![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় ব্লগার ভাই/বোন,
ইন্ডিয়ান ভিসার ব্যাপারে সাহায্য চাই।কিভাবে ই-টোকেন এবং যাবতীয় ফর্মা লিটিস (কাগজ পত্র) ব্যাপারে আপনাদের অভিজ্ঞতা সহকারে জানতে চাই এবং কলকাতার দর্শণীয় স্হান সমূহের বিবরন (যা না দেখলে পস্ত্ াইতে হবে),খরচপাতী দয়া করে জানাইলে কৃতঞ্জ থাকবো।
আমি একজন চাকুরীজীবি,আমার জন্য কি বিশেষ কোন কাগজের দরকার হবে?
অল্প খরচে ৪/৫ দিনের জন্য ঘুরে আসতে চাই।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরে রো. সু. তপু এত কষ্ট করে পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিলেন আর তিন ঘন্টা পরেও লেখকের ধন্যবাদ জানাবার সময় হলোনা!
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: আপনাকে কয়েকটি স্টেপের ব্যাপারে বলতে পারি সাথে বাস্তবতাওঃ
প্রথমেই আপনাকে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের ওয়েব সাইটে ঢুকে একটি ই টোকেন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে শষের পেজে একটি ডেট দেবে- সেই তারিখ এবং সময় অনুযায়ী হাইকমিশনে হাজির থাকতে হবে। অনলাইনেই আপনি বলে দিতে পারবেন যে কোন জেলাতে আপনি উপস্থিত হতে চান (ঢাকা বা অন্য কোন বিভাগীয় শহর, যেটাতে আপনার সুবিধা হয়। তবে ঢাকাতে কম সময়ের মধ্যে ভিসা পাবেন)। সাথে নিয়ে যাবেন আপনার পাসপোর্টের প্রথম ছয় পাতার ফটোকপি, আপনার ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি, যে বাসায় থাকেন তার কোন একটা ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি এবং অবশ্যই অবশ্যই অরিজিনাল কপি, এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগানো ই-টোকেনের একটি প্রিন্টেড কপি। আপনি যেহেতু চাকুরী করেন সেহেতু আপনার জন্যে আপনার অফিসের আইডির একটা ফটোকপি এবং অফিস থেকে একটা এন.ও.সি যেটা আপনার অফিস আপনাকে ভিসা পেলে ছুটি দেবে এমন একটা প্রত্যায়নপত্র।
বাস্তবতাঃ যতই চেষ্টা করুন না কেন, দুই-তিন পাতা ধরে রাজ্যের ইনফরমেশন দেয়ার পরে শেষের পাতায় গিয়ে দেখবেন "ডেট নট এভেইলএবেল"। আপনি যেখানে থাকেন সেখানে একটু খোঁজ করে দেখেন কোন না কোন ভিসা এজেন্সী পেয়ে যাবেন যারা ৫০০-১০০০ টাকার বিনিময়ে একটা ডেট ম্যানেজ করে দিতে পারবে।
ডেট পাওয়ার পরে নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়ে হাইকমিশনে যাবেন এবং সেখানে যাওয়ার পরে একটা টোকেন দেবে- কোন রুমে যেতে হবে এবং টোকেন-এর সিরিয়াল ধরে আপনাকে কাউন্টারে কাগজপত্র জমা দিতে হবে- সাথে ৪০০ টাকা ফি নেবে। এরপরে নির্দিষ্ট একটা তারিখ দেবে- তখন গিয়ে পাসপোর্ট ফেরত আনতে হবে।
বাস্তবতাঃ হাইকমিশনে যাবার পরেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি এমন একটা দেশের নাগরিক যাদেরকে ইন্ডিয়ানরা চার পয়সারও দাম দেয় না। ওরা যদি আপনার পাছায় দুইটা লাথিও মারতে চায় আপনি বিনয়ের সাথে সেটা মেনে নেবেন। খুবই খারাপ ব্যবহার করবে এবং ভিসা দেয়া বা না দেয়া তাদের ইচ্ছার উপর ডিপেন্ট করবে- এ ব্যাপারে কোন কৈফিয়ত তারা কাউকে দেবে না। হাইকমিশনে যারা চাকুরী করে তারা অধিকাংশই এদেশের মানুষ- কিন্তু কেন যে তারাও বাংলাদেশের মানুষকে কুকুরের মতো দেখে- আমার কাছে সেটাই একটা বিস্ময়।
এত সব করার পরে আপনি ভিসা পেয়ে যদি ইন্ডিয়া যেতে পারেন- আর বিশেষ করে কলকাতায়- তাহলে যে জায়গাগুলোতে যেতে পারেন- ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নিক্কো পার্ক, গড়ের মাঠ, বোলপুরের শান্তিনিকেতন আর সায়েন্স সিটি অবশ্যই মিস করবেন না। সহজে শপিং করার জন্যে নিউমার্কেট আর অবশ্যই "বিগ বাজারের" কোন বিকল্প নেই।
আপনার ভ্রমণ সফল হোক। মন্তব্য অনেক বড় হয়ে গেল। এজন্যে দুঃখিত। ফিরে এসে অভিজ্ঞতা শোনেবন নিশ্চয়ই- ভাল থাকবেন।