নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মালিক, তুমি জান্নাতে তোমার কাছে, আমার একটা ঘর বানিয়ে দিও ।আমিন।।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি

পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিলা বৃষ্টি কিভাব হয়

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৯

শিলা বৃষ্টি মূলত আল্লাহর গজব ও নিদর্শন । কখনো শিলা বৃষ্টি গজব হিসাবে আসে । আবার করখনো সতর্কতার জন্য আসে । কখনো আসে নিদর্শন হিসাবে ।
শিলা বৃষ্টি কিভাব হয় তা বিজ্ঞানীগণ বের করেছেন । সংক্ষেপে তা হলো- জলীয় বাস্প বাতাসে ভেসে বড়ায় । খালি চোখে দেখা যায়না । কিন্তু সেই জলীয়বাস্প যখন মাটি থেকে ৮০০ মিটার থেকে দেড় কিলোমিটার উপরে ঘুরে বেড়ায় তখন আমরা সেটাকে সাদা মেঘ আকারে দেখতে পাই । যা সাদা তুলার মত দেখা যায়।মেঘ নিচে আসেনা ,কারণ নিচে তাপমাত্রা বেশি ।শীতকালে নিচের তাপমাত্র কমে যখন ৮ থেকে ১৫ ডিগ্রীর মধ্যে চলে আসে তখন উপরের মেঘগুলোই নিচে নেমে আসে যাকে আমরা কুঁয়াশা বা শবনম বলি ।
এই মেঘই যখন আরো ভারী ও আরো ঘনীভূত হয়ে মাটি থেকে সর্বোচ্চ আধা কিলোমিটার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করে তখন এই মেঘ বা কুয়াশার পানির কনাগুলো অনেকগুলো একত্রিত হয়ে পানির ফোঁঁটা আকার ধারণ করে ও মধ্যাকর্ষণ বলের টানে পৃথিবীতে চলে আসে যাে আমরা বৃষ্ট বলি ।
আমরা জানি, মাটি থেকে যত উপরে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা তত কমতে থাকে । মাটি থেকে দুই কিলোমিটার উপরের তাপমাত্রাই ৪ ডিগ্রী থেকে শুণ্য ডিগ্রী পর্যন্ত । শুণ্য ডিগ্রী তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিনত হয় ।
কুয়াশা বা মেঘগুলো যখন বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধির দরুন দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার উপরে উঠে যায় তখন পুঞ্জিভূত ভারী মেঘের পানির কনাগুলো শুন্যর নিচের তাপমাত্রা হেতু খুব দ্রুত জমাট বেঁধে বরফের টুকরায় পরিনত হয় ও আরো দ্রুত শিলাবৃষ্টি আকারে পৃথিবীতে নেমে আসে । মেঘ যত উপরে উঠবে, শিলার আকার তত বড় হবে । এবং ক্ষতির পরিমাণও বেশি হবে ।
যারা বিমানে ভ্রমণ করেন তারা লক্ষ্য করে দেখবেন- কিছুক্ষণ পর পর টিভি ডিসপ্লেতে বাইরের তাপমাত্রা প্রদর্শন করে । বিমানগুলো মূলতঃ ৯ থেকে ১১ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে চলাচলকরে । আপনারা দেখবেন তখন বাইরের তাপমাত্রা দেখায় মাইনাস ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট । অনেকের ধারণা, সূর্যের কাছে বলে উপরে তাপ বেশি । আসলে এই ধারণা মিথ্যা । (পরে একদিন এ বিষয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ ।)
যাইহোক, শিলাবৃষ্ট হোক, অতিবৃষ্টি হোক, অনাবৃষ্টি হোক, বা এসিড বৃষ্টি হোক তা সবই আল্লাহর হুুমেই হয় । কোনটা গজব ,কোনটা শিক্ষা, কোনটা বা নিদর্শন হিসাবে ।
আল্লাহ আমাদের হিদায়াতে অটল রাখুন । আমিন ।।
-------------#মরুচারী_মুসাফির

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.