নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখার মাঝে আমি কখনো বিরতি চাই না, লিখার মাঝে আমি নিজেকে ফেরাতে দক্ষ না।
আমি মাবিয়া, আমার তেমন ভাবে বড় কোনও বর্ণনা না দিলেও চলবে।কারণ নিজেকে বর্ণনা করতে গেলে দেখা যাবে তখন মূল কথায়ই আসা হবে না। তবে এই টুকু বলতে পারি আমি অন্য সব সাধারণ মানুষ দের থেকে একটু বেশি সাধারণই বটে।
আসলে কেও যদি আমাকে হঠাত করে জিজ্ঞেস করে আমার জীবনের সব থেকে খুশির মুহূর্ত কি? তবে সত্যি বলতে আমি একটু ঘাবড়ে যাই।
আমি তখন কিছুক্ষণ ভাবি।ভাবতে ভাবতে জীবনের একটু পেছনে চলে যাই। আমার অতীতের মুহূর্তগুলো বইয়ের পাতার মতো ঘাটাঘাটি করতে থাকি।
আসলে কি, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার মধ্যেও কিন্তু একটা সুন্দর মুহূর্ত আছে। অজান্তেই এর মধ্যে কতো ঘটনা এই মস্তিকের মনে পরে যায়। যেমনটা এখনেরই উদাহরণ দিলাম। লিখাটা লিখার আগে মুহূর্ত খুঁজতে যেয়ে কতো সুন্দর মুহূর্তের সাথে পুনমিলনি করে নিলাম। মনটা তাই ভালো লাগছে।
যাই হোক আমার সুন্দর মুহূর্তটা একটু তুলে ধরি। জীবনে অনেক সুন্দর মুহূর্ত আছে তবে তুলে ধরার জন্য বেছে নিলাম আমার প্রথম মেলায় যাওয়া আমার দাদির সাথে। খুব ছোট্ট ছিলাম আমি। জীবনে তখন দুঃখের বলতে কোন অনুভব বা অনুভূতি ছিল না। চোখের সামনের যা আসত সবই সুন্দর ছিল।
আমি আমার দাদির হাত ধরে ছিলাম যেন কোন ভাবেই ভীরের মাঝে হারিয়ে না যাই। রঙ বেরঙ এঁর জিনিষ গুলো আমার চোখকে মুগ্ধ করে দিলো। আমি প্রচণ্ড অবাক হয়ে এদিক সেদিক দেখেও যেন দেখার শেষ করতে পারলাম না।
এতো মানুষ ছিল আমার চারো পাশে। সবার ভীরের মাঝে হঠাত দূরে একটা অদ্ভুত শব্দের বেশ বড় একটা বস্তু দেখতে পেলাম।
দাদি! দাদি! দাদি! আমাকে ঐ বড় বস্তুটার দিকে নিয়ে যাও না প্লিজ। আমি আমার দাদির হৃদয়। হাঁটা ধরলাম বলা মাত্র। আমার ছোটো ছোটো পা হাঁপাতে হাঁপাতে গন্তব্যের দিকে ছুটে চলল।
আমার খুশি ছিল আকাশ সমান। আমি এখন যেমন ছোট্ট বাচ্চাদের খুশি মুখটার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি সেদিন দাদিও হয়তো আমার দিকে বার বার তাকিয়ে হাসছিল। বাচ্চা দের মনটা কতো পবিত্র হয় তাই না? নতুন কিছু একটা দেখলেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়।
সে দিন আমার সাথে ঠিক এমনটাই হয়ে ছিল। আস্তে আস্তে আমি গেলাম, হ্যাঁ! আমার জীবনের প্রথম অন্যতম খুশির মুহূর্ত। বড় একটা হা করে বস্তুটা ঘুরতে দেখছি আর তার অদ্ভুত শুব্দে বুকের হার্ট বিট যেন ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। ভয় হচ্ছে খুব শব্দের উপর। কিন্তু বস্তুটার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে।
"এটাকে নাগর দোলা বলে" দাদি বলল আমাকে। আমি তেমন করে দাদির কথা স্পষ্ট শুনতে পাছিলাম না। আসলে কানের সামনে বাহারি শব্দের সাথে দাদির প্রতিটা কথা গুলো শুধু বাতাস এঁর মতো কথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমার কাছে আস্তে পারছিল না।
হঠাত বস্তুটা থেমে গেল! আমি কৌতূহলী...নষ্ট হয়ে গেল নাকি? ভাবছিলাম আর দাদি আমাকে বস্তুটার সামনে নিয়ে যেয়ে বসিয়ে দিলো। আমার সাথে আরো তিনটা মানুষ। আমি তাদের বেশি একটা মনোযোগ দিলাম না।
হঠাত লোকগুলো হাত দিয়ে বস্তুটাকে ঘুরানো শুরু করল। চোখের এক পলকেই আমি আকাশ এঁর দিকে উঠে গেলাম। আমি অবাক! হুট করে নিছে নেমে যাচ্ছি আবার হুট করে আকাশ এঁর দিকে উঠে যাচ্ছি।
এতো সুন্দর কেনো অনুভূতিটা? আমি নিজেই হতভঙ্গ! উপরে উথলেই সারাটা মেলা দেখা যায়। জমকাল আলোতে বাহারি রঙ্গের জিনিষ গুলো আমার চোখকে ধাঁদিয়ে দিলো! পৃথিবী কি এতোই সুন্দর?
সব কিছুর মাঝে একটা অপরূপ হাসি নিয়ে আমার দাদি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আজ কতোটা বছর হয়ে এলো নাগর দোলায় চড়তে পারি কিন্তু এই হাসিটা আর দেখতে পাই না!
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো, কিন্তু লাস্ট লাইনে এসে কষ্ট পেলাম। আপনার দাদির জন্য অনেক অনেক দোয়া থাকলো।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মায়া স্মৃতি এমনই ! আমি জানালায় আমার দাদা কে দেখতে পাই। তিনি চলে গেছেন ১৯৯২ সালে।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি। ভালোলাগা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১২
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন, আমরা আপনার সম্পর্কে জানতে চাই।