![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুই জানি না নিজের সম্পর্কে...। যখনই জানতে চেয়েছি তখনই হোঁচট খেয়েছি...।
১। আমার সেঝোবোনের ছেলে হয়েছে আজ ১৩দিন। কিন্তু এখনো নাম রাখা হয়নি। একেকজন একেক নাম বলে কিন্তু বোনের পছন্দ হয়না। আমাকে বললো একটা নাম বের করতে। তার কিভাবে কিভাবে যেন ধারণা হয়েছে আমি নাম রাখলেই তা যথার্থ হবে। অনেক চেষ্টা করেও আমি কোন নাম বের করতে পারলাম না। নাম বের না করা পর্যন্ত আমার রেহাই নেই। তাই রেহাই পাওয়ার জন্য বললাম আরিয়ান রাখতে পারো। বোনের কাছে মনে হলো- আরিয়ান আর আইরন কাছাকাছি শব্দ। নাম রাখবে আরিয়ান তারপর আস্তে আস্তে তা থেকে আইরন লোহা বা ইস্ত্রি জাতীয় কিছু একটা হয়ে যাবে। সুতরাং এটা বাদ। চা খেয়ে আবার নতুন উদ্যমে নাম নিয়ে চিন্তা শুরু করলাম। আমার মাথায় কোন নাম আসছেনা। তবে দুটি নাম ক্রমাগত ঘুরপাক খাচ্ছে। এই দুই নামের কারণে অন্য কোন নাম ধারে কাছে ভিড়তে পারছেনা। নাম দুটি হলো হিমু আর মিসির আলী। থাপ্পড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই বোনকে বলার সাহস পেলাম না।
২০০৯ এ এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে হয়েছে। আব্বাকে নাম রাখার জন্য নিতে এসেছে। তখন আব্বা ছিলো হজ্জে। তাই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলাম আমি। আমাকেই নাম রাখতে হবে। অন্য কেউ রাখলে চলবে না। হন্যে হয়ে নাম খুঁজছি। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিনা। এম্নিতেই নাম পাচ্ছিনা তার উপর আবার শর্ত দেয়া হয়েছে নামের মাঝে ইসলাম ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। কিছুক্ষণ ঝিম ধরে বসে থেকে নাম রাখলাম ফারাহ মাইমুনা রুপা। রুপা ডাক নাম। নাম তাদের পছন্দ হয়েছে কি হয়নি তা আর জিজ্ঞেস করিনি।পছন্দ না হলে আবার জটিলতা। এখন এই বাচ্চা মেয়েটি যখন আমার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন আমি মনে মনে ভাবি – এই রুপাও হয়তো হলুদ পাঞ্জাবি পরা কোন হিমুর জন্য শাড়ি পরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকবে। একসাথে বাংলো বাড়িতে যাবে জ্যোৎস্না দেখার জন্য।
মানুষের মনের জগতে প্রবেশ করা এবং মনটাকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়ার এক বিস্ময়কর ক্ষমতা ছিলো হুমায়ূন আহমেদের। উপরের ঘটনা দুটিকে কি তার প্রমাণ বলা যায়??আমার মতো এমন হাজারো তরুণের জগত জুড়ে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদ। শুধুই হুমায়ূন আহমেদ। “নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে, রয়েছো নয়নে নয়নে”……।।
২। ছোটবেলায় হোস্টেলে যখন থাকতাম তখন আমার বেড ছিল জানালা বরাবর। জানালা দিয়ে মেঘ আর চাঁদের লুকোচুরি খেলা দেখতাম। অনেক অমাবস্যা আর পূর্ণিমাও দেখেছি সেই জানালা দিয়ে।পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলো আমার চেহারায় পড়তো। এক অজানা ভালোলাগা তখন আমার দেহ মন ছুঁয়ে যেতো।পূর্ণিমার চাঁদে আমি আমার মনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেতাম। যার কথা ভাবতাম তার চেহারাই যেনো চাঁদে ভেসে উঠতো।
এখনো বাসায় আমার বিছানা জানালা বরাবর।এখনো সেই চাঁদ আছে,চাঁদের আলো আছে। পূর্ণিমার রাতে আমিও চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি। তাকিয়ে থেকে একজনের কথা ভাবি। কিন্তু আমার মনের প্রতিচ্ছবি এখন আর চাঁদে ভেসে উঠেনা। তাহলে তখন এটা কি ছিল শুধুই আমার শিশু মনের কল্পনা? শুধুই কি ভিজ্যুয়াল হেলোসিনেশন?
বাংলা সাহিত্যে চাঁদ , জোছনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামতি করেছেন যে মানুষটি তাঁর নাম হুমায়ূন আহমেদ। অনেক বইয়ে চান্নিপসরের কথা লিখেছেন। লিখেছেন অনেক গানেও। চান্নিপসর নিয়ে করেছেন নানা “পাগলামি”।আমার ভিতরেও কিছুটা জোছনাপ্রীতি আছে। এই জোছনা প্রীতি যিনি আমার ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন তাঁর নাম হুমায়ূন আহমেদ। তিনি আজ আমাদের থেকে অনেক দূরে। অন্য এক জগতের বাসিন্দা। স্রষ্টার কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল-চান্নিপসরে যেনো তাঁর মৃত্যু হয়। স্রষ্টা তাঁর এই ইচ্ছেটা পূরণ করেননি। পরম করুণাময়ের কাছে জোছনা-পাগল এই মানুষটার জন্য আবেদন- তিনি যে জগতে আছেন সে জগতেও যেনো তাঁর মাথার উপর একটা পূর্ণ চাঁদ থাকে। সে চাঁদের পসর দেখে তিনি যেনো বলতে পারেন- চাঁদনী পসরে কে আমারে স্মরণ করে/ কে আইসা দাড়াইছে গো আমার দুয়ারে……।
(বিঃদ্রঃ এই লেখাদুটি আলাদা আলাদাভাবে লিখেছিলাম। আজ একসাথে করে দিলাম।)
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
শুভ্র সমুজ্জ্বল বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭। শুভকামনা রইল
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: হায়হায়, আমার ভাইয়ের নামে তো আরিয়ান আছে, ও কি বড় হয়ে আয়রন হয়ে যাবে? কি বিপদ! ভাগ্যিস আয়রন ম্যান বের হইসে, আমার ভাই তবুও একটা পার্ট নিতে পারবে নাম নিয়ে।
আপনার বোনের জন্য শুভেচ্ছা থাকলো, শুভ ব্লগিং।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৬
শুভ্র সমুজ্জ্বল বলেছেন: ধন্যবাদ@ তানজিয়া মোবারক মনীষা। শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম

ভাল লাগল পোস্ট
হুমায়ূন আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবেন । ++++++++++