![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু একটু অমৃত আর অনেকখানি বিষ, দুটোই মিশে বুকের নদী বইছে অহর্নিশ [email protected] www.flickr.com/photos/mahabiswa
মনের গভীরে জ্বলে থাকে দীপ বাইরে শুধুই কালো
কখনো বৃষ্টি আঁকাবাঁকা মাটি ঝোরার জলেতে ভেজা;
কি করে মিটবে নিঝুম তৃষ্ণা টুপ টুপ ঝরে ঘুম,
রাতমেঘ ভেসে খুঁজে ফেরে কোনো রূপসা নদীর চর।
এক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া কবিতার এই গুঁড়ো শব্দগুলো হঠাৎ এলোমেলো হাওয়ায় উড়তে শুরু করলো তৃষার বুকের ভিতর। বাস থেকে নেমে একটাও রিকশা ছিল না এই শেষ বিকেলে, দশ মিনিটের পথটুকু হেঁটেই যেতে হবে। বাজারের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে যাবার সময় তার চারপাশ ঘিরে ছিল অজস্র নাগরিক কোলাহল... এর মাঝেই পেছন থেকে সেই হারিয়ে যাওয়া ক্ষীণ ডাক ভেসে এলো, রূ...প...সা...!
রূপসা? চমকে পেছনে তাকালো তৃষা। এই ডাক তো ছিল কেবল একজনেরই... অনিরুদ্ধ। কোথায় সে? ব্যাগটাকে বুকের সাথে আঁকড়ে ধরে পিছন ফিরে জোরে চলতে লাগলো এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে। ভিড় ঠেলে বড় রাস্তার কাছে এসে হাঁফাতে লাগলো তৃষা। কেউ নেই! অনিরুদ্ধ নেই, অনিরুদ্ধ থাকতে পারে না, হারিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বুকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অনেকদিনের গুঁড়ো গুঁড়ো ম্লান শব্দবন্ধ। ঘিঞ্জি শহরতলীর সরু গলিতে স্ট্রীটলাইট গুলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে এক এক করে। অন্য কাউকেও তো ডাকতে পারে কেউ। কি যে হয়ে গেল বুকের মধ্যে... ছন্দহীন পায়ে ফিরে এসে তালা খুলে বাসায় ঢোকে তৃষা। ব্যাগ থেকে পরীক্ষার খাতাগুলো বার করে টেবিলের উপর রাখে। মোবাইলে মায়ের অনেকগুলো মিস্ড কল। পোশাক নিয়ে বাথরুমে ঢোকে তৃষা। অনেকক্ষণ ধরে শাওয়ারের নিচে কাটায়। সারা শরীর জুড়ে শীতল জলের ধারা কিছুতেই ধুয়ে ফেলতে পারে না অনিরুদ্ধর ছড়িয়ে রাখা কিছু ঘনিষ্ঠ শব্দের সুবাস। একচিলতে ম্লান অথচ মায়াবী জ্যোৎস্নার মত মাখামাখি হয়ে থাকে চেতনার প্রান্তর জুড়ে।
বিবর্ণ তারা ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ টিলাদের ঘুমচোখ,
বুকের ভিতরে কাঠকুটো জ্বালা, আকাশ ছুঁয়েছে ধোঁয়া,
ছেঁড়া মেঘ সরে টিট্টি পাখির ঘুম ভাঙা ডাক গুলো
ডানা ঝাপটিয়ে চলে যাবে কোন রূপসা নদীর চর।
কত গুলো বছর চলে গেল, সেকেন্ড ইয়ারের শুরু তখন। বন্ধুদের সাথে প্রথম এক্সকার্সান ঘাটশিলায়। কি যে মজা হয়েছিল। অনির সাথে পরিচয় ফার্স্ট ইয়ারেই। তখন ও ছিল মেকানিক্যালের পাসআউট। কিছুদিন পরেই চাকরি পেয়ে চলে গেছিল রামিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের যশিডি প্ল্যান্টে। সেবার ছুটি নিয়ে ঘাটশিলায় চলে এসেছিল সেও। উজানি হাওয়ায় উড়ে যাওয়া বুনো শালপাতার মতই কেটেছিল সময়গুলো। কলেজে থাকতেই অনির কবিতা প্রকাশিত হতে শুরু করে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন থেকে নামী পত্র পত্রিকায়। তার অনেক কবিতায় ছিল রূপসা নদীর কথা। ঘাটশিলার শেষ রাত্রে সুবর্ণরেখা নদীর পাশে ক্যাম্পফায়ারের পরে কি ভাবে যেন ওরা দুজন অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে গেছিল। আধখানা চাঁদের আলো ভেঙে ভেঙে সুবর্ণরেখার জল বেয়ে চলে যাচ্ছিল কলকল করে... কথা প্রসঙ্গে তৃষা জিগ্যেস করেছিল, এটাই কি তোমার রূপসা নদী? অনি হেসে উঠেছিল, ধ্যাত এটা তো সুবর্ণরেখা। তারপর একটু চুপ থেকে গভীর চোখে চোখ রেখে বলেছিল, তুই আমার রূপসা নদী! একটু পর তৃষার গলায় ঝোলানো ছোট্ট লকেটটা ঠিক যেখানে এসে শেষ হয়েছে সেখানে আলতো আঙুল ছুঁইয়ে অতলস্পর্শী কন্ঠে বলেছিল, আর এইখানে রূপসা নদীর চর! গাঢ় অনুভবে শুনিয়েছিল কবিতার পংক্তিগুলি। তৃষা যেন হারিয়ে গিয়েছিল দূরের টিলায় মিশে থাকা সবুজ অন্ধকার আর শালবন থেকে ভেসে আসা মাদলের শব্দের সাথে।
এর পরের ইতিহাস বড়োই অসংলগ্ন। ময়লা জামা, একমাথা উষ্কোখুষ্কো চুল, আর তার মাঝে জ্বলন্ত আগুনের মত চোখদুটো নিয়ে যখন শেষ দেখা হয়েছিল অনির সাথে ততদিনে সে চাকরি ছেড়ে মাওবাদী আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে পচা গলা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পাল্টাতে চেয়েছিল একদল মানুষ। কি এক অজানা দৃঢ়তায় এক বুক দাবানল নিয়ে সব পিছুটান ছেড়ে চলে গিয়েছিল তারা। হাতে তুলে নিয়েছিল মারণাস্ত্র। অনি আর ফিরে আসে নি। সরকারীভাবে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি। কেউ বলে আধা সামরিক বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, কেউ বলে পার্টির গোষ্ঠীদ্বন্দে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এইসবে তৃষার আর কিছুই যায় আসে না। সে বাড়ি থেকে অনেক দূরে একা পেয়িং গেস্ট রয়েছে স্কুলের চাকরিটা পাওয়ার পর থেকেই। আজ রাতের খাওয়া সেরে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে গিয়ে আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমের অতলে তলিয়ে যায় সে। পাশের জানালা থেকে একফালি চাঁদের আলো চুপিসাড়ে বিছানায় উঠে এসে তৃষার মুখে বুলিয়ে দেয় অনেকদিন আগের হারিয়ে যাওয়া এক স্পর্শ। অনিরুদ্ধের হাত ধরে তৃষা হাঁটতে থাকে সুবর্ণরেখার জ্যোৎস্নাময় তীর ধরে। শালবনের সবুজ অন্ধকার ছিন্ন করে একটা চাপা অথচ ভরাট কন্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়তে থাকে তৃষার শিরায় শিরায়।
লালমাটি বুকে তুলে নেয় যত শুকনো পাতার দল,
জ্যোৎস্না ধুয়েছে মাদল বাজানো মহুয়ার সেই ঘ্রাণ,
জোনাকিরা ওড়ে শালবন শুধু আঁধার ঘনিয়ে পথ,
ভালোবাসা খোঁজে একলাই কোন রূপসা নদীর চর।
১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৪
মহাবিশ্ব বলেছেন: সুপ্রভাত স্বদেশ।
আসুন আবার, ভালো লাগবে।
ভালো থাকুন শুভকামনায়।
২| ১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৩
নীরব 009 বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা।ভাল লাগা রেখে গেলাম।
১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৬
মহাবিশ্ব বলেছেন: নীরব, সুপ্রভাত। ভালো লাগলো খুব।
সাবধানে থেকো। শুভকামনা একরাশ।
৩| ১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৪৪
নস্টালজিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পড়ে , মহাবিশ্ব!
১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৭
মহাবিশ্ব বলেছেন: ধন্যবাদ নস্টালজিক।
সকালের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
ভালো থাকুন একগুচ্ছ।
৪| ১১ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৩
নাআমি বলেছেন: চমৎকার কবিতা দিয়ে শুরু এক মন কাড়া গল্প !
অনিরুদ্ধকে নিয়ে তৃষার স্মৃতিকথা মনটাকে খারাপ করে দেয়।
চমৎকার নাম এই "রূপসা" !
১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:১০
মহাবিশ্ব বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ নাআমি।
জীবনটা এমনই যে মন খারাপ করা এড়ানো খুব কঠিন।
রূপসা নামটা আমারও খুব প্রিয়, এই লেখাটা শেষ করার পর গুগল সার্চ দিয়ে দেখলাম খুলনায় রূপসা নামে একটি নদী আছে, যা আমি জানতাম না।
ভালো থাকুন অপরূপ সবুজের সম্ভার সাথে নিয়ে। শুভসময়।
৫| ১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৮
সায়েম মুন বলেছেন: অনেক ভাললাগার লেখা। ভাল লাগলো। এবং মনছুঁয়ে গেল। শুভকামনা মহাবিশ্ব।
১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৯
মহাবিশ্ব বলেছেন: সুপ্রভাত মুন।
আশা করি কুশলেই আছেন।
অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন অনেক অনেক।
শুভকামনা রইল।
৬| ১১ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫২
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
কি বলবো !!
দুর্দান্ত লেখা
মন ভালো করিয়ে দেয়
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৩
মহাবিশ্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সকাল।
ভালো লাগলো ভালো লাগায়।
ভালো থাকবেন সকাল, শুভরাত্রি।
৭| ১১ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মন খারাপ করা অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৫
মহাবিশ্ব বলেছেন:
সমুদ্রকন্যার জন্য শুভকামনা একগুচ্ছ।
ভালো লাগলো ঘুরে যাওয়ায়।
ভালো থাকবেন সবসময়।
৮| ১১ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৮
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
ভাল লাগা,
অতৃপ্ত
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৬
মহাবিশ্ব বলেছেন:
শাহরিয়ার রিয়াদ স্বাগত আমার প্রাঙ্গনে।
শুভকামনা গ্রহণ করবেন বন্ধু।
৯| ১১ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
বিবর্ন বেদনা বলেছেন: দারুন লিখেছেন
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৭
মহাবিশ্ব বলেছেন:
বিবর্ন বেদনাকে আমার ঘরে স্বাগত জানাই।
ভালো লাগলো বন্ধু।
ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
১০| ১১ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৭
নিভৃত নয়ন বলেছেন: গল্পটা পড়েছিলাম কালকেই ,মন্তব্য করা হয়নি।
নামটা নিয়ে প্রথমে বলি ,খুলনা তে পড়াশোনার তাগিদে চার বছর থাকার অভিজ্ঞতা ,রুপসার পাড়ে আড্ডার সৃতি,রুপসা ব্রিজে বন্ধুদের সাথে ঘোরার অনুভুতি জড়িয়ে আছে নামটার সাথে ।বর্তমানে আমি মন্তব্য করতেছি খুলনা যাওয়ার পথে বাসে থেকে।তিন ঘন্টা পড়েই রুপসার প্রবাহ দেখতে পাব।তাই নামটাতেই ভাললাগা চলে এসেছে।
ঘটনাটিতে কিন্তু দুটি ভিন্ন আবহের সংমিশ্রন খুজে পেয়েছি যা দুটি দেশের আবেগের একাত্ততা হয়ে বের হয়েছে।তবে অনুভূতির অনুধাবন তো একি রকমই।
গল্পটি শেষ করেই রবীঠাকুরের ছোট গল্প নিয়ে করা মন্তব্যটি মনে পড়ল ,ছোট গল্পের স্বার্থকতায় শেষ হয়েও হইলোনা শেষ এই অনুভূতির মাঝে।
এই দৃষ্টিকোন থেকে সার্থক ছোটগল্প।
গল্পের সাথে আছে কবিতাও।গল্পটি পড়ে যে কেউ স্বীকার করবে ,লেখক কবিতার ছন্দেও খুব সিদ্ধহস্থ।
আপনার কাছ থেকে আরও ছোটগল্প আশা করতেছি।ভাল থাকবেন সবসময় ।:-)
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৮
মহাবিশ্ব বলেছেন:
নয়ন, মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। এই গল্পটার বীজ সংরক্ষিত ছিল, কিন্তু আপনার ছোটগল্পের তাড়নাতেই এর অংকুরোদ্গম হয় এবং শেষ করে ফেলি। আসলে রূপসা নামটা মনের মধ্যে কেন জানিনা এসে গেছিলো, লেখাটা শেষ করার সময়েও জানতাম না খুলনার রূপসা নদীর কথা। কি মনে হতে গুগুলে সার্চ দিয়ে দেখলাম সত্যি করেই এমন একটা নদী আছে। এবং আপনি যে তার সাথে অতি পরিচিত, এটাও জানলাম। কি অদ্ভুত সমাপতন! কত কি এমন আশ্চর্য ব্যাপার ঘটে যায় যার কোনো ব্যাখ্যা থাকে না।
রূপসা নদীর সাথে আপনার আবার দেখা হচ্ছে, এটা ভালো লাগার ঘটনা, যেন পুরোনো বন্ধুর কাছে ফিরে যাওয়ার মতো। শুভকামনা রইল নয়ন। ভালো থাকবেন অনেক অনেক।
শুভরাত্রি।
১১| ১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৪
আহাদিল বলেছেন: সুন্দর গল্প!
সুন্দর কবিতা আর লিরিকের পর এই প্রথম আপনার লেখা গল্প পড়া!
ভালো থাকুন!
শুভ রাত!
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫০
মহাবিশ্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আহাদিল। আপনি আলো ছায়া দিয়ে এমন সুন্দর কবিতা গল্প লিখে চলেন, তার কোন তুলনা হয় না। শুভকামনা রইল। শুভরাত্রি বন্ধু।
১২| ১২ ই জুন, ২০১১ ভোর ৬:৫৩
ইসরা০০৭ বলেছেন: কবিতা + গল্প খুব সুন্দর লিখেছেন।মন ছুয়ে গেলো।
ভালো থাকবেন মহাবিশ্ব।
১২ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:২০
মহাবিশ্ব বলেছেন:
ঘুরে যাবার জন্য একরাশ ভালো লাগার ইসরা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভকামনা রইল।
১৩| ১২ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৪১
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: ভালো লাগ্লো খুব।
১২ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
মহাবিশ্ব বলেছেন:
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো,
এক বিষণ্ণ নিক! অদ্ভুত ভালো লাগার নাম। স্মৃতির নদীগুলি বুঝি সর্বদাই এলোমেলো বয়ে যায় মনের মধ্যে দিয়ে। কখনো মিশে যায় কিছু নদী, আবার আলাদা হয়ে যায় কখনো। কখনো হয়তো জল শুকিয়ে গিয়ে শুধুই বালি।
ধন্যবাদ এলোমেলো নদী, ভালো থাকবেন বন্ধু। শুভকামনা একরাশ।
১৪| ১২ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
সকাল রয় বলেছেন:
আপনার লেখার যে ষ্টাইলটা আছে
সেটা প্রশংসনীয়।
দাদা কি বলবো
লেখাটা সত্যিই ভালো লাগলো
আমি ২বার পড়লাম।
আপনি ব্লগে আসবেন এবারের লেখায় চমক আছে
১২ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
মহাবিশ্ব বলেছেন:
আবার আসার জন্য ধন্যবাদ সকাল।
সব ভালো লাগা প্রকাশে ভাষার সীমাবদ্ধতা বোধ করি আমি।
নিশ্চই যাবো।
শুভ অপরাহ্ন।
১৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৮
শোশমিতা বলেছেন: চমৎকার গল্প, মনছুঁয়ে গেলো!
দাদা সকালে পড়ে মন্তব্য করেছিলাম, কিন্তু প্রকাশ করুন এ ছাপ দিতেই দেখি লগ আওট হয়েগেছি
১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭
মহাবিশ্ব বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো সুস্মিতার আগমনে। আরে সামু তো প্রায়শই ভীষণ ঝামেলা করে, কমেন্ট দেওয়া থেকে শুরু করে লগইন হওয়া সময়ঘাতী ব্যাপার! ভালো থাকবেন খুব, শুভকামনা রইল।
১৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫০
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
উজানি হাওয়ায় উড়ে যাওয়া বুনো শালপাতার মতই কেটেছিল সময়গুলো।
অদ্ভুত।
অনেক সুন্দর ........ছোট গল্প যেমন হওয়া উচিত।
শেষ হয়ে না হইলো শেষ।
শুভেচ্ছা থাকলো মহাবিশ্ব।
১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০
মহাবিশ্ব বলেছেন: ধন্যবাদ সাজি। সময়াভাবের মধ্যেও জোর করে লিখে ফেলা একটা গল্প। ভালো থাকিস সব্বাই মিলে। সকালের শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
শিরীষ বলেছেন:
মন খারাপের গল্প। সুলিখিত। অনেক অনেক ভাল লাগা, বন্ধুবিশ্ব।
১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১
মহাবিশ্ব বলেছেন:
কিছু মন খারাপ এড়ানো যায় না শিরীষকবি।
পাঠের জন্য ভালো লাগা অনেক।
ভালো থাকবেন একরাশ।
শুভ অপরাহ্ন।
১৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৭
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা। ভারতেও কি রূপসা নামের কোনও নদী আছে?
১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৮
মহাবিশ্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মেঘ। ভারতে এমন কোনো নদী আছে বলে জানা নেই, আমি কল্পনাতেই নামটা ভেবেছিলাম। ভালো থাকবেন মেঘ, বিকেলের শুভকামনা একগুচ্ছ।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০১
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: ভাল লাগলো গল্প
১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:০১
মহাবিশ্ব বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ পাহাড়ের কান্না।
শুভকামনা রইল।
শুভরাত্রি।
২০| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:২০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
কাব্যিক মুডে গদ্য আমার খুবই ভার লাগে...
আপ্নারটাও ভাল লাগল... আর ভাল লাগার মতই একটি পোস্ট...
ভাল থাকা হোক...
২০ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৩
মহাবিশ্ব বলেছেন:
সুপ্রভাত সুপান্থ
ধন্যবাদ ঘুরে যাবার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সুন্দর হোক দিন। শুভকামনা রইল।
২১| ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৮
ডেইফ বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটি লেখা।
কিছুটা উদাস করে দেয়া।
২০ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৩
মহাবিশ্ব বলেছেন:
শুভসন্ধ্যা দাইফ।
কেমন আছেন এই বৃষ্টির ছোঁয়ায়?
আশা করি দারুণ!
ভালো লাগলো ঘুরে যাওয়ায়।
ভালো থাকুন।
২২| ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিপ্লবীরাদের মানসিক শক্তি দেখে খুব অবাক লাগে মাঝে মাঝে, কত সহজেই প্রিয় বস্তু গুলো ছুড়ে ফেলে ঝাপিয়ে পরে যুদ্ধে..............খুব মায়াও লাগে!
চমৎকার হয়েছে...
২০ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৭
মহাবিশ্ব বলেছেন:
আরে বাঃ! প্রোপিক আবার পালটে গেলো যে।
ঠিক রেজোওয়ানা, মানুষের মনের মধ্যে যে কতকিছু হতে পারে বিশ্বাসই করা যায়না। একটা আদর্শকে অবলম্বন করে যে কতটা দৃঢ় হওয়া যায়, তা সত্যি অকল্পনীয়, সেই বিশ্বাস ঠিক কি ভুল তা যতই বিতর্কিত হোক না কেন।
ভালো থেকো তোমার আচারের সম্ভার নিয়ে।
২৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৫
anisa বলেছেন: অনিরা এই ভাবেই হারিয়ে তবু রূপসার চর জেগে থাকে তাকে দুরের ওই নক্ষত্ররা
তৃষারা বেঁচে থাকে কিছু স্মৃতি কিছু অনুভুতি নিয়ে
স্পর্শ করার মতই গল্প বিশ্ব
শেষ বিকেলের শুভেচ্ছা রইলো
২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৩
মহাবিশ্ব বলেছেন:
কিছু জিনিসের হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো যায় না। আবার কিছু স্মৃতি কখনোই হারিয়ে যায় না, বারেবারে ফিরে আসে।
শুভাশিস রইল উদাসিপাখি।
ভালো থাকিস বৃষ্টিমেঘে আর বাদল হাওয়ায়।
শুভরাত্রি।
২৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:২১
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক!
২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৬
মহাবিশ্ব বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ দ্বীপবাসিনী।
ভালো থাকবেন বৃষ্টিধারায়।
শুভকামনা রাতের আকাশজুড়ে।
২৫| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০৭
লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প, তবু একটানে পড়ে গেলাম।
গল্প, কবিতা দুটোই ভালো লাগলো
২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫০
মহাবিশ্ব বলেছেন:
পাঠের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা মেঘমালা।
কিছু মন খারাপ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে থাকে।
ভালো থাকবেন লাবণ্যে, মেঘমালাতেও!
শুভরাত্রি।
২৬| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মেহবুবা বলেছেন: শিরোনাম দেখে আগ্রহী হলাম । আমিও ভেবেছিলাম খুলনার নদী রূপসা। ভাল লাগা নদী ।
আপনার পোষ্ট পড়ে ভাল লাগল , অন্যরকম ভাল লাগা ।
রূপসা আসলে নদী হিসেবে জন্মেনি । রূপ সাহা নামে একজন ব্যবসায়ী একটা খাল কেটেছিল পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে । সেটা পরে বিশাল নদীরূপ পায় ।
আপনি কোথা থেকে লেখেন জানি না ; ঘাটশিলা যেতে ইচ্ছে করে । সেখানে বিভূতিভূষন কল্যানীকে নিয়ে বাড়ী করে ছিলেন, সূবর্ণরেখা নদী ।
কোন একদিন হয়তো যাবো , এপারে বা ওপারে ।
মনে মনে হাটি নিরন্তর, রুদ্ধ দুয়ার খুলে যায়
সব পারাপার আপনার হয় , পর হয়ে যায় ঘর ।
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৫
মহাবিশ্ব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ মেহবুবা এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। কত কিছুই না থাকে আমাদের ইচ্ছানদীর স্রোতে ভেসে ভেসে। ঘাটশিলা আমার ভীষণ প্রিয় জায়গা। সুযোগ পেলেই চলে যেতে ইচ্ছা করে। সুবর্ণরেখার তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখি পাথুরে স্রোত, পাড়ে বালির চিকমিক, যে পথরেখা সুবর্ণময়! নির্জন দেহাতী রাস্তা ধরে চলে যাওয়া কোনো গ্রাম্য হাটে। দূর থেকে ভেসে আসা মাদলের আওয়াজ। শালবনে একাকী পাতাঝরার শব্দ।
এই জায়গাটা আমার অবসেশান হয়ে যায় কখনো কখনো। যতবারই যাই বিভূতিভূষণের বাড়ির কাছে না গেলে যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না। শেষ দেখেছিলাম বাড়িটির খুবই ভগ্নদশা। সামনে গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি। ভাবতে চেষ্টা করি সেই দৃশ্যগুলো, সেই মানুষটিকে, অসম্ভব সুন্দর সব রচনা, মাটি থেকে উঠে আসা সেই সব প্রিয় চরিত্র। কেমন আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। বিহ্বল হয়ে যাই কত কি ভেবে। শেষ বিকেলের আলোয় সম্বিত ফেরে। ক্ষেত পেরিয়ে হেঁটে চলে যাই সুবর্ণরেখার কাছে। জলসেচের পাম্প অস্ফুট আওয়াজ করে জানান দেয় তার অস্তিত্ত। পাখিরা বাড়ি ফেরে। হালকা কুয়াশা ঘিরে ধরে মাটির চারিপাশ।
হোটেলে ফিরে আসি একসময়। বুকের মধ্যে একরাশ কুয়াশাচ্ছন্ন স্মৃতি নিয়ে।
অনেক কিছু লিখে ফেললাম। আসুন না চলে একবার, খুব ভালো লাগবে।
২৭| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মেহবুবা বলেছেন: আপনাকে আমার ঈর্ষা হচ্ছে । আপনি ইচ্ছে হলেই ছুঁয়ে আসতে পারেন ঘাটশিলা । নতুন করে জীবনের স্পন্দন আবিষ্কৃত হয় আপনার চোখের সাধ মিটিয়ে ।
বিভুতিভূষনের দিনলিপি মত একটা বই আছে আমার , কি অপূর্ব তার ভেতরের সাধারন সব কথার অসাধারন আবেদন । এটা একসময়ে আমার হাতের কাছে থাকতো, এখন আছে তাকের পর ।
পরিচিত ঘনিষ্ট এক পরিবার আছে বারাকপুর, বনগাঁ এলাকায় । বিভুতিভূষনের বিষয়ে আমার আগ্রহের কথা জানে , বলে ' সে সব সে সরকম নেই , তুমি যেমন বল, শিল্প কারখানায় ভরে গেছে '। ভাবতে কষ্ট হয়। এক একবার আমি আমার মত করে ঘুরে চলে আসি সেই বারাকপুর , সেই বনগাঁ; ঘন গাছপালা ছাওয়া ঘর, সন্ধ্যাবাতির আলোয় সরু পথে পায়ের চিহ্ন এঁকে আসি --অবশ্যই মনে মনে ।
আপনার অনুরোধ রাখবো তবে জানি না কবে কখন ।
পারলে ঘাটশিলার , সূবর্নরেখার ছবি দেবেন ; ভগ্ন বাড়ীর ছবিই না হয় দেবেন।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৬
মহাবিশ্ব বলেছেন:
তা ঠিক, সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে পারিপার্শিক প্রেক্ষাপট পালটিয়ে গেছে অনেক। শিল্পায়ন হয়েছে, মানসিকতা অনেক পালটে গেছে। আমরা যারা বিভূতিভূষণ পড়ে বড় হয়েছি, সেই অনুভব কি এখনকার নবীন প্রজন্ম গ্রহণ করতে পারবে। জানি না। তবুও সব কিছু ছেয়ে থাকে মনের আকাশ। আশা রাখি এই সময়েও অপু জন্মাবে নতুন মন নিয়ে, অজানার আনন্দ কি শেষ হয়ে যাবে কখনো? হয়তো না। নতুন ভাবে, নতুন আঙ্গিকে পুনর্জন্ম হোক এই সব অনুভবের।
শেষ যখন ঘাটশিলা গেছিলাম তখন ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল না। ফিল্ম ক্যামেরায় তোলা ছবি আছে। একটু সময় চাইছি তাই।
ভালো থাকবেন মেহবুবা। অশেষ শুভকামনা রইল।
শুভসন্ধ্যা।
২৮| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১
রাত্রি২০১০ বলেছেন: দারুন--- আপনার মতন করে কমেন্ট করতে তো পারব না। অনেক বিষন্ন ভাল লাগা নিয়ে গেলাম।
আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আসি ফিরে
দুঃখ সুখের ঢেঊ খেলানো এই সাগরের তীরে
আবার জলে ভাসাই ভেলা ধূলার ‘পরে করি খেলা গো
হাসির মায়ামৃগের পিছে ভাসি নয়ননীরে।।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪০
মহাবিশ্ব বলেছেন:
"কাঁটার পথে আঁধার রাতে আবার যাত্রা করি,
আঘাত খেয়ে বাঁচি নাহয় আঘাত খেয়ে মরি।
আবার তুমি ছদ্মবেশে আমার সাথে খেলাও হেসে গো,
নূতন প্রেমে ভালোবাসি আবার ধরণীরে"
রাত্রিকে জানাই সন্ধ্যার শুভকামনা।
এই একাকী নীল গ্রহের মানুষ নামক প্রাণীটার এই হলো বড় অসুবিধে! হৃদয় নামের কি এক অজানা বায়োকেমিক্যাল রিএকশান বাসা বেঁধে আছে তার মস্তিষ্কে। কি সব ভাবে, কি সব বলে, কি সব করে... জড় পদার্থ সব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কি এই পাগলামী। সব কিছুর মধ্যেই বার বার ভালোবাসা আসুক ধরণির উপর, এই সুখ দুঃখের ঢেউ খেলানো সাগরের তীরে।
ভালো থাকবেন রাত্রি। শুভকামনা প্রবহমান।
২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫১
জুন বলেছেন: মহাবিশ্ব আমার মনে হয়না তুমি সামান্য ব্লগ লেখক। এত অসামান্য গল্প আমি অবাক হয়ে গেছি পড়ে। কি যে ভালোলাগলো বলার নয়। নিজের লেখাগুলোর জন্য লজ্জা লাগছে ভীষন।
১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৪
মহাবিশ্ব বলেছেন:
জুন, ভীষণ ভালো লাগলো দেখে যে তুমি আবার ছন্দে ফিরে এসেছো। যা একখানা ভেলকি দেখালে!
কি যে বলো তুমি, তার ঠিক নেই! এটাই সবচেয়ে ভালো লাগার যে তুমি এখন ভালো আছো। সাবধানে থাকো, শরীরের দিকে খেয়াল রেখো।
একরাশ শুভকামনা রইল।
শুভরাত্রি।
৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল বিশ্ব । আমার ঘরে অনেক দিন হল যাতায়াত নেই, তাই ভাবলাম খোজ নিয়ে যাই, কেমন আছেন ??
০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৮
মহাবিশ্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ রেজওয়ান। খুব ভালো লাগলো ঘুরে যাওয়ায়, কৃতজ্ঞতা জানবেন বন্ধু। নিশ্চই যাবো আপনার ব্লগবাড়ি। আসলে এত কম সময় পাই, আর আমি এত্ত সময় নিয়ে পড়ি আর মন্তব্য করি যে সেটুকুও অল্পে ফুরিয়ে যায়। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: প্রথম প্লাস, কবি। দ্রুত পড়ে ভাল লাগল। আবারও কমেন্ট হবে সময় করে।