নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অগোছালো আমি

মোঃ সাকিব সরোয়ার

সহজ কিছু সহজভাবে করতে/বলতে পারাটা একটা নৈপুণ্য...সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি

মোঃ সাকিব সরোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুঁজে ফেরা

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৩

রবিন একটা মেয়েকে পাগলের মতো ভালবাসত। মেয়েটাকে ডাকতো মেঘবালিকা বলে। মেয়েটা তখন স্কুল এ পরতো আর ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র শুরু করল। অনেকটা ফোন এ মজা করতে গিয়ে পরিচয়। একদিন, অক্টোবর মাসে তারা দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল। খিলগাঁও এর ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্ট লুনার অরব এ তারা দেখা করল, আগেই ঠিক করে নিয়েছিল কে কি রঙের ড্রেস পরবে, যাতে করে তারা পরস্পরকে চিনতে পারে। সেটাই ছিল ওদের প্রথম দেখা। রবিন মেঘবালিকাকে ছোট্ট একটা স্বপ্ন দেখিয়েছিল... ছেলেটা, মেয়েটার একটা ছোট্ট পাসপোর্ট সাইজ এর স্কুল ড্রেস পড়া ছবি দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিল, অবশ্য সেটা সম্পর্ক হবার পর। ছেলে আর মেয়েটার বয়সের ব্যাবধান ছিল প্রায় ৮/৯ বছর, তবুও ওরা অনেক বছর এক সুখ পাখীর ডানার উপর ভর করে দিন কাটিয়ে দিচ্ছিল। হঠাৎ করেই মেয়েটা কিছুটা পরিবর্তিত আচরণ করা শুরু করলো। মেয়েটার এলাকার কিছু বখাটে ছেলে একদিন রবিনকে চরম রকমের মারধর করলো, বলল মেয়েটার থেকে দূরে থাকতে। এ নিয়ে পানি অনেকদূর গড়াল, তারপরও সবকিছু মোটামুটি ভালোই চলছিল। অনেক চরাই উৎরাই এর মাঝেও তাদের মাঝে সম্পর্ক টিকে থাকলো তবে অনেকটা অবিশ্বাস ঢুকে গিয়েছিল। ছেলেটা আস্তে আস্তে মেয়েটার বাসা, নিজের বাসা ম্যানেজ করলো। বাবা, মা, সবার মতামত নিল। সবকিছুই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে আর কিছুদিন পরেই ওরা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে নিজেদের নতুন সংসার শুরু করতে যাছে। কিন্তু, এতসব নিশ্চয়তার মাঝের মেঘবালিকার আচরণ আরও পরিবর্তন হতে লাগলো, ওর নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি হতে থাকলো কিন্তু রবিন কিছুই জানত না। যখন জানতে পারে কিন্তু কিছু করতে পারত না, ভালবাসার মোহে, মায়াজালে এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে, এইসবের মাঝেও তার প্রতিবাদ তেমন শক্ত হত না। তৈরি হল এক অনিশ্চয়তা। যাই হোক, ছেলেটা একদিন আর সহ্য করতে না পেরে মেয়েটাকে চড় দিয়েছিল, এতে করে মেয়েটা উল্টে যায়, আর রবিনের সাথে সম্পর্ক রাখে না। এদিকে ছেলেটার মাথা খারাপ হওয়ার দশা, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত সেই ধানমণ্ডি থেকে খিলগাঁও এ মেয়েটার বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতো, রাত ১০/১২টার দিকে রবিনের বন্ধুরা টেনে নিয়ে আসত। একদিন ছেলেটা সাহস করে মেয়েটার বাসায় গেল,নক করল...ফলাফল, মেঘবালিকার পরিবার এর ঘাড় ধাক্কা। তারপর ছেলেটা প্রায় অনেকদিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। রবিনের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এর সাহায্যে অনেকটা সুস্থ হল, তারপর একটা চাকরি শুরু করলো, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করলো...এবং...একদিন হঠাৎ করেই কার কাছ থেকে যেন শুনতে পেল, মেঘবালিকার বিয়ে হয়ে যাছে। ফলাফল...রবিন আবার দৌড় দিল...কিন্তু কোন লাভ হল না, কোনভাবেই মেঘবালিকা পর্যন্ত পৌছাতে পারলনা। যাই হোক...তার পর কয়েক বছর গড়াল...ছেলেটা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিল...এবং..কিভাবে যেন মেয়েটা সেই খবর জানল এবং ছেলেটাকে ফোন দিল...অনেক কিছু বলল, অনুরোধ করলো বিয়ে না করতে, সে কিভাবে ছেলেটাকে ভুলবে...ইত্যাদি। ছেলেটার বিয়ের পর প্রায় ৩ বছর কেটে গেল...ছেলেটা সুন্দরভাবেই সংসার করতে লাগলো...আবার হঠাৎ করেই রবিনের সাথে মেঘবালিকার ফোনে কথা হয়। মেঘবালিকা বলে, সে তার ভুলগুলো বুঝতে পেরেছে এবং এখনো রবিনকে ভুলতে পারেনা। আরও অনেক কথা। রবিনও কিছুটা ইমোশনাল হয়ে পরেছিল। সেইদিন ওরা অনেক কথা শেয়ার করেছিল। তারপর আর কোন যোগাযোগ হয়নি ........................অনেক কিছুর মাঝে ছেলেটা একটা জিনিস খালি খুজে ফেরে...সেই পাসপোর্ট সাইজ ছবিটা...আর চিন্তা করে...ভুল বুঝতে এতো দেরি করলে কেন মেঘবালিকা...কিন্তু কোনকিছুই সে খুজে পায়না...না সেই ছবিটা...না নিজের প্রশ্নের উত্তর...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: আপনার ঘটনা নাকি?

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আরও পোস্ট লিখুন ।

হ্যাপি ব্লগিং :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.