![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
বুকে -পেটে-নাভীতে হাত বাঁধা নিয়ে আমার দেশে এক শ্রেণীর ফের্কাবাজ আলেমদের বাড়াবাড়ি চরম পর্যায়ে । অথচ এটি একটি সুন্নত আমল । একমাত্র ইমাম, যাকে মদীনার ইমাম বলা হয়, (উল্লেখ যে ইমাম মালেকই কেবল মদীনায় জন্ম গ্রহণকারী "মাদানী" ইমাম । বাকী সব মাযহাব ও হাদীসের ইমামগণ মদীনার বাইরে জন্মেছেন ।
মদীনার ইমাম, ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাব হলো, তাকবীরে তাহরীমার পর ফরয নামাযে হাত কোথায়ও বাঁধবে না। রবং হাত ঝুলিয়ে রাখবে। তবে নফল নামাযে হাত বাঁধবে।
وخالف في ذلك المالكية فقالوا : يندب الإرسال وكراهة القبض في صلاة الفرض وجوزوه في النفل অর্থ, নামাযে হাত ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব। এবং ফরয নামাযের মধ্যে হাত বাঁধা মাকরূহ। এবং নফল নামাযে (হাত বাঁধা) জায়েয আছে।(আল মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা আল-কুয়েতিয়্যাঃ ২৭/৮৬)
ويندب في القيام إرسال اليدين إلى الجنبين
অর্থ, দাড়ানো অবস্থায় মুস্তাহাব হলো, উভয় হাতকে দুই পাশ দিয়ে ছেড়ে দেয়া।
ويجوز قبضهما على الصدر في النفل بل يندب أما في الفرض فيكره
অর্থ, এবং নফল নামাযে বুকের উপর হাত বাঁধা জায়েয আছে। বরং তা মুস্তাহাব। তবে ফরয নামাযে তা মাকরূহ। আল-কাফী ফী ফিকহি আহলিল মদীনাঃ ১/২০৬)
আমরা উল্লিখিত আলোচনা থেকে পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারলাম যে, ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাব হলো, নামাযে হাত না বেঁধে দুই পাশে ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব। এমন কি ফরয নামাযের মধ্যে হাত বাঁধা মাকরূহ। তবে নফল নামাযে হাত বাঁধা মুস্তাহাব। উল্লেখ্য যে, যেখানেই হোক হাত বাধা সুন্নত এটা বহু হাদীস দ্বারা প্রমানিত ।সুন্নতের উপর আমল করা উচিৎ ।
বুকে -পেটে-নাভীর নিচে যেখানেই হোক হাত বাঁধুন । তবে বুকের উপর/নাভীরনিচে/ ও হাত না বাঁধার হাদীসগুলো হাদীস শাস্ত্রবিদগণের মতে দয়ীফ বা দূর্বল । এসব নিয়ে ফের্কাবাজী উম্মতের জন্য ফিৎনা ।
©somewhere in net ltd.