নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি কে বা কি ?

মাধুকরী মৃণ্ময়

কিংকর্তব্যবিমুড়

মাধুকরী মৃণ্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংস্কার বনাম কুসংস্কারঃ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৪



বসে খেয়ে খেয়ে আমার নাকি স্বাস্থ্য ভালো হয়ে গেছে।ভদ্র মানুষ তো বসেই খাই , নাকি ঘোড়ার মত দাড়িয়ে খায়! জাতীর কাছে আমার প্রশ্ন। আমার স্বাস্থ যদি কদচিৎ কোন কারনে ভাল হয়ে যায়, আমার মা মুখ ফুটে কখোনই বলে না । অবশ্য তার ভাব ভঙ্গি দেখে আমি বুঝে যায় আমার স্বাস্থ ভাল হয়ে গেছে। আর কিঞ্চিত স্বাস্থ খারাপ হলে তো কথাই নাই। প্রথমে শুরু করবে, তোর মুখ এতো শুকনা লাগছে কেন এই দিয়ে। তারপর আমার উপর চলবে সাড়াশি অভিযান।মানে এতো খাওয়াবে যে আমার স্বাস্থ ভালো হবে না কিন্তু আমার পেট খারাপ হয়ে যাবে।
মা এসেছে ঢাকাতে, তাকে নিয়ে গেছি আপাদের বাসাতে । আমাকে দেখে আপা বলল , কিরে তুই তো মোটা হয়ে গেছিস, সঙ্গে সঙ্গে মা থু করে আমার দিকে একদলা থুথু বর্ষন করলো। আমি কোনরকম গা বাচিয়ে বললাম, ছি মা কি করেন, গায় থুতু দেন ক্যান। মা পরম আনন্দে বলল, যাতে তোর দিকে কেউ নজর না দেই। আমি মনে মনে বললাম, আমি তো চাই ই আমার দিকে সবাই নজর দিক, বিশেষ করে...... যাইহোক । মুখে বললাম , থুতু দেয়ার সাথে নজরের সম্পর্ক কি! মা হেসে বলল, নজর দিলে গায় কিছু লাগে না । আমি মনে মনে লজিক দাড় করালাম, ছোট বেলাই নজর না লাগার জন্য কপালে কাজলের টিপ দিত আর বড়বেলায় দেয় থুতু। থুতু হলো টিপের আপডেট ভার্শন।

মা আর আপা যখন একসাথে থাকে তখন আমি হয়ে যায় বলির পাঠা । পাঠা বলি দেবার আগে যেমন খুব খাতির করা হয়, তেলমর্দন করা হয় আমাকেও তেমন একি কাজ করা হয়। প্রথমে শুরু করে মা, এমন ভাবে, আহা তুই আমার বংশের বাতি(পাশ থেকে ভাগ্নি বলে বাতি না লাইট), সোনার টুকরো ছেলে আমার, রাজপুত্তুর। দিন দিন আমার বয়স বাড়ছে, এখন আর কোন কাজ করতে পারিনে। আমি ভয়ে অস্থির হয়ে পড়ি, ভাবি, এই বুঝি বলবে গলাট বাড়া একটা কোপ দিই। কিন্তু সে কাজ মা করে না। সেই মহান দায়িত্ব নেই চকচকে ছুরি হাতে বসে থাকা আপা। বলে, মেয়ে ক্লাস টেন এ পড়ে। ভাল হবে রাজী হয়ে যা।
আমি দুজনার চোখের দিকে তাকায়। দেখি, শ্যেন দৄষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, দৌড় মারার উপায় নাই। নিরুপায় হয়ে বলে, মেয়ে পিচ্চি, বিয়া করুম না।
ছুরি চালাবার আগে যেমন মোলায়েম করে গলায় হাত দেই তেমনি মোলায়েম কন্ঠে আপা বলল, ছোট মেয়েই তো ভাল। তোর কথায় উঠবে বসবে। আমি মুহুর্তে বিরাট মানবাতবাদি হয়ে গেলাম, বললাম, আমি কি বাজার থেকে রোবট কিনবো যে আমার কথায় উঠবে বসবে! যে আসবে সেও তো মানুষ, তারও তো প্রতিটি ব্যাপারে নিজের মতামত থাকতে পারে। আপা আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল, তুই টাক করেছিস , তোর মাথায় চুল নেই মানে তোর কোন বুদ্ধি নেই। আমরা যা বলব তাই করবি।
আমি মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে বসলাম, আপা কথাটা কিন্তু খারাপ বলে নাই। আইনস্টাইন, নিউটন, রবিন্দ্রনাথ এদের মাথায় এত চুল বলেই বোধহয় এত বুদ্ধি!

বিষয়টা নিয়ে গবেষনার প্রয়োজন এই ভাবতে ভাবতে আমার বাসায় আসলাম।
বাসায় এসে রুমে ঢুকি নায় বাথরুমে ঢুকেছি। এবং ক্রমাগত ঢুকেই চলেছি। আসার পথে আমার দিকে কেউ মনে হয় কড়া নজর দিছে। এই মধ্যরাতে মনে হচ্ছে আবার মালিবাগ যেয়ে বলি, মারেন থুতু সমস্যা নাই।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি 'অলৌকিক নয় লৌকিক' বইটি পড়েছেন??

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: না , পড়ি নাই। কার লেখা। কোন লিংক দিতে পারেন কি ? পোষ্টে প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন রকমে চলে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: হা হা হা। চলুক।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না , পড়ি নাই। কার লেখা। কোন লিংক দিতে পারেন কি ? পোষ্টে প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

প্রবীর ঘোষ এর লেখা।
প্রায় পাঁচ খন্ডের বই।
অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। এবং পড়বেন। দরকার আছে।
পিডিএফ নেটে থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.