নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি কে বা কি ?

মাধুকরী মৃণ্ময়

কিংকর্তব্যবিমুড়

মাধুকরী মৃণ্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তার স্বাধীনতা !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫



আজ থেকে পাঁচ বছর আগে চিন্তার যে প্যাটার্ন ছিলো আজ আর তা নেই। তার মানে কি সেই চিন্তা ভুল ছিলো ? না ছিলো না। তখনকার বয়স , অভিজ্ঞতা ,পড়ালেখার নিরিখে চিন্তার প্যাটার্ন তৈরি হয়েছিলো। পাঁচ বছর আগের চিন্তা পাঁচ বছর আগেই ঠিক ছিলো । এখন আর নেই। আজ যে চিন্তা করছি , তা পাঁচ বছর পরে একি রকম থাকবে তার কোন মানে নাই। তার মানে কি আজকের চিন্তা ভুল ? না ভুল না। আজকের চিন্তা আজকের জন্য ঠিক।
মানুষের যেমন বিবর্তন হয় চিন্তা ভাবনারও হয়। মনে করেন মানুষের যদি বিবর্তন না হতো তাহলে আজকে কেউ মানুষ থাকতো না। থাকতো এক কোষী প্রানী এমিবা। ঠিক সেই রকম। চিন্তার যদি রুপ বদল না হয় তাহলে উন্নতির কোন রাস্তা নাই।
তো চিন্তার উন্নতি ক্যামনে হবে? এইটা একটা জটিল প্রশ্ন। চিন্তা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। কোন কিছুকেই প্রথমে না করা যাবে না।
যেকোন নতুন কিছু সামনে আসলে তার প্রস কন ভাবতে হবে।
আমাদের প্রধান সমস্যা হলো, জন্ম সুত্রে আমরা যা পেয়েছি অথবা যা পেয়ে আমরা কমফোর্ট জোনে আছি তার বাইরে ভাবতে পারি না। এই পারিবারিক সম্পত্তি এবং আরাম থেকে বেরোতো হবে। মানে বাবল ব্রেক করতে হবে। এইটা সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমরা ভয়ে মরি, না জানি কি হয়। ম্যাক্সিম গোর্কির "মাদার " পড়েছেন ? সেখানে কারখানার শ্রমিকরা বছরের পর বছর নির্যাতন, অন্যায় সহ্য সহ্য করতে করতে একদিন ভাবা শুরু করলো এইটাই জীবন । এইটাই স্বাভাবিক। এর বাইরে কিছু নাই। যখন পাভেল বিপ্লবের ডাক দিলো তখন অধিকাংশ মানুষ মুখ বেকিয়ে বললো, যাহ এইরকম হয় নাকি। এর নাম বাবল জোন । এর নাম অভ্যস্ততা। এইটা ব্রেক করতে পারলে চিন্তা হাফ মুক্তি পাবে।
বাকি অর্ধেক মুক্তি পাবে যখন আপনি নিজেকে মুক্ত করে দিবেন। নিজেকে মুক্ত করা মানে কি ? নিজেকে মুক্ত করা মানে হলো, যখন আপনি নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে ভাববেন তখন ভাববেন আপনি এই মহাবিশ্বের নাগরিক, যখন ধর্ম নিয়ে ভাববেন , তখন ভাববেন আপনি আগে মানুষ তারপর অন্য কিছু। যখন শিক্ষা নিয়ে ভাববেন , তখন সুনির্মল বসুর মতো ভাববেন, বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র। আমার মতে, মাঝে মাঝে শিক্ষক !
যখন এই কাজটা করতে পারবেন তখন শুরু করতে পারেন আসল পড়ালেখা। আসল পড়ালেখা বলেছি কি কারনে ? যখন একজন কম্যুনিস্ট মার্ক্স পড়ে তখন সে কম্যুনিষ্ট হিসাবে পড়ে। কিন্তু আপনি যখন মার্ক্স পড়বেন তখন আপনি থার্ড পার্টি হিসাবে পড়বেন। তখন আপনি না কম্যুনিষ্ট , না মুসলিম, না হিন্দু , না অন্যকিছু। তখন আপনি পাবেন আসল মজা । তখন আপনার চিন্তা কোন বেড়া দিয়ে আটকানো যাবেনা। আপনি ইচ্ছা করলে যে কোন তত্ব কে ছুড়ে ফেলে দিতে পারবেন অথবা আলিংগন করতে পারবেন । আপনি সংস্কার মুক্ত হবেন। এইটা সব বই পড়ার ক্ষেত্রেই কাজে লাগাতে পারবেন এবং লেখকের সাথে তর্ক করতে পারবেন।
এই তর্ক করার সক্ষমতা চিন্তা করার সক্ষমতার সাথে যুক্ত । মানে আপনি চিন্তা করতে পারছেন বলেই তর্ক করতে পারছেন।
ব্যাপারটা বোঝা গেছে ? বুঝলে বুজপাতা আর না বুঝলে -----

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: লেখার সাথে সহমত। জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প হতে পারে না।
ইসলামে প্রত্যেক বালেগ নর এবং নারীকে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরাসরি নির্দেশ দেয়া আছে।
আর সবার আগে অবশ্যই নিজেকে মানুষ তথা আশরাফুল মখলুকাত হিসেবে প্রমান করতে হবে।
ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ইসলাম কোন জ্ঞান অর্জন করতে বলেছে। ইসলামিক জ্ঞান না সব ধরনের জ্ঞান ? এইটা একটা প্রশ্ন। সব ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে গেলে মুসলিম হওয়ার আগে মানুষ হতে হবে।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যা কিছু ভাবে এবং প্রচার করে তাই তার চিন্তার স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: হুম কথাটা একদিক দিয়ে ঠিক আছে।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নীল আকাশ বলেছেন, " লেখার সাথে সহমত। জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প হতে পারে না।
ইসলামে প্রত্যেক বালেগ নর এবং নারীকে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরাসরি নির্দেশ দেয়া আছে।
আর সবার আগে অবশ্যই নিজেকে মানুষ তথা আশরাফুল মখলুকাত হিসেবে প্রমান করতে হবে। "

-ইসলাম যদি জ্ঞান অর্জনের কথা বলতো; নবুয়ত প্রাপ্তির পর, হযরত মোহাম্মদ (স: ) অবশ্যই পড়তে ও লিখতে শিখে নিতেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্টে বলেছেন মার্ক্সের লেখা পড়ার বিষয়ে কথা বলেছেন, মার্ক্সের কি বই পড়া নিয়ে বলেছেন?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ডাস ক্যাপিটাল।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাধুকরী মৃণ্ময়,



দিন যেমন পাল্টায়, তেমন করে পাল্টায় পৃথিবী, পাল্টায় তার সকল পরিবেশ। তেমনি পাল্টাতে হয় চিন্তাকেও।
কিন্তু মানুষের প্রতিবেশে যেখানে বিশ্বাস সংস্কারচালিত, প্রাকৃতিক প্রতিবেশ লালিত এবং শাস্ত্র-সমাজের আচারে- পার্বণে আর লোকাচারে - দেশাচারে নিয়ন্ত্রিত সেখানে যান্ত্রিক জীবনে মানুষের চিন্তার দৈন্যতাই প্রকট হবে। মানুষের মন মননে সন্দেহ-অবিশ্বাস-জিজ্ঞাসা - বিরক্তি -কৌতুহল জাগে না বলে জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তি-বিবেক-বিবেচনা প্রয়োগে নতুন চিন্তা - চেতনার অনুশীলন তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না । চিন্তা-চেতনার সংকট এখানেই।
উত্তরণের একটাই মনে হয় পথ, মনে-মগজে-মননে-মনীষায় মানুষকে সর্বসংস্কারমুক্ত হতে হবে। একমাত্র জ্ঞানানুসন্ধানই পারে মানুষকে সংষ্কারমুক্ত করে চিন্তার ধারক হিসেবে তৈরী করে দিতে।

তবে বুঝতে পারছিনে, আপনি শিরোনামে " চিন্তার স্বাধীনতা ! " বলেছেন কেন ! বিষয়বস্তুতে চিন্তার স্বাধীনতা নয় বরং কেন চিন্তা করতে হবে তা-ই প্রাধান্য পেয়েছে।

ভালো লাগলো লেখাটি।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, ডাস ক্যাপিটাল।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

শেহজাদী১৯ বলেছেন: দারুন বলেছেন।

বাবল যোন।

পিকে ম্যুভিতে আমির খান এমনে কিছুটা ভেবেছিলো।

এই যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় আমাদের মগজে যে ভাবনাটা গেঁথে যাচ্ছে তা থেকে আমরা বেরোবার চেষ্টাও করি না ।

এই চক্রেই চলছে সংসার। চলছে পৃথিবী।

বরং ভেবে দেখিনা লাল রংটা নীল নয় কেনো?

মানুষ সোজা পাগলের ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.