![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।
মসজিদ ভেঙে রাস্তা নির্মাণ জায়েজ এবং সঠিক কাজই!
ওহে বাঙ্গালি, আমাকে নাস্তিক উপাধি দেয়ার আগে পুরো পোষ্ট পড়ো আর আমার ইতিহাসও একটু জেনে নিও।
বর্তমানে মানুষ দুর্নীতি করতেও ধর্মকে ব্যবহার করে।
কিছুদিন আগে একটা নিউজ দেখলাম
“”মসজিদ ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণ “” উচ্ছেদ অভিযানে মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে””
আমাদের কিছু ধর্মপ্রাণ ভাই সেটার প্রতিবাদ করে রাস্তায় নামে।
আপনি কি জানেন আপনি নিজের অজান্তেই কত বড় অপরাধ আর মুর্খামি করছেন?
ধরুন ৫/৭ বছর আগে রাস্তার জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে। কিছুদিন পর এলাকার এক নেতা একটা মসজিদ নির্মান করে যার নিচে বা উপরে মার্কেট বা সেই মজদিকে ঘিরে দোকানপাট তৈরি করেছে।
এখন সরকারি লোক আসছে উচ্ছেদ করতে।
””মাইকে ঘোষণা, নাস্তিক সরকার আসছে মসজিদ ভাঙ্গতে। আপনারা সবাই আসুন, এদের প্রতিহত করুন। আমরা সব তৌহিদি জনতা লাঠিসোটা হাতে সরাকারি লোককে ধাওয়া দিয়ে আল্লাহর ঘর রক্ষা করলাম””
বাহরে মুর্খের দল!
আপনারা এর মাধ্যমে মসজিদ না একজন দুর্নীতিবাজ লোকের দোকানপাট রক্ষা করেছেন,মসজিদ না। মসজিদ যতদিন থাকবে, ঐ সব দোকান ততদিন। মসজিদ ত এক বাহানা মাত্র।
বুঝলেন না? তাহলে একটা বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি।
“যারা ঢাকা থাকেন,বনানী, গুলশানে যারা একটু যাতায়াত করেন তারা বনানী-গুলশান ল্যাক এবং কড়াইল বস্তির নাম ত শুনছেনই!
এই কড়াইল বস্তি প্রথমে ল্যাকে ময়লা ফেলা হয়,বাড়ি ভাঙ্গার ইট,সুরকি এনে ল্যাকের পাশে ফেলানো হত,আস্তে আস্তে ল্যাক ভরে একটু জমি হলে সেখানে টিনের ঘর বানানো হয়। এরশাদ যখন ক্ষমতায় তখন টিএন্ডটির কিছু অংশের নাম দেয়া হয় “এরশাদ নগর”। ২০০০ সালে বা তার আগে এখানে একটা স্কুল বানানো হয় যা আবার এরশাদকে দিয়েই ওপেনিং করা হয়। নির্মান করা হয় দুটা মসজিদ এবং তাকে ঘিরেই নতুন নতুন ঘর তৈরি করে ভাড়া দেয় কিছু স্থানীয় নেতা। এখন যদি কড়াইল বস্তি উচ্ছেদে আসে ত মসজিদ আর স্কুল ভাঙ্গতে হবে। কিন্তু ফ্রী পাহারাদার আর প্রতিরোধ বাহিনী জনগণ ত আছেই।
২০১০/১১ তে প্রথম যখন উচ্ছেদের জন্য আসলো সব বস্তিবাসী যেয়ে মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে এসে রাস্তা ব্লক করে দিল,এরশাদ সাহেব আসলেন,আশ্বাস দিলেন ভাঙ্গা হবে না, সবাই ফিরে যায়।””
“”এবার তারা বনানী-১ নং রোড এবং টিএন্ডটি মহিলা কলেজের সাইড দিয়ে দুটা মসজিদ নির্মাণ করে। সেই মসজিদও দুই নাম্বারিং করে। (মসজিদ দুটা দেখার জন্য ইউটিউবে সার্স দেন,তালাশ এবং অন্যান্য চ্যানেল মসজিদের নামে কিছু লোক টাকা উঠায়া নিজেরাই তা ভাগবাটোয়ারা করে খায়,ঐ রিপোর্টগুলো দেখেন,মহাখালী, বনানী সাইডেরটা নিয়ে। দেখতে পারবেন) আগে এই এরিয়াটা টিএন্ডটি মাঠ এবং কড়াইল বস্তির মাঝে একটা ফাকা জায়গা ছিল,মসজিদ নির্মাণ করে জায়গা দখল করে,রিক্সার গ্যারেজ,দোকান এবং ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হচ্ছে।
১৩/১৪ তে মেয়র সাহেব গেলেন উচ্ছেদে,তৌহিদি জনতা এবারও বাধা দিলেন,জায়গাটা সরকারি এবং টিএন্ডটির। কিন্তু মসজিদের দোহাই দিয়ে এবারো হলো না। টিএন্ডটি মাঠের দিকে কিছু জায়গা উদ্ধার করে সিটি কর্পোরেশন ময়লার ভাগাড় বানালেও মসজিদের নামে রয়েযায় শত শত ঘরবাড়ি। যার ভাড়ার টাকা কিছু নেতাই পায়। সুফল নেতাদেরই,ঐসব গরীব জনগনের না””
উপরোক্ত ঘটনা ঘটনার পরেও কি বলবেন ঐ সব মসজিদ ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণ বা সরকারি জমি উদ্ধার অনেক বড় অপরাধ করা হয়েছে?
এখনো যদি মনে করেন,এই কাজের পক্ষে থেকে আমি নাস্তিকই হয়েগেছি,আপনার মত মুর্খের কথায় আমার কান দেয়ার সময় নাই।
বাংলাদেশে অধিকাংশ জায়গাজমি দখল করার জন্য মসজিদ,মন্দির, স্কুল,মাদ্রাসাকে এভাবে সামনে রাখা হয়। আঘাত আসলে এগুলোর উপর দিয়ে যাবে। এগুলা টিকলে ২/৩ টা দোকানপাট এভাবেই টিকবে। বিনে পয়সায় লাভ।
©somewhere in net ltd.