![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
কুইড (Squid) একটি অত্যন্ত মজাদার সামুদ্রিক মাছ। পুরোটাই প্রায় মাংসল । টেউথিডা (Teuthida) গোত্রীয় একপ্রকার সামুদ্রিক প্রাণী। টেউথিডা বর্গে প্রায় ৩০০ প্রজাতির স্কুইড রয়েছে। স্কুইডের অন্যান্য সেফলাপোডার মতো স্বতন্ত্র মস্তক, বাহু, ও ছদ্মবেশি আবরণ রয়েছে। স্কুইড দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। ক্যাটলফিসের মতো স্কুইডের আটটি বাহু, ও দুইটি লম্বা জোড়বদ্ধ শুড় রয়েছে।
ইউরোপ ও আরব দেশগুলোতে ,খাদ্য হিসেবে স্কুইড ব্যাপক পরিচিত।এবং এসব দেশে মৎস শিকারীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ধরা হয়।
স্কুইডের শরীরের অভ্যন্তরে মশলার পুর দিয়ে, অতঃপর লম্বা বা গোলাকৃতি টুকরা করা হয়। বাহু, আবরণী, শুড় এগুলোও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্কুইডের শুধুমাত্র যে অংশগুলো খাবার উপযোগী নয় তা হলো, ঠোঁট ও গ্লাডিয়াস (পেন)।
খাবার হিসেবে স্কুইডে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি১২, এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে। আমি সর্বপ্রথম আরব দেশের আরবীদের স্কুইড (Squid) খেতে দেখি । সি ফুড হিসাবে স্কুইড দারুন জনপ্রিয় । আমার দেশের লোকেরা এসব খায়না । তবে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা খায় । কাঁকড়া লবষ্টারের মত স্কুইড (Squid) কেও আমার দেশের অনেক লোক হারাম হিসাবে জানে । কারণ এটা আমার দেশে তেমন নেই । আর কম জানা আলেমরা কোন প্রকার দলীল ছাড়াই হারাম ফতোয়া দিয়ে বসে । ১২ বছর পূর্বে দুবাইতে এক মাছের বাজারে গিয়ে প্রথম দেখি জেলীর মত প্রচুর স্কুইড ফেলে রেখেছে এবং কালী বের হচ্ছে । তখন কেমন ঘৃনা লাগত। কিন্তু এটা যে এত সুস্বধু এবং হালাল তা আগে জানতামনা । আসলে আমার দেশের অর্ধশিক্ষিত কিছু আলেমরাই এর জন্য দায়ী।
চিত্রে থাকতে পারে: পাঠ্য
©somewhere in net ltd.