছিলেন যে, রবীন্দ্রনাথ মোটেই লিখতে জানতেন না, স্রেফ টাকার জোরে ওর লেখার আদর হয়। পাঁচকড়ি বাবু একথাও বহুবার স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথের প্রায় যাবতীয় সৃষ্টিই নকল। বিদেশ থেকে ঋণ স্বীকার না করে অপহরণ। ( তথ্যসূত্র: জ্যোতির্ময় রবি,ও কালোমেঘের দল, লেখক : সুজিত কুমার সেনগুপ্ত, পৃ. ১১১)।"



রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিল গীতাঞ্জলির জন্য নয়, বরং গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ 'Osong offerings'-এর জন্য। রবীন্দ্র হলো বাংলা ভাষী,ইংরেজিতে কবিতা লিখে নোবেল প্রাইজ পাওয়াটা তার মতো ব্যক্তির

পক্ষে একদমই অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভবটাই সম্ভব হয়েছিল, কারণ পর্দার

আড়ালে থেকে কলম ধরেছিল সি. এফ.

অ্যানড্রুজ। ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদ কিন্তু বাংলা থেকে হুবহু অনুবাদ ছিল না,বরং তা ছিল ভাবানুবাদ। সেই ইংরেজি অনুবাদের ভাব সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছিল খ্রিস্টানদের বাইবেল ও তাদের ধর্মীয় সাধকদের রচনার সাথে। যে প্রসঙ্গে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকার লেখক,কবি ইয়েটস বলেছিল ‘Yet we are not moved because of its strangeness, but because we have met our own image’ অর্থাৎ

‘গীতাঞ্জলি’র ভাব ও ভাষার সাথে পশ্চিমাদের নিজস্ব মনোজগতে লালিত খ্রিস্টীয় ভাবধারা সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছিল।

ইয়েটস তার বক্তব্যের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে সেন্ট বার্নার্ড, টমাস-এ- কেম্পিস ও সেন্ট জন অফ দি ক্রসের সাথে ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদের মিল উল্লেখ করেছিলেন। অন্যান্য পশ্চিমা সাহিত্য সমালোচকরাও ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদের ২৬নং কবিতা ও

ইংরেজি বাইবেলের Songs of Solomon - এর ৫: ২-৬ নম্বর শ্লোক, তাছাড়া সেন্ট ফ্রান্সিসের রচিত খ্রিস্টীয় গান Canticle এবং ইংরেজি গীতাঞ্জলির

৮৬ নং কবিতা এই দুটো পাশাপাশি রেখে তাদের মিল দেখিয়েছেন। (তথ্যসূত্র: আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ -১ম খণ্ড ,পৃষ্ঠা ১৪৫)।

তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ অনেক গান এবং কবিতা নকল পর্যন্ত করেছেন। যেমন রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত "উর্বশী" নামের কবিতাটা নকল।

সেটার নিচের লাইনগুলো পুরোপুরি নকল -

"আদিম বসন্তপ্রাতে উঠেছিলে মন্থিত সাগরে,

ডান হাতে সুধাপাত্র বিষভাণ্ড

লয়ে বাম করে,

তরঙ্গিত মহাসিন্ধু মন্ত্রশান্ত ভুজঙ্গের

মতো

পড়েছিল পদপ্রান্তে উচ্ছ্বসিত ফণা লক্ষ

শত

করি অবনত।

কুন্দশুভ্র নগ্নকান্তি সুরেন্দ্রবন্দিতা,

তুমি অনিন্দিতা।"



চার্লস সুইনবার্নের একটি কবিতার কিছু

পংক্তি থেকে সম্পূর্ণ মেরে দিয়েছেন

রবীন্দ্রনাথ, কবিতাটার নাম

"আটালান্টা ইন ক্যালিডন "।



সেই পংক্তিগুলো হলো -

"For an evil blossom was born

Of sea-foam and the frothing of blood,

Blood-red and bitter of fruit,

And the seed of it laughter and tears,

And the leaves of it madness and scorn;

A bitter flower from the bud,

Sprung of the sea without root,

Sprung without graft from the year "



(৫) বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ সরাসরি জরিতো ছিলেন।

" বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলন খুব জোরালো হতে পেরেছিল, এর একটি কারণ হিন্দু জমিদারেরা এই আন্দোলনের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিলেন।

( তথ্যসূত্র: কমিউনিস্ট নেতা মুজাফফর আহমদের, আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ নামের বই (ঢাকা সংস্করণ ১৯৭২, পৃষ্ঠা ১০১১)।

"বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলনের সাথে

রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল। ( তথ্যসূত্র: বাংলার বিপ্লববাদ, শ্রী নলিনী কিশোর গুহ, পৃ.৭৭, ৭৮)।"

১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মার্চ

কলিকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট

সমাবেশ করা হয়। ঠিক তার দু’দিন পূর্বে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল।

সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ঢাকায় ইউনিভার্সিটি হতে দেওয়া যাবে না। উক্ত উভয় সভার সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ( তথ্যসূত্র: কলকাতা ইতিহাসের দিনলিপি, ড. নীরদ বরণ হাজরা, ২য় খণ্ড, ৪র্থ পর্ব)।



" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার

বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কলকাতার গড়ের মাঠে যে সভা হয়, তাতে সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এসব বাধার কারণে ১৯১১সালে ঘোষণা দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটি আঁতুর ঘরে পড়ে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল।

অবশেষে নানা বিষয়ে সমঝোতা হয়,

যার মধ্যে ছিল মনোগ্রামে ‘সোয়াস্তিকা’ এবং ‘পদ্ম’ ফুলের প্রতীক থাকবে।

প্রতিবাদকারীরা খুশি হন। এরপর ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।" ( তথ্যসূত্র: ডক্টর কাজী জাকের হোসেন : দৈনিক ইনকিলাব, ১০ মার্চ, ২০০২)।"



১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলিকাতা গড়ের মাঠে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। [ তথ্যসূত্র: আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা, লেখক,মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা)]



এতো কিছুর পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধী,ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা আছে কি?



চলবে ............

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: এদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে কিছু করার প্রয়োজনীয়তা যতখানি, রবীন্দ্রনাথের নামে করা তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথকে স্বীকার না করলে আপনার বাঙ্গালিত্বই থাকবেনা। যাদের ধ্যান-জ্ঞানে রবীন্দ্রনাথ, তারা আপনাকে মুরতাদ ঘোষণা করতে এক মুহূর্তও দ্বিধা করবেনা যদি এই আয়োজনের বিরুদ্ধাচারণ করেন।

তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের নামে এদেশে বিশ্যবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন কারণ, "এদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই কবিগুরুর"

২| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

আলোকিত আধারে বলেছেন: "এদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে কিছু করার প্রয়োজনীয়তা যতখানি, রবীন্দ্রনাথের নামে করা তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন।"

এক মত হতে পারলাম না 'নীল আকাশ' ॥ বঙ্গবন্ধুর সাথে রবীন্দ্রনাথের তুলনা করা যায় না।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি একটা আকাট মূর্খ। আপনি উপরে যা লিখছেন তার প্রায় পুরোটাই মিথ্যা। আপনি সম্পূর্ণই মিথ্যা এবং অন্ধকারে নিমজ্জিত। আপনার পক্ষে রবীন্দ্রনাথের লেখা বোঝা সম্ভব নয়। আপনার বর্ণিত মিথ্যা কথা সমগ্র থেকে দু একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র:


"কালীপ্রসনড়ব বিদ্যাবিশারদ তার 'মিঠেকড়া'তে পরিষ্কার বলেই দিয়েছিলেন যে, রবীন্দ্রনাথ মোটেই লিখতে জানতেন না, স্রেফ টাকার জোরে ওর লেখার আদর হয়। পাঁচকড়ি বাবু একথাও বহুবার স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথের প্রায় যাবতীয় সৃষ্টিই নকল। বিদেশ থেকে ঋণ স্বীকার না করে অপহরণ। "

"রবীন্দ্র হলো বাংলা ভাষী,ইংরেজিতে কবিতা লিখে নোবেল প্রাইজ পাওয়াটা তার মতো ব্যক্তির পক্ষে একদমই অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভবটাই সম্ভব হয়েছিল, কারণ পর্দার
আড়ালে থেকে কলম ধরেছিল সি. এফ. অ্যানড্রুজ। "

আপনার মত বিকৃত মস্তিষ্কের পক্ষে মানুষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখি না। তবু বলবো, আপনার মনের বিকট দূর্গন্ধ থেকে আমাদের মুক্তি দেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: পাঠ্য পুস্তক হতে শুরু করে বাংলাদেশে বেশির ভাগ সাহিত্য ও সংস্কৃতি তার সৃষ্টিকর্মের কারনে এখনও বিশ্বে মাথা উঁচু করে আছে। এখনও বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই তার জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করে। এই দেশের তার কুঠি বাড়িগুলোতে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এমনকি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত তারই রচিত। ব্যর্থতা আমাদের যে আমরা ভারতের সাথে না পেরে কবিকে নিজেদের করতে পারিনি। এর জন্য যে দেশে তার নামে কিছু হতে পারবেনা তেমন কোন সঙ্গত কারন দেখি না। কাজী নজরুল যেমন আমাদের গৌরব ঠিক তেমনি রবী ঠাকুর আমাদের অহংকার।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

বিষক্ষয় বলেছেন: "এদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই কবিগুরুর"
নীল আকাশ ২০১৩ do you have any reference for this?











৬| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

স্বস্তি২০১৩ বলেছেন: গাধা......... X((

৭| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

আলোকিত আধারে বলেছেন:
" কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
স্যার আশুতোষ মুখার্জী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে সেই সময়কার ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে (যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হয় তার জন্য) ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। নীচতা এত নীচে নেমেছিল যে,তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্রুপ করে বলতেন
মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। ( তথ্যসূত্র : জীবনের
স্মৃতিদ্বীপে : ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার,
আবুল আসাদের ১০০ বছরের
রাজনীতি ,পৃ. ৭২)"

৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

ফায়ারম্যান বলেছেন: মনেকরো আমরা ৭-৮ জন মিলা তোমার বাড়িতে গেলাম, যাইয়া কলিংবেল টিপলাম ।মেহমান আইসে মনে কইরা দরজা খুইলা দিলো তোমার আম্মাজান ।তোমার আম্মাজানরে জিগাইলাম- "আলোকিত আধার" কোথায় ? উত্তরে উনি কইলেন- বাসায় নাই ।
তথন আমরা আবার জিগাইলাম-ওর বাপ-চাচা-ভাই ওরা কোথায় ? উত্তরে উনি কইলেন- "বাসায় ওরা কেউ নাই ।বাসায় শুধুমাত্র আমি একা "।
এইকথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তো আমাগো সকলের শীন্ন তো খাড়া । তারপরে জোড়দবস্তিমূলক যা হওয়ার হইলো ।৭-৮ মানষের লগে একজন কি আর পাইরা ওঠে !!!!!!!
এইবার আসো তুমার শরীয়া আইনে সূত্র মোতাবেক ।বাসায় যেহেতু কোন পুরুষ ছিল না-সুতরাং তোমার আম্মাজানরে আমরা ধর্ষণ করছি, এইটার কি কোন সাক্ষী আছে ? নাই ।৪ জন পুরুষ সাক্ষী যেহেতু নাই, সেহেতু এখন তুমার আম্মারেই উল্টা রজম (পাথর ছুইড়া মারো ) দেও । আর আমাগো মামলা থ্যাইকা শরীয়া আইন ধইরা বেকুসর খালাস দেও ।
-
- আমরা নিস্পাপ বীরপুরুষেরা দূরে খাড়াইয়া আরামে হাসতে থাকি । =p~ =p~

৯| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: ৮ নম্বর মন্তব্যের জন্য ছুপা নাস্তিক ফায়ারম্যানকে রিপোর্ট করা হল

১০| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

ফায়ারম্যান বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৩, কিরে আমারে নাস্তিক কইলি ক্যান ?? দশ মিনিটও হয় নি , আছরের ৪ রাকাত ফরজ নামাজ পইড়া আইলাম ।আর নামাজে আল্লার কাছে ফরিয়াদ করলাম-"মালিক ! এই সমস্ত হিংসা প্রতিহিংসার আবর্জনা "আলোকিত আধার" গুলোরে প্রকৃত মানুষ বানাও মালিক ।যাতে করে "আলোকিত আধার"দের কাছ থেকে হিংসা প্রতিহিংসা শেখা নয়, বরং ইসলামের মহানুভবতা সম্পর্কে দুচারজন অমুসলিম জানতে পারে- ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হইতে পারে" ।

১১| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

কানা দাজ্জাল বলেছেন: আলোকিত আধার বলেছেন, "বঙ্গবন্ধুর সাথে রবীন্দ্রনাথের তুলনা করা যায় না"। কথাটার সাথে একমত। রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল করা যায় যেমন নজরুল, মহসীন, জিয়া, বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি কিন্তু তার নামে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় করা এই মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। একই সাথে শেখ মুজিবের নামে সেতু, স্টেডিয়াম, পার্ক, অডিটরিয়াম ইত্যাদিও অযৌক্তিকতার চরম শিখরে। তারচেয়ে ড: ইউনুসের নামে একটা রাস্তার নামকরনও অনেক খানি যুক্তিসঙ্গত। নজরুল, মহসীন, জিয়া, বঙ্গবন্ধুরা হচ্ছে বাংলাদেশের মুর্দা পীর। তারা একই সন্মান প্রাপ্তির অধিকারী, মাত্রা আর প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে। সন্মান সবাই তাদের করবে, এইটা জোর করে চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই, তাতে হিতে বিপরীত হয়, ঐ বেচারা মুর্দাপীররা শুধু শুধু মানুষের গালি গালাজ শোনে, অপমানিত হয়। যেমন হাসিনার আমলে জিয়া অপমানিত হয়, তেমনি খালেদার আমলে শেখ মুজিব।

১২| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত তার লেখা হতে পারলে তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমস্যা কি? আর উনি কোন একটা দেশের সম্পদ না, ওনার স্থান এসবের চেয়ে অনেক উচুঁতে।

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনি অধম, তাই বলিয়া আপনি উত্তম হইবেন না কেন????

উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেছিলেন- তাই বলিয়া আপনিও তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় হইতে আপত্তি করিবেন!!

ট্রানজিট ফি চেয়ে অসভ্য হয়েছেন, আবারও অসভ্য হতে চান?

কলকাতার সনদ নিয়ে সুশীল জাতে উঠে যারা সমাজের ঢংকা বাজাচ্ছে! কলকাতা যাদের কাছে তীর্থ আপনি তাদের চটাে চান!!!!!!!


বাল, রাম,বাম, চেতনা, সংস্কৃতির নামে এক ধর্মীয়দের আচার গ্রহনকে বাঙালীয়ানা ট্রেডমার্ক দিয়া বাকী বিশ্বাসী ৯০ ভাগ বাংলাদেশীকে তারা দূরে ঠেলীয়া দেয়।

পূজা, মঙ্গল প্রদীপ এবং অন্যান্য আচারে তাদের যত আগ্রহ এবং তাকে কালচার বলাতে যে তৃপ্তি
মুসলিমদের নামাজ, ইবাদত, কর্মকে ইগনোর করে, তাকে সংস্কৃতির বাইরে মৌলবাদ বলাতে ততটাই উৎসাহ।

এই দ্বন্দ এবং কথিত সুশীলতার মোড়কে সংস্কৃতির নামে বিশেষ এক ধর্মের আচরনকে পূজ্যতুল্য করে স্ব-ধর্মকে মৌলবাদ এবং গোড়া চিহ্নিত করে আজ জাতিগত বিপর্যয়ের মূখে আমজনতা।
তারা না পারছে অন্তরের বিশ্বাসকে তীব্র ভাবে ধারন করতে, না পারছে ধর্ম হীন হতে।
ভোগবাদীদেরতো পোয়াবারো। তারা হই হই করে ঐ দলে যোগদিয়ে মহাধূমধামে নিজেদের সুশীল তকমা লাগিয়ে জাতে! উঠে যাচ্ছে!!!

আবার দেখূন কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার দেশে আজ হিন্দু মৌলবাদের জোয়ার বইছে!
রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকেই যে তারা বেছে নিয়েছে তাও কি যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে?
তাদের সিনেমা, তাদের নাটক, তাদের রাজণীতি, তাদের জীবন যাপন সবকিছুতে তারা তাদের ধর্মবিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়। তারা মৌলবাদী নয-
আমাদের কুরআন তেলাওয়াত করে উদ্বোধনতো মনে হয মানুষ ভুলেই গেছে।
টিভিতে সালাম, খোদাহাফেজও যাবার পথে!
অার মঙ্গল প্রদীপে উদ্ভোধন, ঘন্টা বাজিয়ে, শিঙ্গা ফুকে....

বলি আত্মমর্যাদা আর বিকৃতার বাকী রইলোটা কি?



১৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

এই আমি সেই আমি বলেছেন: মোনায়েম খান বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চা বন্ধ করতে চেয়েছিল ।

আর বিভিন্ন কাটপিস জুড়ে এতকাল পরেও মোনায়েমের পোষ্যপুত্ররা এখনও রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করে ।

১৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৭

আলোকিত আধারে বলেছেন: বাংলা লোক সঙ্গীত শিল্পী গগন হরকরা (গগন চন্দ্র দাস) আনুমানিক ১৮৪৫
খ্রিঃ শিলাইদহের কসবা নামক
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের
জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার
বাংলা -এর সুর রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর সংগ্রহ করেছিলেন গগন
হরকরার রচিত একটি (কোথায় পাব তারে) গানের সুর
হতে। গগন হরকরা ছিলেন বিশিষ্ট
বাউল গীতিকার।( তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া )। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের আরো প্রায় ১৫০ টা গান আছে নকল করা॥ সত্য কখনো চাপা থাকে না।

১৬| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৫

ফায়ারম্যান বলেছেন: ৮ নং কমেন্টে আমি মূলত আলোকিত আধারের জন্মধাত্রী মাতাকে মিন করি নি , বরং মিন করেছি সেই সমস্ত নির্যাতিত নারীদেরকে, যারা পুরুষের নোংরা অত্যাচার আর শরীয়া আইনের বর্বরতা , এই দুই দুটোর শিকার হয়েছে, তাদেরকে ।

১৭| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

হোৎকা বলেছেন: ফায়ারম্যান নিকৃষ্ট জীব, তাকে ব্যান করা হোক।

১৮| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

মৃত মানব বলেছেন: ফায়ারম্যানকে রিপোর্ট করা হল X(( X((

১৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

কানা দাজ্জাল বলেছেন: মিঃ ফায়ারম্যান, শুধু "শরীয়া আইনের বর্বরতা"- এই কথাটাইয় তোমার পিউবিক ঝোপে আগুন ধরিয়ে দেয়ার যথেষ্ট কারন তৈরি হতে পারে। U always trying to be over smart. তুমি আসলে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। শুধু ইসলাম নয়, কোন ধর্মকে নীচু করেই জাতে উঠা যায় না। তুমিও ছাগল ভেড়া ঐ প্রজাতি থেকে এই অপচেষ্টা দিয়ে বের হয়ে আসতে পারবে না।

২০| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

নীল ভোমরা বলেছেন: আজিব এক পোস্ট!!... B:-) X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.