![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
হরতাল অবরোধ কি ইসলাম সমর্থন করে???
>>>বেশির ভাগ পীর, তাবলীগের একাংশ ও আহলে হাদীস মাযহাব মতে হরতাল না যায়েজ। তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী হরতাল শুধূ জায়েজ নয় বরং ওয়াজীব। আগে আমাদের জানতে হবে হরতাল অর্থ কি? হরতাল একটি গুজরাটি শব্দ, যার উর্দূ ও হিন্দী অনুবাদ হলো "বন্দ"। আর হরতালের বাংলা অর্থ হলো- অবরোধ। বা বৈধ কোন কিছু পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষীয় দৃষ্ট আকর্ষণমূলক রক্তপাতহীন তৎপরতা।
ইসলামের বিজয়ের মূল মন্ত্র ছিল এই হরতাল বা অবরোধ। অনহমান কাল হতে মুসলীমগণ যতগুলো যদ্ধে বিজয় লাভ করেছে, তার সবগুলোতে তারা বিজয়ের শেষ পর্যায়ে গিয়ে পরাজিত জাতিকে ধ্বংস না করে দিনে পর দিন বা মাসাধিকাল পর্যন্ত হরতাল বা অবরোধ করে রেখেছে। যাতে তারা অন্যায় ত্যাগ করে ফিরে আসে সোজা পথে। ইচ্ছে করলে মুসলীমগণ তাদের সমূলে বিনাশ করে দিতে পারতেন, এবং অনেকে সেই অনুমতিও চাইতেন। কিন্তু রাসুল সাঃ তাদের সে অনুমতি দেননি। বরং বলেছেন- তোমরা তাদের হরতাল বা অবরোধ করে রাখ।তাতে তারা আত্মসমর্পণ করে সঠিক পথে ফিরে আসবে। আমি জনপদ ধ্বংসের জন্য প্রেরিত হইনি। আমি জনপদে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছি। মূলতঃ হয়েছিলও তাই।
রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর ওমর রাঃ এর শাসনামলে আবু ওবায়দা রাঃ এক মাসেরও অধিক কাল ফিলিস্থিন অবরোধ করে রেখেছিল। মুসলীমদের দাবী আদায়ের পন্থা হিসাবে হরতাল বা অবরোধ সেই মবী সাঃ এর সময় থেকে চলে আসছে। এখনতো শুধু রাস্তা বন্ধ করা হয়, তখন খাবার, পানি সব বন্ধ করে দেয়া হতো।
এখন ইসলামের ইতিহাসে অজ্ঞ, বা ইসলামী ফিকহ শাস্ত্রে অনবিজ্ঞ কোন শায়খ / মাদানী বা আলেম - মুরুব্বী কি বল্ল সেটা জ্ঞানবান মুসলীমদের ধর্তব্য নয়। অনেকেই ইমামতি ছুটে যাওয়ার ভয়ে, চাকরী হারানোর ভয়ে, রুটি- রুজি বন্ধ হওয়ার ভয়ে উল্টাপাল্টা ফতোয়াবাজী করতেই পারে। তাছা আজকাল ইউটিউব চ্যানেল খুলে মাদামী টাদানী লকব লাগিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তাই বলেতো আর সত্যের দাওয়াত ইনশাল্লাহ থেমে থাকবেনা।
©somewhere in net ltd.