নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মালিক, তুমি জান্নাতে তোমার কাছে, আমার একটা ঘর বানিয়ে দিও ।আমিন।।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি

পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৮ বছর পেছনে ফেলে আসা ৯০০ দিন------

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৬

১৮ বছর পেছনে ফেলে আসা ৯০০ দিন------
Ghadames (ঘাদামিস) একটি মরুভূমি, মরুভূমি মাঝখানে একটি নির্জন এলাকা,এখানকার ঘরগুলো ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাঁদা মাটি দিয়ে তৈরী করা যা প্রচন্ড তাপ থেকে রক্ষা করে। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয় । এটি কাঁদা গঠিত হয়।কাদা দিয়ে তৈরি করা সত্ত্বেও এটি ১০০০০ বাসিন্দাদের গরম আবহাওয়ার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। জায়গাটি Ghadames বা "মরুভূমি মুক্তা" নামে পরিচিত, এখানের গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । এটি পৃথিবীর ২য় উষ্ণতম স্থান হিসেবে পরিচিত।উল্লেখ্য যে , পৃথিবীর ১য় উষ্ণতম স্থান হলো আজিজিয়া । আজিজিয়া লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলী বা ট্রাবলুস থেকে ২৫ কিঃমিঃ দক্ষিণে ও ঘাদামিস ত্রিপলী থেকে প্রায় ৫০০ কিঃমিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে । ঘাদামিস মূলত তিন দেশের (লিবিয়া-আলজেরিয়া-তাউনেশিয়া) সীমান্ত বিন্দুতে অবস্থিত একটি শহর । তিন দেশের লোকজনের জন্যই শহরটি উন্মূক্ত যদিও শহরের বেশিরভাগই লিবিয়াতে। তাছাড়া বাকী দুই দেশেও খুব কাছাকাছি দুটো শহর আছে আলজেরিয়ার "Debdeb দেবদেব ও তিউনেশিয়ার Burj Al Khadra বুর্জ আল খাদরা । উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে ঠিক জুনে আমার একবার পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান অন্যতম ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আজিজিয়া ও ঘাদামিস যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল ।অমি আজিজিয়াতে এক দুপুর ও ঘাদামিসে ৫ দিন ছিলাম । তিনটি দেশের সীমান্তে থাকার অনুভূতিই আলাদা। তাছাড়া প্রচুর পর্যটক সমাগম হয় সেখানে। প্রচন্ড গরমে আমরা দিনে বাইরে বের হতে পারতামনা । সন্ধ্যা থেকে ফজর পর্যন্ত সারা রাত শহরের দোকানপাট ব্যাংক সব খোলা থাকে । আমি তারপর চলে গিয়েছিলাম "নাইজার (Niger) ও চাদ প্রজাতন্ত্রের (Chad) সীমান্ত এলাকা দ্যা গ্র্যট সাহারার মাঝে একটি তেল ও গ্যাসের খনিতে। সেখানেই ছিল আমার কর্মস্থল । মাঝে মধ্যে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঘাদামিস আসতাম পিকনিক করতে এবং আমার দাঁতের চকিৎসার জন্য । এমন ব্যতিক্রম শহর আমি আর কোথাও দেখিনি । আমি ৩০ মাস ছিলাম ঘাট প্রদেশের ওয়াফা নামক স্থানে। যা সাহারা মরুভূমির মাঝখানেই বলা চলে । আজ দীর্ঘ ১৮ বছর পর আর এক মরু শহরের ব্যস্ততম এক সন্ধ্যায় সমুদ্রপকূলে বসে সত্যই দারুন মিস করছি ১৮ বছর পেছনে ফেলে আসা প্রিয় শহর ঘাদামিস/আজিজিয়া/ ত্রিপলী/বেনগাজী/ঘাট/মিসরাতা/ওয়াফা কে । একটি শহর থেকে অন্যটির দূরত্ব ছিল হাজার হাজার কিলোমিটার ।অথচ তখন কোন ব্যাপারই ছিলনা । আমার এডভেঞ্চার প্রিয় মরুচারী মন এখনো খুঁজে বেড়ায় ফেলে আসা সাহারাকে।
--মরুচারী মুসাফির
নিচে উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান "আজিজিয়া" ও "ঘাদামিসে"র তথ্য তুলে ধরলাম ।

০১//ঘাদামিসঃ
দামিস বা ঘাদামেস আরবি: লিবিয়ার স্বদেশীয়: এটি,একটি বার্বার মরুদ্যান শহর যা উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার ত্রিপলিতানিয়া অঞ্চলের নালুত জেলায় অবস্থিত। ঘাদামিসের ভাষার নাম ঘাদামেস যা একটি বার্বার ভাষা।

মরুভূমি তে অবস্থিত ঘাদামিস 'মরুর মুক্তা' নামে পরিচিত ছিলো। এটা প্রাচীনতম প্রাক সাহারা শহরগুলোর মধ্যে একটি এবং ঐতিহ্যময়ী বসতির একটি চমৎকার উদাহরণ। এর ঘরের স্থাপত্যশৈলী একটি নির্দিষ্ট রীতিতে গড়ে উঠেছে। নীচতলা মালপত্র, খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হতো। উপরের তলায় পরিবারের লোকজন বাস করার কাজে ব্যবহৃত হতো। ঝুলানো সিঁড়ি ব্যবহার করা হতো যাতায়াতের জন্য। উপরের উন্মুক্ত খোলা ছাদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকতো।
ঘাদামিস ত্রিপোলির প্রায় ৪৬২ কিমি (২৮৭ মা) দক্ষিণ পশ্চিমে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ঘাদামিসের চারপাশে ইল্লিজি প্রদেশ, আলজেরিয়া এবং তাতাউইন গভর্নেট, তিউনিসিয়া অবস্থিত।

মরুদ্যানে ১০০০০ এর মত লোক বাস করে যার অধিকাংশই বার্বার গোত্রের। নগরীর প্রাচীন অংশ যা দেয়াল দিয়ে ঘেরা, ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। শহরের এই অংশে বাস করা সাতটি গোত্রের প্রত্যেকের নিজেদের আলাদা জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেক জেলাতেই উৎসবের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে।
০২// আজিজিয়াঃ
আল আজিজিয়া, লিবিয়া: ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত উত্তর আফ্রিকার দেশ হল লিবিয়া। এটি আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও প্রচণ্ড গরমের জন্য এখানে জনবসতি খুবই লঘু। দেশটির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারা। বিরূপ আবহাওয়া জন্য লিবিয়ার প্রায় সমস্ত লোক উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাস করে। উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার ত্রিপলিতানিয়া অঞ্চলের জাফারা জেলার আল আজিজিয়া নগরী পৃথিবীর উষ্ণতম শহর নামে পরিচিত। রাজধানী ত্রিপলির দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪১ কিলোমিটার দূরে আল আজিজিয়া শহরের অবস্থান ঠিক সাহারা মরুভূমির মধ্যে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ শহরের উচ্চতা ১১৯ মিটার। ২০০৪ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুসারে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪০৭ জন লোকের বাস এ শহরে
১৯২২ সালের সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে এ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ৫৮ দশমিক আট ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিষায়ক সংস্থান সমীক্ষা অনুসারে এইটি এখন পর্যন্ত এই কোন শহরের সর্বচ্চ রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.