নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মালিক, তুমি জান্নাতে তোমার কাছে, আমার একটা ঘর বানিয়ে দিও ।আমিন।।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি

পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে যুদ্ধনীতি

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২১

ইসলামে যুদ্ধনীতি---
----------------------
রাসূলুল্লাহ (সা) প্রদর্শিত যুদ্ধনীতি অনুসরণ করার মধ্যেই মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ নিহিত এবং বর্তমান অশান্তি ও বিভীষিকাপূর্ণ এ পৃথিবীতে শান্তি ও কল্যাণের নিশ্চয়তা প্রদান করা সম্ভব। রাসূলুল্লাহর (সা) যুদ্ধনীতির কয়েকটি মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ দিক।
কেবলমাত্র আক্রান্ত হওয়ার পর আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করা জায়েজ।
সমাজের ফিত্না দূর করা এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করা বৈধ।
যুদ্ধে একমাত্র শত্র পক্ষের অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করা জায়েজ।
নারী,শিশু,পঙ্গু,রুগ্ন,সাধু-সন্ন্যাসী,ধর্মযাজক বা পুরোহিত এবং নিরীহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ বা তাদের কোনোরূপ ক্ষতিসাধন সম্পূর্ণ অবৈধ।
শত্র পক্ষের বাড়ি-ঘর, ফসল,গবাদিপশু ইত্যাদি ধ্বংস করা অবৈধ।
যুদ্ধাহত কোনো ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়া নিষেধ।
যুদ্ধবন্দীদের সাথে মানবিক আচরণ করা বিধেয়। কোনো অবস্থাতেই তাদের ওপর নির্যাতন করা বৈধ নয়।
যুদ্ধবন্দী নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন বা কোনোরূপ জুলুম করা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আধুনিক যুদ্ধনীতি------
-------------------------
জেনেভা কনভেনশন-----
যুদ্ধ-উপদ্রুত ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে জনহিতকর আচরণের জন্য যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে জেনেভা কনভেনশন(১৯৪৯)।কোনো দেশে যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত চলাকালীন সময়ে, সাধারণ জনগণকে খুন, জনসাধারণের সম্পত্তি লুণ্ঠন, ধর্ষণ, কারাগারে আটক ব্যক্তিকে বিনাবিচারে হত্যা, দেশের নগর, বন্দর, হাসপাতালে কোন ধরনের সামরিক উস্কানি ছাড়াই আক্রমণ বা ধ্বংস প্রভৃতিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
------------------------
যুদ্ধে নিহত শক্র পক্ষের নারী ও শিশুদের রাসুল(সঃ) নিরাপদ ও পবিত্রতার সাথে আশ্রয় দিতে সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন একাধিক বিয়ে করার এবং তিনি নিজেও করলেন। নাস্তিকরা আজকে রাসুল (সঃ) এর একাধিক বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলে কিন্তু সমকালীন সময়ের এর বাস্তবিক প্রয়োজন নিয়ে ভাবেনি....?
--------------------------
আধুনিক যুগ নিয়ে যারা গর্ভ করে তারা নিজেদের গড়া আইনের প্রতি ও শ্রদ্হা দেখাতে পারেনি তা মুসলিম বিশ্বে প্রমানিত। নারী ও শিশুদের গগন বিদারী আর্তচিৎকার নাস্তিক সামাজ্যবাদের কর্নকুহরে প্রবেশ করেনি....?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.