![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
সৌদি সরকার ইহুদি খ্রিষ্টানের পাচাটা গোলাম,সৌদি রাজ পরিবার কাফের,মুরতাদ,সৌদি আরব মুসলিম
বিশ্বকে ধ্বংস করছে,কথা কতটুকু সত্য?কে'বলছে?
কেন বলেছে?তাদের উদ্দেশ্য কি?
এই পোষ্টটিতে কোনো ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতি কূ ধারনা দূরের সারিতে রাখলাম।
♦"রাবেতা আল আলম আল ইসলামী", "বাদশাহ ফয়সাল ফাউন্ডেশন"
♦ওয়ার্ল্ড এ্যাসেম্বলি অব মুসলিম ইউথ (ওয়ামি)"আন্তর্জাতিক ইসলামী ত্রাণ সংস্থা (আইআইআরও)",
♦বাদশাহ ফাহদ কোরান প্রিন্টিং কমপ্লেক্স।", ♦বসনিয়া-হারজেগোভিনার মুসলমানদের জন্য সাহায্য সংগ্রহের উচ্চ কমিটি।"
উক্ত সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেঃ
(ক). বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট নানাবিধ দুর্যোগে আক্রান্তদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আর্থিক সাহায্য দান ও পুনর্বাসন।
(খ). কৃষি সম্প্রসারণ
(গ). বাঁধ নির্মাণে কারিগরি সহায়তাদান
(ঘ). কূপ খনন
(ঙ). বিচ্ছিন্ন স্থান সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন
(চ). ক্লিনিক স্থাপন ও
(ছ). স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি মানবিক সেবা প্রদান।
(১)#সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সৌদি আরব এবং এর ইসলামী সংস্থাসমূহ মধ্য এশিয়ার নব সৃষ্ট মুসলিম প্রজাতন্ত্রসমূহকে সাহায্যের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।
#রাশিয়ার কমিউনিজমের শাসনামলে বৃহত্তর রাশিয়ার কোটি কোটি মুসলমান নির্যাতিত হয়েছিল এবং তাদের মুসলিম বিশ্ব থেকে সাত দশক বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল।এ সময় মুসলমানরা কোনক্রমে আত্মরক্ষা করলেও অধিকাংশ মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং পবিত্র কোরান শরীফের প্রকট অভাব দেখা দিয়েছিল। সৌদি আরব দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ৬টি মুসলিম প্রজাতন্ত্রের রাজধানীতে বিশাল বিশাল ইসলামী কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং প্রজাতন্ত্র সমূহের ছোট শহরগুলোতে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় ভাষায় অনূদিত এবং মদিনার বাদশাহ ফাহদ কোরান প্রিন্টিং কমপ্লেক্সে মুদ্রিত লাখ লাখ কপি পবিত্র কুরআনুল কারীম বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বিমানযোগে ঐ সব দেশের মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্রসমূহে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি বাদশাহ ফাহদের নিজস্ব উদ্যোগে ১৯৮৫ সালে মদিনা মুনাওয়ারার তাবুক রোডের পাশে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর নির্মিত হয়। এ কমপ্লেক্স শুরু থেকে অদ্যাবধি ১৫ কোটির অধিক মুসহাফে মদিনা কপি পবিত্র কোরান, লাখ লাখ কপি অডিও ক্যাসেট এবং বাংলাসহ পৃথিবীর প্রধান প্রধান ৫৭টি ভাষায় ২০১৫ সালেই প্রকাশ করা হয়েছে।
(২) সৌদি আরবের জাতীয় কর্মসূচীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মুসলিম বিশ্বের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন মুসলিম জনগোষ্ঠীর শিশু ও যুবকদের জন্য ইসলামী ও আরবী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্রসমূহকে বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি সৌদি আরব উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন ইসলামী একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব একাডেমি পরিপূর্ণ স্কুল হিসেবে আরবী ও ইসলামী শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে স্থানীয় ভাষায় অন্যান্য সিলেবাস ও পাঠদান করে থাকে। এ ছাড়া সৌদি আরব সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ছাত্রদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে বিভিন্ন সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার ছাত্র এ ধরনের বৃত্তির সুযোগ নিয়ে মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। ২৩ টি ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বের সমস্ত দেশের মুসলিম ছাত্ররা ফ্রিতে( মাসিক ভাতা দিয়েও) ইসলামিক ও দুনিয়াবি উভয় শিক্ষার্জন করার সুযোগ পায়। (http://www.masterstudies.com/Saudi-Arabia/) এই দেশের সমস্ত আলেমদের বেতন থেকে শুরু করে মক্তব মাদ্রাসা, ইসলামি শিক্ষা ও চর্চার যত খরচ, সমস্তই সৌদি সরকার বহন করে। পৃথিবীতে কোনো এমন দেশ আছে?
(৩) ইসলামের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে এবং ইসলামের সঠিক জ্ঞান প্রচারার্থে সৌদি আরব নিজস্ব অর্থায়নে ইউরোপ ও আমেরিকার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামী শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ’ল স্কুল এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী বিভাগ। এসব প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের মাধ্যমে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মুসলমানদের বিবিধ প্রয়োজন মেটানো এবং মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ের মধ্যে উত্তম সমঝোতার আবহ সৃষ্টি করাই সৌদি আরবের মূল লক্ষ্য। পৃথিবীর প্রতিটা দেশে মদিনা ইউনিভার্সিটি থেকে আলেম তৈরি সেই দেশের আলেম দের সাথে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে দাওয়াতের কাজ করা হচ্ছে:
ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, এসব দেশ তো আছেই সুদূর ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, জিম্বাবোয়ে, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এমনকি চীরশত্রু রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, চীনেও ইত্যাদি ইত্যাদি এসব দেশে, নিউইয়র্ক, লস এ্যাঞ্জেলেস,সানফ্রান্সিসকো, শিকাগো, মাদ্রিদ, লন্ডন, রোম, প্যারিস, বন, ব্রাসেল্স, জেনেভা, টোকিও, টরেন্টো, ভিয়েনা, লিসবন, বুয়েনস আয়ারস, এডিনবরা এবং রিওডি জেনিরো এসব শহরে মাসিক ভাতা দিয়ে দাওয়তের কাজ করানো হয়। অমুসলিম মুসলিম হয়ে সেখানে তাদের সংখা বৃদ্ধি করছে,#সৌদি_আরবের ৩৫৫ টি ও বাইরের দেশের অনেক শাখা,
♦১৫০০ টি মসজিদি কেন্দ্র দাওয়াতি কাজে নিযুক্ত। বেসরকারি সংস্থাও অনেক কাজ করে। বাংলাদেশে প্রায় ১০০ এর বেশি আলেম কাজ করছেন। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি লক্ষ লক্ষ মসজিদ নির্মানের জন্য বিশ্বের সমস্ত দেশে অর্থ পাঠায়। আমাদের উপমহাদেশে অনেক মাসজিদ এরকম দেখেছি, এমনকি আমাদের গ্রামের মসজিদও। পৃথিবীতে আর কোন দেশ এরকম আছে?
#উদাহরণ স্বরুপঃ কানাডায় শত শত মিলিয়ন ডলার খরচ করে ইসলামিক বিদ্যালয় নির্মান। এসব প্রকাশ করা হয়না। নচেৎ অমুসলিমরা বাধা দেবে। এরকম আরো কত উদাহরণ আছে। (Click This Link)
#জার্মানিতেই রিফিউজিদের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ২০০ টি মসজিদ তৈরি করে, সাধারণ অর্থসাহায্য তো আছেই।(Click This Link)।
#বালুচিস্তানে পানীয় জল সরাবরাহের জন্য, অন্যান্য দেশে খাদ্য সরাবরাহের জন্য, সিরিয়ান রিফিউজিদের জন্য, ফিলিস্তিনের ইয়োলান্ডা/হাইয়ানে শত শত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দান করে।(Click This Link)।
(৪) বসনিয়া-হার্জেগোভিনার মুসলমানরা যখন সার্ব বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার হয় তখন সৌদি আরব সেখানকার মুসলমানদের সৌদি আরবে এনে রক্ষা করে এবং তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। পরবর্তিতে তাদের সমস্যা দূরীভূত করে সেখানে ৬০০ টি মদজিদ, বিদ্যালয় তৈরি করে দেয়। (Click This Link)
(৫) ২০১২ সালে মিয়ানমারের মুসলমানরা গণহত্যার শিকার হলে সৌদি আরব ওআইসির চতুর্থ বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে এবং তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দেয়। সৌদি আরবে অবস্থিত ৫০ হাজার আরাকানির নাগরিকত্ব প্রদান করে। কিছুদিন পর তাদের সংখা সৌদি আরবে ৪.৫ লক্ষ। এই মুহুর্তে ১০ লক্ষের কাছাকাছি শোনা যাচ্ছে। (Click This Link)
৬)সিরিয়ায় সেই ৫/৭ বছর থেজে এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে মাসে কত কত মিলিয়ন করে লেবানন, তুরস্ক, জর্ডনের রিফিউজি ক্যাম্প গুলোতে সাহায্য পাঠানো হয় দেখুন। (Click This Link)।
♦বর্তমানে ২.৫ মিলিয়ন সিরিয়ান রিফিউজি সৌদি আরবে রয়েছে।(Click This Link)।
৬)সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বে ইসলামী ভাবধারা সমৃদ্ধকরণ ও ইসলাম, আরবী ও ইসলামী খিদমতকে ত্বরান্বিত করা জন্য বাদশাহ ফয়সাল ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার ঘোষণা করেন ১৯৭৯ সাল থেকে এবং এ পর্যন্ত এ পুরস্কার অব্যাহত রয়েছে। এ পুরস্কার ইসলামের খিদমত, ইসলামী শিক্ষা, আরবী সাহিত্য, চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ওপর দেয়া হচ্ছে, যা মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে প্রাপ্ত হচ্ছে। কিছুদিন আগে বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দায়ীকে এই পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে উনাকে গ্রেফতারি জারী করলে উনাকে কে সাহায্য করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে? কে? IRF কে এত এত অর্থ দান করত কারা? ওই সৌদি আরব ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো দেশ নেয়।
৭)সৌদি আরব বিভিন্নভাবে মুসলিম উম্মাহর সেবায় নিয়োজিত। আর্থিক সাহায্য হিসেবে রাজকীয় সৌদি আরব শত শত কোটি ডলার সারাবিশ্বে খরচ করেছে। প্রতিবছর পবিত্র মক্কা নগরীতে মুসলমানদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তা সহকারে হজ, উমরাহ ও জিয়ারত সম্পাদনের নিমিত্তে ব্যাপকভাবে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিপুল অর্থ ব্যয়ে মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম এবং মদিনায় মসজিদে নববীর বিস্তৃতি সাধন করা হয়েছে। সৌদি আরবে যেসব মুসলিমরা গিয়েছে তারা জানে ফ্রিতে কত কত আদর যত্ন করে খাওয়া দাওয়া ও খেদমত করা হয়। হাজীরাও জানে। এখানে প্রবাসী অন্য দেশের শ্রমিক, চাকুরীজীবি দেরকে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব ভাষায় দাওয়া সেন্টার খুলে দাওয়াত দেওয়া হয়।
৮) সৌদি আরব বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় আয়ের শতকরা ০.৭ শতাংশ হারে সাহায্য প্রদান করে। আর এটা জাতিসংঘভুক্ত দাতা দেশসমূহ যা দান করে তার সমপরিমাণ। সৌদি আরব উন্নয়নশীল দেশগুলোয় তার জাতীয় আয়ের ৫.৪৫ শতাংশ প্রদান করে। আর এ পরিমাণটা শিল্পোন্নত বড় বড় দেশগুলোর বৈদেশিক সহায়তার চেয়েও বেশি। সৌদি উন্নয়ন তহবিল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সৌদি উন্নয়নমূলক সহায়তা প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়।আরব ও ইসলামী রাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দানে যেসব দেশ এগিয়ে আসে তাদের মধ্যে সৌদি আরব অগ্রগামী। আর এটা খাদিমুল হারামাইন আল শরীফাইন কর্তৃক প্রদত্ত সংস্থা ও জাতীয় কমিটির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। ২০১৫ সালে জেনেভায় ইউনাইটেড নেশনের সভায় প্রকাশ করা হয় ওই সময় সৌদি আরব পৃথিবীব্যপী ৯০ টি দেশে ১১৫ বিলিয়ন ডলার মুসলিমদেরকে অর্থ সাহায্য করে।
♦ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের ২৮৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করে। (Click This Link)।
♦কিছুবছর আগে বাংলাদেশে তীব্র সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তের দরুন ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করা হয় গোপনে, যেটা বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর প্রকাশ পায়। (Click This Link)।
♦সর্বশেষ : বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা & উপজেলায় সৌদি সরকারের আর্থিক সহযগিতায় নির্মান হচ্ছে ৫৬০ টি মাসজিদ ও ইসলামীক রির্সাস & লাইব্রেরী কমপ্লেক্স
https://youtu.be/rF0jHLz6Y8Q
পরিশেষে বিরুধীদের উদ্দেশ্যে বলবো :
####সৌদি আরবের কৃতকর্ম প্রকাশের আগে প্রথমে বলি ধনীর দিক থেকে মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে সৌদি আরব ষষ্ঠ। আর সামরিক দিক থেকে পঞ্চম। পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, মিশর, লিবিয়া, কাতার, কুয়েত, ওমান এরা প্রত্যেকেই কেউ সামরিক কেউ আর্থিক কেউ উভয় দিক থেকে অনেক উপরে। সৌদি বাদে পৃথিবীর একটা মাত্র দেশ দেখান যে মুসলিম বিশ্বের সাহায্য করে। যারা ইরানের নামে মুখে ফেন। তুলে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলছি বুকে দম থাকলে ইরানের দ্বারা মুসলিম বিশ্বের সাহায্য দলীল সহকারে পেশ করুন। আর আমাকে একবার বলুন তাদের কূকর্মের লিষ্টের বন্যা বইয়ে দেবো। ইরানসহ বিশ্বের বাকি মুসলিম দেশগুলো সৌদির থেকে এত বড় হয়ে কি আঁটি বাঁধছে? কোথায় কোন মুসলিমের কতটুকু উপকার করেছে? সৌদি আরব তার সাধ্যমত যা করেছে বিশ্বের সমস্ত দেশ একসাথে করলেও তার ধারে কাছে যাবেনা। দম থাকলে এই উক্তির ভুল প্রমান করুন। বিশ্বের সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী আমেরিকা, রাশিয়া, ইজরায়েল, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জাতিসংঘ এদেএ হাজার হাজার হুমকি সত্ত্বেও বিশ্বের একটা মাত্র দেশ সৌদি আরবের সংবিধান আলকুরআন কায়েম আছে, বাস্তব ও আইন উভয়েই। মদিনা ইউনিভার্সিটি কে নিয়ে নারীদের অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরতে, ছেলেমেয়েদের অবাধ কর্মকাণ্ড করতে দিতে, সমস্ত ধরনের নাস্তিক্য শিক্ষা দিতে, কতই না চাপ দিয়েছিলো আমেরিকা(বিল ক্লিনটন), তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও সেখানে ইসলামি ব্যবস্থা কায়েম রেখেছে সৌদি। সেখানে রয়েছে যেনা করলে হত্যার ব্যবস্থা, চুরি করলে হাত কাটার ব্যবস্থা, খুন করলে হত্যার ব্যবস্থা রাজা মন্ত্রি জনগন নির্বিশেষে। এসব আইনের ব্যপারে ইসলাম বিদ্বেষী রাষ্ট্রগুলো কতই না চাপ দেয়। পৃথিবীর কোনো দেশ আছে এরকম??? তারা সিরিয়া, ইয়েমেনে ফিলিস্তিন, বসনিয়া, আরাকান এর জন্য কতকত সাহায্য করে খোজ রেখেছেন? যুদ্ধ যুদ্ধ করে ফটোর ফটোর করছেন একসাথে ইজরায়েল, আমেরিকা, রাশিয়া, আসাদ, ইরান, ফ্রান্স, ব্রিটেন এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা কার আছে??? থাকলে অবশ্যই সৌদি করত। ইরানের তো অনেক শক্তি বেশি, তো কই ISIS, ইজরায়েল, আমেরিকা, বসনিয়া, মিয়ানমার এর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেছে জীবনে??? কেন করেনা??? আর এই ইহুদি/নাসারা/মুনাফেক/শিয়া শয়তান কাফেরদের কথায় আপনি সৌদি কে কাফের বলেন!!! কোন লজ্জায়? সৌদির পাঁ চাঁটারো যোগ্যতা নেয় কারো। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললাম। পারলে আক্সেপ্ট করে দেখান। সৌদি খেয়ে দেয়ে পেছনে কথা বলা হচ্ছে!!! আমাদের উপমাহাদেশের ম্যাক্সিমাম মসজিদ সৌদির, কোথায় আছেন আপনি??? শুনে রাখুন সৈদির এই ইসলামি কর্ম ইসলাম বিদ্বেষীরা কখনই সহ্য করতে পারেনা। তারা সবসময় চেষ্টা কপ্রে কিভাবে মুসলিম মুসলিম দিয়ে সৌদি আরবকে জহগড়া লাগিয়ে শেষ করে দেওয়া যায়। রাসুল(সা) ওর ভবিষ্যৎবানী যে - সবশেষে পর্যন্ত ওখানেই ইসলাম থাকবে, বাকি কোথাও না। ইসলাম বিদ্বেষীরা ভালোকরেই জানে সৌদির ইসলাম নষ্ট করে দিতে পারলে বা মানুষের বিশ্বাস উঠিয়ে দিতে পারলে কেল্লাফতে। বাকি দেশে ১০% মানুষও সঠিকভাবে ইসলাম পালন করে না আর ইসলামি রাষ্ট্র তো দূরের বিষয়। তাদের কে এক চুটকিতেই উড়িয়ে দেবে। একটু বুঝতে শিখুন সৌদি আরব এত ইসলামি কর্ম করা সত্তেও আর বাকি মুসলিম দেশগুলো কুফর করা সত্ত্বেও সৈদির বিরুদ্ধে শুধু কথা, বাকিদের বিরুদ্ধে মুখে কলা। কেন? কাদের চক্রান্তে এসব হচ্ছে? একবার ভেবে দেখুন।
***) বাদশাহর সাথে দেশের সেই যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম(ইবনে আব্দুল ওয়াহাব) হাতে হাত মিলিয়ে শপথ করে এই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামের খেদমত ও রক্ষার্থে। এমন কোনো মুসলিম রাষ্ট্র দেখাতে পারবেন যার শপথ বাক্যে এই শপথ নেওয়া হয়েছে?
তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থ দান করলে করলে তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে।প্রত্যেক কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভূক্ত। (Surah Al-Hajj, Verse 41)। তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকতৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।। নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। (Surah An-Noor, Verse 55, 56)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। অথবা যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮১১; হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)।
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাউকে কিছু দান করা হলে সে যেন সামর্থ্য থাকলে তার প্রতিদান দেয়। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে তবে সে যেন তার প্রশংশা করে। সে তার প্রশংসা করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি তা গোপন রাখলো সে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮১৩; হাদিসের মান: হাসান হাদিস)।#Chittagong parvez marchent
©somewhere in net ltd.